ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের যাতায়াতে ডিএমপির ১৩ নির্দেশনা
তিনদিন বাদে শুরু ইজতেমা, মাঠ প্রস্তুতি শেষের দিকে
সৈকতে ২৪ দিনে ভেসে এলো ৮৪ মৃত বিপন্ন কচ্ছপ
দেশের প্রথম সবুজ ডিজিটাল ডেটা সেন্টার নির্মাণে সহায়তা দেবে এডিবি
ছাগলকাণ্ডের মতিউরকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক
বীর মুক্তিযোদ্ধা কে এম সফিউল্লাহ আর নেই
সারা দেশে অপরাধের বিস্তার: বাড়ছে উদ্বেগ
জানুয়ারিতে বাড়ি আসবে বলেছিল, এলো লাশ হয়ে
‘বড় মেয়ে শাম্মী খুব মেধাবী ছিল। ওর স্বপ্ন ছিল বিসিএস ক্যাডার হয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হওয়ার। কিন্তু সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে তাঁর বাড়ি আসার কথা ছিল। বাড়ি সে ফিরল, তবে লাশ হয়ে। সবসময় উচ্ছ্বাস-আনন্দে মেতে থাকা মেয়েটা কেন এমন করল’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নিহত ছাত্রী সাবরিনা রহমান শাম্মীর বাবা জাহিদুর রহমান।
রোববার রাজধানীর পুরান ঢাকার কাঠেরপুলের তনুগঞ্জ লেনের একটি মেস থেকে শাম্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে শাম্মীর গ্রাম যশোরের চৌগাছার নারায়ণপুরে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
জাহিদুর রহমান যশোরের কেশবপুর উপজেলার একটি
ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘ছোট বেলা থেকেই মেধাবী ছিল শাম্মী। ওর স্বপ্ন ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। নিজে পড়তে না পারলেও সেই স্বপ্নটা দেখতে থাকে ছোট বোনকে ঘিরে। কয়েক মাস আগে ছোট বোনকে ঢাকার ফার্মগেট এলাকার একটি কোচিং সেন্টারে ভর্তি করে এবং পাশের একটি মেসে থাকার ব্যবস্থা করে। শনিবার ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। সেখানে অংশ নেয় ওর ছোট বোন। এর পর তারা দুই বোন ঘোরাঘুরি করে ছোট বোনকে মেসে রেখে আসে। সন্ধ্যায় শাম্মী মেসে ফেরে। তখন ওর সঙ্গে শেষ কথা হয়। ও আমাকে কিছু টাকা দিতে বলে; আমি টাকা পাঠাই। শেষ কথা বলার সময়ও ওর কথাবার্তায় কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য
করিনি।’ এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, ভোরে ঘটনা শুনে সূত্রাপুর থানায় গিয়েছিলাম। আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ জানা যায়নি।
ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘ছোট বেলা থেকেই মেধাবী ছিল শাম্মী। ওর স্বপ্ন ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। নিজে পড়তে না পারলেও সেই স্বপ্নটা দেখতে থাকে ছোট বোনকে ঘিরে। কয়েক মাস আগে ছোট বোনকে ঢাকার ফার্মগেট এলাকার একটি কোচিং সেন্টারে ভর্তি করে এবং পাশের একটি মেসে থাকার ব্যবস্থা করে। শনিবার ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। সেখানে অংশ নেয় ওর ছোট বোন। এর পর তারা দুই বোন ঘোরাঘুরি করে ছোট বোনকে মেসে রেখে আসে। সন্ধ্যায় শাম্মী মেসে ফেরে। তখন ওর সঙ্গে শেষ কথা হয়। ও আমাকে কিছু টাকা দিতে বলে; আমি টাকা পাঠাই। শেষ কথা বলার সময়ও ওর কথাবার্তায় কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য
করিনি।’ এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, ভোরে ঘটনা শুনে সূত্রাপুর থানায় গিয়েছিলাম। আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ জানা যায়নি।