ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
বিজয়ের দিনে মামলা ছাড়াই যুবলীগ নেতা গ্রেফতার জুড়ীতে রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া
ব্রিটিশ সংসদে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা অবাধ নির্বাচন ও সংখ্যালঘু নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সাংবাদিক আনিস আলমগীরের গ্রেপ্তার: মুক্তির আহ্বান অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের
‘ভ্যালুলেস সোনাদিয়া-সেন্টমার্টিনের গুরুত্ব বাড়িয়েছে মালাক্কা প্রণালী’ চৌধুরী মুজাহিদুল হক সৌরভ
বাংলাদেশ কি ঋণের ফাঁদে? সংখ্যার ভেতরে লুকিয়ে থাকা অস্বস্তিকর বাস্তবতা
খুনের ৭ মামলায় ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রীর জামিন স্থগিত
নিরাপত্তা শঙ্কায় ঢাকায় ইন্ডিয়া ভিসা সেন্টার সাময়িক বন্ধ
পদত্যাগের পর রাষ্ট্রীয় সুবিধা ভোগের ঘটনায় চাপের মুখে প্রশাসন, ব্যাখ্যা নেই দুই সাবেক উপদেষ্টার !
পদত্যাগ কার্যকর হওয়ার এক সপ্তাহ পরও সরকারি বাসভবন না ছাড়ায় এবার দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন সুশাসন ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। সাবেক দুই ছাত্র উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলমের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় সম্পদ অপব্যবহার এবং প্রশাসনিক প্রশ্রয়ের অভিযোগে বিষয়টি আনুষ্ঠানিক তদন্তের দাবি জোরালো হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পদত্যাগের পরও সরকারি বাসভবন, নিরাপত্তা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিদিন রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে অর্থ ব্যয় হচ্ছে। কিন্তু এই ব্যয় কোন আইনি বা প্রশাসনিক অনুমোদনে হচ্ছে, সে বিষয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেনি।
মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাসভবন ছাড়ার বিষয়ে দুই সাবেক উপদেষ্টা কোনো লিখিত আবেদন
বা যোগাযোগ করেননি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা বলেন, “এটি সাধারণ অবহেলা নয়। পদত্যাগের পর রাষ্ট্রীয় বাসভবন দখলে রাখা স্পষ্ট অনিয়ম। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কেউ দায়িত্ব নিতে চাইছে না।” এই অবস্থাকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কার নির্দেশে বাসভবন ও অন্যান্য সুবিধা বহাল আছে, নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়নি কেন, আর্থিক ব্যয়ের হিসাব কে দিচ্ছে—এসব প্রশ্নের কোনো জবাব নেই আজকের কন্ঠ থেকে দুই সাবেক উপদেষ্টার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁরা ফোন ধরেননি। এসএমএস পাঠানো হলেও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট গুরুতর অভিযোগের মুখে থেকেও নীরব থাকা তাঁদের দায় এড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা। জাতীয় সংসদ
নির্বাচন আচরণ বিধিমালায় স্পষ্ট বলা আছে, সরকারি বাসভবন বা রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করে নির্বাচনে অংশ নেওয়া যাবে না। ফলে পদত্যাগের পরও এসব সুবিধা ভোগ করা নির্বাচনী আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কি না, তা নিয়েও আইনগত প্রশ্ন উঠছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বলছেন, এই ঘটনা অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা ও নৈতিক অবস্থানকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। একজন জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক নেতা বলেন, “যাঁরা পরিবর্তনের কথা বলে ক্ষমতায় গেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেই যদি রাষ্ট্রীয় সুবিধা অপব্যবহারের অভিযোগ ওঠে এবং কোনো জবাব না আসে, তাহলে সেটি ভয়ংকর দৃষ্টান্ত।” সুশাসনকর্মীদের মতে, দুদকের উচিত স্বপ্রণোদিত হয়ে বিষয়টি তদন্তে নেওয়া। তাঁদের দাবি, পদত্যাগের তারিখ থেকে এখন পর্যন্ত বাসভবন ও অন্যান্য সুবিধা ব্যবহারে কত অর্থ
ব্যয় হয়েছে, সেই অর্থের ক্ষতিপূরণ আদায় এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। উল্লেখ্য, গত ১০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলম প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সেই পদত্যাগ কার্যকর হলেও বাস্তবে রাষ্ট্রীয় সুবিধা ছাড়ার কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ দেখা যায়নি। বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনায় দ্রুত তদন্ত ও জবাবদিহি নিশ্চিত না হলে শুধু দুই সাবেক উপদেষ্টাই নয়, তাঁদের এই অবস্থান দীর্ঘায়িত করতে যাঁরা নীরবে ভূমিকা রেখেছেন, তাঁদের দায়ও এড়ানোর সুযোগ থাকবে না। নীরবতা ভাঙতে না পারলে এই ঘটনা অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য বড় রাজনৈতিক ও নৈতিক সংকটে রূপ
নিতে পারে।
বা যোগাযোগ করেননি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা বলেন, “এটি সাধারণ অবহেলা নয়। পদত্যাগের পর রাষ্ট্রীয় বাসভবন দখলে রাখা স্পষ্ট অনিয়ম। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কেউ দায়িত্ব নিতে চাইছে না।” এই অবস্থাকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কার নির্দেশে বাসভবন ও অন্যান্য সুবিধা বহাল আছে, নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়নি কেন, আর্থিক ব্যয়ের হিসাব কে দিচ্ছে—এসব প্রশ্নের কোনো জবাব নেই আজকের কন্ঠ থেকে দুই সাবেক উপদেষ্টার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁরা ফোন ধরেননি। এসএমএস পাঠানো হলেও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট গুরুতর অভিযোগের মুখে থেকেও নীরব থাকা তাঁদের দায় এড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা। জাতীয় সংসদ
নির্বাচন আচরণ বিধিমালায় স্পষ্ট বলা আছে, সরকারি বাসভবন বা রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করে নির্বাচনে অংশ নেওয়া যাবে না। ফলে পদত্যাগের পরও এসব সুবিধা ভোগ করা নির্বাচনী আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কি না, তা নিয়েও আইনগত প্রশ্ন উঠছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বলছেন, এই ঘটনা অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা ও নৈতিক অবস্থানকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। একজন জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক নেতা বলেন, “যাঁরা পরিবর্তনের কথা বলে ক্ষমতায় গেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেই যদি রাষ্ট্রীয় সুবিধা অপব্যবহারের অভিযোগ ওঠে এবং কোনো জবাব না আসে, তাহলে সেটি ভয়ংকর দৃষ্টান্ত।” সুশাসনকর্মীদের মতে, দুদকের উচিত স্বপ্রণোদিত হয়ে বিষয়টি তদন্তে নেওয়া। তাঁদের দাবি, পদত্যাগের তারিখ থেকে এখন পর্যন্ত বাসভবন ও অন্যান্য সুবিধা ব্যবহারে কত অর্থ
ব্যয় হয়েছে, সেই অর্থের ক্ষতিপূরণ আদায় এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। উল্লেখ্য, গত ১০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলম প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সেই পদত্যাগ কার্যকর হলেও বাস্তবে রাষ্ট্রীয় সুবিধা ছাড়ার কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ দেখা যায়নি। বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনায় দ্রুত তদন্ত ও জবাবদিহি নিশ্চিত না হলে শুধু দুই সাবেক উপদেষ্টাই নয়, তাঁদের এই অবস্থান দীর্ঘায়িত করতে যাঁরা নীরবে ভূমিকা রেখেছেন, তাঁদের দায়ও এড়ানোর সুযোগ থাকবে না। নীরবতা ভাঙতে না পারলে এই ঘটনা অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য বড় রাজনৈতিক ও নৈতিক সংকটে রূপ
নিতে পারে।



