ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
নানা আয়োজনে বিভাগীয় শহরগুলোয় বিজয় দিবস উদযাপন
দেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এবার রাজধানীর মতো অন্যরকম আবহে নানা আয়োজনে বিভাগীয় শহরগুলোতেও গতকাল সোমবার মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি ছাত্র, সাংস্কৃতিক-সামাজিক সংগঠনগুলোর ছিল ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচি।
৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মুখে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসানের আনন্দ এবং উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা ছিল মানুষের চোখে-মুখে। লাল-সবুজ পতাকা হাতে তারা অংশ নিয়েছেন শোভাযাত্রায়। ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মিলে তারা শপথ নিয়েছেন দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার। এদিন কোথাও আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি নেতাকর্মীর বড় কোনো কর্মসূচি দেখা যায়নি।
চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসন ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান-সংস্থা ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যথাযথ মর্যাদা এবং আনন্দ আয়োজনে দিনটি উদযাপন হয়েছে।
দিনের প্রথম প্রহরে জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের মেয়রের পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। দুপুরে ষোলশহর এলাকায় বিপ্লব উদ্যান থেকে বিজয় শোভাযাত্রা বের করে বিএনপি। এর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবিদরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। সেই প্রেক্ষিতে তাদের আগামী দিনের রাজনীতিকে সঠিক পথেই চালাতে হবে। গণতন্ত্রের বাইরে যাওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই। আগামী দিনের সংস্কারের কথা যদি বলা হয়, আমরা ৩১ দফা সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছি। প্রতিজ্ঞা করেছি, বিএনপিসহ প্রায় ৫০টি দলের ঐকমত্যে আমরা আমাদের ৩১ দফা সংস্কার পরিপূর্ণভাবে করব। এখন কী সংস্কার
হবে, না হবে আমরা সেখানে সহযোগিতা করতে রাজি আছি।’ নগরীতে বিজয় শোভাযাত্রা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রশিবির, এলডিপি। আনোয়ারাসহ অন্যান্য উপজেলাতেও হয়েছে শোভাযাত্রা। রাজশাহীতে যথাযোগ্য মর্যাদা ও নানা আয়োজনে বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা, শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, ডিআইজি, জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। দিবসটি উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদানসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। বিজয় দিবসের সকালে বগুড়া জেলা প্রশাসন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে শহরের মুক্তির ফুলবাড়ি শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। জিলা
স্কুল অডিটোরিয়ামে মুক্তিযোদ্ধাদের দেওয়া হয় সংবর্ধনা। শহরে বিজয় শোভাযাত্রা করেছে বিএনপি। সিলেটে ভোরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন। নগরীর রেজিস্ট্রারি মাঠ থেকে বিএনপি ও আম্বরখানা থেকে শোভাযাত্রা করে জামায়াত-শিবির। মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দেওয়া হয় সংবর্ধনা। বাংলাদেশ সিটিজেন সলিডারিটি মুভমেন্ট এবং বাংলাদেশ স্টুডেন্ট ইউনিট শোভাযাত্রা ও সমাবেশে করেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে ছিল চিত্রাঙ্কন ও আলোচনা সভা। খুলনার গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে জেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন। জেলা স্টেডিয়ামে হয়েছে দিনব্যাপী বিজয় মেলা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান।
খুলনা সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নগর ভবনে ছিল শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ। জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। নগরীতে বিজয় শোভাযাত্রা করেছে বিএনপি। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়েও ছিল শোভাযাত্রাসহ নানা আয়োজন। রংপুরেও বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। ভোরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। এ সময় পুলিশের একটি দল শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গার্ড অব অনার প্রদর্শন করে। জিলা স্কুল মাঠে দিনব্যাপী হয়েছে বিজয় মেলা। রংপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজন করা হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।
বিজয় শোভাযাত্রা করেছে বিএনপি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও শিবির। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও ছিল নানা আয়োজন। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলক ও বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বরিশালে বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। নগরীতে শোভাযাত্রা করেছে বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন। বরিশাল প্রেস ক্লাবে জামায়াত আয়োজন করে আলোচনা সভা। ময়মনসিংহে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে বিজয় দিবসের সূচনা হয়। পরে নগরীর পাটগুদাম ব্রিজমোড় সংলগ্ন মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন। জয়নুল আবেদীন উদ্যানে ছিল বিজয় মেলা, টাউন হল তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসভিত্তিক আলোচনা সভা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, জেলা শুটিং কমপ্লেক্সে শুটিং
প্রতিযোগিতা, আলোকচিত্র, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা।
দিনের প্রথম প্রহরে জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের মেয়রের পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। দুপুরে ষোলশহর এলাকায় বিপ্লব উদ্যান থেকে বিজয় শোভাযাত্রা বের করে বিএনপি। এর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবিদরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। সেই প্রেক্ষিতে তাদের আগামী দিনের রাজনীতিকে সঠিক পথেই চালাতে হবে। গণতন্ত্রের বাইরে যাওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই। আগামী দিনের সংস্কারের কথা যদি বলা হয়, আমরা ৩১ দফা সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছি। প্রতিজ্ঞা করেছি, বিএনপিসহ প্রায় ৫০টি দলের ঐকমত্যে আমরা আমাদের ৩১ দফা সংস্কার পরিপূর্ণভাবে করব। এখন কী সংস্কার
হবে, না হবে আমরা সেখানে সহযোগিতা করতে রাজি আছি।’ নগরীতে বিজয় শোভাযাত্রা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রশিবির, এলডিপি। আনোয়ারাসহ অন্যান্য উপজেলাতেও হয়েছে শোভাযাত্রা। রাজশাহীতে যথাযোগ্য মর্যাদা ও নানা আয়োজনে বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা, শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, ডিআইজি, জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। দিবসটি উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদানসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। বিজয় দিবসের সকালে বগুড়া জেলা প্রশাসন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে শহরের মুক্তির ফুলবাড়ি শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। জিলা
স্কুল অডিটোরিয়ামে মুক্তিযোদ্ধাদের দেওয়া হয় সংবর্ধনা। শহরে বিজয় শোভাযাত্রা করেছে বিএনপি। সিলেটে ভোরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন। নগরীর রেজিস্ট্রারি মাঠ থেকে বিএনপি ও আম্বরখানা থেকে শোভাযাত্রা করে জামায়াত-শিবির। মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দেওয়া হয় সংবর্ধনা। বাংলাদেশ সিটিজেন সলিডারিটি মুভমেন্ট এবং বাংলাদেশ স্টুডেন্ট ইউনিট শোভাযাত্রা ও সমাবেশে করেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে ছিল চিত্রাঙ্কন ও আলোচনা সভা। খুলনার গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে জেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন। জেলা স্টেডিয়ামে হয়েছে দিনব্যাপী বিজয় মেলা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান।
খুলনা সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নগর ভবনে ছিল শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ। জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। নগরীতে বিজয় শোভাযাত্রা করেছে বিএনপি। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়েও ছিল শোভাযাত্রাসহ নানা আয়োজন। রংপুরেও বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। ভোরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। এ সময় পুলিশের একটি দল শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গার্ড অব অনার প্রদর্শন করে। জিলা স্কুল মাঠে দিনব্যাপী হয়েছে বিজয় মেলা। রংপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজন করা হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।
বিজয় শোভাযাত্রা করেছে বিএনপি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও শিবির। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও ছিল নানা আয়োজন। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলক ও বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বরিশালে বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। নগরীতে শোভাযাত্রা করেছে বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন। বরিশাল প্রেস ক্লাবে জামায়াত আয়োজন করে আলোচনা সভা। ময়মনসিংহে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে বিজয় দিবসের সূচনা হয়। পরে নগরীর পাটগুদাম ব্রিজমোড় সংলগ্ন মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন। জয়নুল আবেদীন উদ্যানে ছিল বিজয় মেলা, টাউন হল তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসভিত্তিক আলোচনা সভা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, জেলা শুটিং কমপ্লেক্সে শুটিং
প্রতিযোগিতা, আলোকচিত্র, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা।