ফের ডলার কিনল বাংলাদেশ ব্যাংক – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ১০ আগস্ট, ২০২৫
     ১০:২৬ অপরাহ্ণ

ফের ডলার কিনল বাংলাদেশ ব্যাংক

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১০ আগস্ট, ২০২৫ | ১০:২৬ 73 ভিউ
বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আবারও ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ রোববার (১০ আগস্ট) বহুমূল্য নিলাম পদ্ধতির মাধ্যমে ১১টি ব্যাংক থেকে মোট ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্রয় করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ সময় বিনিময় হার নির্ধারণ করা হয় ১২১ টাকা ৪৭ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত। নিলামে ডলারের কাট-অফ রেট ছিল ১২১ টাকা ৫০ পয়সা। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, রোববারের নিলামে ১২১ টাকা ৪৭ পয়সা দরে ১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কেনা হয়। বাকি ৭১ মিলিয়ন ডলার কেনা হয় ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে। তিনি বলেন, বাজারে চাহিদা ও সরবরাহের ভারসাম্য রক্ষায় প্রয়োজনে ডলার কেনা বা বিক্রি করে

বাংলাদেশ ব্যাংক। এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কৌশলগত পদক্ষেপ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, গভর্নর আগেই বলেছেন বাজার পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রয়োজনে ডলার কেনা হবে এবং প্রয়োজন হলে আবার ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করা হবে। মূল লক্ষ্য হলো আন্তঃব্যাংক বাজারে বিনিময় হার ও ডলার সরবরাহ স্থিতিশীল রাখা। সাম্প্রতিক সময়ে ডলার বাজারে স্থিতি আনতে বাংলাদেশ ব্যাংক একাধিকবার নিলামের মাধ্যমে ডলার কিনেছে। এর আগে গত ১৩ জুলাই সংকট পরবর্তী সময়ে প্রথমবারের মতো ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে ১৭১ মিলিয়ন ডলার ক্রয় করা হয়। পরে ১৫ জুলাই একই দামে আরও ৩১৩ মিলিয়ন ডলার কেনা হয়। ২৩ জুলাই ১২১ টাকা ৯৫ পয়সা দরে আবার

১০ মিলিয়ন ডলার কেনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া ৭ আগস্ট ১২১ টাকা ৩৫ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে ৪৫ মিলিয়ন ডলার কেনা হয়। সর্বশেষ আজকের ক্রয়সহ সাম্প্রতিক সময়ে মোট ৬২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অর্থনীতিবিদদের মতে, বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে চাপ কমাতে এবং টাকার মান স্থিতিশীল রাখতে এ ধরনের পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ ও রপ্তানি আয় কিছুটা বেড়েছে, তবে আমদানি ব্যয় ও বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ এখনো বিদ্যমান। এই পরিস্থিতিতে বাজারে সরাসরি হস্তক্ষেপ করে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় ডলার কিনছে, যাতে ভবিষ্যতে প্রয়োজনে তা আবার সরবরাহ করা যায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, নিলামের মাধ্যমে ডলার কেনা হলে তা রিজার্ভে যুক্ত

হয়, যা দেশের আমদানি ব্যয় মেটানো ও ঋণ পরিশোধে সহায়তা করে। পাশাপাশি এটি ডলার বাজারে একটি মনস্তাত্ত্বিক স্থিতি আনে, যা বিনিময় হার নিয়ে অস্থিরতা কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। বাজার বিশ্লেষকদের ধারণা, বাংলাদেশ ব্যাংকের এই ধারাবাহিক ডলার ক্রয় আগামী দিনে বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করবে। তবে তারা মনে করেন, দীর্ঘমেয়াদে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে স্থিতি আনতে রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স বৃদ্ধির পাশাপাশি আমদানি নিয়ন্ত্রণ ও বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার উদ্যোগ বাড়াতে হবে। সব মিলিয়ে, বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে চাপ কমানো এবং বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের এই ডলার ক্রয় কার্যক্রমকে বিশেষজ্ঞরা কৌশলগত ও সময়োপযোগী উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
নিউইয়র্কের নতুন মেয়র জোহরান মামদানি রোমাঞ্চকর ম্যাচে প্রোটিয়াদের হারিয়ে এগিয়ে গেলো পাকিস্তান দিনে ১২ ঘণ্টা কাজ করেও ক্লান্তি নেই রাশমিকার! ঋত্বিক ঘটকের ভাঙা বাড়িতে জন্মশতবর্ষ উদযাপন চালু হচ্ছে বিশ্বের প্রথম উড়ন্ত গাড়ি নির্মাণ কারখানা ফিলিপাইনে টাইফুন কালমেগির তাণ্ডবে ৪০ জনের প্রাণহানি ওপেন এআই-অ্যামাজনের ৩৮ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি কুষ্টিয়ায় মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপি নেতার সমর্থকদের দ্বিতীয় দিনে সড়ক অবরোধ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা অপরাধের দায়মুক্তির অবসান চায় ১৩ দেশ ‘জুলাই সনদ’ কড়চা এবং অতঃপর … আজ সংবিধান দিবসঃ বাংলাদেশের সংবিধানের পটভূমি বিএনপি-এনসিপি সমঝোতায় বঞ্চিত হলো জুলাই এর নারী নেত্রীরা রপ্তানি পতন অব্যাহত: অক্টোবরে ৭.৪৩% কমে ৩.৬৩ বিলিয়ন ডলার, আমদানিও নেমে আসছে ধীরে ধীরে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক চীনের দিকে ঝোঁকার কারণে উদ্বেগ বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্রং ভল্টে সোনা-হীরা থাকলেও চুরি শুধু অস্ত্র, বাড়ছে শাহজালাল আগুনের রহস্য প্রধান রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ: পশ্চিমা হস্তক্ষেপ চাইলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন ড. ইউনুসের পতনের ডাক যুবলীগের, ১৩ নভেম্বর ঢাকায় লকডাউন ঘোষণা চার দিনের সফরে ঢাকায় পাকিস্তান নৌপ্রধান, সেনাপ্রধানকে পাশ কাটিয়ে পাকিস্তান নৌপ্রধানকে গলফ ও ভোজে আপ্যায়ন সশস্ত্র বাহিনীতে বিভেদ ও অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির ইঙ্গিত দিচ্ছে। সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (FDI) নিয়ে ড. ইউনূসের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বিতর্ক: তথ্য বিকৃতি ও বিভ্রান্তির অভিযোগ ‘লাশের শহর’ ছাড়ছে নিরুপায় বাসিন্দারা