ক্ষমতার দাপটে মিল দখল ও পরিচালকের পদ বাগিয়ে নেন মিজানুর – ইউ এস বাংলা নিউজ




ক্ষমতার দাপটে মিল দখল ও পরিচালকের পদ বাগিয়ে নেন মিজানুর

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৩১ অক্টোবর, ২০২৪ | ৮:০৯ 33 ভিউ
সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ও খুলনা-৩ আসনের সংসদ-সদস্য বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের আস্থাভাজন হিসাবে ১৭ বছর ‘রাজত্ব’ করেছেন খুলনা বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের সাবেক পরিচালক মিজানুর রহমান। ক্ষমতার দাপটে গত বছর জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে পরিচালকের পদটিও বাগিয়ে নিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি মিল দখল, বাড়ি নির্মাণ, ঘুস ছাড়া কাজ না করা, অফিসের কর্মচারীদের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত শুরু হয়েছে। খুলনার অ্যাজাক্স জুট মিলের চেয়ারম্যান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা মিজানের বিরুদ্ধে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, খুলনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের আস্থাভাজন হিসাবে

মিজানুর রহমান খুলনায় ১৭ বছর ধরেই ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে তিনি অ্যাজাক্স জুট মিলটি দখলে সহযোগিতা করেছেন। মন্নুজান সুফিয়ানের ভাই শাহাবুদ্দিন এবং খানজাহান আলী ও থানা যুবলীগ নেতা সাজ্জাদুর রহমান লিংকন বছরের পর বছর মিলটি নিজেদের কবজায় রেখেছেন। মিজানুর রহমান মুজগুন্নি এলাকায় একটি প্লট নিয়ে সেখানে নির্মাণ করেন বহুতল ভবন। মিজানের মা এবং স্ত্রীর নামে ব্যাংকে বড় অঙ্কের এফডিআর ছাড়াও শ্বশুরবাড়ির লোকদের নামে তার বিরুদ্ধে ঢাকায় বেনামে ফ্ল্যাট ক্রয়ের অভিযোগও রয়েছে। এছাড়া প্রতিমন্ত্রীর প্রভাব খাটিয়ে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ১৫ জনকে টপকে উপপরিচালক থেকে পরিচালক পদে পদোন্নতিও নিয়েছেন। সাবেক প্রতিমন্ত্রীর পুত্র সেজে তিনটি গাড়ি ব্যবহার করতেন মিজান। এছাড়া

অফিসের দুইজন কর্মচারীকে তিনি অফিসের কাজের বাইরে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কাজে ব্যবহার করতেন। ৫ আগস্টের পর মিজানুর রহমানের নানা অনিয়ম নিয়ে শ্রম দপ্তর অবরোধ এবং জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন খুলনার শ্রমিকরা। পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাও মিজানের স্বেচ্ছাচারিতার বিচার চেয়েছেন। পরে ৯ অক্টোবর মিজানুরকে গাজীপুরের টঙ্গী শিল্প সম্পর্ক শিক্ষায়তনে বদলি করা হয়। এর আগে মিজানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ খতিয়ে দেখতে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুনির হোসেন খানের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে ৮ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্তের জন্য অতিরিক্ত সচিব খুলনা সফর করেছেন। এ বিষয়ে মিজানুর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে আজগুবি অভিযোগ করা হয়েছে। অ্যাজাক্স মিল

থেকে মাসে ২ লাখ টাকা নেওয়ার বিষয়টি কখনোই সম্ভব নয়। যে বাড়ির কথা বলা হচ্ছে, সেটি তার স্ত্রীর সরকারি চাকরির লোনের টাকায় করা। পদোন্নতির বিষয়ে কোনো প্রভাব দেখানো হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী সব হয়েছে। সাবেক প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের বাড়ি খুলনায় এবং তিনি এখানে দায়িত্ব থাকায় সখ্য ছিল। এর বাইরে আর কোনো সম্পর্ক নেই। আপাতত এসব বিষয়ে আর কথা বলতে চাচ্ছি না। তদন্ত হলেই সব জানা যাবে। আমি আমার ব্যাখ্যা তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জানাব।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বাংলাদেশ ব্যাংক – এএফআই’র উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত আমেরিকান অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক বনভোজন ‘মোদিপন্থী’ তুলসীই হলেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক বাস্কেটবল খেলোয়াড়কে বিয়ে করছেন পার্ক-হা-না বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে, নাগরিকদের সতর্ক করলো যুক্তরাজ্য মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৩৭ অভিবাসী আটক ‘নাগরিকত্ব বিক্রি’ করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে যে দেশ ‘আমাদের অর্থ ফেরত চাই’, ইউক্রেনকে ট্রাম্প ইউক্রেনে শান্তি ফেরাতে চীনের মধ্যস্থতা চান ট্রাম্প, বেইজিং কী চায়? নিজের ধর্ষণের বর্ণনা শুনিয়ে মার্কিন হাউসকে হতবাক করলেন ন্যান্সি হজ পালনে নতুন শর্ত দিল সৌদি গাজায় যুদ্ধ শুরু হলে ইসরাইলে হামলার হুঁশিয়ারি হুথিদের অতীতের বিতর্কিত পোস্টের জন্য ক্ষমা চাইলেন সোফিয়া রামচরণের সন্তান নিয়ে বাবা চিরঞ্জীবীর মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় রান তাড়ার ইতিহাস গড়ে ফাইনালে পাকিস্তান সাধারণ জীবনযাত্রায় যেসব পরিবর্তনে হৃদরোগ প্রতিরোধ সম্ভব না চালালেও যেসব অ্যাপ শেষ করছে আপনার স্মার্টফোনের চার্জ ভালোবাসা দিবসের আগে ক্যাটরিনাকে বিচিত্র প্রাণী বললেন স্বামী, কারণ কি? এবার বিশ্বমঞ্চে উপেক্ষিত হলেন নরেন্দ্র মোদি! জামায়াত মুনাফেকি ছাড়া কিছুই করেনি: রিজভী