কনস্যুলেটে বিএনপির কর্মীসভা মেক্সিকো রাষ্ট্রদূতের, নিউ ইয়র্ক কনস্যুলেটের নয়! – ইউ এস বাংলা নিউজ




কনস্যুলেটে বিএনপির কর্মীসভা মেক্সিকো রাষ্ট্রদূতের, নিউ ইয়র্ক কনস্যুলেটের নয়!

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১০ এপ্রিল, ২০২৫ | ৫:০৫ 23 ভিউ
নিউ ইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয়ে মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল (আনসারী) মতবিনিময় সভার নামে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর কর্মীসভার খবর প্রকাশের পর যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশি কূটনৈতিক মহলেও বইছে আলোচনার ঝড়। মার্কিন বাংলা সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশ করলে প্রবাসীদের মাঝে শুরু হয় তোলপাড়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়ম-নীতি এবং রাষ্ট্রদূতের আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল (আনসারী)’র নেতৃত্বাধীন বিএনপির এ কর্মীসভাটি গত শুক্রবার (৪ এপ্রিল) কনস্যুলেট জেনারেলে অনুষ্ঠিত হলেও প্রকৃতপক্ষে এটি কনস্যুলেট জেনারেলের কোন অনুষ্ঠান ছিল না বলে জানা গেছে। নিউ ইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান,

গত শুক্রবার (৪ এপ্রিল) কনস্যুলেট জেনারেলে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভাটি তাদের নিজস্ব কোন অনুষ্ঠান ছিল না। আমন্ত্রণপত্রেই তা স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। চিঠির নিচে বলা হয়েছে ধন্যবাদান্তে, বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, নিউ ইর্য়ক (মান‍্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব মুশফিকুল ফজল (আনসারী)’র পক্ষে), কিন্ত অনেকেই হয়তোবা বুঝতে পারেননি। এদিকে মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল (আনসারী) নিউ ইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয় পরিদর্শন এবং প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবার ৫দিন গত হলেও বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল এখন পর্যন্ত কোন মিডিয়াতে প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠাননি। সাধারনত যে কোন অনুষ্ঠানের পর দিনেই কনস্যুলেট জেনারেল থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়। শুধুমাত্র এ ক্ষেত্রে ঘটেছে ব্যতিক্রম ঘটনা। শুধু তাই নয় গত

৫ দিনেও কনস্যুলেট জেনারেলের ওয়েবসাইটেও মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সফর সংক্রান্ত কোন তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। ফলে মতবিনিময় সভার নামে রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল (আনসারী) সুকৌশলে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের নিয়ে একটি কর্মীসভা করেছেন এখন তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। কী লেখা ছিল সেই আমন্ত্রণপত্রে? প্রিয় সুধী, আসসালামু আলাইকুম, মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান‍্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব মুশফিকুল ফজল (আনসারী) আগামীকাল (০৪ এপ্রিল, ২০২৫) শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচ ঘটিকায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, নিউ ইয়র্ক-এ শুভেচ্ছা সফর করবেন। মান‍্যবর রাষ্ট্রদূত উক্ত সময়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আগ্রহী । এ প্রেক্ষিতে আগামীকাল সন্ধ্যা ০৫.৩০ ঘটিকায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, নিউ ইর্য়ক এ আপনি সাদরে আমন্ত্রিত। ধন্যবাদান্তে, বাংলাদেশ

কনস্যুলেট জেনারেল, নিউ ইর্য়ক (মান‍্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব মুশফিকুল ফজল (আনসারী)’র পক্ষে) সরকারি নিয়ম-নীতির উপেক্ষা করে উক্ত সভার আয়োজনের সুযোগ করে দেন খোদ কনসাল জেনারেল নাজমুল হুদা। তিনি তার কর্মচারীদের দ্বারা যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতাকর্মীদের ফোনে করে ও ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে উক্ত মতবিনিময় সভার উক্ত আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছেন বলে আমন্ত্রিতদের অনেকেই উল্লেখ করেছেন। রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল (আনসারী) তার ক্ষমতা ও ব্যক্তিগত প্রভাব খাটিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়ম-নীতি এবং রাষ্ট্রদূতের আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে নিজেই যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনসাল জেনারেলের কার্যালয় পরিদর্শনের জন্য প্রস্তাব দেন এবং তার এ সফরের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোন অনুমতি ছিল না বলে জানা গেছে। তার এ প্রস্তাব পেয়ে কনসাল জেনারেল উক্ত

আমন্ত্রণপত্রটি তৈরি করে বেছে বেছে বিএনপির নেতাকর্মীসহ দুর্ঘটনাজনিত মামলার কিছু আইনজীবি ও ধানের শীষ মার্কা সাংবাদিকেরদের আমন্রণ জানান। উক্ত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সকলেই প্রায় বিএনপির নেতাকর্মী বলে জানা গেছে। মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল (আনসারী) নিউ ইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয় পরিদর্শন এবং প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার প্রেস বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে এবং গত ৫ দিনেও কনস্যুলেট জেনারেলের ওয়েবসাইটেও রাষ্ট্রদূতের সফর সংক্রান্ত কোন তথ্য প্রকাশ করা হয়নি কেন এ সংক্রান্ত ইমেইলে ও মুঠোফোনের বার্তায় প্রশ্ন করা হয়েছিল নিউ ইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হুদাকে। তিনি কোন সুদত্তর দেননি। বিভিন্ন কূটনীতিক সূত্রে

জানা গেছে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস কিংবা সরকারি দপ্তরগুলো মেক্সিকোর বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের অধিক্ষেত্র বা এখতিয়ারে নেই। তাই মেক্সিকো বা অন্য কোন দেশের বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূ্তরা যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য দেশের কোন দরকারি দপ্তর পরিদর্শন করতে হলে কূটনীতিক নিয়মানুসারে অবশ্যই সরকারি অনুমতিপত্র লাগবে। পরিদর্শনের পুর্বেই সংশ্লিষ্ট কমকর্তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক অবশ্যই চিঠি দিয়ে পুর্বেই অবহিত করা হয়, কিন্তু এসব নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই মুশফিকুল ফজল (আনসারী) ক্ষমতা ও ব্যক্তিগত প্রভাব খাঁটিয়ে নিউ ইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলকে ব্যবহার করে সরকারি অফিসে বসেই মতবিনিময় সভার নামে বিএনপির কর্মীসভা করেন। যদিও বিএনপি এখনও কোন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় নেই। এ নিয়ে নিউ ইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে শুরু হয়েছে নানা

গুঞ্জন। এছাড়াও বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশি কূটনৈতিক মহলেও বইছে আলোচনার ঝড়। মেক্সিকো থেকে এসে নিউ ইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনসাল জেনারেলের কার্যালয়ে কীভাবে একটি দলীয় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হলো এ প্রশ্নের উত্তরের জন্য কনসাল জেনারেল নাজমুল হুদার সঙ্গে ফোনে ও ক্ষুদে বার্তায় যোগাযোগ করা হয়। তিনি ফোন না ধরলেও ক্ষুদে বার্তায় তার মতামত দিতে অপারগতা প্রকাশ করে লিখেন ‘নো কমেন্টস। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল (আনসারী)কে মুঠোফোনের ক্ষুদে বার্তায় প্রশ্ন করা হয়েছিলে যে নিউ ইয়র্ক বাংলাদেশ কন্স্যুলেট কার্যালয়ে শুক্রবার রাতে আপনি বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে একটি মতবিনিময় সভা করেছেন সেখানে মেক্সিকোর বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতাকর্মীদের সামনে বক্তব্য দিয়েছেন। কেন এবং কি কারণে কন্স্যুলেটে বসে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করলেন জানাবেন। আপনার মতামত জরুরি। এ প্রশ্নের জবাবে তিনি উত্তর দেন ‘আই লেট হিম ডাই’। বুঝতে না পারায় বিষয়টি পরিস্কার করার জন্য অনুরোধ করা হলে তিনি লিখেন- ‘আমি এখন কাজে আছি’, ‘এখন নিউ ইয়র্কে নাই’ আমি কম্বোডিয়ায়। তিনি শেষে গুডবাই বলেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের জন্য প্রযোজ্য চাকরির নিয়মাবলী প্রধানত বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পররাষ্ট্র ক্যাডার ও সংশ্লিষ্ট বিধিমালার আওতায় পরিচালিত হয়, যার মধ্যে নিয়োগ, পদোন্নতি ও আচরণবিধি অন্তর্ভুক্ত। রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করেন রাষ্ট্রপতি বা তাঁর কর্তৃক নির্ধারিত কোনো কর্মকর্তার মাধ্যমে। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পররাষ্ট্র ক্যাডার ও সংশ্লিষ্ট বিধিমালা বহির্ভুতভাবে বিশেষ বিবেচনায় ২০২৫ সালের ২৭ জানুয়ারিতে তাকে মেক্সিকোর বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু ব্যক্তিগত প্রভাব খাটিয়ে তিনি রাষ্ট্রদূতের আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে অনেকেই ধারণা করছেন। রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল (আনসারী) কোন কূটনীতিক নন। তিনি একজন সাংবাদিক ছিলেন। অথচ তিনি নিজের প্রফাইলে নিজেকেই একজন খ্যাতিমান কূটনীতিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। শুধু তাই নয় তিনি নিজেকে একজন জনসেবকও বলেছেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ট্রাম্পের তড়িঘড়ি নীতি ও শুল্ক যুদ্ধের নেপথ্যে কী? হেরেই চলেছে হামজার শেফিল্ড ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে ‘ম্যাস সেন্সরশিপ’র নেপথ্যে ইসরাইল ইসির কাছে ২ মাস সময় চাইবে এনসিপি নেতানিয়াহুর ছবিতে পেটানোর খবর ইসরাইলের গণমাধ্যমে জালমিকে উড়িয়ে গ্ল্যাডিয়েটরদের জয়জয়কার মালয়েশিয়ায় গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন ডাসারের আলম ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু হাওড়াঞ্চলে মিষ্টি কুমড়া চাষ করে লোকসানে কৃষক চট্টগ্রামে আ.লীগ ও ছাত্রলীগের ২৮ নেতাকর্মী গ্রেফতার ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা, যুবক গ্রেফতার কোনো মেডিকেল কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি: মহাপরিচালক যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করে বহিষ্কারের মুখে শিক্ষার্থী বাংলাদেশের সব মানুষ ফিলিস্তিনিদের পাশে আছে: শায়খ আহমাদুল্লাহ মোনাজাতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা চেয়ে কাঁদলেন লাখো মানুষ ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির ঘোষণাপত্রে যা বলা হলো পহেলা বৈশাখে কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির ঘোষণাপত্র পাঠ করলেন মাহমুদুর রহমান এবার এআইয়ের ফাঁদে ওবায়দুল কাদের চারদিক থেকে রাফা ঘেরাও করে ফেলেছে ইসরাইল