না ফেরার দেশে বাংলাদেশের জন্মের অন্যতম সাক্ষী ও বিমান বাহিনীর প্রথম প্রধান এ কে খন্দকার, বীর উত্তম – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫
     ৫:৩০ অপরাহ্ণ

না ফেরার দেশে বাংলাদেশের জন্মের অন্যতম সাক্ষী ও বিমান বাহিনীর প্রথম প্রধান এ কে খন্দকার, বীর উত্তম

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ৫:৩০ 19 ভিউ
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সেক্টর কমান্ডার এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রথম প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকার, বীর উত্তম আর নেই। আজ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি এক বর্ণাঢ্য ও ঐতিহাসিক স্মৃতি রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে জাতি হারাল ইতিহাসের এক জীবন্ত কিংবদন্তিকে। ১৯৭১ সালের উত্তাল দিনগুলোতে এ কে খন্দকার ছিলেন অসামান্য দেশপ্রেমিক ও বিচক্ষণ এক সামরিক কর্মকর্তা। ২৫ মার্চ কালরাতে যখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জঘন্যতম হত্যাযজ্ঞের প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন তিনি উইং কমান্ডার হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। সেই সন্ধ্যায় তিনি লক্ষ্য করেন, পাকিস্তানের জেনারেল ইয়াহিয়া খান গোপনে বিমানে করে ঢাকা ত্যাগ করছেন।

বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তিনি কালক্ষেপণ না করে তাৎক্ষণিকভাবে এই গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা তথ্যটি রাজনীতিবিদদের জানিয়ে দেন, যা ছিল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। পরবর্তীতে তিনি সরাসরি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন এবং অসামান্য অবদান রাখেন। যুদ্ধকালীন সময়ে তিনি মুজিবনগর সরকারের অধীনে মুক্তি বাহিনীর উপ-সেনাপ্রধান (Deputy Chief of Staff) হিসেবে গুরুদায়িত্ব পালন করেন। রণকৌশল নির্ধারণ ও বিমান বাহিনী গঠনে তার ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, বিজয়ের সেই মাহেন্দ্রক্ষণে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের অনুষ্ঠানে তিনি মুক্তি বাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করেন। বাংলাদেশের জন্মের সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের তিনি ছিলেন অন্যতম প্রত্যক্ষ সাক্ষী। স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে তিনি বিমান বাহিনীকে সুসংগঠিত করতে নেতৃত্ব দেন

এবং বাহিনীর প্রথম প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে তার বীরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভূষিত করা হয়। ইতিহাসের পাতায় এবং বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সঙ্গে এ কে খন্দকারের নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকবে। এই বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রয়াণে দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। জাতি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছে তার অবদান। আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং মহান আল্লাহ তায়ালা যেন তাকে জান্নাতবাসী করেন, সেই প্রার্থনা জানাই।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
সাংবাদিক ও প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলার ঘটনায় ১০ দেশের তীব্র নিন্দা অবৈধ ইউনুস সরকারের ব্যর্থতায় গণমাধ্যম ধ্বংস প্রেস সচিব শফিকের উস্কানিতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চরম সংকটে “আমি বিএনপি চাই না জামায়াতও চাই না, আওয়ামী লীগ না থাকলে আমি ভোট দিবো না” – জনতার কথা ‘দায়মুক্তি’ শীর্ষক লাইভ প্রোগ্রামের বিশেষ পর্ব আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার মত কেউ বাংলাদেশে পয়দা হয়নাই, আওয়ামী লীগ বীরের বেশে দেশে ফিরে আসবে” –জনতার কন্ঠ অবৈধ দখলদার সরকারের শাসনে জনরোষ, ঘরে ঘরে অসন্তোষ সুদানে শান্তিরক্ষা মিশনে নিহত হওয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ সদস্যের কফিনে বাংলাদেশের পতাকা নেই না ফেরার দেশে বাংলাদেশের জন্মের অন্যতম সাক্ষী ও বিমান বাহিনীর প্রথম প্রধান এ কে খন্দকার, বীর উত্তম কুষ্টিয়া নির্বাচন অফিসে দুর্বৃত্তদের আগুন, পুড়ল গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নিউইয়র্কে ফোবানার কিকঅফ : মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করে শুরু হবে নতুন পথচলা ফুলকপির পরোটা রেসিপি কফিনবন্দি হয়ে দেশে ফিরলেন ওসমান হাদি ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে সংঘর্ষ, পুলিশসহ টেঁটাবিদ্ধ ৬ সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে: ভলকার তুর্ক উদীচী কার্যালয়ে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট ভালুকায় যুবককে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা নূরুল কবীরের ওপর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ সিলেট সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়ার গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত বিশ্ব গণমাধ্যমে ওসমান হাদির মৃত্যু পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ