
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

সেনা মোতায়েন নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা

কারা বেশি নারী বিদ্বেষী, ছবি বিকৃতির মাধ্যমে তা প্রমাণ হয়েছে

ভোটযুদ্ধে প্রাণবন্ত ক্যাম্পাস

ভিকারুননিসায় হিজাব পরায় ছাত্রীদের বের করে দেওয়ার সত্যতা মিলেছে

২০২৬ সালের এইচএসসি পরীক্ষার সময়

নিরাপদ ক্যাম্পাসের প্রতিশ্রুতি প্রার্থীদের

ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ২
প্রশ্ন করায় শিক্ষার্থীকে ছাত্রদল নেতা শিবির ট্যাগ দিলেন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশো চলাকালীন প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীর প্রশ্নের জবাবে তাকে ‘শিবির ট্যাগ’ দিয়েছেন ছাত্রদল মনোনীত এজিএস প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় আয়োজিত টকশো অনুষ্ঠানের এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। পরে এ নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। প্রশ্নকারী ওই শিক্ষার্থীর নাম সাদিকুল ইসলাম মাসুম। তিনি আরবি বিভাগের ২০২৪-২৫ সেশনের শিক্ষার্থী।
ভিডিওতে দেখা যায়, দর্শক সারিতে উপস্থিত থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে মাসুম প্রশ্ন করেন— ‘‘ডাকসু প্রতিবছর হওয়া আমাদের মৌলিক অধিকার। দেখা যাচ্ছে, আপনারা ৯০-এর ডাকসুতে ফিরে যেতে চাইছেন, অথচ
শিক্ষার্থীরা সেসময় ডাকসুকে ডাকাতের কবলে সুশাসন বলে অভিহিত করেছিল। ৯০-এর ডাকসু নির্বাচনের পর দীর্ঘ ২৮ বছর আপনারা কৌশলে ডাকসু নির্বাচন আর হতে দেননি। এবারও জয়ী হলে কি ২৮ বছরের জন্য ডাকসু বন্ধ থাকবে? এবং বলা হয়, গণরুম ও গেস্টরুম প্রথা আপনারাই চালু করেছিলেন। শিক্ষার্থীর এমন প্রশ্নের জবাবে তানভীর আল হাদী মায়েদ বলেন, ‘‘আপনি যদি সাধারণ শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। কিন্তু আমার মনে হয়, আপনি একজন শিবির কর্মী। আর শিবির কর্মী হওয়ার কারণে আপনি শিবিরের ন্যারেটিভ ব্যবহার করেছেন।’’ এ বক্তব্যের পরপরই ঘটনাস্থলে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা ও অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিরা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান। এ সময় স্বতন্ত্র এজিএস প্রার্থী হাসিব আল ইসলাম মন্তব্য করেন, ‘‘আজ
অফিসিয়ালি ছাত্রদলের হাত ধরে ৫ আগস্টের পর প্রথম ট্যাগিং পলিটিক্স শুরু হল।’’ এসময় ছাত্রশিবিরের প্যানেলের এজিএস প্রার্থী মো. মহিউদ্দীন খানও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। পরে ফেসবুকের এক পোস্টে মো. মহিউদ্দীন খান লেখেন, ‘‘একজন শিক্ষার্থীর প্রথম পরিচয় তিনি শিক্ষার্থী। তার কাছে ডাকসুর নেতারা জবাবদিহি করবেন। যে কোন দল, মত ও পরিচয়ের শিক্ষার্থী প্রশ্ন করলে সেটাকে সহজভাবে এবং সম্মানের সাথে গ্রহণ করার মানসিকতা না থাকলে সহাবস্থানের ক্যাম্পাস গঠন করা তো সম্ভব না। কেউ ‘শিবির’ হলে তার প্রশ্নকে অ্যাড্রেস করতে না চাওয়া বা অগুরুত্বপূর্ণ মনে করাটাই সমস্যাজনক। আশা করবো সব সংগঠনই এমন সংকীর্ণতা থেকে বের হয়ে আসবে।’’ বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেল থেকে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আব্দুল
কাদের লেখেন, ‘‘কেবল প্রশ্ন করার কারণে কাউকে ট্যাগ দেওয়া অশনিসংকেত!’’ আরাফাত হোসেন ভূঁইয়া নামে এক শিক্ষার্থী ফেসবুকের এক পোস্টে লেখেন, ‘‘জনাব মায়েদ, আমি যদি শিবিরও হই, সমস্যা কোথায়? আপনি জবাব দিন, গেস্টরুম গণরুম আবার ফিরিয়ে আনবেন কি আনবেন না? ডাকসু বন্ধ করে দেবেন কি দেবেন না? রাজু-সনিদের খুন করবেন কি করবেন না? শামসুন্নাহার-রোকেয়ায় হামলা করবেন কি করবেন না? জবাবদিহিতায় এত ভয় কীসের জনাব মায়েদ?’’
শিক্ষার্থীরা সেসময় ডাকসুকে ডাকাতের কবলে সুশাসন বলে অভিহিত করেছিল। ৯০-এর ডাকসু নির্বাচনের পর দীর্ঘ ২৮ বছর আপনারা কৌশলে ডাকসু নির্বাচন আর হতে দেননি। এবারও জয়ী হলে কি ২৮ বছরের জন্য ডাকসু বন্ধ থাকবে? এবং বলা হয়, গণরুম ও গেস্টরুম প্রথা আপনারাই চালু করেছিলেন। শিক্ষার্থীর এমন প্রশ্নের জবাবে তানভীর আল হাদী মায়েদ বলেন, ‘‘আপনি যদি সাধারণ শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। কিন্তু আমার মনে হয়, আপনি একজন শিবির কর্মী। আর শিবির কর্মী হওয়ার কারণে আপনি শিবিরের ন্যারেটিভ ব্যবহার করেছেন।’’ এ বক্তব্যের পরপরই ঘটনাস্থলে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা ও অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিরা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান। এ সময় স্বতন্ত্র এজিএস প্রার্থী হাসিব আল ইসলাম মন্তব্য করেন, ‘‘আজ
অফিসিয়ালি ছাত্রদলের হাত ধরে ৫ আগস্টের পর প্রথম ট্যাগিং পলিটিক্স শুরু হল।’’ এসময় ছাত্রশিবিরের প্যানেলের এজিএস প্রার্থী মো. মহিউদ্দীন খানও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। পরে ফেসবুকের এক পোস্টে মো. মহিউদ্দীন খান লেখেন, ‘‘একজন শিক্ষার্থীর প্রথম পরিচয় তিনি শিক্ষার্থী। তার কাছে ডাকসুর নেতারা জবাবদিহি করবেন। যে কোন দল, মত ও পরিচয়ের শিক্ষার্থী প্রশ্ন করলে সেটাকে সহজভাবে এবং সম্মানের সাথে গ্রহণ করার মানসিকতা না থাকলে সহাবস্থানের ক্যাম্পাস গঠন করা তো সম্ভব না। কেউ ‘শিবির’ হলে তার প্রশ্নকে অ্যাড্রেস করতে না চাওয়া বা অগুরুত্বপূর্ণ মনে করাটাই সমস্যাজনক। আশা করবো সব সংগঠনই এমন সংকীর্ণতা থেকে বের হয়ে আসবে।’’ বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেল থেকে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আব্দুল
কাদের লেখেন, ‘‘কেবল প্রশ্ন করার কারণে কাউকে ট্যাগ দেওয়া অশনিসংকেত!’’ আরাফাত হোসেন ভূঁইয়া নামে এক শিক্ষার্থী ফেসবুকের এক পোস্টে লেখেন, ‘‘জনাব মায়েদ, আমি যদি শিবিরও হই, সমস্যা কোথায়? আপনি জবাব দিন, গেস্টরুম গণরুম আবার ফিরিয়ে আনবেন কি আনবেন না? ডাকসু বন্ধ করে দেবেন কি দেবেন না? রাজু-সনিদের খুন করবেন কি করবেন না? শামসুন্নাহার-রোকেয়ায় হামলা করবেন কি করবেন না? জবাবদিহিতায় এত ভয় কীসের জনাব মায়েদ?’’