
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

হলোকাস্ট অস্বীকারের মতো ঘৃণ্য গাজায় ক্ষুধা অস্বীকার

জাপান সাগরে চীন ও রাশিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া শুরু

বাংলা ভাষাকে ‘বাংলাদেশি ভাষা’ বলায় ক্ষোভ মমতার

রাশিয়ায় ৬শ’ বছর পর জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সুনামি সতর্কতা

মায়ের সঙ্গে প্রেম করে মেয়েকে বিয়ে, পরে দু’জনকেই পুড়িয়ে হত্যা!

যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি উড়িয়ে রাশিয়ার তেলে নির্ভরতা চালিয়ে যাবে ভারত

রাফাল ধ্বংসে চীনা প্রযুক্তির কার্যকর ব্যবহার পাকিস্তানের
গাজার সর্বত্র রক্ত-ক্ষুধা-মৃত্যু

মোহাম্মদ আবু তাহা ভোরে গাজার দক্ষিণে রাফার কাছে একটি ত্রাণকেন্দ্রে গিয়েছিলেন লাইনে দাঁড়াতে। উদ্দেশ্য ছিল, সারিতে তাঁর জায়গা সংরক্ষণ করা। তিনি দেখতে পান, হাজার হাজার মানুষ ক্ষুধার্ত। সবাই এক ব্যাগ আটা কিংবা সামান্য চাল এবং ডালের জন্য অপেক্ষা করছে।
তাহা বলেন, হঠাৎ আমরা গুলির শব্দ শুনতে পেলাম। পালানোর কোনো উপায় ছিল না। মানুষ দৌড়াতে শুরু করে। শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। সেখানে নারী, শিশু, বৃদ্ধ– সব বয়সী লোক রয়েছে। দৃশ্যটি সত্যিই দুঃখজনক ছিল। গাজার সর্বত্র এখন রক্ত, আহত মানুষ কিংবা মরদেহ চোখে পড়ে। এএফপির এক প্রতিবেদনে এই বর্ণনা তুলে ধরা হয়।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, গত ২৭ মে থেকে গাজা উপত্যকায় ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা
প্রায় এক হাজার ৪০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের বেশির ভাগই মারা গেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাতে। এএফপি জানায়, প্রায় ২২ মাস ধরে যুদ্ধের পর ইসরায়েল অবশেষে খাদ্য সহায়তা গাজায় প্রবেশ করতে অনুমতি দিয়েছে। তবে সেই খাদ্য সংগ্রহ করতে পারছে না ক্ষুধার্ত পরিবারগুলো। ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিবর্ষণ, খাদ্য সংগ্রহ ঘিরে বিশৃঙ্খলা এবং সশস্ত্র চক্রের হামলায় খাবার শেষ পর্যন্ত লুট হয়ে যাচ্ছে। ত্রাণ নিতে আসা গাজার বাসিন্দা আমির জাকোত বলছেন, ‘বিমান থেকে প্যারাসুটের মাধ্যমে খাবার ফেলা হচ্ছিল। আর আমরা তা নিতে ছুটছিলাম। কিন্তু ক্ষুধা মেটানোর তাড়নায় একজন অন্যজনের ওপর হামলে পড়েছে। অনেকে ছুরি দিয়ে একে অপরের সঙ্গে লড়াইয়েও লিপ্ত হচ্ছে।’ গাজায় ত্রাণ নিয়ে নানা চক্র
সক্রিয়। কয়েকটি দল ত্রাণ লুট করার কাজে ব্যস্ত। তারা গুদামগুলোতে হামলা চালিয়ে খাদ্য লুট করে। পরে ব্যবসায়ীদের কাছে অত্যধিক দামে তা বিক্রি করে। গাজায় ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্সের জরুরি সমন্বয়কারী জিন গাই ভাটাক্স বলেন, গাজার পরিস্থিতি এমন যে, দুষ্কৃতকারীরা ২৫ কেজির এক ব্যাগ আটা ৪০০ ডলারেরও বেশি দামে বিক্রি করছে। এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি অপরাধী চক্রগুলোকে ইন্ধন জোগানোর অভিযোগ উঠেছে। তাদের ত্রাণ লুট করার অনুমতি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে বাহিনীটির বিরুদ্ধে। জাতিসংঘের মানবিক কার্যালয়ের ফিলিস্তিনপ্রধান জোনাথন হুইটল বলেন, যুদ্ধের শুরু থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর নজরদারিতে সশস্ত্র চক্রগুলো সক্রিয়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অনাহার-অপুষ্টিতে আরও ছয় ফিলিস্তিনি মারা গেছে। যার ফলে মোট মৃত্যু
১৭৫ জনে দাঁড়িয়েছে, তাদের মধ্যে ৯৩ শিশু। হামলায় রোববার ৩৭ ত্রাণপ্রত্যাশীসহ কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছে। এ পর্যন্ত হামলায় কমপক্ষে ৬০ হাজার ৪৩০ জন নিহত এবং এক লাখ ৪৮ হাজার ৭২২ জন আহত হয়েছে। ফিলিস্তিনপন্থিদের বিক্ষোভে যোগ দিলেন অ্যাসাঞ্জ ফিলিস্তিনের সমর্থনে গতকাল রোববার অস্ট্রেলিয়ার সিডনি হারবার ব্রিজের ওপর হাজারো মানুষ বিক্ষোভ মিছিল করেছে। মিছিলে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জও অংশ নেন। গত বছর যুক্তরাজ্যের একটি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যান তিনি। বিক্ষোভে অ্যাসাঞ্জের পাশে তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও দেখা গেছে। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও নিউ সাউথ ওয়েলসের সাবেক নেতা বব কারও তাঁর সঙ্গে ছিলেন। নিজের কবর নিজে খুঁড়লেন ইসরায়েলি জিম্মি ইসরায়েলি
এক জিম্মির ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস। ভিডিওতে ইভাতার ডেভিড নামে ওই জিম্মিকে বেশ রুগ্ণ দেখা গেছে। তাঁকে বলতে শোনা যায়, গাজায় খাদ্য সংকট থাকায় নিয়মিত খেতে পারছেন না। এতে তাঁর শারীরিক অবস্থার ব্যাপক অবনতি হয়েছে। এ ছাড়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি করে তাঁকে মুক্ত না করায় নেতানিয়াহুকে দোষারোপ করেন তিনি। তাঁকে একটি কবর খুঁড়তেও দেখা যায়। তিনি জানান, তাঁকে উদ্ধার না করা হলে এ কবরই হবে তাঁর শেষ ঠিকানা। গাজায় ১০ লাখ নারী অনাহারে জেনেভায় জাতিসংঘের কার্যালয় সতর্ক করে দিয়েছে, গাজায় ১০ লাখ নারী ও মেয়ে এখন অনাহারে রয়েছে। এক এক্স পোস্টে জাতিসংঘ এ তথ্য জানিয়েছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি অগ্রহণযোগ্য এবং
এর অবসান হওয়া উচিত। পোস্টে বলা হয়, ‘আমরা সব নারী ও মেয়ের জন্য জীবন রক্ষাকারী ত্রাণ সরবরাহ, অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং সব জিম্মির মুক্তির দাবি অব্যাহত রেখেছি।’ হাসপাতালের গেটে খালি পাত্র হাতে ঘুমিয়ে ক্লান্ত শিশু আলজাজিরার একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, দুর্ভিক্ষকবলিত গাজা উপত্যকায় আট বছর বয়সী একটি মেয়ে গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালের গেটে ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়ে। সে সময় সে একটি খালি পাত্র ধরে বসে ছিল। মেয়েটির নাম মিরা। সে তার পরিবারের বড় মেয়ে। যুদ্ধে তার বাবা আহত হওয়ার পর তার মা তাকে খাবার খুঁজতে বলেছিলেন। ক্ষুধার্ত ও ক্লান্ত দেহে সে মাটিতে বসে পড়ে এবং ঘুমিয়ে যায়।
প্রায় এক হাজার ৪০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের বেশির ভাগই মারা গেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাতে। এএফপি জানায়, প্রায় ২২ মাস ধরে যুদ্ধের পর ইসরায়েল অবশেষে খাদ্য সহায়তা গাজায় প্রবেশ করতে অনুমতি দিয়েছে। তবে সেই খাদ্য সংগ্রহ করতে পারছে না ক্ষুধার্ত পরিবারগুলো। ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিবর্ষণ, খাদ্য সংগ্রহ ঘিরে বিশৃঙ্খলা এবং সশস্ত্র চক্রের হামলায় খাবার শেষ পর্যন্ত লুট হয়ে যাচ্ছে। ত্রাণ নিতে আসা গাজার বাসিন্দা আমির জাকোত বলছেন, ‘বিমান থেকে প্যারাসুটের মাধ্যমে খাবার ফেলা হচ্ছিল। আর আমরা তা নিতে ছুটছিলাম। কিন্তু ক্ষুধা মেটানোর তাড়নায় একজন অন্যজনের ওপর হামলে পড়েছে। অনেকে ছুরি দিয়ে একে অপরের সঙ্গে লড়াইয়েও লিপ্ত হচ্ছে।’ গাজায় ত্রাণ নিয়ে নানা চক্র
সক্রিয়। কয়েকটি দল ত্রাণ লুট করার কাজে ব্যস্ত। তারা গুদামগুলোতে হামলা চালিয়ে খাদ্য লুট করে। পরে ব্যবসায়ীদের কাছে অত্যধিক দামে তা বিক্রি করে। গাজায় ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্সের জরুরি সমন্বয়কারী জিন গাই ভাটাক্স বলেন, গাজার পরিস্থিতি এমন যে, দুষ্কৃতকারীরা ২৫ কেজির এক ব্যাগ আটা ৪০০ ডলারেরও বেশি দামে বিক্রি করছে। এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি অপরাধী চক্রগুলোকে ইন্ধন জোগানোর অভিযোগ উঠেছে। তাদের ত্রাণ লুট করার অনুমতি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে বাহিনীটির বিরুদ্ধে। জাতিসংঘের মানবিক কার্যালয়ের ফিলিস্তিনপ্রধান জোনাথন হুইটল বলেন, যুদ্ধের শুরু থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর নজরদারিতে সশস্ত্র চক্রগুলো সক্রিয়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অনাহার-অপুষ্টিতে আরও ছয় ফিলিস্তিনি মারা গেছে। যার ফলে মোট মৃত্যু
১৭৫ জনে দাঁড়িয়েছে, তাদের মধ্যে ৯৩ শিশু। হামলায় রোববার ৩৭ ত্রাণপ্রত্যাশীসহ কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছে। এ পর্যন্ত হামলায় কমপক্ষে ৬০ হাজার ৪৩০ জন নিহত এবং এক লাখ ৪৮ হাজার ৭২২ জন আহত হয়েছে। ফিলিস্তিনপন্থিদের বিক্ষোভে যোগ দিলেন অ্যাসাঞ্জ ফিলিস্তিনের সমর্থনে গতকাল রোববার অস্ট্রেলিয়ার সিডনি হারবার ব্রিজের ওপর হাজারো মানুষ বিক্ষোভ মিছিল করেছে। মিছিলে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জও অংশ নেন। গত বছর যুক্তরাজ্যের একটি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যান তিনি। বিক্ষোভে অ্যাসাঞ্জের পাশে তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও দেখা গেছে। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও নিউ সাউথ ওয়েলসের সাবেক নেতা বব কারও তাঁর সঙ্গে ছিলেন। নিজের কবর নিজে খুঁড়লেন ইসরায়েলি জিম্মি ইসরায়েলি
এক জিম্মির ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস। ভিডিওতে ইভাতার ডেভিড নামে ওই জিম্মিকে বেশ রুগ্ণ দেখা গেছে। তাঁকে বলতে শোনা যায়, গাজায় খাদ্য সংকট থাকায় নিয়মিত খেতে পারছেন না। এতে তাঁর শারীরিক অবস্থার ব্যাপক অবনতি হয়েছে। এ ছাড়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি করে তাঁকে মুক্ত না করায় নেতানিয়াহুকে দোষারোপ করেন তিনি। তাঁকে একটি কবর খুঁড়তেও দেখা যায়। তিনি জানান, তাঁকে উদ্ধার না করা হলে এ কবরই হবে তাঁর শেষ ঠিকানা। গাজায় ১০ লাখ নারী অনাহারে জেনেভায় জাতিসংঘের কার্যালয় সতর্ক করে দিয়েছে, গাজায় ১০ লাখ নারী ও মেয়ে এখন অনাহারে রয়েছে। এক এক্স পোস্টে জাতিসংঘ এ তথ্য জানিয়েছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি অগ্রহণযোগ্য এবং
এর অবসান হওয়া উচিত। পোস্টে বলা হয়, ‘আমরা সব নারী ও মেয়ের জন্য জীবন রক্ষাকারী ত্রাণ সরবরাহ, অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং সব জিম্মির মুক্তির দাবি অব্যাহত রেখেছি।’ হাসপাতালের গেটে খালি পাত্র হাতে ঘুমিয়ে ক্লান্ত শিশু আলজাজিরার একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, দুর্ভিক্ষকবলিত গাজা উপত্যকায় আট বছর বয়সী একটি মেয়ে গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালের গেটে ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়ে। সে সময় সে একটি খালি পাত্র ধরে বসে ছিল। মেয়েটির নাম মিরা। সে তার পরিবারের বড় মেয়ে। যুদ্ধে তার বাবা আহত হওয়ার পর তার মা তাকে খাবার খুঁজতে বলেছিলেন। ক্ষুধার্ত ও ক্লান্ত দেহে সে মাটিতে বসে পড়ে এবং ঘুমিয়ে যায়।