ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ: নির্বাচন কমিশন
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন : প্রধান নির্বাচন কমিশনার হলেন সাবেক সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীন
নির্বাচনের সময় পুরোপুরি ক্ষমতা চায় ইসি
পতিত স্বৈরাচার সরকারের দোসর হিসেবে কাজ করার দায়ে ৩৭ জন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকের জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ এবং সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ বিষয়টি জানানো হয়। গত ২৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সদস্যপদ স্থগিত হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন- নূরুল আমিন প্রভাষ, জায়েদুল আহসান পিন্টু, মোজাম্মেল বাবু, আশীষ সৈকত, ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সোহেল হায়দার চৌধুরী, ফারজানা রূপা, অশোক চৌধুরী, আজমল হক হেলাল, আবুল খায়ের, মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, প্রণব সাহা, নঈম নিজাম, খায়রুল আলম, আবেদ খান, সুভাষ চন্দ বাদল, জহিরুল ইসলাম মামুন (জ.ই মামুন), জাফর ওয়াজেদ, সাইফুল ইসলাম কল্লোল, পাভেল রহমান, আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, শাবান মাহমুদ, মুহম্মদ শফিকুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, শ্যামল সরকার, অজয় দাশগুপ্ত, আলমগীর হোসেন, রমাপ্রসাদ সরকার বাবু, সঞ্জয় সাহা পিয়াল, ফারাজী আজমল হোসেন, আনিসুর রহমান, এনামুল হক চৌধুরী, নাঈমুল ইসলাম খান, মো. আশরাফ আলী, মোল্লা জালাল, ইখতিয়ার উদ্দিন এবং আবু জাফর সূর্য। এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এখন পর্যন্ত তিন দফায় মোট ১৬৭ জন সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করেছে তথ্য অধিদপ্তর (পিআইডি)। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্যপদ স্থগিত হলো যাদের আরও ২৯ সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল এ বিষয়ে সোমবার সন্ধ্যায় কপ-২৯ পরবর্তী প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আজাদ মজুমদার বলেন, পিআইডি অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল হওয়ায় যেসব সাংবাদিক মনে করছেন তাদের প্রতি অবিচার হয়েছে, তারা আবেদন করতে পারেন। যাচাই-বাছাই করে তা দেখা হবে। গত ৭ নভেম্বর সবশেষ ১১৮ সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়। এর আগে, ২৯ অক্টোবর ২০ সাংবাদিকের ও ৩ নভেম্বর আরও ২৯ জনের কার্ড বাতিল করে পিআইডি।
সংস্কার প্রস্তাবে দলগুলোর সমঝোতা স্বাক্ষর জরুরি
ইসি গঠনে ৭ নভেম্বরের মধ্যে নাম চেয়েছে সার্চ কমিটি
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে দলগুলোর মত নেবে কমিশন
গণভোট, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ চালুর পরামর্শ
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের পরামর্শ দিয়েছেন বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধি ও বিশিষ্টজনরা। সংবিধান সংস্কার কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সংবিধানে গণভোটের বিধান পুনর্বহাল ও দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ চালু করারও পরামর্শ দেন তারা। পাশাপাশি সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে ন্যায়পাল প্রতিষ্ঠা, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনয়ন এবং পরপর দুই মেয়াদের বেশি কেউ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে না পারে সংবিধানে সে বিষয়টি নিশ্চিত করার পক্ষেও মত দিয়েছেন তারা।
গতকাল রোববার সংসদ সচিবালয়ের ক্যাবিনেট কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবিধান সংস্কার কমিশনের মতবনিমিয় সভায় এসব পরামর্শ উঠে আসে। সংবিধান সংস্কার বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময়ের অংশ হিসেবে পঞ্চম দিনের মতো এ সভায় কয়েকটি পেশাজীবী সংগঠনের
প্রতিনিধি এবং দেশের তরুণ চিন্তাবিদ ও সংস্কৃতিকর্মীরা অংশ নেন। কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রিয়াজের সভাপতিত্বে এতে অংশ নেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী ও কোষাধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মো. শফিকুল ইসলাম, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) অরবিট্রেশন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান নাসরিন বেগম, প্যানেল আইনজীবী চৌধুরী মকিমুদ্দিন কেজে আলী, উপমহাসচিব মো. জামিল উদ্দিন মিল্টন, ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারসের অন্তর্বর্তীকালীন কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী মো. কবীর হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক প্রকৌশলী মো. গিয়াস উদ্দিন, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সহ-সভাপ্রধান অঞ্জন দাস, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহিম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সদস্য সাবিনা
ইয়াসমিন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান, ভাইস-প্রেসিডেন্ট সৈয়দ শাহরিয়ার আমিন, সদস্য এ কে এম রিয়াজউদ্দিন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের প্রেসিডেন্ট চৌধুরী আশিকুল আলম, ভাইস প্রেসিডেন্ট খলিলুর রহমান, বাংলাদেশ ইন্ডিজেনাস পিপলস নেটওয়ার্ক অন ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড বায়োডাইভারসিটির (বিপনেট) সদস্য জিডিশন প্রধান সুচিয়াং, সদস্য নবদ্বীপ কুমার, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সদস্য নিরুপা দেওয়ান ও সদস্য ড. হরি পূর্ণ ত্রিপুরা। বিকেলে মতবিনিময় সভায় সংস্কারের বিভিন্ন দিক নিয়ে মতামত তুলে ধরেন তরুণ চিন্তাবিদ ও সংস্কৃতিকর্মী সারোয়ার তুষার, সাইয়েদ আবদুল্লাহ, অরূপ রাহী, দীপক কুমার গোস্বামী, অ্যাডভোকেট আরিফ খান, মাহা মির্জা, ইমরান মাহফুজ, ড. সৈয়দ নিজার, ইলিরা দেওয়ান ও আসিফ আকবর। সংস্কার কমিশনের
সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইকরামুল হক, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিকী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া, ব্যারিস্টার এম মঈন আলম ফিরোজী, ফিরোজ আহমেদ ও মো. মুস্তাইন বিল্লাহ। সভায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য, সংসদে ‘ফ্লোর ক্রসিং’, জনগণের মৌলিক অধিকার, তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি পুনর্বহাল, আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস বহাল রাখার পক্ষে মত দেন পেশাজীবীরা। তারা বলেন, নব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসের কথা থাকাটাই যৌক্তিক। সেজন্য এটি বহাল রাখতে হবে। এ সময় সংস্কার কমিশনের কাজের পরিধি এবং সংস্কার ও সুপারিশ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সম্পর্কেও প্রশ্ন তোলেন কেউ কেউ। বিশেষ করে সাংবাদিক নেতা শহীদুল ইসলাম এর পক্ষে
মত দেন। ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এ প্রক্রিয়া সম্পর্কে কমিশনের কাছে জানতে চান। আলোচনায় অংশ নিয়ে কাদের গনি চৌধুরী বলেন, বিদ্যমান সাংবিধানিক কাঠামোয় প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা এককভাবে প্রধানমন্ত্রীর ওপর ন্যস্ত। প্রধানমন্ত্রীর একক নির্বাহী ক্ষমতা সংসদীয় সরকারের আবরণে একটি স্বৈরাচারী একনায়কতান্ত্রিক শাসনের জন্ম দিয়েছে, যা গত ১৫ বছর আমরা লক্ষ্য করেছি। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট খুব জরুরি। কারণ দ্বিকক্ষের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটিতে ‘একক ক্ষমতার বল’ বা ‘এক ব্যক্তির শাসন’ চলে না। রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী চাইলেই আইন প্রণয়ন ও বাতিল করতে পারেন না। ৭০ অনুচ্ছেদেরও সমালোচনা করে এটি বাতিলের দাবি জানান তিনি। পেশাজীবী সংগঠনের এ নেতা বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে
গণভোটের বিধানটি বাতিল করে মৌলিক বিষয়ে জনগণের মতপ্রকাশের অধিকার খর্ব করা হয়েছে। মৌলিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে জনগণের সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে গণভোটের বিধান বিলোপ করে কণ্ঠ রোধ করা হয়েছে। গণভোটের বিধান পুনর্বহালের পক্ষে মত দেন তিনি। সভার বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশন কীভাবে আমাদের সুপারিশ বা পরামর্শ বাস্তবায়ন করবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছি। গণভোট, নির্বাচন কমিশন সংস্কারসহ অনেক কিছু রয়েছে, যা বাস্তবায়ন করা কঠিন। কমিশন আমার এসব প্রশ্নের কোনো উত্তর দেয়নি। তারা কেবল নোট হিসেবে নিয়েছে।
প্রতিনিধি এবং দেশের তরুণ চিন্তাবিদ ও সংস্কৃতিকর্মীরা অংশ নেন। কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রিয়াজের সভাপতিত্বে এতে অংশ নেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী ও কোষাধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মো. শফিকুল ইসলাম, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) অরবিট্রেশন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান নাসরিন বেগম, প্যানেল আইনজীবী চৌধুরী মকিমুদ্দিন কেজে আলী, উপমহাসচিব মো. জামিল উদ্দিন মিল্টন, ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারসের অন্তর্বর্তীকালীন কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী মো. কবীর হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক প্রকৌশলী মো. গিয়াস উদ্দিন, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সহ-সভাপ্রধান অঞ্জন দাস, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহিম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সদস্য সাবিনা
ইয়াসমিন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান, ভাইস-প্রেসিডেন্ট সৈয়দ শাহরিয়ার আমিন, সদস্য এ কে এম রিয়াজউদ্দিন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের প্রেসিডেন্ট চৌধুরী আশিকুল আলম, ভাইস প্রেসিডেন্ট খলিলুর রহমান, বাংলাদেশ ইন্ডিজেনাস পিপলস নেটওয়ার্ক অন ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড বায়োডাইভারসিটির (বিপনেট) সদস্য জিডিশন প্রধান সুচিয়াং, সদস্য নবদ্বীপ কুমার, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সদস্য নিরুপা দেওয়ান ও সদস্য ড. হরি পূর্ণ ত্রিপুরা। বিকেলে মতবিনিময় সভায় সংস্কারের বিভিন্ন দিক নিয়ে মতামত তুলে ধরেন তরুণ চিন্তাবিদ ও সংস্কৃতিকর্মী সারোয়ার তুষার, সাইয়েদ আবদুল্লাহ, অরূপ রাহী, দীপক কুমার গোস্বামী, অ্যাডভোকেট আরিফ খান, মাহা মির্জা, ইমরান মাহফুজ, ড. সৈয়দ নিজার, ইলিরা দেওয়ান ও আসিফ আকবর। সংস্কার কমিশনের
সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইকরামুল হক, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিকী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া, ব্যারিস্টার এম মঈন আলম ফিরোজী, ফিরোজ আহমেদ ও মো. মুস্তাইন বিল্লাহ। সভায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য, সংসদে ‘ফ্লোর ক্রসিং’, জনগণের মৌলিক অধিকার, তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি পুনর্বহাল, আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস বহাল রাখার পক্ষে মত দেন পেশাজীবীরা। তারা বলেন, নব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসের কথা থাকাটাই যৌক্তিক। সেজন্য এটি বহাল রাখতে হবে। এ সময় সংস্কার কমিশনের কাজের পরিধি এবং সংস্কার ও সুপারিশ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সম্পর্কেও প্রশ্ন তোলেন কেউ কেউ। বিশেষ করে সাংবাদিক নেতা শহীদুল ইসলাম এর পক্ষে
মত দেন। ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এ প্রক্রিয়া সম্পর্কে কমিশনের কাছে জানতে চান। আলোচনায় অংশ নিয়ে কাদের গনি চৌধুরী বলেন, বিদ্যমান সাংবিধানিক কাঠামোয় প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা এককভাবে প্রধানমন্ত্রীর ওপর ন্যস্ত। প্রধানমন্ত্রীর একক নির্বাহী ক্ষমতা সংসদীয় সরকারের আবরণে একটি স্বৈরাচারী একনায়কতান্ত্রিক শাসনের জন্ম দিয়েছে, যা গত ১৫ বছর আমরা লক্ষ্য করেছি। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট খুব জরুরি। কারণ দ্বিকক্ষের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটিতে ‘একক ক্ষমতার বল’ বা ‘এক ব্যক্তির শাসন’ চলে না। রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী চাইলেই আইন প্রণয়ন ও বাতিল করতে পারেন না। ৭০ অনুচ্ছেদেরও সমালোচনা করে এটি বাতিলের দাবি জানান তিনি। পেশাজীবী সংগঠনের এ নেতা বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে
গণভোটের বিধানটি বাতিল করে মৌলিক বিষয়ে জনগণের মতপ্রকাশের অধিকার খর্ব করা হয়েছে। মৌলিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে জনগণের সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে গণভোটের বিধান বিলোপ করে কণ্ঠ রোধ করা হয়েছে। গণভোটের বিধান পুনর্বহালের পক্ষে মত দেন তিনি। সভার বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশন কীভাবে আমাদের সুপারিশ বা পরামর্শ বাস্তবায়ন করবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছি। গণভোট, নির্বাচন কমিশন সংস্কারসহ অনেক কিছু রয়েছে, যা বাস্তবায়ন করা কঠিন। কমিশন আমার এসব প্রশ্নের কোনো উত্তর দেয়নি। তারা কেবল নোট হিসেবে নিয়েছে।