টিউশনি করে ওষুধ কিনছেন গুলিবিদ্ধ শাহীন – ইউ এস বাংলা নিউজ




টিউশনি করে ওষুধ কিনছেন গুলিবিদ্ধ শাহীন

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৫ অক্টোবর, ২০২৪ | ৫:০৩ 83 ভিউ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মাদ্রাসাছাত্র আবুল হাসান শাহীন (২১)। আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগের দিন ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের গুলিতে আহত হন শাহীন। একটি ছররা গুলি বিদ্ধ হয় তার গলায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়েও সেই গুলি বের করা সম্ভব হয়নি। দরিদ্র বাবা তার চিকিৎসাও করাতে পারছেন না। তাই টিউশনির টাকায় সামান্য কিছু ওষুধ কিনে শুধু যন্ত্রণা কমানোর চেষ্টা করছেন শাহীন। মাদ্রাসার এই ছাত্রের সঙ্গে দুশ্চিন্তায় রয়েছে পুরো পরিবার। শাহীন উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চরচান্দিয়া গ্রামের ফল ব্যবসায়ী এনায়েত উল্যাহর ছেলে। তিনি ফেনী আলিয়া মাদ্রাসার ফাজিল প্রথম

বর্ষের শিক্ষার্থী। গলায় গুলি নিয়েই তিনি ফাজিল প্রথম বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, গত ৪ আগস্ট দুপুরে শাহীন মহিপাল এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে অংশ নেন। তারা ছিলেন মহিপাল উড়ালসড়কের পশ্চিম পাশে। এ সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ফেনী শহরের ট্রাংক রোড থেকে গিয়ে মিছিলে এলোপাতাড়ি গুলি চালান। এতে আবুল হাসানসহ ৫০ জনের বেশি ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন অন্তত ১৩ জন। অন্য আন্দোলনকারীরা শাহীনসহ গুলিবিদ্ধ অন্যদের উদ্ধার করে ফেনীর বিভিন্ন হাসপাতালে নেন। শাহীনকে নেওয়া হয় ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে পাঠানো হয় চট্টগ্রাম

মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে দুদিন চিকিৎসার পর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানকার চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আবুল হাসানের গলার গুলিটি এ মুহূর্তে বের করতে গেলে অন্য রগ কাটতে হবে। এতে তার বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য বেসরকারি কোনো হাসপাতালে নিতে বলেন। কিন্তু টাকার অভাবে এনায়েত উল্যাহ ছেলেকে নিয়ে বাড়ি চলে যান। অর্থের অভাবে গুলি বের করতে না পারায় অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন তিনি। এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘আমার পাঁচ ছেলে। আবুল হাসান তৃতীয়। সামান্য ফলের দোকান করে সবার খাবার জোগাড় করা অনেক কষ্টের। কী করব বুঝতে পারছি না। চিকিৎসা দিয়ে গুলি বের করা দরকার। কিন্তু এত টাকা কোথায়

পাব? ছেলে টিউশনি করে নিজের ওষুধের খরচ কোনোরকমে চালাচ্ছে।’ শাহীন বলেন, ‘গলায় গুলি থাকায় সব সময় কাঁধে যন্ত্রণা হয়। শুয়ে পড়লে গলার নিচে ব্যথা হয়। টাকার অভাবে ভালো চিকিৎসা করাতে পারছি না। অনেক হাসপাতালে গিয়েছি। কোনো হাসপাতালে গুলি বের করার যন্ত্রপাতি নেই, আবার কোথাও চিকিৎসক নেই।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান বলেন, ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহতদের তালিকা করা হয়েছে। নিহতদের পরিবারের পাশাপাশি আহতদেরও পর্যায়ক্রমে চিকিৎসাসহ সহায়তা করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ব্যাংক এশিয়ায় চাকরির সুযোগ মিলারের দাদন বাণিজ্যে অস্থির চালের বাজার নিরন্তর টিকে থাকার লড়াই কুতুবদিয়া দ্বীপবাসীর লুটপাটের ক্ষত মুছতে সাদা পাথরে পানি স্প্রে ২৩ বছর ধরে কারাগারে ফিলিস্তিনের ‘নেলসন মেন্ডেলা’ আজ ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় ধর্মঘটে বাতিল এয়ার কানাডার ৬’শর বেশি ফ্লাইট চীনে অবৈধ সরবরাহ ঠেকাতে চিপের চালানে গোপন ট্র্যাকার বসাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা পর ইউক্রেনে ভয়াবহ হামলা চালাল রাশিয়া টালিউডে রেকর্ড গড়লো ‘ধূমকেতু’ পাসওয়ার্ডের নিরাপত্তায় কার্যকরী অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন ৩৬ বছর স্বামী থেকে আলাদা আলকা কেন আফগানিস্তানেই নজর চীন, ভারত ও পাকিস্তানের? আমি থাকাকালে চীন তাইওয়ানে হামলা করবে না : ট্রাম্প কোনো যুদ্ধবিরতি, ‍কোনো চুক্তি হয়নি : বৈঠকের ফল ‘শূন্য’ বিশ্ববাজারে বাড়ল ভোজ্যতেলের দাম দুই কারণে বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম স্ত্রীর প্রেমিককে গণধোলাই দিতে বললেন হিরো আলম ফেসবুকে কথাকাটাকাটি, টেঁটা-বল্লম নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ