
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে পশ্চিমা ১৫ দেশের বড় পদক্ষেপ

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে পশ্চিমা ১৫ দেশের বড় পদক্ষেপ

গাজার একাংশ দখলের ইঙ্গিত ইসরাইল মন্ত্রীর

জাপান পার হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে সুনামির আঘাত

ভারতের পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির আহ্বানে ১৫ দেশের যৌথ বিবৃতি

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিচ্ছে মাল্টা
ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে কর্মীদের সরিয়ে নিল জাপান

রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলের উপকূলে ৮.৭ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর প্রশান্ত মহাসাগরজুড়ে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বুধবার জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৪ হাজার কর্মীকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটির পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান জানায়, সব কর্মীকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং কোনো অস্বাভাবিকতা শনাক্ত হয়নি। তবে ফুকুশিমার বাসিন্দাদের জন্য এই সতর্কতা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে অতীতের এক ভয়াবহ বিপর্যয়ের কথা।
২০১১ সালের ভয়াল স্মৃতি
২০১১ সালের ১১ মার্চ, ফুকুশিমায় আঘাত হানে ৯.০ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প এবং এর পরপরই ধেয়ে আসে ভয়ংকর সুনামি, যা ১৮ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়। এই দুর্যোগে ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সুনামির পানিতে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জরুরি জেনারেটর বন্ধ হয়ে
যায়, ফলে কুলিং সিস্টেম বিকল হয়। এর ফলে তিনটি চুল্লিতে ঘটে পারমাণবিক গলন। এছাড়া চুল্লির ভেতরে হাইড্রোজেন বিস্ফোরণ ঘটে, যা ভবনগুলোকে ধ্বংস করে দেয়। সেই সঙ্গে বিপুল পরিমাণ তেজস্ক্রিয় পদার্থ বাতাস ও প্রশান্ত মহাসাগরে ছড়িয়ে পড়ে। সরকার তৎকালীন সময়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রের চারপাশে ৩০ কিলোমিটারের একটি নিষিদ্ধ এলাকা ঘোষণা করে এবং ১ লক্ষ ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়। এখনো ওই এলাকার বহু জায়গায় প্রবেশ নিষেধ। শহরের পরিত্যক্ত ঘরবাড়ি, ফাঁকা মহল্লা আর বিবর্ণ দোকানপাট আজও সেই বিপর্যয়ের সাক্ষী। বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে এখনো শত শত টন বিপজ্জনক তেজস্ক্রিয় বর্জ্য রয়ে গেছে, যার নিরাপদ ব্যবস্থাপনা এখনো জাপান সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। রাশিয়ার উপকূলে সদ্য ঘটে যাওয়া
ভূমিকম্পটি ফুকুশিমাবাসীর জন্য নতুন করে আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছে। যদিও এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎকেন্দ্রে কোনো বিপদ চিহ্নিত হয়নি, তবুও সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল হওয়ায় জাপান সব সময় সুনামি ও পারমাণবিক নিরাপত্তা নিয়ে বাড়তি সতর্কতা বজায় রাখে, আর ফুকুশিমার অতীত সেই সতর্কতার গুরুত্ব বারবার স্মরণ করিয়ে দেয়।
যায়, ফলে কুলিং সিস্টেম বিকল হয়। এর ফলে তিনটি চুল্লিতে ঘটে পারমাণবিক গলন। এছাড়া চুল্লির ভেতরে হাইড্রোজেন বিস্ফোরণ ঘটে, যা ভবনগুলোকে ধ্বংস করে দেয়। সেই সঙ্গে বিপুল পরিমাণ তেজস্ক্রিয় পদার্থ বাতাস ও প্রশান্ত মহাসাগরে ছড়িয়ে পড়ে। সরকার তৎকালীন সময়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রের চারপাশে ৩০ কিলোমিটারের একটি নিষিদ্ধ এলাকা ঘোষণা করে এবং ১ লক্ষ ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়। এখনো ওই এলাকার বহু জায়গায় প্রবেশ নিষেধ। শহরের পরিত্যক্ত ঘরবাড়ি, ফাঁকা মহল্লা আর বিবর্ণ দোকানপাট আজও সেই বিপর্যয়ের সাক্ষী। বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে এখনো শত শত টন বিপজ্জনক তেজস্ক্রিয় বর্জ্য রয়ে গেছে, যার নিরাপদ ব্যবস্থাপনা এখনো জাপান সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। রাশিয়ার উপকূলে সদ্য ঘটে যাওয়া
ভূমিকম্পটি ফুকুশিমাবাসীর জন্য নতুন করে আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছে। যদিও এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎকেন্দ্রে কোনো বিপদ চিহ্নিত হয়নি, তবুও সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল হওয়ায় জাপান সব সময় সুনামি ও পারমাণবিক নিরাপত্তা নিয়ে বাড়তি সতর্কতা বজায় রাখে, আর ফুকুশিমার অতীত সেই সতর্কতার গুরুত্ব বারবার স্মরণ করিয়ে দেয়।