প্রকৃত খেলাপি ঋণ ৬ লাখ কোটি টাকা ছাড়াতে পারে – ইউ এস বাংলা নিউজ




প্রকৃত খেলাপি ঋণ ৬ লাখ কোটি টাকা ছাড়াতে পারে

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৭ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১১:২৭ 72 ভিউ
আগে খেলাপি ঋণের তথ্য লুকানো হতো, এখন সব তথ্য প্রকাশের চেষ্টা চলছে। বলা হচ্ছে, খেলাপি ঋণ ৪ লাখ কোটি টাকা বা এর থেকে বেশি। পুরো তথ্য সামনে এলে প্রকৃত খেলাপি ঋণের অঙ্ক ৬ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। ব্যাংকগুলোয় অডিট হচ্ছে, প্রকৃত খেলাপির তথ্য পেলে এরপর কমানোর পদক্ষেপ সম্পর্কে জানানো হবে। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা। এ সময় সহকারী দুই মুখপাত্র উপস্থিত ছিলেন। মুখপাত্র বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে গত পাঁচ মাসে বাণিজ্যিক ব্যাংকের বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে, ব্যাংকিং টাস্কফোর্স গঠন হয়েছে, ডলার বাজার স্থিতিশীলতা ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ অন্যান্য

বিষয়ে বেশকিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে কিছু সুফল পাওয়া গেছে, কিছু ফলাফল আসতে আরও সময় লাগবে। কিন্তু আর্থিক খাতে এখনো পুরোপুরি স্থিতিশীলতা ফিরে আসেনি। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক খুব বেশি খুশি নয়। তবে আর্থিক ভীতি কেটে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুখপাত্র আরও বলেন, ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ কোন ব্যাংকের মাধ্যমে কত টাকা কোন দেশে পাচার হয়েছে, সে বিষয়ে স্পষ্টভাবে জানা যাবে। পাচারের টাকা ফেরত আনা একটি সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। নির্ধারিত সংস্থাগুলো বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। নিরাপত্তার স্বার্থেই তারা এ বিষয়গুলো আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে না। মূল্যস্ফীতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা ইতোমধ্যে একাধিকবার নীতি সুদ

বাড়িয়েছি। আশা করছি, জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। না এলে হয়তো আবার নীতি সুদহার বাড়ানো হতে পারে। তবে এ বিষয়ে ব্যবসায়ীরা মোটেও খুশি নন। কারণ, ব্যাংক ঋণের জন্য তাদের অতিরিক্ত সুদ গুনতে হয়। বিনিয়োগেও ধীরগতি নেমে আসে। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাশাপাশি অন্য সংস্থাগুলোকে ঠিকঠাকমতো কাজ করা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, বিনিয়োগ কমার জন্য শুধু সুদের হার এককভাবে দায়ী নয়। অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জ্বালানি সরবরাহ, যোগাযোগব্যবস্থাসহ আরও অনেক কিছু বিনিয়োগ বৃদ্ধির সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একক প্রচেষ্টায় মূল্যস্ফীতি পুরোপরিভাবে কমানো সম্ভব নয়। প্রসঙ্গত, বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি তলানিতে নেমেছে। গত নভেম্বর মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক

৬৬ শতাংশ। এ প্রবৃদ্ধি সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিু। দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বেনামি-জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ বিতরণ কমে আসায় এবং দুর্বল হিসাবে চিহ্নিত ও পর্ষদে পরিবর্তন হয়েছেÑএ ধরনের ১১টি ব্যাংকের নতুন ঋণ প্রদান বন্ধ থাকায় এমন পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। এ ব্যাংকগুলো অবশ্য আমানতকারীদের টাকার চাহিদা মেটাতেই এখন হিমশিম খাচ্ছে। বেসরকারি খাতে ঋণের চাহিদা কমে আসায় অনেক ব্যাংক সরকারি ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। এতে ঋণের চেয়ে বেশি মুনাফা মিলছে। কারণ, ঋণ দিলে খেলাপি হওয়ার ঝুঁকি থাকে আর বিল ও বন্ডে মুনাফা নিশ্চিত হয়। ফলে বিদায়ি ২০২৪ সালের কিছু ব্যাংকের পরিচালন মুনাফায় অনেক প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী,

২০২৪ সালের নভেম্বরে বেসরকারি খাতের ঋণে প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ হয়েছিল, যা ২০২১ সালের মে মাসের পর সর্বনিু। ওই বছরের মে মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ। গত নভেম্বরে অর্জিত প্রবৃদ্ধি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে নিচে রয়েছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধের জুলাই-ডিসেম্বরের জন্য ৯ দশমিক ৮ শতাংশ ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ইজারার টাকা তোলা নিয়ে জামায়াত-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ২ গত জুলাইয়ে জনতার পাশে দাঁড়ানো সেনার এই জুলাইয়ে গোপালগঞ্জে জনতার ওপর বর্বরতা, নির্বিচার গুলি-হত্যা এনসিপি’র ‘মুজিববাদ মূর্দাবাদ’ স্লোগানে গোপালগঞ্জে জনবিস্ফোরণ, বিক্ষোভে সেনার গুলি-নিহত ৪ আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে ধরে নিয়ে বুট দিয়ে পিষে মারলো সেনাবাহিনী জামায়াত-শিবির এনসিপি প্রতিরোধে গোপালগঞ্জে গৃহবধূ-বৃদ্ধা-কিশোরীরাও রাজপথে এপিসিতে চড়ে গোপালগঞ্জে জনরোষ থেকে পালিয়ে বাঁচলেন এনসিপি নেতারা ইরানের এক হামলায় ইসরাইলের ৩০ বৈমানিক নিহত গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র, ১৪৪ ধারা জারি পলাতক ৮ আসামিকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পদত্যাগ করলেন জাতিসংঘের ফিলিস্তিন তদন্ত কমিশনের তিন সদস্য গাজায় ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে পদদলিত হয়ে নিহত ২১ ফিলিপাইনে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়াচ্ছে এআই ও ভুয়া তথ্য যেভাবে কোলেস্টেরল কমাবেন ঐকমত্য না হওয়ায় সংসদের উচ্চকক্ষই বাদের চিন্তা সকল দায় ঢাকার ওপর চাপাতে চায় জাতিসংঘ ‘কোথায় থাকব, কে আশ্রয় দেবে জানি না’ সিরিজ জয়ে চোখ বাংলাদেশের চাকরি জীবনে একবার গুরুদণ্ড পেলে ওসি হতে পারবেন না পাহাড়ে ফলের নতুন ভান্ডার