তিন ঝুঁকিতে কমাচ্ছে না ডলারের দাম – ইউ এস বাংলা নিউজ




তিন ঝুঁকিতে কমাচ্ছে না ডলারের দাম

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৯ জুলাই, ২০২৫ | ১০:০৯ 26 ভিউ
এখনই ডলারের দাম কমালে দেশের সার্বিক অর্থনীতি তিন ধরনের ঝুঁকিতে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। এগুলো হচ্ছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স হুন্ডিমুখী হয়ে পড়তে পারে। রপ্তানি খাতে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা কমে যাওয়ার শঙ্কা আছে। ভবিষ্যতে দেশের ও বৈশ্বিক কোনো নেতিবাচক পরিস্থিতির কারণে ডলারের ওপর যে কোনো ধরনের চাপ মোকাবিলায় সমস্যা হতে পারে। এসব কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দাম কমাতে চাচ্ছে না। তারা বর্তমানের দাম ধরে রেখে ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হারকে স্থিতিশীল রাখার নীতি গ্রহণ করেছে। এ কারণে ডলারের দাম ৩ টাকা ৪০ পয়সা কমলেও দ্রুত বেশি দামে কিনে এর দামকে তুলে এনেছে। ফলে ডলার এখন আগের মতো সর্বোচ্চ ১২৩ টাকায় উঠে এসেছে। সূত্র জানায়,

গত মে মাসের মাঝামাঝিতে আইএমএফের চাপে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়। এর আগে ডলারের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দাম উঠেছিল ১২২ টাকায়। বাজারের ওপর ছাড়ার পর এক মাসের ব্যবধানে এর দাম বেড়ে সর্বোচ্চ ১২৩ টাকায় ওঠে। চলতি মাসের প্রথমদিক থেকে ডলারের দাম কমতে শুরু করে। মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে দাম সর্বোচ্চ ৩ টাকা ৪০ পয়সা কমে সর্বনিম্ন ১১৯ টাকা ২০ পয়সায় নেমে আসে। এর মধ্যেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দাম ধরে রাখতে বাজারে হস্তক্ষেপ করে। তারা বাজার থেকে বেশি দামে ডলার কিনে এর দামকে ধরে রাখে এবং পর্যায়ক্রমে দাম বাড়তে সহায়তা করে। এতে ডলারের দাম বেড়ে গত রোববার আগের দামে

অর্থাৎ সর্বোচ্চ ১২৩ টাকায় ওঠে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এর দাম ১২২ থেকে ১২৩ টাকার মধ্যেই ধরে রাখার নীতি গ্রহণ করতে চায়। ডলারের দাম কমলে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা করা হচ্ছে রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে। হুন্ডির প্রভাব কমে আসায় রেমিট্যান্স এখন প্রতিমাসে বাড়ছে। ডলারের দাম কমে গেলে হুন্ডির প্রভাব আবার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তখন রেমিট্যান্সও হুন্ডিমুখী হলে ব্যাংক চ্যানেলে আসা কমে যেতে পারে। রেমিট্যান্স কমলে দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তখন ডলারের সংকট বেড়ে টাকার মান কমে যাবে। এতে মূল্যস্ফীতিতে চাপ বাড়বে। বৈদেশিক বাণিজ্যে যে শৃঙ্খলা নিয়ে আসা হয়েছে তা আবার ভেঙে পড়বে। বৈদেশিক দেনা পরিশোধে সমস্যা হবে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের

রেটিং আরও ঝুঁকির পর্যায়ে চলে যাবে। যে কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দাম স্থিতিশীল রাখতে চায়। দেশের মোট রপ্তানির একটি বড় অংশই যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। মার্কিন প্রশাসন বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছে। এটি নিয়ে এখন ওই দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এতে দেশের রপ্তানি খাত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এই মুহূর্তে আবার ডলারের দাম কমালে বৈদেশিক মুদ্রায় বাংলাদেশি পণ্যের দাম বেড়ে যাবে। একদিকে মুদ্রার বিনিময় হারের কারণে রপ্তানি পণ্যের খরচ বাড়বে, অন্যদিকে মার্কিন শুল্ক কিছুটা কমানো হলেও কিছু বাড়তি শুল্ক থাকবে। এ কারণেও রপ্তানি পণ্যের দাম বাড়বে। এছাড়া ডলারের দাম কমলে রপ্তানিকাররা আয়ের বিপরীতে টাকা পাবে কম। ফলে এ খাতে

নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন আক্রমণ করলে বিশ্বব্যাপী পণ্যের দাম বেড়ে গিয়ে বৈশ্বিক সংকট দেখা দেয়। এই সংকটের কারণে দেশের অর্থনীতিতে দেখা দেয় মন্দা। যে মন্দায় সাধারণ ভোক্তারা আক্রান্ত হয়। প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে ওই মন্দার প্রভাব এখনো বিদ্যমান। বিশ্বের প্রায় সব দেশ ওই সংকট থেকে বের হয়ে এলেও বাংলাদেশ এখনো পারেনি। এজন্য আওয়ামী লীগের শাসনামলে দেশ থেকে ব্যাপকভাবে টাকা পাচারকে দায়ী করা হচ্ছে। টাকা পাচারের কারণে ডলার সংকট দেখা দিয়েছে। ব্যাপক হারে বৈদেশিক ঋণ নিয়ে সেগুলো উৎপাদনমুখী কাজে না লাগিয়ে ঋণের টাকাও বিদেশে পাচার করা হয়েছে। যে কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের বৃদ্ধি ছিল কৃত্রিম। রিজার্ভ

বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় ৪ হাজার ৮০৬ কোটি ডলারে পৌঁছলেও তা দিয়ে স্বস্তির বার্তা দিতে পারেনি। করোনার সময়ে রেমিট্যান্স বাড়ায় রিজার্ভ বেড়েছে। ওই সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দাম ধরে রেখেছে। উলটো ডলারের বিপরীতে টাকার মান বাড়িয়েছে কিছুটা। যে কারণে ২০২২ সালের মন্দার ধাক্কা প্রথমে এসে পড়ে ডলার ও রিজার্ভের ওপর। ওই সময়ে ডলারের দাম ধরে না রেখে ধীরে ধীরে বাড়ালে হয়তো সংকট এত প্রকট হতো না। এসব কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আর আগের সরকারের মতো ভুল পথে হাঁটছে না। তারা ডলারের দাম স্থিতিশীল রেখে ধীরে ধীরে টাকার মান কিছুটা কমাবে। এতে দেশে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে প্রবাসীরা উপকৃত হবে। রপ্তানিকারকরাও প্রতিযোগিতায় বিনিময় হারের

সুবিধা পাবে। এর মাধ্যমে ডলার আয় বাড়লে টাকার মান কমার কারণে যে চাপ বাড়বে তা সহজেই মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
নারী এশিয়ান কাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ নিউ ইয়র্ক সিটির অফিসে গুলি: বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৪ জন নিহত মুজিবকে ছোট করে তাজউদ্দিনকে কি বড় করা যায়, নাকি সেটা সম্ভব? টাঙ্গাইলে এনসিপির পাহারায় ৯ শতাধিক পুলিশ, গোয়েন্দা ও বিভিন্ন বাহিনীর অজানা সংখ্যক সদস্য রাজশাহীতে ছড়িয়ে পড়েছে ১২৩ চাঁদাবাজের তালিকা, বিএনপি-জামায়াতের অর্ধশতাধিক নেতা যুক্ত ইউনূস সরকার ব্যস্ত দমন-পীড়নে: বাজারে আগুন, ভোগান্তি চরমে দেশে বিনিয়োগে ধস: থমকে যাওয়া শিল্প খাতের উদ্যোক্তারা হতাশ দলীয় নেতার যৌন কুপ্রস্তাবের পর এবার দুর্ণীতির অভিযোগে এনসিপি ছাড়লেন নীলা ইসরাফিল সমাজের সবচেয়ে খারাপ নারী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছি আমি চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীদের নিপীড়ন: সভাপতিসহ জামায়াতের ৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার জয় বাংলার মোড়ে ভুয়া র‍্যাব বনাম আসল র‍্যাব দুই টিমকেই কনফিউজড জনতার ধোলাই ধার দেওয়া টাকা চাওয়ায় মেয়েকে অপহরণ লিজ দলিলে গণভবন হস্তান্তর করল পূর্ত মন্ত্রণালয় ওষুধ কোম্পানির উপঢৌকনে সর্বনাশ হচ্ছে রোগীর গাজায় একদিনে ইসরাইলি হামলায় নিহত ৮০, অনাহারে ১৪ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু তিন ঝুঁকিতে কমাচ্ছে না ডলারের দাম দুপুরের মধ্যে সাত অঞ্চলে ঝড়ের আভাস মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্তে নিহত প্রিয়ার কবরে বিমানবাহিনীর শ্রদ্ধা চাঁদা তুলে রিয়াদের পড়ার খরচ মেটাতেন স্থানীয়রা