
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

৮ হাজার কোটি টাকা হাতিয়েছে স্বপনচক্র

দুই কর্মকর্তা বরখাস্ত, তদন্ত কমিটি গঠন

দুদকের দুই উপপরিচালক বরখাস্ত

জড়িতদের তালিকাসহ ৭ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন দাখিল তদন্ত কমিটির

গভর্নর বলেন বাধ্যতামূলক ছুটিতে, এদিকে অফিস করছেন বিএফআইইউ প্রধান

‘৫১ লাখ টাকার স্টেডিয়াম ১৪ কোটিতে করার অনুমোদন’, কী ব্যাখ্যা দিলেন সচিব

এআই ভিডিও দিয়ে অপপ্রচার, দাবি বিএফআইইউর প্রধানের
এক বছরেও গ্রেফতার হয়নি পালানো ৭২৪ বন্দি

গত বছরের জুলাই-আগস্টে ফ্যাসিবাদবিরোধী অন্দোলনের শেষদিকে হামলা হয় দেশের বিভিন্ন কারাগারে। এসব হামলায় নিহত হন ১৬ জন। কারাগার থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় বিপুলসংখ্যক আসামি। এর এক বছর পেরিয়ে গেছে। এই দীর্ঘ সময়েও গ্রেফতার হয়নি জেল পলাতক ৭২৪ আসামি। এদের মধ্যে আছে বিডিআর বিদ্রোহ, বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যা, উগ্রবাদ (জঙ্গি মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি) এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ আসামি। উদ্ধার হয়নি কারাগার থেকে লুট হওয়া প্রায় সাড়ে সাত হাজার গুলি ও ২৯টি আগ্নেয়াস্ত্র। শুধু তাই নয়, পলাতক আসামিদের বিষয়ে কোনো তথ্যও নেই সংশ্লিষ্ট কারাগারগুলোতে। অন্যদিকে কারাগারে হামলা ও আসামিদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় যেসব মামলা হয়েছে সেগুলো শিগগিরই নিষ্পত্তি হওয়ার
কোনো সম্ভাবনাও নেই। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের। সূত্র জানায়, ওই সময় পাঁচটি কারাগার থেকে দুই হাজার ২৪৪ জন বন্দি পালিয়ে যায়। কারাগারগুলো হলো-নরসিংদী, শেরপুর, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া এবং কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি। পালিয়ে যাওয়া বন্দিদের কাউকেই আটক করতে পারেনি কারা কর্তৃপক্ষ। তবে এদের মধ্যে স্বেচ্ছায় ফেরত এসেছে ১৬০ জন। পুলিশ গ্রেফতার করেছে ৩৬৩ জনকে। এখনো পলাতক আছে ৭২৪ জন। সূত্র আরও জানায়, নরসিংদী ও শেরপুর জেলা কারাগার থেকে আগ্নেয়াস্ত্র লুট হয়ছে ৯৪টি। এর মধ্যে উদ্ধার হয়েছে ৬৫টি। এখনো উদ্ধার হয়নি ২৯টি। লুট হওয়া ৯৪টি অস্ত্রের মধ্যে ৩৩টি চাইনিজ রাইফেল, বিডিএইড ৩৮টি এবং শটগান ২৩টি। এছাড়া গুলি লুট হয়েছে নয় হাজার ১৯০ রাউন্ড। এর মধ্যে
উদ্ধার হয়েছে এক হাজার ৭১২ রাউন্ড। সাত হাজার ৪৭৮ রাউন্ড গুলি এখনো উদ্ধার হয়নি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুষ্টিয়া কারাগার থেকে পালিয়ে যায় ১০৫ জন। এদের মধ্যে স্বেচ্ছায় কারাগারে হাজির হয়েছে পাঁচ আসামি। পুলিশ গ্রেফতার করেছে ৮১ জনকে। এখনো পলাতক ১৭ জন। নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে পালিয়েছিল ৮৪৬ জন। এদের মধ্যে স্বেচ্ছায় ফেরত এসেছে ৬৪৪ জন। গ্রেফতার করা হয়েছে ৩৮ জনকে। পলাতক আছে ১৪২ জন। শেরপুর জেলা কারাগার থেকে পলাতক ৫১৮ আসামির মধ্যে স্বেচ্ছায় কেউ ফেরত আসেনি। গ্রেফতার করা হয়েছে ১৩৯ জনকে। পলাতক আছে ৩৭৮ জন। সাতক্ষীরা জেলা কারাগার থেকে পালিয়েছে ৫৯৬ জন। এদের মধ্যে স্বেচ্ছায় ফেরত এসেছে ৫০৯ জন। গ্রেফতার
করা হয়েছে ৪৪ জনকে। পলাতক ৪৩ জন। কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগার থেকে পালিয়েছিল ২০২ জন। কেউ ফেরত আসেনি। তবে গ্রেফতার করা হয়েছে ৬১ জনকে। এখনো পলাতক ১৪১ জন। সূত্রমতে, কারাগারগুলোতে হামলায় ১৬ জন নিহত হয়েছিল। এর মধ্যে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারগারে ছয়জন এবং জামালপুরে সাতজন বন্দি মারা যায়। এছাড়া কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে দুজন এবং চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে একজন মারা যায়। এসব ঘটনায় ২ হাজার ২৪৪ জনকে আসামি করে ছয়টি মামলা করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে নরসিংদীতে দুটি এবং শেরপুর, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া ও কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের ঘটনায় একটি করে মামলা হয়েছে। সব আসামি গ্রেফতারের আগ পর্যন্ত মামলা চলবে বলে জানিয়েছেন
এআইজি (প্রিজন্স) জান্নাত-উল-ফরহাদ। তিনি বলেন, জেল পলাতকদের বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। কারণ, ওই সময় সংশ্লিষ্ট কারাগারের সব নথিপত্র পুড়িয়ে ফেলার পাশাপাশি লুট করা হয়েছিল। আদালত ও থানাগুলোতে তাদের বিষয়ে তথ্য আছে। তবে যেসব থানা পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে সেসব থানার আসামিদের তথ্য থানাতেও নেই। তাই আদালত যখন কোনো আসামির বিষয়ে তথ্য চান তখন খবর নিয়ে দেখি ওই আসামি কারাগারে আছে কিনা। তিনি বলেন, কোনো মামলা আদালতে না উঠলে আমাদের জানার সুযোগ নেই যে, সংশ্লিষ্ট আসামি পালিয়ে গেছে। এক প্রশ্নের জবাবে এআইজি বলেন, যারা পলাতক তাদের বেশির ভাগই সাজাপ্রাপ্ত। আর সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মামলা সাধারণত আদালত তলব করেন। এ কারণেও পলাতক
আসামিদের নাম-পরিচয় বের করা কঠিন হচ্ছে। বন্দিদের পালানো এবং কারাগারগুলোতে হামলায় করা মামলার অগ্রগতি জানতে চাইলে এআইজি (প্রিজনস) জান্নাত-উল-ফরহাদ বলেন, মাঝে-মধ্যে দু-চারজন করে গ্রেফতার হচ্ছে। গ্রেফতারের পর তারা দুটি মামলার আসামি হয়ে কারাগারে প্রবেশ করছে। একটি পলায়নের, আরেকটি আগের মামলা। এখনো সব আসামি গ্রেফতার হয়নি। এর আগে চার্জশিট দিলে পলাতকরা সুবিধা পেয়ে যেতে পারে। তবে আদালত যদি আংশিক চার্জশিটের নির্দেশ দেন তাহলে পুলিশ যে কোনো সময় আদালতে তা দখিল করতে পারে।
কোনো সম্ভাবনাও নেই। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের। সূত্র জানায়, ওই সময় পাঁচটি কারাগার থেকে দুই হাজার ২৪৪ জন বন্দি পালিয়ে যায়। কারাগারগুলো হলো-নরসিংদী, শেরপুর, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া এবং কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি। পালিয়ে যাওয়া বন্দিদের কাউকেই আটক করতে পারেনি কারা কর্তৃপক্ষ। তবে এদের মধ্যে স্বেচ্ছায় ফেরত এসেছে ১৬০ জন। পুলিশ গ্রেফতার করেছে ৩৬৩ জনকে। এখনো পলাতক আছে ৭২৪ জন। সূত্র আরও জানায়, নরসিংদী ও শেরপুর জেলা কারাগার থেকে আগ্নেয়াস্ত্র লুট হয়ছে ৯৪টি। এর মধ্যে উদ্ধার হয়েছে ৬৫টি। এখনো উদ্ধার হয়নি ২৯টি। লুট হওয়া ৯৪টি অস্ত্রের মধ্যে ৩৩টি চাইনিজ রাইফেল, বিডিএইড ৩৮টি এবং শটগান ২৩টি। এছাড়া গুলি লুট হয়েছে নয় হাজার ১৯০ রাউন্ড। এর মধ্যে
উদ্ধার হয়েছে এক হাজার ৭১২ রাউন্ড। সাত হাজার ৪৭৮ রাউন্ড গুলি এখনো উদ্ধার হয়নি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুষ্টিয়া কারাগার থেকে পালিয়ে যায় ১০৫ জন। এদের মধ্যে স্বেচ্ছায় কারাগারে হাজির হয়েছে পাঁচ আসামি। পুলিশ গ্রেফতার করেছে ৮১ জনকে। এখনো পলাতক ১৭ জন। নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে পালিয়েছিল ৮৪৬ জন। এদের মধ্যে স্বেচ্ছায় ফেরত এসেছে ৬৪৪ জন। গ্রেফতার করা হয়েছে ৩৮ জনকে। পলাতক আছে ১৪২ জন। শেরপুর জেলা কারাগার থেকে পলাতক ৫১৮ আসামির মধ্যে স্বেচ্ছায় কেউ ফেরত আসেনি। গ্রেফতার করা হয়েছে ১৩৯ জনকে। পলাতক আছে ৩৭৮ জন। সাতক্ষীরা জেলা কারাগার থেকে পালিয়েছে ৫৯৬ জন। এদের মধ্যে স্বেচ্ছায় ফেরত এসেছে ৫০৯ জন। গ্রেফতার
করা হয়েছে ৪৪ জনকে। পলাতক ৪৩ জন। কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগার থেকে পালিয়েছিল ২০২ জন। কেউ ফেরত আসেনি। তবে গ্রেফতার করা হয়েছে ৬১ জনকে। এখনো পলাতক ১৪১ জন। সূত্রমতে, কারাগারগুলোতে হামলায় ১৬ জন নিহত হয়েছিল। এর মধ্যে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারগারে ছয়জন এবং জামালপুরে সাতজন বন্দি মারা যায়। এছাড়া কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে দুজন এবং চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে একজন মারা যায়। এসব ঘটনায় ২ হাজার ২৪৪ জনকে আসামি করে ছয়টি মামলা করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে নরসিংদীতে দুটি এবং শেরপুর, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া ও কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের ঘটনায় একটি করে মামলা হয়েছে। সব আসামি গ্রেফতারের আগ পর্যন্ত মামলা চলবে বলে জানিয়েছেন
এআইজি (প্রিজন্স) জান্নাত-উল-ফরহাদ। তিনি বলেন, জেল পলাতকদের বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। কারণ, ওই সময় সংশ্লিষ্ট কারাগারের সব নথিপত্র পুড়িয়ে ফেলার পাশাপাশি লুট করা হয়েছিল। আদালত ও থানাগুলোতে তাদের বিষয়ে তথ্য আছে। তবে যেসব থানা পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে সেসব থানার আসামিদের তথ্য থানাতেও নেই। তাই আদালত যখন কোনো আসামির বিষয়ে তথ্য চান তখন খবর নিয়ে দেখি ওই আসামি কারাগারে আছে কিনা। তিনি বলেন, কোনো মামলা আদালতে না উঠলে আমাদের জানার সুযোগ নেই যে, সংশ্লিষ্ট আসামি পালিয়ে গেছে। এক প্রশ্নের জবাবে এআইজি বলেন, যারা পলাতক তাদের বেশির ভাগই সাজাপ্রাপ্ত। আর সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মামলা সাধারণত আদালত তলব করেন। এ কারণেও পলাতক
আসামিদের নাম-পরিচয় বের করা কঠিন হচ্ছে। বন্দিদের পালানো এবং কারাগারগুলোতে হামলায় করা মামলার অগ্রগতি জানতে চাইলে এআইজি (প্রিজনস) জান্নাত-উল-ফরহাদ বলেন, মাঝে-মধ্যে দু-চারজন করে গ্রেফতার হচ্ছে। গ্রেফতারের পর তারা দুটি মামলার আসামি হয়ে কারাগারে প্রবেশ করছে। একটি পলায়নের, আরেকটি আগের মামলা। এখনো সব আসামি গ্রেফতার হয়নি। এর আগে চার্জশিট দিলে পলাতকরা সুবিধা পেয়ে যেতে পারে। তবে আদালত যদি আংশিক চার্জশিটের নির্দেশ দেন তাহলে পুলিশ যে কোনো সময় আদালতে তা দখিল করতে পারে।