
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

৫ ব্যাংক মিলে হচ্ছে এক ব্যাংক: গভর্নর

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আরও বাড়ল

নতুন ‘কর্মসংস্থান অধিদফতর’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার

ব্যবসা-বাণিজ্যে চরম স্থবিরতা: ঋণের উচ্চ সুদ, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় থমকে গেছে বিনিয়োগ

পাচার সম্পদ ফেরাতে কৌশলী সরকার

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বন্ধ হতে পারে

ইউনূস সরকারের মুদ্রানীতির ফল: ব্যাংক থেকে আমানত তুলে নিচ্ছেন গ্রাহকরা, নগদ অর্থের প্রবাহ বেড়েছে বাইরে
এবার রেকর্ড ঘাটতির মুখে এনবিআর

সাধারণত অর্থবছরের শেষ মাসে অন্যান্য মাসের তুলনায় বেশি রাজস্ব আদায় করে থাকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এপ্রিলের শেষ দিকে সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শুরু হওয়া আন্দোলনে কার্যত ঢিলেঢালা ছিল রাজস্ব আহরণ কার্যক্রম। আন্দোলন শেষ হতে না হতেই শুরু হয় ঈদের টানা ১০ দিনের ছুটি। এতে বন্ধ ছিল রাজস্ব আহরণ কার্যক্রম। সবমিলে প্রায় এক মাসের এই ঢিলেঢালা কার্যক্রমে রেকর্ড ঘাটতির মুখে পড়ছে এনবিআর। এ ছাড়া জুলাই আন্দোলন, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় কমেছে রাজস্ব আহরণ। এরই মধ্যে রাজস্ব ঘাটতি মেটাতে লক্ষ্যমাত্রা কাটছাঁট করেছে সরকার। তবুও বছর শেষে রাজস্ব ঘাটতি ১ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, চলতি
২০২৪-২৫ অর্থবছরের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে কমিয়ে নির্ধারণ করা হয় ৪ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রা কাটছাঁটের পরও রাজস্ব ঘাটতি প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলেও আশঙ্কা করছেন খোদ এনবিআর কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, অর্থবছরের শুরু থেকে রাজস্ব আহরণে ছিল বিরূপ পরিস্থিতি। তবুও কিছুটা স্বস্তি এলেও অর্থবছরের শেষ দুই মাসে রাজস্ব আহরণে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টানা আন্দোলন ও টানা বন্ধে রাজস্ব আহরণে রেকর্ড ঘাটতির মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন তারা। একই অভিমত অর্থনীতিবিদদেরও। তারা বলছেন, দেশের চলমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও বিনিয়োগ স্থবিরতা এবং ব্যবসা বাণিজ্যের গতি কমে
যাওয়ায় রাজস্ব আহরণে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, দেশের কর জিডিপি রেশিও বিশ্বের অন্যতম সর্বনিম্ন। রাজস্ব ঘাটতি বেড়েই চলেছে। বছর শেষে বড় অঙ্কের ঘাটতি তৈরি হবে। তাই রাজস্ব আহরণ বাড়াতে কর ফাঁকির ফাঁকফোকর বন্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে সুশাসন নিশ্চিত করে রাজস্ব আহরণ বাড়াতে জোর দিতে হবে বলেও জানান এই অর্থনীতিবিদ। এনবিআরের রাজস্ব আহরণের চিত্র পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে বা মে মাস পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে এনবিআরের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ মূল
লক্ষ্যমাত্রার হিসাবে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৯ হাজার কোটি টাকা; কিন্তু সরকার ঘাটতি বেড়ে যাওয়ায় রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৪ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করেছে। সেই সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা হিসাব করলেও রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি জুনে আদায় করা অসম্ভব। এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনবিআরের শীর্ষ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেন, দেশের ইতিহাসে চলতি অর্থবছরে সবচেয়ে বড় ধরনের রাজস্ব ঘাটতির মুখে পড়বে এনবিআর। কারণ হিসেবে এই কর্মকর্তা বলেন, অর্থবছরের শুরু থেকে আন্দোলন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের স্থবিরতা উল্লেখযোগ্য। এর বাইরে নতুন করে যোগ হয়েছে এনবিআর পৃথকীকরণে চলা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের
আন্দোলন। এতে কার্যক্রম ছিল অনেকটা ঢিলেঢালা। এ ছাড়া ঈদের টানা বন্ধেরও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে রাজস্ব আহরণে। এসব কারণে বড় ধরনের ঘাটতির মুখে পড়বে এনবিআর। এ ছাড়া অলিখিতভাবে রাজস্ব ফাঁকি উদ্ঘাটনে অডিট ও প্রিভেন্টিভ কার্যক্রম বন্ধ থাকায় রাজস্ব আহরণের গতিও কিছুটা কমেছে বলে জানান এই কর্মকর্তা। সূত্র আরও জানায়, চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে খাতওয়ারি হিসাব করলে মে মাস পর্যন্ত কাস্টমস খাতে অর্থাৎ শুল্ক আদায় হয়েছে ৯২ হাজার ৪৬১ কোটি টাকা। আর ভ্যাট আদায় হয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা এবং আয়কর আদায় হয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা। এ ছাড়া একক মাস হিসেবে শুধু মে মাসে তিন খাত
মিলিয়ে মোট রাজস্ব আহরণ হয়েছে ৩২ হাজার ১৮২ কোটি টাকা। তার মধ্যে কাস্টমস খাতে ৯ হাজার ৪৬১ কোটি, ভ্যাট খাতে ১৩ হাজার ৩৭৪ কোটি ও আয়কর খাতে ৯ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকার রাজস্ব আহরণ করেছে এনবিআর। একক মাস হিসেবে এর আগের মাস শুধু এপ্রিলে রাজস্ব আহরণ হয়েছিল ৩০ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা। ওই মাসে আহরণের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬ হাজার ৫৮০ কোটি ৫২ লাখ টাকা। গড়ে প্রতি মাসে এনবিআরের তিনটি খাত মিলে রাজস্ব আদায় করে ৩০ থেকে ৩২ হাজার কোটি টাকা। অথচ সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে এনবিআরকে আদায় করতে হবে তার প্রায় ৫গুণ। আর এই ধরনের সক্ষমতা এনবিআরের নেই
বলেও জানান অর্থনীতিবিদরা। এ ছাড়া বেসরকারি গবেষণা সংস্থাও চলতি অর্থবছরে বড় ধরনের রাজস্ব ঘাটতির মুখে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, এনবিআর পৃথকীকরণের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদনের পর থেকে মূলত অনানুষ্ঠানিক আন্দোলনে নামেন এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পরবর্তীতে ১২ মে গভীর রাতে এনবিআর বিলুপ্তির অধ্যাদেশ জারির পর আনুষ্ঠানিক আন্দোলনে নামে সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অবস্থান ধর্মঘট থেকে শুরু করে আংশিক কলম বিরতিতে এবং কর্মবিরতিতে যান কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতির ঘোষণার পর গত ২৫ মে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর পরেই অর্থাৎ গত ৫ জুন থেকে টানা ছুটি চলে গতকাল ১৪ জুন শনিবার পর্যন্ত। এই বন্ধের সময়ে প্রায় পুরোপুরি বন্ধই ছিল রাজস্ব আহরণ কার্যক্রম। এই বন্ধ ও ঢিলেঢালা রাজস্ব কার্যক্রমের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সার্বিক রাজস্ব আহরণে। এরই মধ্যে চলতি অর্থবছরের আরও মাত্র পনেরো দিন বাকি আছে। এই সময়ে বিশাল এই রাজস্ব আহরণ কোনোভাবেই সম্ভব নয় বলে জানান এনবিআর সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, চলতি অর্থবছরের রাজস্ব আহরণের যে পরিস্থিতি তাতে বিশাল এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা অসম্ভব। এ ছাড়া নতুন অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনও এক কথায় অসম্ভব বলেও জানান এই অর্থনীতিবিদ।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে কমিয়ে নির্ধারণ করা হয় ৪ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রা কাটছাঁটের পরও রাজস্ব ঘাটতি প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলেও আশঙ্কা করছেন খোদ এনবিআর কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, অর্থবছরের শুরু থেকে রাজস্ব আহরণে ছিল বিরূপ পরিস্থিতি। তবুও কিছুটা স্বস্তি এলেও অর্থবছরের শেষ দুই মাসে রাজস্ব আহরণে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টানা আন্দোলন ও টানা বন্ধে রাজস্ব আহরণে রেকর্ড ঘাটতির মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন তারা। একই অভিমত অর্থনীতিবিদদেরও। তারা বলছেন, দেশের চলমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও বিনিয়োগ স্থবিরতা এবং ব্যবসা বাণিজ্যের গতি কমে
যাওয়ায় রাজস্ব আহরণে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, দেশের কর জিডিপি রেশিও বিশ্বের অন্যতম সর্বনিম্ন। রাজস্ব ঘাটতি বেড়েই চলেছে। বছর শেষে বড় অঙ্কের ঘাটতি তৈরি হবে। তাই রাজস্ব আহরণ বাড়াতে কর ফাঁকির ফাঁকফোকর বন্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে সুশাসন নিশ্চিত করে রাজস্ব আহরণ বাড়াতে জোর দিতে হবে বলেও জানান এই অর্থনীতিবিদ। এনবিআরের রাজস্ব আহরণের চিত্র পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে বা মে মাস পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে এনবিআরের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ মূল
লক্ষ্যমাত্রার হিসাবে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৯ হাজার কোটি টাকা; কিন্তু সরকার ঘাটতি বেড়ে যাওয়ায় রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৪ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করেছে। সেই সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা হিসাব করলেও রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি জুনে আদায় করা অসম্ভব। এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনবিআরের শীর্ষ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেন, দেশের ইতিহাসে চলতি অর্থবছরে সবচেয়ে বড় ধরনের রাজস্ব ঘাটতির মুখে পড়বে এনবিআর। কারণ হিসেবে এই কর্মকর্তা বলেন, অর্থবছরের শুরু থেকে আন্দোলন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের স্থবিরতা উল্লেখযোগ্য। এর বাইরে নতুন করে যোগ হয়েছে এনবিআর পৃথকীকরণে চলা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের
আন্দোলন। এতে কার্যক্রম ছিল অনেকটা ঢিলেঢালা। এ ছাড়া ঈদের টানা বন্ধেরও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে রাজস্ব আহরণে। এসব কারণে বড় ধরনের ঘাটতির মুখে পড়বে এনবিআর। এ ছাড়া অলিখিতভাবে রাজস্ব ফাঁকি উদ্ঘাটনে অডিট ও প্রিভেন্টিভ কার্যক্রম বন্ধ থাকায় রাজস্ব আহরণের গতিও কিছুটা কমেছে বলে জানান এই কর্মকর্তা। সূত্র আরও জানায়, চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে খাতওয়ারি হিসাব করলে মে মাস পর্যন্ত কাস্টমস খাতে অর্থাৎ শুল্ক আদায় হয়েছে ৯২ হাজার ৪৬১ কোটি টাকা। আর ভ্যাট আদায় হয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা এবং আয়কর আদায় হয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা। এ ছাড়া একক মাস হিসেবে শুধু মে মাসে তিন খাত
মিলিয়ে মোট রাজস্ব আহরণ হয়েছে ৩২ হাজার ১৮২ কোটি টাকা। তার মধ্যে কাস্টমস খাতে ৯ হাজার ৪৬১ কোটি, ভ্যাট খাতে ১৩ হাজার ৩৭৪ কোটি ও আয়কর খাতে ৯ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকার রাজস্ব আহরণ করেছে এনবিআর। একক মাস হিসেবে এর আগের মাস শুধু এপ্রিলে রাজস্ব আহরণ হয়েছিল ৩০ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা। ওই মাসে আহরণের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬ হাজার ৫৮০ কোটি ৫২ লাখ টাকা। গড়ে প্রতি মাসে এনবিআরের তিনটি খাত মিলে রাজস্ব আদায় করে ৩০ থেকে ৩২ হাজার কোটি টাকা। অথচ সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে এনবিআরকে আদায় করতে হবে তার প্রায় ৫গুণ। আর এই ধরনের সক্ষমতা এনবিআরের নেই
বলেও জানান অর্থনীতিবিদরা। এ ছাড়া বেসরকারি গবেষণা সংস্থাও চলতি অর্থবছরে বড় ধরনের রাজস্ব ঘাটতির মুখে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, এনবিআর পৃথকীকরণের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদনের পর থেকে মূলত অনানুষ্ঠানিক আন্দোলনে নামেন এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পরবর্তীতে ১২ মে গভীর রাতে এনবিআর বিলুপ্তির অধ্যাদেশ জারির পর আনুষ্ঠানিক আন্দোলনে নামে সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অবস্থান ধর্মঘট থেকে শুরু করে আংশিক কলম বিরতিতে এবং কর্মবিরতিতে যান কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতির ঘোষণার পর গত ২৫ মে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর পরেই অর্থাৎ গত ৫ জুন থেকে টানা ছুটি চলে গতকাল ১৪ জুন শনিবার পর্যন্ত। এই বন্ধের সময়ে প্রায় পুরোপুরি বন্ধই ছিল রাজস্ব আহরণ কার্যক্রম। এই বন্ধ ও ঢিলেঢালা রাজস্ব কার্যক্রমের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সার্বিক রাজস্ব আহরণে। এরই মধ্যে চলতি অর্থবছরের আরও মাত্র পনেরো দিন বাকি আছে। এই সময়ে বিশাল এই রাজস্ব আহরণ কোনোভাবেই সম্ভব নয় বলে জানান এনবিআর সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, চলতি অর্থবছরের রাজস্ব আহরণের যে পরিস্থিতি তাতে বিশাল এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা অসম্ভব। এ ছাড়া নতুন অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনও এক কথায় অসম্ভব বলেও জানান এই অর্থনীতিবিদ।