
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার’, হয় না সত্যি সবার

জেনেভা ক্যাম্প থেকে ৪ বস্তা টাকা উদ্ধার

প্রস্তুত শোলাকিয়া, ঈদের জামাত সকাল ৯টায়

রাজধানীতে সন্ধ্যা নামলেই ছিনতাই আতঙ্ক

২০০ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা সাবেক শিবিরনেতা

সরগরম পাবনার পশুর হাট, দেশি গরুর চাহিদা বেশি

হাত-পা-চোখ-মুখ বাঁধা সেই ব্যবসায়ীকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনলেন স্ত্রী
টানা বৃষ্টিতেও চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা কম, মেগা প্রকল্পে মিলছে সুফল

চট্টগ্রাম নগরবাসীর দীর্ঘদিনের এক দুঃস্বপ্ন— জলাবদ্ধতা। কিন্তু এবার সেই দুঃস্বপ্নে যেন ধীরে ধীরে প্রভাতের আলো দেখা যাচ্ছে। চলতি বছর মে মাসের শেষের দিক থেকে টানা ভারি বর্ষণ শুরু হলেও, তুলনামূলকভাবে জলাবদ্ধতা অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলমান মেগা প্রকল্পের অগ্রগতি, মেয়রের তৎপরতা ও সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বিত উদ্যোগের পেছনে বড় ভূমিকা রাখছে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, চট্টগ্রাম নগরীতে গত চার দিনে প্রায় ৫০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এত বৃষ্টির পরও যেখানে আগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পানির নিচে থাকত নগরীর বড় বড় সড়ক ও অলিগলি, সেখানে এবার কিছু এলাকায় সাময়িক জলাবদ্ধতা হলেও দ্রুত পানি নেমে গেছে।
জলাবদ্ধতা নিরসনে ৩৬টি খাল নিয়ে যে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে, তা
এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। নগরীর ৫৭টি খালের মধ্যে ৩৬টি নিয়ে জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পের কাজ ২০১৭ সালে শুরু করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। ৩৬টি খাল নিয়ে গৃহীত প্রকল্পের ব্যয় শুরুতে ধরা হয়েছিল ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা। সেটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালের জুনে। পরে মেয়াদ ও খরচ বেড়ে এখন প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা। আর মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের জুনে। প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ১৭৬ কিলোমিটার প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণ, ৪৫টি সেতু, ৬টি কালভার্ট, ৪২টি সিল্ট ট্র্যাপ, পাঁচটি রেগুলেটর নির্মাণ, ১০ দশমিক ৭৭ কিমি নতুন নালা, ৮৫ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার খালের পাশে সড়ক নির্মাণ ও ১৫ দশমিক
৫০ কিলোমিটার নালা সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের দায়িত্বে থাকা এই প্রকল্পের ৮৪ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ২৫টি খালের কাজ শেষ, বাকি ১১টি খালের কাজও দ্রুত এগোচ্ছে। অন্যদিকে জলাবদ্ধতা নিরসনে বিভিন্ন সেবা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ও ছিল লক্ষণীয়। প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী চার জন উপদেষ্টা চট্টগ্রামে এসে নিয়মিত জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান কার্যক্রম মনিটরিং করেছেন। সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানান, এবার মেয়রের নির্দেশে বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে নগরের খাল ও নালা-নর্দমা পরিষ্কার ও খননে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বর্ষা শুরুর আগে অধিকাংশ খাল ও নালা-নর্দমা পরিষ্কার করা হয়েছে। এ কারণে ভারি বর্ষণে পানি উঠছে না। অন্যদিকে নগর-পরিকল্পনাবিদদের মতে, মেগা প্রকল্পগুলো
চলমান থাকায় প্রকল্পের সুফল পুরোপুরি আসা শুরু করে নাই। এখন মেগা প্রকল্পের কাজ শেষের দিকে হওয়ায় সংস্কার হওয়া খালগুলোর প্রতিবন্ধক খুলে দেওয়ায় সুফল আসতে শুরু করেছে। এছাড়া বর্ষা আসার আগেই বিভিন্ন নালা-নর্দমা পরিষ্কার করার সুফলও দেখা দিয়েছে। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি বেশ কিছুটা উন্নতি ঘটেছে। মেগাপ্রকল্পের মাধ্যমে ড্রেনেজ ব্যবস্থার যে অবকাঠামোগত পরিবর্তন করা হয়েছে, তার ফলশ্রুতিতে সফলতা আসতে শুরু করেছে। তবে প্রকল্পের লক্ষ্য অনুসারে কতটা সফলতা পাওয়া গেল তা বুঝতে প্রকল্প শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। অপরদিকে চট্টগ্রাম
সিটি করপোরেশনের নতুন মেয়র দায়িত্ব নেওয়ার পর নালা-নর্দমাগুলো বর্ষা আসার আগে থেকেই পরিষ্কার করার কাজ শুরু করিয়েছেন। এখান থেকেও সুফল পাওয়া গেছে। এর মাধ্যমে বোঝা যায় সমন্বিতভাবে সকলে কাজ করলে জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধান হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি নালাগুলো যদি নিয়মিত পরিষ্কার রাখা যায় এবং চলমান কাজ দ্রুত শেষ করা যায়, তাহলে জলাবদ্ধতা নিয়ে আতঙ্কজনক পরিস্থিতি কমে আসবে। সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি শপথ নেওয়ার পর থেকে জলাবদ্ধতা নিরসনকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ শুরু করেছি। বিভিন্ন নালা-নর্দমা পরিষ্কার করেছি। নিয়মিতভাবে কাজ মনিটরিং করেছি। জনসাধারণকে সচেতন করার চেষ্টা করেছি। ড্রেনগুলো গত তিন মাসে ১৫০টির মতো
প্রকল্পের মাধ্যমে পরিষ্কার করেছি। একই সঙ্গে সব সেবা প্রদানকারী সংস্থা সমন্বয় করে আমরা কাজ করেছি। সবমিলিয়ে মোটামুটি একটা বড় ধরনের কর্মযজ্ঞ হয়েছে। এ কারণে শতভাগ না হলেও ৫০-৬০ ভাগ আমরা সফল হয়েছি। যে সমন্বয় আছে সেটা ধরে রেখে আমাদের কাজ করে যেতে হবে। তিনি বলেন, এ বছর আমরা চট্টগ্রামবাসীকে ৫০ শতাংশ জলাবদ্ধতা মুক্ত রাখতে পারব। সব খালের কাজ শেষ হলে আমরা শতভাগ সুফল পাবো বলে আশা করি। এটার জন্য এক থেকে দেড় বছর সময় লাগবে।
এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। নগরীর ৫৭টি খালের মধ্যে ৩৬টি নিয়ে জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পের কাজ ২০১৭ সালে শুরু করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। ৩৬টি খাল নিয়ে গৃহীত প্রকল্পের ব্যয় শুরুতে ধরা হয়েছিল ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা। সেটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালের জুনে। পরে মেয়াদ ও খরচ বেড়ে এখন প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা। আর মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের জুনে। প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ১৭৬ কিলোমিটার প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণ, ৪৫টি সেতু, ৬টি কালভার্ট, ৪২টি সিল্ট ট্র্যাপ, পাঁচটি রেগুলেটর নির্মাণ, ১০ দশমিক ৭৭ কিমি নতুন নালা, ৮৫ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার খালের পাশে সড়ক নির্মাণ ও ১৫ দশমিক
৫০ কিলোমিটার নালা সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের দায়িত্বে থাকা এই প্রকল্পের ৮৪ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ২৫টি খালের কাজ শেষ, বাকি ১১টি খালের কাজও দ্রুত এগোচ্ছে। অন্যদিকে জলাবদ্ধতা নিরসনে বিভিন্ন সেবা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ও ছিল লক্ষণীয়। প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী চার জন উপদেষ্টা চট্টগ্রামে এসে নিয়মিত জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান কার্যক্রম মনিটরিং করেছেন। সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানান, এবার মেয়রের নির্দেশে বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে নগরের খাল ও নালা-নর্দমা পরিষ্কার ও খননে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বর্ষা শুরুর আগে অধিকাংশ খাল ও নালা-নর্দমা পরিষ্কার করা হয়েছে। এ কারণে ভারি বর্ষণে পানি উঠছে না। অন্যদিকে নগর-পরিকল্পনাবিদদের মতে, মেগা প্রকল্পগুলো
চলমান থাকায় প্রকল্পের সুফল পুরোপুরি আসা শুরু করে নাই। এখন মেগা প্রকল্পের কাজ শেষের দিকে হওয়ায় সংস্কার হওয়া খালগুলোর প্রতিবন্ধক খুলে দেওয়ায় সুফল আসতে শুরু করেছে। এছাড়া বর্ষা আসার আগেই বিভিন্ন নালা-নর্দমা পরিষ্কার করার সুফলও দেখা দিয়েছে। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি বেশ কিছুটা উন্নতি ঘটেছে। মেগাপ্রকল্পের মাধ্যমে ড্রেনেজ ব্যবস্থার যে অবকাঠামোগত পরিবর্তন করা হয়েছে, তার ফলশ্রুতিতে সফলতা আসতে শুরু করেছে। তবে প্রকল্পের লক্ষ্য অনুসারে কতটা সফলতা পাওয়া গেল তা বুঝতে প্রকল্প শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। অপরদিকে চট্টগ্রাম
সিটি করপোরেশনের নতুন মেয়র দায়িত্ব নেওয়ার পর নালা-নর্দমাগুলো বর্ষা আসার আগে থেকেই পরিষ্কার করার কাজ শুরু করিয়েছেন। এখান থেকেও সুফল পাওয়া গেছে। এর মাধ্যমে বোঝা যায় সমন্বিতভাবে সকলে কাজ করলে জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধান হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি নালাগুলো যদি নিয়মিত পরিষ্কার রাখা যায় এবং চলমান কাজ দ্রুত শেষ করা যায়, তাহলে জলাবদ্ধতা নিয়ে আতঙ্কজনক পরিস্থিতি কমে আসবে। সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি শপথ নেওয়ার পর থেকে জলাবদ্ধতা নিরসনকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ শুরু করেছি। বিভিন্ন নালা-নর্দমা পরিষ্কার করেছি। নিয়মিতভাবে কাজ মনিটরিং করেছি। জনসাধারণকে সচেতন করার চেষ্টা করেছি। ড্রেনগুলো গত তিন মাসে ১৫০টির মতো
প্রকল্পের মাধ্যমে পরিষ্কার করেছি। একই সঙ্গে সব সেবা প্রদানকারী সংস্থা সমন্বয় করে আমরা কাজ করেছি। সবমিলিয়ে মোটামুটি একটা বড় ধরনের কর্মযজ্ঞ হয়েছে। এ কারণে শতভাগ না হলেও ৫০-৬০ ভাগ আমরা সফল হয়েছি। যে সমন্বয় আছে সেটা ধরে রেখে আমাদের কাজ করে যেতে হবে। তিনি বলেন, এ বছর আমরা চট্টগ্রামবাসীকে ৫০ শতাংশ জলাবদ্ধতা মুক্ত রাখতে পারব। সব খালের কাজ শেষ হলে আমরা শতভাগ সুফল পাবো বলে আশা করি। এটার জন্য এক থেকে দেড় বছর সময় লাগবে।