ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
শান্ত কেন উইকেটকিপার, যা বললেন রিশাদ
হৃদয়-মায়ার্সের তাণ্ডবে বরিশালের দুরন্ত জয়
তিন মোড়লের দুই স্তরের টেস্ট প্রস্তাবে বিরক্ত লয়েড
হঠাৎ মাঠে ঢুকে ক্রিকেটারের ওপর টাকার বৃষ্টি সমর্থকের
বিশ্বকাপজয়ীর ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে রেকর্ডগড়া জয় রংপুরের
‘বাংলাদেশে কোনো ভবিষ্যৎ নেই, টাকা ছাড়া জীবন মূল্যহীন’
ফারুক-ফাহিমের দ্বন্দ্বে মনে ব্যথা পেয়েছেন সুজন
কেন হঠাৎ বাংলাদেশ দল থেকে বিরতি, জবাব দিলেন জাহানারা
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার জাহানারা আলম আছেন তার ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে। ঠিক এই সময় এসে মানসিক অবসাদের জন্য তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে, যা আবার বাংলাদেশের বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
এমন পরিস্থিতিতে তিনি অবসরই নিয়ে ফেলেছেন কি না, তা নিয়ে গুঞ্জন উঠেছিল বেশ। তবে জাহানারা বিষয়টা পরিষ্কার করেছেন সম্প্রতি। ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, টানা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চাপটা বেশিই হয়ে যাচ্ছিল তার, সে কারণেই এই বিরতি।
জাতীয় দল থেকে বিরতি নিয়েছেন বটে, জাহানারা অবশ্য ক্রিকেট থেকে সরে যাননি। তিনি এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানে সিডনি ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে তিনি খেলছেন দেশটির ফার্স্ট
গ্রেড প্রিমিয়ার লিগে। বিষয়টা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়াইনি। আমি শুধু কিছু সময়ের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় দল থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। আমি তাদের সেটা জানিয়েছি। সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ালে তো এখানেও খেলতে পারতাম না।’ অস্ট্রেলিয়ায় খেলা শেষে জাহানারা আলম ফিরবেন বাংলাদেশে। এখানে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলবেন বলে জানালেন তিনি। তার কথা, ‘আমি বাংলাদেশে ফিরেও ঘরোয়া ক্রিকেট খেলব। আমি তাদের এটাও জানিয়েছি। এনওসি পেলে সব ধরনের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটও খেলব।’ জাতীয় দলে এই বিরতি কবে শেষ হবে? জাহানারা বলেন, ‘আমি কবে ফিরব, তা আমার ওপর নির্ভর করছে। আমি কোথাও কোথাও দেখলাম আমি দুই মাসের বিরতি নিয়েছি। কিন্তু আমি নিজের ওপর
কোনো সময় বেধে দেইনি।’ সরে যাওয়ার কারণটা কি শুধুই মানসিক? সে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কোনো বিশেষ কারণ নেই আসলে। স্রেফ নিয়ে নিয়েছি। আমি অনেক দিন ধরে ক্রিকেট খেলছি, তো মনে হয়েছে একটা বিরতি নিই। সবকিছু কি মানসিক অবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত? না। আমরা ক্রিকেটটা খেলি তাতে ১০ শতাংশ থাকে আমাদের স্কিল। বাকিটা মানসিক বিষয়, না? সবকিছু তার সঙ্গে জড়িত। আপনি বলতে পারেন, আমার বিরতিটা দরকার ছিল।’ ‘আলহামদুলিল্লাহ, এখন কিছুটা ভালো আছি। এখানে আমি বেশ সুখি। আমি সিডনি ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলছি, যেটা এখানকার ফার্স্ট গ্রেড প্রিমিয়ার লিগ আপনি বলতে পারেন। আমি কোচিংয়েও হাত পাকাচ্ছি, এখানের বোলারদের সাহায্য করছি। তো আমার এই উন্নতিটা
হয়েছে। এখানে একটা বৃত্তিও পেয়েছি।’ তার সরে দাঁড়ানোর পেছনে কোচ হাশান তিলকরত্নের হাত আছে বলে ধারণা করেন অনেকেই। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করেও জাতীয় দলের একাদশে সুযোগ না পাওয়াটা একটা বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে যেখানে। তবে সে সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন জাহানারা। তিনি বলেন, ‘না এমন কিছু নয়। এটা আমার কাছে খুবই ব্যক্তিগত ব্যাপার। তেমন কিছু নয় মোটেও। যদি আপনি ভাবেন যে ওটা কারণ ছিল, তাহলে উত্তরটা হবে, না। আমি এই সিদ্ধান্তটা আরও আগে নিতে পারতাম, যখন কঠিন সময় চলছিল আমার। তবে আমি ভালোভাবেই ফিরে এসেছি।’ সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে এই বিরতিটা তার প্রাপ্য, মনে করেন জাহানারা। বলেন, ‘জাতীয় দলের হয়ে ১৬ বছর ধরে খেলছি,
১৮ বছর ধরে সার্কিটে আছি। আমি বিরতিটা নিতে পারি। অন্তত এটা তো আমার পাওনা, না? সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে আমি বোর্ডের কাছে চাইতেই পারি যে আমি আবার পরবর্তীতে ফিরতে চাই।’ জাহানারা জানালেন, এই বিষয়ে বোর্ডের নারী উইংয়ের ইন চার্জ হাবিবুল বাশার সুমনের সঙ্গেও আলাপ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি ফোনে সুমন ভাইয়ের সঙ্গে আলাপ করেছি, আনুষ্ঠানিক চিঠিতে নয়। আমি বলেছি আমি বিরতি নিতে চাই, আমি পরে দলে ফিরে আসার চেষ্টা ক্রুব। আমি তাকে আরও বলেছি যে আমি প্রক্রিয়া মেনেই ফিরতে চাই, ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করে দলে আসতে চাই যা আমি আগের বছরও করেছি। তিনি বলেছেন, ঠিক আছে, তুমি বিরতি নিতে চাইছো, আমরা তোমাকে
কিছু বলব না, যেহেতু বিষয়টা তোমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে তুমি বিষয়টা আবারও ভেবে দেখো। আমি তাকে বলেছি আমাকে যেন কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেও সরিয়ে নেওয়া হয়, যেহেতু আমি জাতীয় দলে খেলছি না। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করে ফিরতে চাই, আমি এটাই করব।’
গ্রেড প্রিমিয়ার লিগে। বিষয়টা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়াইনি। আমি শুধু কিছু সময়ের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় দল থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। আমি তাদের সেটা জানিয়েছি। সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ালে তো এখানেও খেলতে পারতাম না।’ অস্ট্রেলিয়ায় খেলা শেষে জাহানারা আলম ফিরবেন বাংলাদেশে। এখানে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলবেন বলে জানালেন তিনি। তার কথা, ‘আমি বাংলাদেশে ফিরেও ঘরোয়া ক্রিকেট খেলব। আমি তাদের এটাও জানিয়েছি। এনওসি পেলে সব ধরনের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটও খেলব।’ জাতীয় দলে এই বিরতি কবে শেষ হবে? জাহানারা বলেন, ‘আমি কবে ফিরব, তা আমার ওপর নির্ভর করছে। আমি কোথাও কোথাও দেখলাম আমি দুই মাসের বিরতি নিয়েছি। কিন্তু আমি নিজের ওপর
কোনো সময় বেধে দেইনি।’ সরে যাওয়ার কারণটা কি শুধুই মানসিক? সে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কোনো বিশেষ কারণ নেই আসলে। স্রেফ নিয়ে নিয়েছি। আমি অনেক দিন ধরে ক্রিকেট খেলছি, তো মনে হয়েছে একটা বিরতি নিই। সবকিছু কি মানসিক অবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত? না। আমরা ক্রিকেটটা খেলি তাতে ১০ শতাংশ থাকে আমাদের স্কিল। বাকিটা মানসিক বিষয়, না? সবকিছু তার সঙ্গে জড়িত। আপনি বলতে পারেন, আমার বিরতিটা দরকার ছিল।’ ‘আলহামদুলিল্লাহ, এখন কিছুটা ভালো আছি। এখানে আমি বেশ সুখি। আমি সিডনি ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলছি, যেটা এখানকার ফার্স্ট গ্রেড প্রিমিয়ার লিগ আপনি বলতে পারেন। আমি কোচিংয়েও হাত পাকাচ্ছি, এখানের বোলারদের সাহায্য করছি। তো আমার এই উন্নতিটা
হয়েছে। এখানে একটা বৃত্তিও পেয়েছি।’ তার সরে দাঁড়ানোর পেছনে কোচ হাশান তিলকরত্নের হাত আছে বলে ধারণা করেন অনেকেই। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করেও জাতীয় দলের একাদশে সুযোগ না পাওয়াটা একটা বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে যেখানে। তবে সে সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন জাহানারা। তিনি বলেন, ‘না এমন কিছু নয়। এটা আমার কাছে খুবই ব্যক্তিগত ব্যাপার। তেমন কিছু নয় মোটেও। যদি আপনি ভাবেন যে ওটা কারণ ছিল, তাহলে উত্তরটা হবে, না। আমি এই সিদ্ধান্তটা আরও আগে নিতে পারতাম, যখন কঠিন সময় চলছিল আমার। তবে আমি ভালোভাবেই ফিরে এসেছি।’ সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে এই বিরতিটা তার প্রাপ্য, মনে করেন জাহানারা। বলেন, ‘জাতীয় দলের হয়ে ১৬ বছর ধরে খেলছি,
১৮ বছর ধরে সার্কিটে আছি। আমি বিরতিটা নিতে পারি। অন্তত এটা তো আমার পাওনা, না? সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে আমি বোর্ডের কাছে চাইতেই পারি যে আমি আবার পরবর্তীতে ফিরতে চাই।’ জাহানারা জানালেন, এই বিষয়ে বোর্ডের নারী উইংয়ের ইন চার্জ হাবিবুল বাশার সুমনের সঙ্গেও আলাপ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি ফোনে সুমন ভাইয়ের সঙ্গে আলাপ করেছি, আনুষ্ঠানিক চিঠিতে নয়। আমি বলেছি আমি বিরতি নিতে চাই, আমি পরে দলে ফিরে আসার চেষ্টা ক্রুব। আমি তাকে আরও বলেছি যে আমি প্রক্রিয়া মেনেই ফিরতে চাই, ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করে দলে আসতে চাই যা আমি আগের বছরও করেছি। তিনি বলেছেন, ঠিক আছে, তুমি বিরতি নিতে চাইছো, আমরা তোমাকে
কিছু বলব না, যেহেতু বিষয়টা তোমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে তুমি বিষয়টা আবারও ভেবে দেখো। আমি তাকে বলেছি আমাকে যেন কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেও সরিয়ে নেওয়া হয়, যেহেতু আমি জাতীয় দলে খেলছি না। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করে ফিরতে চাই, আমি এটাই করব।’