জরুরি হলেও উচ্চশিক্ষায় নেই ‘এআই’সহ প্রযুক্তির পাঠ – ইউ এস বাংলা নিউজ




জরুরি হলেও উচ্চশিক্ষায় নেই ‘এআই’সহ প্রযুক্তির পাঠ

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৫:৫৮ 6 ভিউ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী বেলাল মুনতাসির এখন পড়াশোনা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা স্টেট ইউনিভার্সিটির ম্যানকাটোর কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগে। সেখানে পড়াশোনায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে পলিসি আকারে এআইর একটা পার্ট রয়েছে। এথিকস মেনে কীভাবে এআইর ব্যবহার করা যায়, সেটি শেখানো হয়। কিন্তু শিক্ষা কার্যক্রমে এআই ব্যবহারের ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুটি দিকই রয়েছে। অনেক শিক্ষকই এআই ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করেন এবং নিজস্ব মেধার ব্যবহারকে উৎসাহিত করেন। এটির প্রয়োজনও রয়েছে। আবার অনেক শিক্ষক এআই ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করলেও এর মাধ্যমে যে কোনো অ্যাসাইনমেন্ট বিষয়ে ধারণা নিতে বলেন। তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়সহ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়েই এআই নিয়ে পড়াশোনা হয়, এর বিস্তার নিয়ে গবেষণা হয়। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষজন এখনো এআই ব্যবহারকারী। তা-ও স্নাতক পর্যায়ের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই এআই সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানেন না। তবে প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে এআই নিয়ে গবেষণা না হোক, অন্তত এর ব্যবহার শেখা জরুরি। বাংলাদেশে এখনো এআইর ব্যবহার ব্যক্তিপর্যায়ে রয়ে গেছে। অল্প কিছু প্রতিষ্ঠান এআইর ব্যবহার করলেও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে এর ব্যবহার সেভাবে শুরু হয়নি। দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির শিক্ষা যেসব বিভাগে দেওয়া হয়, সেখানে এআইর কিছু ব্যবহার দেখা যায়। এ ছাড়া অন্য কোনো ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা সেভাবে এআইর ব্যবহার সম্পর্কে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা পাচ্ছে

না। যে কারণে ২০২৩ সালের শেষ দিকে উচ্চশিক্ষা, বিশেষ করে স্নাতক পর্যায়ে পাঠ্যক্রমে তথ্যপ্রযুক্তির সর্বাধুনিক সব উদ্ভাবন যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এর মধ্যে ছিল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই), ডিজিটাল সিকিউরিটি, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব (ফোরআইআর), বিগ ডাটা, ব্লকচেইন, রোবটিক্স, ইন্টারনেট অব থিঙ্কস (আইওটি) ইত্যাদি। এ-সংক্রান্ত একটি গাইডলাইন তৈরির জন্য ১৪ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছিল। সেসময় কমিটি জানিয়েছিল, গাইডলাইন চূড়ান্ত হলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের চাহিদা ও সক্ষমতা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রযুক্তি সংক্রান্ত শিক্ষা তাদের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করবে। কিন্তু সেই কমিটি আলোর মুখ দেখেনি। এই যখন পরিস্থিতি, তখন সারা বিশ্বের মতো আজ বাংলাদেশও ‘আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস’ পালন করবে। ইউনেস্কো এ বছর সপ্তম

আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে ‘এআই এবং শিক্ষা: অটোমেশনের বিশ্বে মানব প্রতিনিধিত্ব সংরক্ষণ’। ৫৯ দেশের সমর্থনে ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের মূল লক্ষ্য ছিল—সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) কর্মসূচির অর্জনসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়নের (এসডিজি) ১৭ লক্ষ্য, বিশেষ করে ৪ নম্বর লক্ষ্য বাস্তবায়ন এবং বিশেষ গুরুত্ববহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রম মূল্যায়ন। প্রতি বছর ২৪ জানুয়ারি দিবসটি পালিত হয়। এ বছরের প্রতিপাদ্যের মানে হলো—কীভাবে শিক্ষা মানুষকে এআই বুঝতে এবং পরিচালনা করতে সাহায্য করতে পারে তা নিশ্চিত করা, যাতে তারা এই নতুন শ্রেণির প্রযুক্তির ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে

এবং এটি পরিচালনা করতে সক্ষম হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. কাজী মুহাইমিন উস সাকিব বলেন, এআই নিয়ে পড়াশোনা করা, এগিয়ে নিয়ে যাওয়া—সেটি একটি বিষয়। আর এআইর ব্যবহার করা অন্য বিষয়। এখন এআইর যুগ, যে প্রতিষ্ঠানে বা যে বিভাগেই পড়ুক না কেন, এআইর ব্যবহার জানা জরুরি। ২০১০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির সদস্য অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমাদের কারিকুলামে তেমন পরিবর্তন আসেনি। প্রযুক্তির ওপর যে জোর দেওয়া হচ্ছে, সেটি সবার জন্যই প্রযোজ্য। জোর না দিলে আমরা পিছিয়ে যাব। যারা কারিকুলাম প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত ও নীতিনির্ধারণে আছেন, তাদের এসব বিষয়ে নজর দেওয়া দরকার। তবে এআইসহ প্রযুক্তির শিক্ষা যুক্ত করার আগে দেশের শিক্ষার মান

বাড়ানোর পরামর্শ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদের। তিনি বলেন, আমাদের পড়াশোনার মান বিভিন্ন কারণে নিচের দিকে। সেজন্য পড়াশোনার মান উন্নত করতে হবে। ঘাটতি মেটাতে শিক্ষার্থীদেরও চেষ্টা করতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে বিশ্বমানের করতে হবে। এরপর কারিকুলামে এআইসহ অন্য প্রযুক্তিগুলো অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। নইলে এগুলো চালু করেও কোনো লাভ হবে না। এআইর মতো প্রযুক্তির পড়াশোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলামে যুক্ত হবে কি না—জানতে চাইলে সরাসরি কোনো জবাব দেননি ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ। তবে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে এআইর প্রয়োজনীয়তা তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন। অধ্যাপক ফায়েজ বলেন, এই প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকার

জন্য আপ টু ডেট থাকতে হবে। টেকনোলজিক্যাল সমস্যাগুলো মোকাবিলা করার জন্য যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে হবে। তাই টেকনোলজিক্যাল বিষয়গুলো আয়ত্ত করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
কঙ্গোতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষে ১৩ শান্তিরক্ষী নিহত ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত কুড়িগ্রামের জনজীবন জটিল সমীকরণে রাজনীতি, বাড়ছে অনৈক্য সংশয় সন্দেহ শীত নিয়ে দুঃসংবাদ দিল আবহাওয়া অফিস দাবানলে পোড়া লস অ্যাঞ্জেলসে বৃষ্টির পূর্বাভাস সমকামীদের তৎপরতায় সর্বনাশের পদধ্বনি গুলিতে ঝাঁজরা ইমনের পা সংসারের হাল ধরবে কে মালয়েশিয়ায় বিমানবন্দরে ১২ বাংলাদেশি আটক পানির নিচে ৪ মাস, জার্মান ব্যক্তির বিশ্বরেকর্ড ২০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিল ইসরাইল চেলসিকে হারিয়ে শীর্ষ চারে সিটি ডায়াবেটিস ও স্থূলতা কমাবে কালো চালের আঁশ ১৫০০ টাকা মাইক ভাড়া দেয়া লাগত, তারা এখন ৭ হাজার টাকার পাঞ্জাবি পরে: নুর বিজিবি প্রধানের ভারত সফর গোপন নয়, যেসব বিষয়ে হবে আলোচনা সরকারি বাজেটে ১৫% কাটছাঁট সম্ভব, তবে মাস্কের ব্যাপক ছাঁটাই প্রস্তাবে আপত্তি ভারতের সাথে তালেবানের সম্পর্কের নতুন গতিপথ আমি নিজেকে বলেছিলাম, কখনো হাল ছাড়ব না নতুন নামে পুরানো মাফিয়া ডিজিটাল সাইনবোর্ডে কি ছাত্রলীগের নতুন ফিরে আসা শুরু? অভিবাসন নীতিতে কঠোরতার প্রতিশ্রুতি, হোমল্যান্ড সিকিউরিটির দায়িত্বে ক্রিস্টি নোম