
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চা বাগানের টিলায় নিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ

নখ উপড়ে, ছ্যাঁকা দিয়ে পঙ্গু করে ভিক্ষাবৃত্তি

ঘুমন্ত শিশুকে তুলে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টা, যুবক গ্রেফতার

দোকানে বসেছিলেন যুবদলকর্মী ইব্রাহিম, তিন অটোরিকশায় এসে বুকে-মাথায় গুলি

১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১

স্ত্রী না ফেরায় শ্বশুর বাড়িতেই গায়ে আগুন দিলেন স্বামী

ব্যবসায়ীর চোখে মরিচ ছিটিয়ে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই
ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে মুখে মাটি ঢুকিয়ে শিশু জান্নাতিকে হত্যা করে বেলাল

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী জান্নাতি বেগমকে (১১) ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে মুখে মাটি ঢুকিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা স্বীকার করেছে প্রতিবেশী বেলাল হোসেন (২৪)।
গত ১৬ এপ্রিল এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ লোমহর্ষক ঘটনার বিবরণ দেয় বেলাল।
নিহত জান্নাতি বেগম কালীগঞ্জ উপজেলার চর ভোটমারী গ্রামের ফজলুল হকের কন্যা। সে স্থানীয় ভোটমারী এসসি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী ছিল। গ্রেফতার বেলাল হোসেন একই গ্রামের আবু তালেবের ছেলে এবং সম্পর্কে জান্নাতির প্রতিবেশী মামা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কালীগঞ্জ থানার ওসি সেলিম মালিক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ চাঞ্চল্যকর তথ্য জানানো হয়।
ওসি সেলিম মালিক লিখিত বক্তব্যে জানান, গত ১৬
এপ্রিল সন্ধ্যায় জান্নাতির বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে বেলাল প্রবেশ করে। সে জান্নাতিকে একা পেয়ে তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। জান্নাতি চিৎকার করতে চাইলে বেলাল তার মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক টেনেহিঁচড়ে পার্শ্ববর্তী ভুট্টাখেতে নিয়ে যায়। সেখানে পুনরায় ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। ঠিক সেই সময় জান্নাতির বাবা-মা বাড়ি ফিরে মেয়েকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা জান্নাতির চিৎকার শুনে ভুট্টাখেতের দিকে এগিয়ে যান। ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে এবং জান্নাতিকে চিরতরে চুপ করিয়ে দিতে বেলাল তখন তার মুখে কাদামাটি ঢুকিয়ে দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা পুলিশে খবর দিলে ওই
রাত ১১টার দিকে কালীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জান্নাতির মরদেহ উদ্ধার করে। পরদিন লাশের ময়নাতদন্তের জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। এ হৃদয়বিদারক ঘটনায় নিহত জান্নাতির বাবা ফজলুল হক বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে ঘটনার পরদিনই বেলাল হোসেনকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার বেলালকে আদালতে সোপর্দ করা হলে হত্যার দায় স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। বর্তমানে আসামি বেলাল হোসেন জেলহাজতে রয়েছে। এদিকে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই এলাকাবাসী, শিক্ষার্থী ও
বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ক্ষোভে ফেটে পড়ে। গত কয়েক দিন ধরে জান্নাতি হত্যার সুষ্ঠু বিচার এবং অভিযুক্ত বেলাল হোসেনের ফাঁসির দাবিতে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কালীগঞ্জ থানার ওসি সেলিম মালিক আরও জানান, মামলাটির তদন্তে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ চলমান রয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মামলাটি তদন্ত করছি। তদন্তে প্রাপ্ত নতুন তথ্য পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হবে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী দ্রুততম সময়ে খুনির সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
এপ্রিল সন্ধ্যায় জান্নাতির বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে বেলাল প্রবেশ করে। সে জান্নাতিকে একা পেয়ে তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। জান্নাতি চিৎকার করতে চাইলে বেলাল তার মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক টেনেহিঁচড়ে পার্শ্ববর্তী ভুট্টাখেতে নিয়ে যায়। সেখানে পুনরায় ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। ঠিক সেই সময় জান্নাতির বাবা-মা বাড়ি ফিরে মেয়েকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা জান্নাতির চিৎকার শুনে ভুট্টাখেতের দিকে এগিয়ে যান। ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে এবং জান্নাতিকে চিরতরে চুপ করিয়ে দিতে বেলাল তখন তার মুখে কাদামাটি ঢুকিয়ে দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা পুলিশে খবর দিলে ওই
রাত ১১টার দিকে কালীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জান্নাতির মরদেহ উদ্ধার করে। পরদিন লাশের ময়নাতদন্তের জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। এ হৃদয়বিদারক ঘটনায় নিহত জান্নাতির বাবা ফজলুল হক বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে ঘটনার পরদিনই বেলাল হোসেনকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার বেলালকে আদালতে সোপর্দ করা হলে হত্যার দায় স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। বর্তমানে আসামি বেলাল হোসেন জেলহাজতে রয়েছে। এদিকে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই এলাকাবাসী, শিক্ষার্থী ও
বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ক্ষোভে ফেটে পড়ে। গত কয়েক দিন ধরে জান্নাতি হত্যার সুষ্ঠু বিচার এবং অভিযুক্ত বেলাল হোসেনের ফাঁসির দাবিতে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কালীগঞ্জ থানার ওসি সেলিম মালিক আরও জানান, মামলাটির তদন্তে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ চলমান রয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মামলাটি তদন্ত করছি। তদন্তে প্রাপ্ত নতুন তথ্য পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হবে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী দ্রুততম সময়ে খুনির সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।