গাজা পুনর্গঠনে প্রয়োজন ৫ হাজার ৩২০ কোটি মার্কিন ডলার

১৫ মাসের ইসরাইলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত গাজা পুনর্গঠন করতে প্রয়োজন হবে পাঁচ হাজার ৩২০ কোটির বেশি মার্কিন ডলার। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও বিশ্বব্যাংকের এক যৌথ প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিশ্ব ব্যাংক, জাতিসংঘ ও ইইউ পরিচালিত ‘দ্য গাজা অ্যান্ড ওয়েস্ট ব্যাংক ইন্টেরিম র্যাপিড ড্যামেজ অ্যান্ড নিডস অ্যাসেসমেন্ট’ (আইআরডিএনএ) খরচের এই হিসাব দিয়েছে। খবর আনাদোলুর।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবাসন খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা মোট ক্ষতির ৫৩ শতাংশ, এরপর বাণিজ্য ও শিল্পখাতে ক্ষতি হয়েছে ২০ শতাংশ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, উৎপাদনশীলতা হ্রাস, পূর্ববর্তী রাজস্ব এবং পরিচালন ব্যয়ের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ১৯ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং বাণিজ্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ
হয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, গাজার প্রায় সব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়ে গেছে, যার ফলে এক বছরে দাম ৩০০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, শুধুমাত্র খাদ্যের দাম ৪৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৪ সালে গাজার অর্থনীতি ৮৩ শতাংশ সংকুচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যার ফলে ফিলিস্তিনি অর্থনীতিতে এর অবদান মাত্র ৩ শতাংশে নেমে আসবে, যদিও জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ এখানে বাস করে। এতে আরও বলা হয়েছে, পশ্চিম তীরও অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, এই বছর ১৬ শতাংশ সংকোচনের পূর্বাভাস রয়েছে। তাদের হিসাবমতে, গাজায় ইসরাইলের হামলায় ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৮ অক্টোবর পর্যন্ত চার হাজার ৯০০ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছে। গবেষকরা হিসাব-নিকাশ করে বলেছেন, গাজা পুনর্গঠনে এখন
আগামী ১০ বছরে ৫ হাজার ৩২০ কোটি মার্কিন ডলার প্রয়োজন। এর মধ্যে কেবল প্রথম তিন বছরেই দরকার হতে পারে প্রায় দুই হাজার কোটি ডলার। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বিপুল খরচ জোগাতে বেশকিছু দাতা ও অন্যান্য আর্থিক উৎস ও প্রাইভেট খাতের সম্পদ থেকে তহবিল দরকার হবে। যুদ্ধপরবর্তী সময়ে গাজায় নির্মাণের জিনিসপত্র সরবরাহ ব্যবস্থাও উন্নত হতে হবে। আইআরডিএনএ বলেছে, গাজায় ধ্বংস হয়েছে কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুই লাখ ৯২ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি। ৯৫ শতাংশ হাসপাতালই হয়ে পড়েছে অকার্যকর। স্থানীয় অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে ৮৩ শতাংশ। গাজা পুনর্গঠনে প্রয়োজনীয় মোট তহবিলের অর্ধেকেরও বেশি অর্থাৎ, দুই হাজার ৯৯০ কোটি ডলার খরচ হবে ধসে যাওয়া বাড়িঘর এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো
নির্মাণে। আর গাজার ধ্বংস হয়ে যাওয়া আবাসিক হাউজিংগুলো নতুন করে গড়ে তুলতে খরচ হবে এক হাজার ৫২০ কোটি ডলার। আরও এক হাজার ৯১০ কোটি ডলার খরচ হবে গাজার সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে। যার মধ্যে আছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাণিজ্য ও ধসে পড়া শিল্প খাত। এছাড়াও, গাজা পুনর্গঠন কর্মসূচির আওতায় রয়েছে বছরের পর বছর ধরে অবিস্ফোরিত বোমা পরিষ্কার করাসহ বিপুল পরিমাণ ধ্বংসস্তপ সরানোর কাজও।
হয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, গাজার প্রায় সব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়ে গেছে, যার ফলে এক বছরে দাম ৩০০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, শুধুমাত্র খাদ্যের দাম ৪৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৪ সালে গাজার অর্থনীতি ৮৩ শতাংশ সংকুচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যার ফলে ফিলিস্তিনি অর্থনীতিতে এর অবদান মাত্র ৩ শতাংশে নেমে আসবে, যদিও জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ এখানে বাস করে। এতে আরও বলা হয়েছে, পশ্চিম তীরও অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, এই বছর ১৬ শতাংশ সংকোচনের পূর্বাভাস রয়েছে। তাদের হিসাবমতে, গাজায় ইসরাইলের হামলায় ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৮ অক্টোবর পর্যন্ত চার হাজার ৯০০ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছে। গবেষকরা হিসাব-নিকাশ করে বলেছেন, গাজা পুনর্গঠনে এখন
আগামী ১০ বছরে ৫ হাজার ৩২০ কোটি মার্কিন ডলার প্রয়োজন। এর মধ্যে কেবল প্রথম তিন বছরেই দরকার হতে পারে প্রায় দুই হাজার কোটি ডলার। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বিপুল খরচ জোগাতে বেশকিছু দাতা ও অন্যান্য আর্থিক উৎস ও প্রাইভেট খাতের সম্পদ থেকে তহবিল দরকার হবে। যুদ্ধপরবর্তী সময়ে গাজায় নির্মাণের জিনিসপত্র সরবরাহ ব্যবস্থাও উন্নত হতে হবে। আইআরডিএনএ বলেছে, গাজায় ধ্বংস হয়েছে কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুই লাখ ৯২ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি। ৯৫ শতাংশ হাসপাতালই হয়ে পড়েছে অকার্যকর। স্থানীয় অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে ৮৩ শতাংশ। গাজা পুনর্গঠনে প্রয়োজনীয় মোট তহবিলের অর্ধেকেরও বেশি অর্থাৎ, দুই হাজার ৯৯০ কোটি ডলার খরচ হবে ধসে যাওয়া বাড়িঘর এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো
নির্মাণে। আর গাজার ধ্বংস হয়ে যাওয়া আবাসিক হাউজিংগুলো নতুন করে গড়ে তুলতে খরচ হবে এক হাজার ৫২০ কোটি ডলার। আরও এক হাজার ৯১০ কোটি ডলার খরচ হবে গাজার সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে। যার মধ্যে আছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাণিজ্য ও ধসে পড়া শিল্প খাত। এছাড়াও, গাজা পুনর্গঠন কর্মসূচির আওতায় রয়েছে বছরের পর বছর ধরে অবিস্ফোরিত বোমা পরিষ্কার করাসহ বিপুল পরিমাণ ধ্বংসস্তপ সরানোর কাজও।