
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে পশ্চিমা ১৫ দেশের বড় পদক্ষেপ

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে পশ্চিমা ১৫ দেশের বড় পদক্ষেপ

গাজার একাংশ দখলের ইঙ্গিত ইসরাইল মন্ত্রীর

জাপান পার হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে সুনামির আঘাত

ভারতের পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির আহ্বানে ১৫ দেশের যৌথ বিবৃতি

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিচ্ছে মাল্টা
এক নারীর সাথে দুই ভাইয়ের বিয়ে

ভারতের হিমাচল প্রদেশের সিরমৌর জেলার শিলাই গ্রামে সম্প্রতি এক ব্যতিক্রমী বিয়ের ঘটনা ঘটেছে, যা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। এক নারীর সঙ্গে দুই ভাইয়ের বিয়ের ঘটনা অনেকের কাছে অস্বাভাবিক মনে হলেও, স্থানীয় ‘হাটি’ জনগণের কাছে এটি একটি দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা ঐতিহ্য।
এ ঘটনা কেন্দ্র করে শিলাইয়ের সুনিতা চৌহান নামের এক নারী একই পরিবারের দুই ভাই—প্রদীপ নেগি ও কপিল নেগির সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনজনই হিমাচলের তপশিলি হাটি জনগোষ্ঠীর সদস্য এবং তাদের বিয়ে ঐতিহ্যবাহী ‘জোড়িদারা’ বা ‘জাজড়া’ প্রথা অনুসারে সম্পন্ন হয়েছে। এটি মূলত বহুপতিত্বের একটি সামাজিক রূপ, যা ওই সম্প্রদায়ের জন্য বহুদিন ধরে স্বীকৃত।
বিয়ের অনুষ্ঠানে আত্মীয়-স্বজন ছাড়াও শত শত গ্রামবাসী
অংশ নেন, যেখানে ঐতিহ্যবাহী লোকসঙ্গীত, নৃত্য এবং স্থানীয় খাবারের আয়োজন ছিল। তিনজনের সম্মতিতে এই বিয়ে সম্পন্ন হওয়ায় এটি হাটি সম্প্রদায়ের জন্য একটি সামাজিক রীতি হিসেবে পরিচিত। এ ধরনের বিয়ে শুধু শিলাই নয়, হিমাচলের ট্রান্স-গিরি অঞ্চল, সিমলা, কিন্নর, লাহুল-স্পিতি, এবং উত্তরাখণ্ডের জৌনসার-বাওয়ার ও রাওয়াই-জৌনপুর এলাকাতেও প্রচলিত। এখানে এক নারী একই পরিবারের একাধিক ভাইয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এটি পিতৃসম্পত্তির বিভাজন রোধ, ভাইদের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখা এবং পারিবারিক দায়িত্ব সমানভাবে ভাগাভাগি করার একটি সামাজিক কৌশল হিসেবে দেখা হয়। স্থানীয় বাসিন্দা কপিল চৌহান জানান, “এই জোড়িদারা প্রথা আমাদের সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি শুধু ঐতিহ্য নয়, যৌতুক প্রথা থেকে মুক্ত থাকা, সম্পত্তি বিভাজন প্রতিরোধ এবং
পরিবারের মধ্যে স্থিতিশীলতা আনার একটি কার্যকর উপায়।” তার মতে, শিলাইয়ের বেশ কিছু গ্রামে এখনো কয়েকটি পরিবার এই প্রথা অনুসরণ করছে। এদিকে, সুনিতা চৌহান সংবাদমাধ্যমকে জানান, “এই বিয়ে আমার নিজের সিদ্ধান্ত ছিল। আমি এই প্রথা সম্পর্কে আগেই জানতাম এবং পূর্ণ সম্মতি দিয়ে এতে অংশ নিয়েছি। আমাদের সমাজে এটি একটি গর্বের বিষয়। আজকাল লিভ-ইন সম্পর্কও সাধারণভাবে গ্রহণ করা হয়, তাই আমাদের ঐতিহ্যকে লুকানোর কিছু নেই।” প্রদীপ নেগি, রাজ্য সরকারের জলশক্তি বিভাগে কাজ করেন, আর কপিল নেগি বিদেশে হসপিটালিটি খাতে কর্মরত। তিনজনই শিক্ষিত এবং এই সামাজিক প্রথা সম্মানের সঙ্গে মেনে নিয়েছেন। তাদের মতে, এটি বিশ্বাস, দায়িত্ব এবং যত্ন ভাগাভাগির একটি প্রতীক। এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই বিয়ে
নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও, বিশেষজ্ঞরা বলেন, এটি শুধুমাত্র ব্যতিক্রম নয়; বরং এটি ওই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং টিকে থাকার একটি বাস্তব অভ্যাস।
অংশ নেন, যেখানে ঐতিহ্যবাহী লোকসঙ্গীত, নৃত্য এবং স্থানীয় খাবারের আয়োজন ছিল। তিনজনের সম্মতিতে এই বিয়ে সম্পন্ন হওয়ায় এটি হাটি সম্প্রদায়ের জন্য একটি সামাজিক রীতি হিসেবে পরিচিত। এ ধরনের বিয়ে শুধু শিলাই নয়, হিমাচলের ট্রান্স-গিরি অঞ্চল, সিমলা, কিন্নর, লাহুল-স্পিতি, এবং উত্তরাখণ্ডের জৌনসার-বাওয়ার ও রাওয়াই-জৌনপুর এলাকাতেও প্রচলিত। এখানে এক নারী একই পরিবারের একাধিক ভাইয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এটি পিতৃসম্পত্তির বিভাজন রোধ, ভাইদের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখা এবং পারিবারিক দায়িত্ব সমানভাবে ভাগাভাগি করার একটি সামাজিক কৌশল হিসেবে দেখা হয়। স্থানীয় বাসিন্দা কপিল চৌহান জানান, “এই জোড়িদারা প্রথা আমাদের সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি শুধু ঐতিহ্য নয়, যৌতুক প্রথা থেকে মুক্ত থাকা, সম্পত্তি বিভাজন প্রতিরোধ এবং
পরিবারের মধ্যে স্থিতিশীলতা আনার একটি কার্যকর উপায়।” তার মতে, শিলাইয়ের বেশ কিছু গ্রামে এখনো কয়েকটি পরিবার এই প্রথা অনুসরণ করছে। এদিকে, সুনিতা চৌহান সংবাদমাধ্যমকে জানান, “এই বিয়ে আমার নিজের সিদ্ধান্ত ছিল। আমি এই প্রথা সম্পর্কে আগেই জানতাম এবং পূর্ণ সম্মতি দিয়ে এতে অংশ নিয়েছি। আমাদের সমাজে এটি একটি গর্বের বিষয়। আজকাল লিভ-ইন সম্পর্কও সাধারণভাবে গ্রহণ করা হয়, তাই আমাদের ঐতিহ্যকে লুকানোর কিছু নেই।” প্রদীপ নেগি, রাজ্য সরকারের জলশক্তি বিভাগে কাজ করেন, আর কপিল নেগি বিদেশে হসপিটালিটি খাতে কর্মরত। তিনজনই শিক্ষিত এবং এই সামাজিক প্রথা সম্মানের সঙ্গে মেনে নিয়েছেন। তাদের মতে, এটি বিশ্বাস, দায়িত্ব এবং যত্ন ভাগাভাগির একটি প্রতীক। এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই বিয়ে
নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও, বিশেষজ্ঞরা বলেন, এটি শুধুমাত্র ব্যতিক্রম নয়; বরং এটি ওই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং টিকে থাকার একটি বাস্তব অভ্যাস।