
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

যুক্তরাষ্ট্র থেকে সস্ত্রীক দেশে ফিরেই বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলসহ চার দাবিতে হেফাজতের বিক্ষোভ

এক-এগারোর পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া ঠিক হবে না: ইকবাল করিম

পোস্টার লাগানো নিয়ে দ্বন্দ্ব, ‘গুলিতে’ বিএনপি কর্মী নিহত

ভারত এই পরাজয় কখনোই ভুলবে না: শাহবাজ শরিফ

বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি

ডিসেম্বরে নির্বাচন না দিলে সহযোগিতা অব্যাহত রাখা কঠিন হবে: বিএনপি
ওবায়দুল কাদেরের বিবৃতিঃ তীব্র ক্ষোভে, রাগে, গালাগালিতে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান তৃনমূলের নেতাকর্মিদের

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাম্প্রতিক বিবৃতি দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও বিরক্তি সৃষ্টি করেছে। দলের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ওবায়দুল কাদেরের বিবৃতির শিরোনাম ছিল, “ধ্বংসপ্রাপ্ত, ক্ষতবিক্ষত আর রক্তাক্ত এই বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ার লক্ষে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা আবার হাল ধরবেন।” এই বিবৃতি প্রকাশের পর থেকে তৃণমূল নেতাকর্মীরা সামাজিক মাধ্যমে তীব্র সমালোচনা ও গালিগালাজের মাধ্যমে তাদের হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। তাদের অভিযোগ, শেখ হাসিনা ছাড়া দলের অন্য কোনো নেতার নেতৃত্ব বা বিবৃতি তারা মেনে নিতে প্রস্তুত নন।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের পতন এবং জীবন রক্ষার্থে তাঁর ভারতে চলে যাওয়ার পর থেকে আওয়ামী
লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি তৃণমূলের ক্ষোভ ক্রমশ বেড়ছে। ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সেই সময়ে একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সংগঠনকে বছরের পর বছর ধরে অকার্যকর করেছেন, বিভক্তি এনেছেন এবং দলের নেতাকর্মীদের বিপদের মুখে ফেলে সবার আগে আত্মগোপনে চলে গিয়েছিলেন। গত দশ মাসে তিনি দলের নেতাকর্মীদের খোঁজখবর না নেওয়ায় তৃণমূলের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা কার্যত শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। ফেসবুক পোস্টের কমেন্টে একজন তৃণমূল কর্মী লিখেছেন, “আপনার নেতৃত্ব আর মানব না। শেখ হাসিনাই আমাদের একমাত্র নেত্রী। আপনারা কোথায় ছিলেন যখন আমরা রাস্তায় মার খাচ্ছিলাম?” একইভাবে, দলের আরেক শীর্ষ নেতা জাহাঙ্গির কবির নানকের বিবৃতিও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে কোনো উৎসাহ সৃষ্টি করতে পারেনি। ড.
মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগের গুঞ্জনের মধ্যে এই নেতারা একের পর এক বিবৃতি দিয়ে দলে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করার চেষ্টা করলেও, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা তাদের প্রতি বিরক্তি ও অবিশ্বাস প্রকাশ করছেন এবং তাদের প্রত্যাখ্যান করেছেন। একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “ওবায়দুল কাদের আর নানকের মতো নেতারা দলের জন্য কিছুই করেননি। তারা শুধু নিজেদের স্বার্থ দেখেছেন। আমরা শুধু শেখ হাসিনার নেতৃত্ব চাই।” ২০২৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও ভারতে চলে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। ১০ মে ২০২৫ সালে অন্তর্বর্তী সরকার দলের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে এবং ১২ মে নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন স্থগিত
করে। এই পরিস্থিতিতে দলের তৃণমূল নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি তাদের অটল সমর্থন ব্যক্ত করলেও, ওবায়দুল কাদের ও জাহাঙ্গির কবির নানকের মতো নেতাদের প্রতি তাদের আস্থা হ্রাস পেয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তৃণমূল কর্মীদের প্রতিক্রিয়ায় দেখা যায়, তারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলের পুনর্গঠনের আশা করছেন। একজন কর্মী ফেসবুকে লিখেছেন, “শেখ হাসিনা ছাড়া আওয়ামী লীগ কল্পনা করা যায় না। ওবায়দুল কাদেরের মতো নেতারা শুধু বিবৃতি দিয়ে নিজেদের বাঁচাতে চান।” আরেকজন লিখেছেন, “আমরা শেখ হাসিনার জন্য অপেক্ষা করছি। তিনি ফিরে এলে দল আবার শক্তিশালী হবে।” রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আওয়ামী লীগের বর্তমান সংকটের মূলে রয়েছে শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব। শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে দলের অন্য নেতারা
তৃণমূলের আস্থা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। বিশ্লেষক আব্দুল লতিফ মাসুম বলেন, “শেখ হাসিনার নেতৃত্বের উপর তৃণমূলের এই নির্ভরতা দলের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। অন্য কোনো নেতা এখনো তাঁর স্থান পূরণ করতে পারেননি।” এদিকে, ওবায়দুল কাদের ও জাহাঙ্গির কবির নানকের বিবৃতি দলের ভেতরে বিভেদ আরও গভীর করছে। তৃণমূল নেতাকর্মীরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, শেখ হাসিনা ছাড়া দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের কোনো আগ্রহ নেই। এই পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের পুনর্গঠন ও রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তন শেখ হাসিনার নেতৃত্বের উপরই নির্ভর করছে বলে মনে করছেন অনেকে।
লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি তৃণমূলের ক্ষোভ ক্রমশ বেড়ছে। ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সেই সময়ে একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সংগঠনকে বছরের পর বছর ধরে অকার্যকর করেছেন, বিভক্তি এনেছেন এবং দলের নেতাকর্মীদের বিপদের মুখে ফেলে সবার আগে আত্মগোপনে চলে গিয়েছিলেন। গত দশ মাসে তিনি দলের নেতাকর্মীদের খোঁজখবর না নেওয়ায় তৃণমূলের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা কার্যত শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। ফেসবুক পোস্টের কমেন্টে একজন তৃণমূল কর্মী লিখেছেন, “আপনার নেতৃত্ব আর মানব না। শেখ হাসিনাই আমাদের একমাত্র নেত্রী। আপনারা কোথায় ছিলেন যখন আমরা রাস্তায় মার খাচ্ছিলাম?” একইভাবে, দলের আরেক শীর্ষ নেতা জাহাঙ্গির কবির নানকের বিবৃতিও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে কোনো উৎসাহ সৃষ্টি করতে পারেনি। ড.
মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগের গুঞ্জনের মধ্যে এই নেতারা একের পর এক বিবৃতি দিয়ে দলে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করার চেষ্টা করলেও, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা তাদের প্রতি বিরক্তি ও অবিশ্বাস প্রকাশ করছেন এবং তাদের প্রত্যাখ্যান করেছেন। একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “ওবায়দুল কাদের আর নানকের মতো নেতারা দলের জন্য কিছুই করেননি। তারা শুধু নিজেদের স্বার্থ দেখেছেন। আমরা শুধু শেখ হাসিনার নেতৃত্ব চাই।” ২০২৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও ভারতে চলে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। ১০ মে ২০২৫ সালে অন্তর্বর্তী সরকার দলের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে এবং ১২ মে নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন স্থগিত
করে। এই পরিস্থিতিতে দলের তৃণমূল নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি তাদের অটল সমর্থন ব্যক্ত করলেও, ওবায়দুল কাদের ও জাহাঙ্গির কবির নানকের মতো নেতাদের প্রতি তাদের আস্থা হ্রাস পেয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তৃণমূল কর্মীদের প্রতিক্রিয়ায় দেখা যায়, তারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলের পুনর্গঠনের আশা করছেন। একজন কর্মী ফেসবুকে লিখেছেন, “শেখ হাসিনা ছাড়া আওয়ামী লীগ কল্পনা করা যায় না। ওবায়দুল কাদেরের মতো নেতারা শুধু বিবৃতি দিয়ে নিজেদের বাঁচাতে চান।” আরেকজন লিখেছেন, “আমরা শেখ হাসিনার জন্য অপেক্ষা করছি। তিনি ফিরে এলে দল আবার শক্তিশালী হবে।” রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আওয়ামী লীগের বর্তমান সংকটের মূলে রয়েছে শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব। শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে দলের অন্য নেতারা
তৃণমূলের আস্থা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। বিশ্লেষক আব্দুল লতিফ মাসুম বলেন, “শেখ হাসিনার নেতৃত্বের উপর তৃণমূলের এই নির্ভরতা দলের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। অন্য কোনো নেতা এখনো তাঁর স্থান পূরণ করতে পারেননি।” এদিকে, ওবায়দুল কাদের ও জাহাঙ্গির কবির নানকের বিবৃতি দলের ভেতরে বিভেদ আরও গভীর করছে। তৃণমূল নেতাকর্মীরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, শেখ হাসিনা ছাড়া দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের কোনো আগ্রহ নেই। এই পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের পুনর্গঠন ও রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তন শেখ হাসিনার নেতৃত্বের উপরই নির্ভর করছে বলে মনে করছেন অনেকে।