ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
বাড়ি নির্মাণে বাধা দিয়ে ১০ লাখ টাকা দাবি যুবদল কর্মীদের, প্রতিবাদ করায় প্রবাসীকে পিটুনি
শাহজালালে যাত্রীর পাকস্থলীতে মিলল ৬৩৭৮ ইয়াবা
ভোলায় বিএনপি-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র, আহত অর্ধশতাধিক
জমি দখলের অভিযোগ আসলাম চৌধুরীর ভাইয়ের বিরুদ্ধে
বাগেরহাটে নৃশংস রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড: হাত-পা বাঁধা অবস্থায় প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার, তীব্র উত্তেজনা
ফেনীতে চিকিৎসকের বাড়িতে ডাকাতি, আটক যুবদল নেতা কারাগারে
কারাগারে চিকিৎসা না পেয়ে আরও এক বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
খিলগাঁও-বাসাবো খাল প্লাস্টিক ময়লার ভাগাড়
রাজধানী ঢাকার পুরোনো খালগুলোর মধ্যে খিলগাঁও-বাসাবো খাল অন্যতম। সেই খাল এখন ময়লা ফেলার নিরাপদ স্থানে পরিণত হয়েছে। খালটির বেশিরভাগ জায়গা দখলের কারণে এই সরু নালায় পরিণত হয়েছে। অবৈধভাবে ভরাট করে গড়ে উঠেছে অসংখ্য স্থাপনা। খিলগাঁও জোড়পুকুর মাঠের কাছ থেকে খিলগাঁও-বাসাবো খালের শুরু। এই খালটি খিলগাঁওয়ের ভেতর দিয়ে বাসাবো হয়ে মা-া খালে গিয়ে মিশেছে। স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা কিছু এলাকায় দোকান বানিয়ে ভাড়া দিয়েছে। অবৈধ দখলদাররা এভাবে দোকানসহ নানা স্থাপনা গড়ায় বাস্তবে খালের চিহ্নও নেই খিলগাঁও, তিলপাপাড়া এলাকার অংশে। বাসাবো ছায়াবিথী এলাকা অংশে খালের পানিতে ভাসছে ময়লা-আবর্জনা ও প্লাস্টিকের নান সামগ্রী। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থায় পুরো খিলগাঁও, তিলপাপাড়া, গোড়ান ও সিপাহীবাগ এলাকার কয়েক
লাখ মানুষের ভরসা ছিল এই খাল। ওয়াসার নথিপত্রে খালটির প্রশস্ততা স্থানভেদে ১৬ থেকে ৩২ ফুট। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এই খালটি যেটুকু সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, এখন তা আবর্জনায় ভরপুর। এ ছাড়া দখলদারি ঠেকানোর কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। খিলগাঁও-বাসাবো খালের দুই পাড় বাঁধাই করার পরও খালে নির্দ্বিধায় ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা, ফলে দূষণ অব্যাহত রয়েছে। খালের পার্শ্ববর্তী বাসিন্দারা তাদের নিত্যদিনের সাংসারিক আবর্জনা ফেলছে এই খালে। কলকারখানার বর্জ্যও ফেলা হচ্ছে। খালের পার্শ্ববর্তী আবাসিক ভবনগুলোর পয়োনিষ্কাশনের জন্য ভিন্ন কোনো পথ ব্যবহার না করে সরাসরি এই খালের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। ফলে ময়লা-আবর্জনায় খালটি এখন ভরাট প্রায়। খালের পানিতে জমা প্লাস্টিকের স্তুপ। পানি থেকে আসছে দুর্গন্ধ।
খালের পানিতে বোতল, প্লাস্টিক সামগ্রী, পলিথিনের ব্যাগ, খাবারের উচ্ছিষ্টাংশ, বিভিন্ন ভাঙাচোরা সামগ্রী জমে আছে। খালের পাড়ে ময়লা স্তুপ করে রেখেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নগর পরিকল্পনাবিদরা বলেন, এখন ঢাকায় বৃষ্টি হলেই বিভিন্ন এলাকায় পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এর পেছনের মূল কারণ হলো পানি নিষ্কাশনের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেই। পানি নিষ্কাশনের মূল পথ হলো খাল। ঢাকার বেশির ভাগ খাল এখন অবৈধভাবে দখল হয়েছে। কোন কোন এলাকায় খাল রয়েছে, তা বুঝার উপায় নেই। আবার দু-একটি খাল যা রয়েছে, সেগুলোও সংরক্ষণের উদ্যোগ একবারে নেই বললেই চলে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থায় পুরো খিলগাঁও, তিলপাপাড়া, গোড়ান ও সিপাহীবাগ এলাকার কয়েক লাখ মানুষের ভরসা ছিল এই খাল। এই খালটি বেশ পুরনো।
সময়ের ব্যবধানে এখন এই খালটির দশা একেবারেই বেহাল। এখনো সুযোগ আছে এই খাল পুনরুদ্ধার করার। এ জন্য সরকারকে জোরালো ভূমিকা নিতে হবে। বাসাবো এলাকার বাসিন্দা আশরাফ বলেন, এই খালে ময়লা ফেলা এলাকার মানুষের নিত্যদিনের ঘটনা। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো খালের পানিতে যে যার মতো বাসার প্লাস্টিকের জিনিসপত্র ফেলেন। এতে খালের পানি প্রবাহ প্রায় বন্ধ। খাল পরিষ্কার রাখলে আমাদের জন্যই ভাল। এই খালের পানি ময়লা থাকার কারণে এই এলাকায় মশার উপদ্রব অনেক বেশি। অনেক বাড়িতেই এখন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। কোনো বাসার বাড়িওয়ালারা ময়লা ফেলার বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয় না। খালের আশপাশে যে সব মানুষ থাকে, তাদের অধিকাংশই প্রতিদিনের ময়লা-আবর্জনা এই খালে
ফেলে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ঢাকার খালগুলো দখল ও দূষণমুক্ত করতে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন চলছে। এ লক্ষ্যে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পানি সম্পদ, ভূমি এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় একসঙ্গে এই কর্মপরিকল্পনা করছে। নতুন বাংলাদেশ গঠনে পরিবেশ রক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।
লাখ মানুষের ভরসা ছিল এই খাল। ওয়াসার নথিপত্রে খালটির প্রশস্ততা স্থানভেদে ১৬ থেকে ৩২ ফুট। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এই খালটি যেটুকু সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, এখন তা আবর্জনায় ভরপুর। এ ছাড়া দখলদারি ঠেকানোর কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। খিলগাঁও-বাসাবো খালের দুই পাড় বাঁধাই করার পরও খালে নির্দ্বিধায় ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা, ফলে দূষণ অব্যাহত রয়েছে। খালের পার্শ্ববর্তী বাসিন্দারা তাদের নিত্যদিনের সাংসারিক আবর্জনা ফেলছে এই খালে। কলকারখানার বর্জ্যও ফেলা হচ্ছে। খালের পার্শ্ববর্তী আবাসিক ভবনগুলোর পয়োনিষ্কাশনের জন্য ভিন্ন কোনো পথ ব্যবহার না করে সরাসরি এই খালের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। ফলে ময়লা-আবর্জনায় খালটি এখন ভরাট প্রায়। খালের পানিতে জমা প্লাস্টিকের স্তুপ। পানি থেকে আসছে দুর্গন্ধ।
খালের পানিতে বোতল, প্লাস্টিক সামগ্রী, পলিথিনের ব্যাগ, খাবারের উচ্ছিষ্টাংশ, বিভিন্ন ভাঙাচোরা সামগ্রী জমে আছে। খালের পাড়ে ময়লা স্তুপ করে রেখেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নগর পরিকল্পনাবিদরা বলেন, এখন ঢাকায় বৃষ্টি হলেই বিভিন্ন এলাকায় পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এর পেছনের মূল কারণ হলো পানি নিষ্কাশনের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেই। পানি নিষ্কাশনের মূল পথ হলো খাল। ঢাকার বেশির ভাগ খাল এখন অবৈধভাবে দখল হয়েছে। কোন কোন এলাকায় খাল রয়েছে, তা বুঝার উপায় নেই। আবার দু-একটি খাল যা রয়েছে, সেগুলোও সংরক্ষণের উদ্যোগ একবারে নেই বললেই চলে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থায় পুরো খিলগাঁও, তিলপাপাড়া, গোড়ান ও সিপাহীবাগ এলাকার কয়েক লাখ মানুষের ভরসা ছিল এই খাল। এই খালটি বেশ পুরনো।
সময়ের ব্যবধানে এখন এই খালটির দশা একেবারেই বেহাল। এখনো সুযোগ আছে এই খাল পুনরুদ্ধার করার। এ জন্য সরকারকে জোরালো ভূমিকা নিতে হবে। বাসাবো এলাকার বাসিন্দা আশরাফ বলেন, এই খালে ময়লা ফেলা এলাকার মানুষের নিত্যদিনের ঘটনা। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো খালের পানিতে যে যার মতো বাসার প্লাস্টিকের জিনিসপত্র ফেলেন। এতে খালের পানি প্রবাহ প্রায় বন্ধ। খাল পরিষ্কার রাখলে আমাদের জন্যই ভাল। এই খালের পানি ময়লা থাকার কারণে এই এলাকায় মশার উপদ্রব অনেক বেশি। অনেক বাড়িতেই এখন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। কোনো বাসার বাড়িওয়ালারা ময়লা ফেলার বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয় না। খালের আশপাশে যে সব মানুষ থাকে, তাদের অধিকাংশই প্রতিদিনের ময়লা-আবর্জনা এই খালে
ফেলে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ঢাকার খালগুলো দখল ও দূষণমুক্ত করতে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন চলছে। এ লক্ষ্যে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পানি সম্পদ, ভূমি এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় একসঙ্গে এই কর্মপরিকল্পনা করছে। নতুন বাংলাদেশ গঠনে পরিবেশ রক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।



