
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

হিথ্রোতে স্বল্প পরিসরে ফ্লাইট চালু

বাইডেনের ওপর ট্রাম্পের ক্ষোভ কতটা, তা আরেকবার দেখালেন

হান্নান মাসউদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকায় এনসিপির বিক্ষোভ

যুদ্ধবিরতির ‘নতুন প্রস্তাবে’ সম্মত যুক্তরাষ্ট্র-হামাস, নিশ্চুপ ইসরাইল

রাত দিন ২৪ ঘণ্টা হামলা ইসরাইলি বর্বরতার সর্বোচ্চ মাত্রা দেখছে গাজা

রাহুল গান্ধীর নাগরিকত্ব বিতর্ক: স্ট্যাটাস রিপোর্ট চাইলেন আদালত

যুদ্ধবিরতির ‘নতুন প্রস্তাবে’ সম্মত যুক্তরাষ্ট্র-হামাস, নিশ্চুপ ইসরাইল
জার্মানির শিল্পখাতে চীনের প্রভাব বাড়ছে

জার্মানির শিল্পখাতে ক্রমাগত চীনের প্রভাব বাড়ছে। চীন শুধু জার্মানির ফল্কসভাগেন, মার্সিডিজের মতো গাড়ির বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই থেমে থাকেনি। কেমিক্যাল ও প্রকৌশল খাতেও বাড়ছে চীনের উপস্থিতি।
সেন্টার ফর ইউরোপীয় রিফর্মের (সিইআর) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জার্মানির শিল্প কারখানার কাঠামো বেশ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। যে কারণে আগামী পাঁচ বছরে শিল্প উৎপাদন কমে গিয়ে ৫৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান ও জিডিপির ২০ শতাংশ হুমকির মুখে পড়তে পারে।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর জার্মানি তার দীর্ঘদিনের মিত্র রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনে। যে কারণে কেমিক্যাল ও ইস্পাতের মতো শিল্পের খরচ বেড়ে যায়। আর সেই অবস্থায় বাড়তি চাপ তৈরি করেছে চীনের ‘মেড ইন চায়না ২০২৫’ কৌশল-
যা চীনের স্বল্প মূল্যের উৎপাদন থেকে উচ্চ-প্রযুক্তি শিল্পে রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করেছে এবং সেটি জার্মানির মূল অর্থনৈতিক খাতের সঙ্গে সরাসরি প্রতিযোগীতা করছে। শুরুতে জার্মানি চীনের অর্থনৈতিক উত্থানের দ্বারা প্রভাবিত হয়নি। কারণ, তারা প্রযুক্তিগতভাবে নিম্ন প্রযুক্তির পণ্য উৎপাদনে সীমাবদ্ধ ছিল। তবে বেইজিংয়ের শিল্প নীতি যখন থেকে জার্মানির গুরুত্বপূর্ণ শিল্প যেমন মোটরগাড়ি, ক্লিন টেকনোলজি ও যন্ত্র প্রকৌশলে সম্প্রসারিত হয়েছে, তখন থেকে দেশটির প্রভাব পড়া শুরু হয়েছে জার্মানিতে। চীনের দ্রুত অগ্রগতি সবচেয়ে স্পষ্টতই অটোমোবাইল বা গাড়ির শিল্পে। জার্মান গাড়ি নির্মাতারা বৈদ্যুতিক যানবাহনের দিকে ধীরগতিতে স্থানান্তরিত হওয়ার জন্য ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যাপক ছাঁটাই এবং দেশিয় কারখানা বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে দেশটিতে। জার্মানির যন্ত্র প্রকৌশল খাতেও
এর প্রভাব পড়েছে। ২০১৩ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত শিল্প যন্ত্রপাতি রপ্তানির বৈশ্বিক বাজার কিছুটা হ্রাস পেলেও চীনে অর্ধেকেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে জার্মানিকে ছাড়িয়ে গেছে। জার্মান শিল্পগুলোর মুখোমুখি হওয়া সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি হলো চীনের ব্যাপক ভর্তুকি। ২০১৯ সালে চীনের শিল্প ভর্তুকির পরিমাণ ছিল আনুমানিক ২২১ বিলিয়ন ইউরো। যার মধ্যে রাসায়নিক, যন্ত্রপাতি, মোটরগাড়ি ও ধাতু শিল্পগুলো সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছিল। ফলশ্রুতিতে চীনের নির্মাতারা কম খরচে উৎপাদন করতে পারছেন, যা জার্মান নির্মাতাদের জন্য পরিস্থিতি কঠিন করে তুলেছে। জার্মান মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিগুলো চীনের প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে বেশ হিমশিম খাচ্ছে। কারণ চীন তাদের চেয়ে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কম দামে পণ্য সরবরাহ
করতে পারে। চীনে জার্মান চেম্বার অব কমার্সের একটি জরিপে দেখা গেছে অর্ধেকেরও বেশি জার্মান সংস্থা মনে করছে, চীনের কোম্পানিগুলো পাঁচ বছরের মধ্যে বিশ্বে বেশ প্রভাবশালী হয়ে উঠবে। তবে অর্থনীতিবিদরা জার্মানিকে পরামর্শ দিচ্ছেন সকল ক্ষেত্রে আধিপত্য পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করার পরিবর্তে ওষুধ, জৈবপ্রযুক্তি ও জ্ঞান-ভিত্তিক শিল্পের মতো যেসব ক্ষেত্রে এখনো জার্মানির শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে সেগুলোতে মনোনিবেশ করা। ব্যবসায়িক নেতা এবং নীতিনির্ধারকদের বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতার প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পুনর্বিবেচনার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। কেউ কেউ যুক্তি দিচ্ছেন ঝুঁকির মুখে থাকা শিল্পগুলোকে রক্ষা করার ওপর জার্মানির মনোযোগ উদ্ভাবনকে ধীর করে দিয়েছে। আগামী ১২ বছরে এক ট্রিলিয়ন ইউরোর প্রতিরক্ষা ও অবকাঠামো ব্যয় পরিকল্পনা জার্মানির অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সাহায্য করতে পারে।
তবে উদ্বেগ রয়েছে এই বিনিয়োগের একটি বড় অংশ উচ্চ-প্রবৃদ্ধির শিল্পকে উৎসাহিত করার পরিবর্তে সামরিক প্রকল্পগুলোতে ব্যয় হবে। তথ্যসূত্র: ডয়সে ভেলে
যা চীনের স্বল্প মূল্যের উৎপাদন থেকে উচ্চ-প্রযুক্তি শিল্পে রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করেছে এবং সেটি জার্মানির মূল অর্থনৈতিক খাতের সঙ্গে সরাসরি প্রতিযোগীতা করছে। শুরুতে জার্মানি চীনের অর্থনৈতিক উত্থানের দ্বারা প্রভাবিত হয়নি। কারণ, তারা প্রযুক্তিগতভাবে নিম্ন প্রযুক্তির পণ্য উৎপাদনে সীমাবদ্ধ ছিল। তবে বেইজিংয়ের শিল্প নীতি যখন থেকে জার্মানির গুরুত্বপূর্ণ শিল্প যেমন মোটরগাড়ি, ক্লিন টেকনোলজি ও যন্ত্র প্রকৌশলে সম্প্রসারিত হয়েছে, তখন থেকে দেশটির প্রভাব পড়া শুরু হয়েছে জার্মানিতে। চীনের দ্রুত অগ্রগতি সবচেয়ে স্পষ্টতই অটোমোবাইল বা গাড়ির শিল্পে। জার্মান গাড়ি নির্মাতারা বৈদ্যুতিক যানবাহনের দিকে ধীরগতিতে স্থানান্তরিত হওয়ার জন্য ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যাপক ছাঁটাই এবং দেশিয় কারখানা বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে দেশটিতে। জার্মানির যন্ত্র প্রকৌশল খাতেও
এর প্রভাব পড়েছে। ২০১৩ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত শিল্প যন্ত্রপাতি রপ্তানির বৈশ্বিক বাজার কিছুটা হ্রাস পেলেও চীনে অর্ধেকেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে জার্মানিকে ছাড়িয়ে গেছে। জার্মান শিল্পগুলোর মুখোমুখি হওয়া সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি হলো চীনের ব্যাপক ভর্তুকি। ২০১৯ সালে চীনের শিল্প ভর্তুকির পরিমাণ ছিল আনুমানিক ২২১ বিলিয়ন ইউরো। যার মধ্যে রাসায়নিক, যন্ত্রপাতি, মোটরগাড়ি ও ধাতু শিল্পগুলো সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছিল। ফলশ্রুতিতে চীনের নির্মাতারা কম খরচে উৎপাদন করতে পারছেন, যা জার্মান নির্মাতাদের জন্য পরিস্থিতি কঠিন করে তুলেছে। জার্মান মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিগুলো চীনের প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে বেশ হিমশিম খাচ্ছে। কারণ চীন তাদের চেয়ে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কম দামে পণ্য সরবরাহ
করতে পারে। চীনে জার্মান চেম্বার অব কমার্সের একটি জরিপে দেখা গেছে অর্ধেকেরও বেশি জার্মান সংস্থা মনে করছে, চীনের কোম্পানিগুলো পাঁচ বছরের মধ্যে বিশ্বে বেশ প্রভাবশালী হয়ে উঠবে। তবে অর্থনীতিবিদরা জার্মানিকে পরামর্শ দিচ্ছেন সকল ক্ষেত্রে আধিপত্য পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করার পরিবর্তে ওষুধ, জৈবপ্রযুক্তি ও জ্ঞান-ভিত্তিক শিল্পের মতো যেসব ক্ষেত্রে এখনো জার্মানির শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে সেগুলোতে মনোনিবেশ করা। ব্যবসায়িক নেতা এবং নীতিনির্ধারকদের বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতার প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পুনর্বিবেচনার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। কেউ কেউ যুক্তি দিচ্ছেন ঝুঁকির মুখে থাকা শিল্পগুলোকে রক্ষা করার ওপর জার্মানির মনোযোগ উদ্ভাবনকে ধীর করে দিয়েছে। আগামী ১২ বছরে এক ট্রিলিয়ন ইউরোর প্রতিরক্ষা ও অবকাঠামো ব্যয় পরিকল্পনা জার্মানির অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সাহায্য করতে পারে।
তবে উদ্বেগ রয়েছে এই বিনিয়োগের একটি বড় অংশ উচ্চ-প্রবৃদ্ধির শিল্পকে উৎসাহিত করার পরিবর্তে সামরিক প্রকল্পগুলোতে ব্যয় হবে। তথ্যসূত্র: ডয়সে ভেলে