কলকাতায় ‘মিনি বাংলাদেশে’ বছরে ক্ষতি ১ হাজার কোটি রুপি – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ৫ আগস্ট, ২০২৫
     ৯:৩৬ পূর্বাহ্ণ

কলকাতায় ‘মিনি বাংলাদেশে’ বছরে ক্ষতি ১ হাজার কোটি রুপি

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৫ আগস্ট, ২০২৫ | ৯:৩৬ 68 ভিউ
বাংলাদেশি পর্যটক যাতায়াত না থাকায় গত এক বছর ধরে টিকে থাকার সংগ্রাম করছেন কলকাতার ব্যবসায়ীরা। এরইমধ্যে নিউ মার্কেট, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট ও মারকুইস স্ট্রিটের বেশকিছু দোকান, হোটেল ও ট্রাভেল কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেছে। যারা টিকে আছেন তারা এখন পরিস্থিতি বদলের অপেক্ষায়। কলকাতায় বাংলাদেশি পর্যটককেন্দ্রিক ব্যবসার চিত্র নিয়ে সোমবার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া। এতে নিউমার্কেট ঘেঁষা এলাকাকে ‘মিনি বাংলাদেশ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকায় রাজনৈতিক পালাবদলের কারণে কলকাতায় ব্যবসায়িক ক্ষতি ছাড়িয়েছে ১ হাজার কোটি রুপির বেশি। সুলভ মূল্যে হোটেল, বাংলা খাবারের রেস্তোরাঁ, হাসপাতাল এবং রেলস্টেশন ও বাস টার্মিনাল কাছে থাকায় ফ্রি স্কুল, মারকুইস স্ট্রিট ছিল বাংলাদেশিদের

কাছে জনপ্রিয় গন্তব্য। বর্তমানে এসব এলাকার গলিগুলো নিস্তব্ধ। কয়েকটি ব্যবসায়ী সমিতির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে ‘মিনি বাংলাদেশ’-এর ক্ষতি হয়েছে ১ হাজার কোটি রুপির বেশি। কোনো কোনো ব্যবসায়ী আবার এ ক্ষতির অঙ্ক আরো বেশি বলে দাবি করেছেন। ফ্রি স্কুল স্ট্রিট ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী খান বলেন, হোটেল, রেস্তোরাঁ, খুচরা ব্যবসা, ট্রাভেল এজেন্ট, বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়, চিকিৎসা সেবা ও পরিবহন থেকে প্রতিদিনের ব্যবসার পরিমাণ ৩ কোটি রুপি। যদি নিউ মার্কেট ও বুররাবাজারের ক্ষতিও ধরা হয়, তাহলে অঙ্কটি ৫ হাজার কোটি রুপিরও বেশি দাঁড়ায়। এলাকাটির বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। কিছু প্রতিষ্ঠান স্থানীয় ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা

করছে। মারকুইস স্ট্রিটের একটি ট্রাভেল কোম্পানির ব্যবস্থাপক প্রবীর বিশ্বাস বলেন, এক বছর আগেও এখানে বাস পার্কিংয়ের জায়গা হতো না। এখন টানা কয়েকদিন চলে যায়, কিন্তু কোনো পর্যটক আসে না। বেশি ক্ষতি যেসব খাতে বাংলাদেশি টাকায় লেনদেন করা মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা এখন প্রায় বন্ধ। মারকুইস স্ট্রিট মানি এক্সচেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়শেনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইনতেজার বলেন, পুরোপুরি বাংলাদেশি পর্যটকদের ওপর নির্ভরশীল ছিলাম। এখন আমরা টিকে থাকার লড়াই করছি। ব্যবসায়ীদের মতে, সংকট শুরুর পর থেকে এলাকার প্রায় ৪০ শতাংশ ছোট ও মাঝারি রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে গেছে। বেশ কিছু বড় রেস্তোরাঁ এখন সীমিত বাজেটে চলছে। রাধুনি রেস্তোরাঁর মালিক এনসি ভৌমিক বলেন, আমরা এখন পরিস্থিতি পাল্টানোর

অপেক্ষায় আছি। ঢাকায় রাজনৈতিক পট পরিবর্তন কলকাতার ব্যবসায়ীদের কাছে গত কয়েক বছরের মধ্যে ছিল দ্বিতীয় ধাক্কা। করোনাকালের সংকট কাটিয়ে অনেকে নতুন করে বিনিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশি পর্যটক আসা বন্ধ হওয়ার পর থেকে ব্যবসায়ীরা দ্বিতীয় দফায় বিপাকে পড়েন। বিশেষ করে ঋণ নিয়ে যারা বিনিয়োগ করেছিলেন তাদের জন্য এখন টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। পর্যটননির্ভর আরও কিছু খাত যেমন, বাসায় রান্না করা খাবার সরবরাহকারী, হোমস্টে, ট্যুর গাইড ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। এলিয়ট রোডের বাসিন্দা ফারহান রসুল বলেন, করোনা মহামারির পর চাহিদা বেড়ে গেলে আমি দুটি বাণিজ্যিক গাড়ি কিনেছিলাম। তখন ব্যবসা এতো ভালো চলছিল যে অনেক সময় কাস্টমারকে ফিরিয়ে দিতে

হতো। এখন মাসে পাঁচ-ছয়টি বুকিংও জোটে না। স্থানীয় কাস্টমাররাও বেশি ভাড়া দিয়ে চলতে চায় না।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
অভদ্ররা ভাবে জবাব দেওয়ার ক্ষমতা নেই : প্রভা পুরান ঢাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সাইদ মামুন গুলিতে নিহত যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে লেবাননে ফের ইসরায়েলের হামলা থাই-মালয়েশিয়া সীমান্তে নৌকাডুবি, নিহত ১১ পাল্টা শুল্ক থেকে অর্জিত অর্থের লভ্যাংশ জনগণকে দেবেন ট্রাম্প আমাকে সবাই প্রোডাক্ট বানিয়েছিল : প্রসেনজিৎ নতুন রূপে শবনম বুবলী ক্রিকেট বোর্ডের চার কর্মকর্তা ওএসডি টাঙ্গাইলে নির্বাচন অফিসে বিএনপির হামলায় কর্মকর্তাসহ আহত ৪ আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ৫.৪ মাত্রার ভূমিকম্প গ্র্যামির মনোনয়ন থেকে বাদ টেইলর সুইফট পপি সিড খাবার নাকি মাদক? জামায়াতের ক্ষমা প্রার্থনা: তিন আমির, তিন ভাষা প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মসূচি ‘আপাতত’ স্থগিত নিমন্ত্রণে জানভি কাপুরের মতো সাজতে চান, রইল উপায় ইংরেজি উচ্চারণ নিয়ে দীপিকাকে কটাক্ষ! যে জবাব দিলেন অভিনেত্রী ধসের মুখে ভারতের চিংড়ি রপ্তানি শিল্প গাজায় গণহত্যার প্রমাণ ইচ্ছাকৃতভাবে গোপন করেছিল বাইডেন প্রশাসন বিএনপির মনোনয়ন পাননি নেতা, প্রতিবাদে দুই কিলোমিটার জুড়ে মানববন্ধন সমর্থকদের মেট্রোরেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ছুটি বাতিল