ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
নিরাপত্তা শঙ্কায় ঢাকায় ইন্ডিয়া ভিসা সেন্টার সাময়িক বন্ধ
সদ্য অব্যাহতি পাওয়া উপদেষ্টা আসিফ ভুঁইয়ার নিয়োগ বাণিজ্য গাজীপুরে সিইও নিয়োগে ৬৫ কোটি টাকার ডিল!
ক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে কোণঠাসা হয়ে পড়ে পাকিস্তানি জান্তারা
বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
বিজয় দিবসের দিন জামায়াত আমিরের অভিনব প্রতারণা
অবিনশ্বর বিজয় দিবস ২০২৫
নয় মাস মুক্তিযুদ্ধের পর যেদিন বিজয়ের সূর্য হেসেছিল বাংলার আকাশে
নিয়োগ থেকে টেন্ডার: দুদকের অভিযানের পরও বহাল সিন্ডিকেট, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পরিচালক ডা. আবু হানিফ–নেটওয়ার্কের অদম্য দাপট
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রশাসনিক শাখায় দীর্ঘদিন ধরে গড়ে ওঠা একটি শক্তিশালী ও সুসংগঠিত নিয়ন্ত্রণ বলয় এখন প্রশ্নের মুখে। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র, নথিপত্র ও চলমান তদন্তে উঠে আসা তথ্যে দেখা যাচ্ছে—পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এবি এম আবু হানিফের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়োগ, টেন্ডার ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি স্থায়ী রূপ পেয়েছে।
কুষ্টিয়ায় নিয়োগ কেলেঙ্কারি: ডা. আনোয়ারুল কবিরের ভূমিকা
ডা. আনোয়ারুল কবির, পরিচালক, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল—একসময় স্বাচিপের উত্তরাঞ্চলের প্রভাবশালী নেতার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সূত্রমতে, সেই রাজনৈতিক নেটওয়ার্কের সহায়তায় তিনি স্বাস্থ্য বিভাগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে উঠে আসেন এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমতার অনুকূলে নিজের অবস্থান পরিবর্তন করেন।
২০২৩ সালে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
১১–২০ গ্রেডের কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষায় একটি বিশেষ কক্ষে নির্দিষ্ট তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের বসিয়ে পরীক্ষার প্রশ্ন আগেই সরবরাহ করার অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। পরীক্ষার দিনই বিষয়টি ফাঁস হলে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় তা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। সাময়িকভাবে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করা হলেও, দুদকের অনুসন্ধান চলমান থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একাধিক সূত্রের দাবি—পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এবি এম আবু হানিফের অনুসারী ও পরামর্শপ্রাপ্ত হওয়ায় ডা. আনোয়ারুল কবির কার্যত অপ্রতিরোধ্য ছিলেন। পরবর্তীতে কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আরেকটি নিয়োগ পরীক্ষায় নির্ধারিত প্রার্থীদের পরীক্ষা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসারের বাসায় নেওয়ার সময় গণমাধ্যমকর্মীদের হাতে ধরা পড়েন সংশ্লিষ্টরা। এ ঘটনাতেও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রক্রিয়া
চলমান রয়েছে। সম্প্রতি দুদকের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ডা. আনোয়ারুল কবিরের বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়ম ও অসঙ্গতি নিয়ে দীর্ঘ সময় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে। তবুও তিনি এখনো স্বপদে বহাল রয়েছেন। এদিকে অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে যোগ্য ও নিয়মিত পরিচালক পদায়ন না হওয়ায় প্রায় দেড় ডজন কর্মকর্তা দীর্ঘদিন কার্যত নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিচালক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “প্রশাসনিক সুনাম থাকা সত্ত্বেও বছরের পর বছর কোনো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পাচ্ছি না।” রাজশাহী বিভাগে ই-জিপি নিয়ন্ত্রণ: ডা. হাবিবুর রহমান ও অফিস সহকারী সাইফুল ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে ডা. এবি এম আবু হানিফ চলতি দায়িত্বে রংপুর বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) হিসেবে যোগ
দেন। সে সময় তার অধীনে উপপরিচালক হিসেবে কাজ করেন ডা. মো. হাবিবুর রহমান, যিনি বর্তমানে রাজশাহী বিভাগের পরিচালক (স্বাস্থ্য), চলতি দায়িত্বে। সূত্র অনুযায়ী, ডা. এবি এম আবু হানিফের প্রত্যক্ষ মদদে ডা. হাবিবুর রহমান রাজশাহী বিভাগের স্বাস্থ্যখাতকে দুর্নীতি ও প্রশাসনিক ব্যর্থতার কেন্দ্রে পরিণত করেন। রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আসা ই-জিপি (e-GP) টেন্ডারের প্রশাসনিক অনুমোদন বিভাগীয় পরিচালকের দপ্তরেই সম্পন্ন হয়। ই-জিপি একটি সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক ব্যবস্থা, যেখানে এডমিন আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে টেন্ডারের সব নথি যাচাই-বাছাইয়ের বিধান রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী এই আইডি ও পাসওয়ার্ড হস্তান্তরযোগ্য নয়। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে—ডা. হাবিবুর রহমান তার অফিসের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. সাইফুল
ইসলামের কাছে এই আইডি ও পাসওয়ার্ড হস্তান্তর করেন। এর ফলে সাইফুল ইসলাম ৮ জেলার টেন্ডার প্রক্রিয়ায় একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন। স্বাস্থ্য বিভাগের একাধিক সূত্র দাবি করেছে—এই প্রক্রিয়ায় সংগৃহীত উৎকোচের একটি বড় অংশ ডা. হাবিবুর রহমানের মাধ্যমে পৌঁছায় পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এবি এম আবু হানিফের কাছে। ডা. হাবিবুর রহমানকে প্রশাসনিকভাবে অদক্ষ ও প্রযুক্তি জ্ঞানহীন বলেও অভিযোগ রয়েছে, যার সুযোগে ১৬ গ্রেডের একজন কর্মচারী পুরো বিভাগের ‘টেন্ডার মাফিয়া’তে পরিণত হন। স্বাস্থ্য খাতে এর আগেও একই চিত্র দেখা গেছে। আফজাল ও রুবিনা দম্পতির বিরুদ্ধে প্রায় ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা অস্ট্রেলিয়ায় পাচারের তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর সরকার ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়। প্রশ্ন উঠছে—সাইফুল ইসলাম কি সেই
পর্যায়ে পৌঁছানো না পর্যন্ত অদৃশ্যই থেকে যাবে? চাঁপাইনবাবগঞ্জে টেন্ডার ম্যানিপুলেশন: ডা. মাসুদের অপসারণ ডা. মাসুদ, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল—দীর্ঘদিন সেখানে একচ্ছত্র কর্তৃত্ব বজায় রাখেন। স্থানীয়ভাবে তিনি পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এবি এম আবু হানিফের ‘মাইম্যান’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ২০২৫–২৬ অর্থবছরের মেডিকেল ও সার্জিক্যাল রিকুইজিট টেন্ডার প্রক্রিয়া মূল্যায়নের সময় তার টেন্ডার ম্যানিপুলেশনের বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের নজরে আসে। ফলস্বরূপ একদিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে তাকে বদলি করা হয় এবং ডা. মসজিউর রহমানকে তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ডা. এবি এম আবু হানিফের সম্পর্কের অবনতি ঘটলেও, দীর্ঘদিন ধরে গড়ে ওঠা দুর্নীতির সিন্ডিকেটের শক্তিতে তিনি এখনো স্বপদে বহাল রয়েছেন। বিস্তৃত সিন্ডিকেট বলয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একাধিক
সূত্র জানায়, ডা. এবি এম আবু হানিফের নিয়ন্ত্রণ বলয়ে রয়েছেন—ডা. মুহা. রুহুল আমিন (সহকারী পরিচালক, প্রশাসন, রাজশাহী), ডা. মো. আমিনুল ইসলাম (সিভিল সার্জন, নওগাঁ), ডা. মো. আখতারুজ্জামান (উপপরিচালক, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল), গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন, সহকারী পরিপালক (প্রশাসন) ডা. জমাদ্দারসহ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী। এছাড়া প্রশাসন শাখায় কর্মরত উচ্চমান সহকারী জিয়াউর রহমান, আমিনুল ইসলাম, প্রধান সহকারী জালাল উদ্দিন এবং ব্যক্তিগত সহকারী মো. আবুল কালাম আজাদ এই বলয়ের কার্যকর অংশ হিসেবে কাজ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। স্বাস্থ্য প্রশাসনের মতো একটি সংবেদনশীল খাতে এই ধরনের অভিযোগ কেবল প্রশাসনিক ব্যর্থতার নয়—এটি সরাসরি জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকির সঙ্গে জড়িত। প্রশ্ন উঠছে, এই অদৃশ্য বলয় ভাঙবে কে? আর প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির এই মূল্য কতটা ভারী হবে সাধারণ মানুষের জন্য?
১১–২০ গ্রেডের কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষায় একটি বিশেষ কক্ষে নির্দিষ্ট তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের বসিয়ে পরীক্ষার প্রশ্ন আগেই সরবরাহ করার অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। পরীক্ষার দিনই বিষয়টি ফাঁস হলে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় তা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। সাময়িকভাবে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করা হলেও, দুদকের অনুসন্ধান চলমান থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একাধিক সূত্রের দাবি—পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এবি এম আবু হানিফের অনুসারী ও পরামর্শপ্রাপ্ত হওয়ায় ডা. আনোয়ারুল কবির কার্যত অপ্রতিরোধ্য ছিলেন। পরবর্তীতে কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আরেকটি নিয়োগ পরীক্ষায় নির্ধারিত প্রার্থীদের পরীক্ষা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসারের বাসায় নেওয়ার সময় গণমাধ্যমকর্মীদের হাতে ধরা পড়েন সংশ্লিষ্টরা। এ ঘটনাতেও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রক্রিয়া
চলমান রয়েছে। সম্প্রতি দুদকের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ডা. আনোয়ারুল কবিরের বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়ম ও অসঙ্গতি নিয়ে দীর্ঘ সময় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে। তবুও তিনি এখনো স্বপদে বহাল রয়েছেন। এদিকে অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে যোগ্য ও নিয়মিত পরিচালক পদায়ন না হওয়ায় প্রায় দেড় ডজন কর্মকর্তা দীর্ঘদিন কার্যত নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিচালক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “প্রশাসনিক সুনাম থাকা সত্ত্বেও বছরের পর বছর কোনো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পাচ্ছি না।” রাজশাহী বিভাগে ই-জিপি নিয়ন্ত্রণ: ডা. হাবিবুর রহমান ও অফিস সহকারী সাইফুল ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে ডা. এবি এম আবু হানিফ চলতি দায়িত্বে রংপুর বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) হিসেবে যোগ
দেন। সে সময় তার অধীনে উপপরিচালক হিসেবে কাজ করেন ডা. মো. হাবিবুর রহমান, যিনি বর্তমানে রাজশাহী বিভাগের পরিচালক (স্বাস্থ্য), চলতি দায়িত্বে। সূত্র অনুযায়ী, ডা. এবি এম আবু হানিফের প্রত্যক্ষ মদদে ডা. হাবিবুর রহমান রাজশাহী বিভাগের স্বাস্থ্যখাতকে দুর্নীতি ও প্রশাসনিক ব্যর্থতার কেন্দ্রে পরিণত করেন। রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আসা ই-জিপি (e-GP) টেন্ডারের প্রশাসনিক অনুমোদন বিভাগীয় পরিচালকের দপ্তরেই সম্পন্ন হয়। ই-জিপি একটি সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক ব্যবস্থা, যেখানে এডমিন আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে টেন্ডারের সব নথি যাচাই-বাছাইয়ের বিধান রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী এই আইডি ও পাসওয়ার্ড হস্তান্তরযোগ্য নয়। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে—ডা. হাবিবুর রহমান তার অফিসের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. সাইফুল
ইসলামের কাছে এই আইডি ও পাসওয়ার্ড হস্তান্তর করেন। এর ফলে সাইফুল ইসলাম ৮ জেলার টেন্ডার প্রক্রিয়ায় একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন। স্বাস্থ্য বিভাগের একাধিক সূত্র দাবি করেছে—এই প্রক্রিয়ায় সংগৃহীত উৎকোচের একটি বড় অংশ ডা. হাবিবুর রহমানের মাধ্যমে পৌঁছায় পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এবি এম আবু হানিফের কাছে। ডা. হাবিবুর রহমানকে প্রশাসনিকভাবে অদক্ষ ও প্রযুক্তি জ্ঞানহীন বলেও অভিযোগ রয়েছে, যার সুযোগে ১৬ গ্রেডের একজন কর্মচারী পুরো বিভাগের ‘টেন্ডার মাফিয়া’তে পরিণত হন। স্বাস্থ্য খাতে এর আগেও একই চিত্র দেখা গেছে। আফজাল ও রুবিনা দম্পতির বিরুদ্ধে প্রায় ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা অস্ট্রেলিয়ায় পাচারের তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর সরকার ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়। প্রশ্ন উঠছে—সাইফুল ইসলাম কি সেই
পর্যায়ে পৌঁছানো না পর্যন্ত অদৃশ্যই থেকে যাবে? চাঁপাইনবাবগঞ্জে টেন্ডার ম্যানিপুলেশন: ডা. মাসুদের অপসারণ ডা. মাসুদ, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল—দীর্ঘদিন সেখানে একচ্ছত্র কর্তৃত্ব বজায় রাখেন। স্থানীয়ভাবে তিনি পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এবি এম আবু হানিফের ‘মাইম্যান’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ২০২৫–২৬ অর্থবছরের মেডিকেল ও সার্জিক্যাল রিকুইজিট টেন্ডার প্রক্রিয়া মূল্যায়নের সময় তার টেন্ডার ম্যানিপুলেশনের বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের নজরে আসে। ফলস্বরূপ একদিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে তাকে বদলি করা হয় এবং ডা. মসজিউর রহমানকে তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ডা. এবি এম আবু হানিফের সম্পর্কের অবনতি ঘটলেও, দীর্ঘদিন ধরে গড়ে ওঠা দুর্নীতির সিন্ডিকেটের শক্তিতে তিনি এখনো স্বপদে বহাল রয়েছেন। বিস্তৃত সিন্ডিকেট বলয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একাধিক
সূত্র জানায়, ডা. এবি এম আবু হানিফের নিয়ন্ত্রণ বলয়ে রয়েছেন—ডা. মুহা. রুহুল আমিন (সহকারী পরিচালক, প্রশাসন, রাজশাহী), ডা. মো. আমিনুল ইসলাম (সিভিল সার্জন, নওগাঁ), ডা. মো. আখতারুজ্জামান (উপপরিচালক, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল), গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন, সহকারী পরিপালক (প্রশাসন) ডা. জমাদ্দারসহ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী। এছাড়া প্রশাসন শাখায় কর্মরত উচ্চমান সহকারী জিয়াউর রহমান, আমিনুল ইসলাম, প্রধান সহকারী জালাল উদ্দিন এবং ব্যক্তিগত সহকারী মো. আবুল কালাম আজাদ এই বলয়ের কার্যকর অংশ হিসেবে কাজ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। স্বাস্থ্য প্রশাসনের মতো একটি সংবেদনশীল খাতে এই ধরনের অভিযোগ কেবল প্রশাসনিক ব্যর্থতার নয়—এটি সরাসরি জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকির সঙ্গে জড়িত। প্রশ্ন উঠছে, এই অদৃশ্য বলয় ভাঙবে কে? আর প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির এই মূল্য কতটা ভারী হবে সাধারণ মানুষের জন্য?



