
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন নির্ধারণে ২২ সদস্যের কমিশন গঠন

‘গুলশানে সমন্বয়ক পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করছে একটি গ্রুপ’

আবারও কারা হেফাজতে মৃত্যু: মানিকগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা নান্নুর মৃত্যু, নির্যাতনের অভিযোগ স্বজনদের

‘যার জন্য করলাম চুরি, সেই বলে চোর’ লিখে পদত্যাগ বৈছা নেত্রীর

সারাদেশে বৈছার সব কমিটি বিলুপ্ত: গুলশানে চাঁদাবাজির ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত

৩৬ জুলাই আবাসন প্রকল্পে ‘বালিশ কাণ্ডের’ চেয়েও অনেক বড় হরিলুটের গোমর ফাঁস!

ডিসি প্রসিকিউশন তারেকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ
এমপির বাড়িতে কোটি টাকা চাঁদাবাজিতে গিয়ে গ্রেপ্তার রিয়াদ পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্য

রাজধানীর গুলশান এলাকায় আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া আব্দুর রাজ্জাক বিন সোলায়মান রিয়াদ পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্য বলে জানান এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব মাহিন সরকার।
২৭শে জুলাই, রোববার সকালে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে দেয়া এক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান।
২৬শে জুলাই, শনিবার রাতে গুলশানে সংসদ সদস্যের বাড়ি থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র (বৈছা) আন্দোলনের ঢাকা মহানগরের সিনিয়র সংগঠক রিয়াদসহ ৫ জনকে আটক করে পুলিশ। আটক সবাই বৈছার কর্মী।
আটক গ্যাং সদস্যরা হলেন- বৈছা সমন্বয়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ (২৫), ইব্রাহীম হোসেন (২৪), মো. সাকাদাউন সিয়াম (২২), সাদমান সাদাব (২১) ও মো. আমিনুল ইসলাম (১৩)। তারা প্রত্যেকেই জুলাই
দাঙ্গায় সহিংসতায় নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। পুলিশ জানায়, অভিযুক্তরা আওয়ামী লীগ নেত্রী শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে নিজেদের পরিচয়ে চাঁদা দাবি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের সদস্যরা তাদের আটক করেন। গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, “সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাড়িতে চাঁদাবাজির সময় সমন্বয়ক রিয়াদসহ ৫ জনকে আমরা আটক করি। তারা শাম্মী আহমেদের বাড়ি গিয়ে আগে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন। এর আগে ১০ লাখ টাকাও নিয়েছিলেন। শনিবার বাকি টাকা চাইতে ওই বাসায় গিয়েছিলেন। পরে সেখান থেকে পুলিশকে খবর দিলে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি।” ঘটনার পর রাতেই বৈছার
ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সদস্য সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাবকে সাংগঠনিক নীতিমালা ও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপু ও সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বিন সোলায়মানকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। জানা গেছে, গ্যাং লিডার রিয়াদ নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বাসিন্দা। তার বাবা এবং দাদা দুজনই রিকশাচালক। কোনো এক জাদুবলে তিনি ধানমন্ডির নিউ মডেল এলাকায় বসবাস করেন। বেসরকারি বিশ্ববিবদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। গত তিনমাস ধরে তিনি গ্রামে ডুপ্লেক্স বাড়ি তৈরি করছেন। আর ইব্রাহীমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের রামদাসদী গ্রামে এবং আমিনুল বাড্ডা আলাতুন্নেছো স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণীর ছাত্র। সাদমান সাদাব
নাটোরের লালপুরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ গঠিত হয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে, বৈছা নেতাদের উদ্যোগে। এই চাঁদাবাজির ঘটনায় ফেসবুকে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব মাহিন সরকার। তিনি লিখেছেন: আব্দুর রাজ্জাক নামের যে ছেলেটা গ্রেপ্তার হয়েছে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে, সে পুলিশ সংস্কার কমিশনের মেম্বার। অর্থাৎ গুরুত্বের বিচারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি মন্ত্রণালয়ের সে লিস্টেড ছাত্র প্রতিনিধি। বাংলাদেশে যে কালচার চলে, তাতে সে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে কোনোভাবে যুক্ত, এই পরিচয়েই কেউ অর্থ উপার্জন করতে পারে বলে মনে করি। এখানে তার মতো ব্যক্তিকে কীভাবে স্বরাষ্ট্র বিভাগের পুলিশ সংস্কার কমিশনের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সুপারিশ করল, এটা সামনে আনা প্রয়োজন। এটা খুব করে চাওয়া
আমার। জানে আলম অপু নামক ছেলেটা আগে থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে অনেক উচ্চবাচ্য করত, অনেকটা ঔদ্ধত্যের পর্যায়ে। তার বিরুদ্ধে নিজ জেলা জয়পুরহাটে অসংখ্য অভিযোগ ইতিপূর্বে কানে এসেছে, যেহেতু রাজশাহী বিভাগীয় দায়িত্বে আমি ছিলাম। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সেসহ আরও কয়েকজন সেই হত্যাকাণ্ডের কারণ তাদের দাবির সাথে না মেলা সত্ত্বেও তারা আন্দোলন করে এবং স্বরাষ্ট্র দপ্তরে যাতায়াত বৃদ্ধি করে। এখানে জানে আলম অপু শুধু নয়, ওর আশপাশে থাকা আরও দু–একজনের নামে এমন অভিযোগ আসলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। সর্বশেষ ইব্রাহিম হোসেন মুন্না নামক ছেলেটা এই চাঁদাবাজিতে অন্যতম অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। এই নাম আসায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ব্যানারটির যৌক্তিকতা শতভাগ ফুরিয়ে এসেছে। ইতিপূর্বে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সে ঢাকা মহানগর কমিটি গোছানোতে ভূমিকা রেখেছে। সবচেয়ে বড় কথা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গত কয়েক দিন আগে হওয়া নির্বাচনে সে টপ অর্গানোগ্রামের একটি পদে ইলেকশন করে এবং পরে তার জায়গায় সে নাকি অন্য কাউকে সিলেক্ট করেছে, এই অজুহাত দিয়ে সে আর দায়িত্ব নেয়নি। এ রকম অদ্ভুতুড়ে ঘটনা ইতিপূর্বে জীবনেও প্রত্যক্ষ করিনি আমি। ইব্রাহিম হোসেন মুন্নার নামটি একেবারে সেন্ট্রালি কানেক্টেড এবং গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলেম অপুও সেন্ট্রাল নেতা। তাদের সাথে অনেকেরই ভালো খাতির থাকা অস্বাভাবিক নয়। রিমান্ডে নিয়ে প্রকৃত কুশীলবদের বের করে আনাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, কেননা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানার একটি ঐতিহাসিক ব্যানার। আমি ইতিপূর্বেও জানিয়েছি এই
ব্যানার আর থাকার প্রয়োজন নেই, যদিও এই ব্যানার প্রতিষ্ঠা করতে আমারও ভূমিকা ছিল।
দাঙ্গায় সহিংসতায় নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। পুলিশ জানায়, অভিযুক্তরা আওয়ামী লীগ নেত্রী শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে নিজেদের পরিচয়ে চাঁদা দাবি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের সদস্যরা তাদের আটক করেন। গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, “সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাড়িতে চাঁদাবাজির সময় সমন্বয়ক রিয়াদসহ ৫ জনকে আমরা আটক করি। তারা শাম্মী আহমেদের বাড়ি গিয়ে আগে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন। এর আগে ১০ লাখ টাকাও নিয়েছিলেন। শনিবার বাকি টাকা চাইতে ওই বাসায় গিয়েছিলেন। পরে সেখান থেকে পুলিশকে খবর দিলে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি।” ঘটনার পর রাতেই বৈছার
ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সদস্য সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাবকে সাংগঠনিক নীতিমালা ও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপু ও সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বিন সোলায়মানকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। জানা গেছে, গ্যাং লিডার রিয়াদ নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বাসিন্দা। তার বাবা এবং দাদা দুজনই রিকশাচালক। কোনো এক জাদুবলে তিনি ধানমন্ডির নিউ মডেল এলাকায় বসবাস করেন। বেসরকারি বিশ্ববিবদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। গত তিনমাস ধরে তিনি গ্রামে ডুপ্লেক্স বাড়ি তৈরি করছেন। আর ইব্রাহীমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের রামদাসদী গ্রামে এবং আমিনুল বাড্ডা আলাতুন্নেছো স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণীর ছাত্র। সাদমান সাদাব
নাটোরের লালপুরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ গঠিত হয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে, বৈছা নেতাদের উদ্যোগে। এই চাঁদাবাজির ঘটনায় ফেসবুকে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব মাহিন সরকার। তিনি লিখেছেন: আব্দুর রাজ্জাক নামের যে ছেলেটা গ্রেপ্তার হয়েছে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে, সে পুলিশ সংস্কার কমিশনের মেম্বার। অর্থাৎ গুরুত্বের বিচারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি মন্ত্রণালয়ের সে লিস্টেড ছাত্র প্রতিনিধি। বাংলাদেশে যে কালচার চলে, তাতে সে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে কোনোভাবে যুক্ত, এই পরিচয়েই কেউ অর্থ উপার্জন করতে পারে বলে মনে করি। এখানে তার মতো ব্যক্তিকে কীভাবে স্বরাষ্ট্র বিভাগের পুলিশ সংস্কার কমিশনের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সুপারিশ করল, এটা সামনে আনা প্রয়োজন। এটা খুব করে চাওয়া
আমার। জানে আলম অপু নামক ছেলেটা আগে থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে অনেক উচ্চবাচ্য করত, অনেকটা ঔদ্ধত্যের পর্যায়ে। তার বিরুদ্ধে নিজ জেলা জয়পুরহাটে অসংখ্য অভিযোগ ইতিপূর্বে কানে এসেছে, যেহেতু রাজশাহী বিভাগীয় দায়িত্বে আমি ছিলাম। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সেসহ আরও কয়েকজন সেই হত্যাকাণ্ডের কারণ তাদের দাবির সাথে না মেলা সত্ত্বেও তারা আন্দোলন করে এবং স্বরাষ্ট্র দপ্তরে যাতায়াত বৃদ্ধি করে। এখানে জানে আলম অপু শুধু নয়, ওর আশপাশে থাকা আরও দু–একজনের নামে এমন অভিযোগ আসলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। সর্বশেষ ইব্রাহিম হোসেন মুন্না নামক ছেলেটা এই চাঁদাবাজিতে অন্যতম অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। এই নাম আসায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ব্যানারটির যৌক্তিকতা শতভাগ ফুরিয়ে এসেছে। ইতিপূর্বে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সে ঢাকা মহানগর কমিটি গোছানোতে ভূমিকা রেখেছে। সবচেয়ে বড় কথা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গত কয়েক দিন আগে হওয়া নির্বাচনে সে টপ অর্গানোগ্রামের একটি পদে ইলেকশন করে এবং পরে তার জায়গায় সে নাকি অন্য কাউকে সিলেক্ট করেছে, এই অজুহাত দিয়ে সে আর দায়িত্ব নেয়নি। এ রকম অদ্ভুতুড়ে ঘটনা ইতিপূর্বে জীবনেও প্রত্যক্ষ করিনি আমি। ইব্রাহিম হোসেন মুন্নার নামটি একেবারে সেন্ট্রালি কানেক্টেড এবং গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলেম অপুও সেন্ট্রাল নেতা। তাদের সাথে অনেকেরই ভালো খাতির থাকা অস্বাভাবিক নয়। রিমান্ডে নিয়ে প্রকৃত কুশীলবদের বের করে আনাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, কেননা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানার একটি ঐতিহাসিক ব্যানার। আমি ইতিপূর্বেও জানিয়েছি এই
ব্যানার আর থাকার প্রয়োজন নেই, যদিও এই ব্যানার প্রতিষ্ঠা করতে আমারও ভূমিকা ছিল।