উপদেষ্টা মাহফুজের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ: অস্ট্রেলিয়ায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার লেনদেন তদন্তাধীন! – ইউ এস বাংলা নিউজ




উপদেষ্টা মাহফুজের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ: অস্ট্রেলিয়ায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার লেনদেন তদন্তাধীন!

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৮ জুলাই, ২০২৫ | ১০:৩১ 18 ভিউ
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বনি আলমের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, মাহফুজের বড় ভাইয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সাড়ে ৬ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন ধরা পড়েছে, যা অস্ট্রেলিয়ার আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা AUSTRAC-এর নজরে এসেছে। এই ঘটনা দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ‘মাস্টারমাইন্ড” হিসেবে পরিচিত মাহফুজ আলম, যিনি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, বর্তমান তথ্য উপদেষ্টা হিসাবে নিয়োজিত আছেন, এখন বিতর্কের কেন্দ্রে। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বসবাসরত তার বড় ভাই, যিনি উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি পার্টটাইম ট্যাক্সি

চালক হিসেবে কাজ করেন, তার কমনওয়েলথ ব্যাংক অফ অস্ট্রেলিয়ার অ্যাকাউন্টে গত ৯ মাস ধরে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা হচ্ছিল। গত ২৪ জুলাই ২০২৫-এ মধ্যপ্রাচ্য থেকে সাড়ে ৬ কোটি টাকার একটি লেনদেন AUSTRAC-এর তদন্তের আওতায় আসে, যার পরিপ্রেক্ষিতে তার ভাইয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়। বনি আলমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই অর্থ বাংলাদেশের একটি প্রভাবশালী ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর প্রকল্প থেকে ‘কমিশনভিত্তিক হিস্যা’ হিসেবে এসেছে। অভিযোগে বলা হয়, মাহফুজ দেশে ফাইল তদবির ও লবিংয়ের মাধ্যমে এই অর্থ সংগ্রহ করতেন, এবং তা তার ভাইয়ের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হতো। এই লেনদেনকে অনেকে সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের ‘ছাগল কাণ্ড’র সঙ্গে তুলনা করছেন, যা জনমনে ব্যাপক সমালোচনার

সৃষ্টি করেছিল। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বনি আলম প্রশ্ন তুলেছেন, “আমরা কি শুধু একজন বা দুজন সমন্বয়ককে লক্ষ্য করব, নাকি পুরো সিস্টেমে যারা প্রবেশ করেছে তাদেরকেও কঠিনভাবে পর্যবেক্ষণ করব?” তিনি প্রস্তাব করেছেন, দেশের সকল সমন্বয়ক ও তাদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের (পিতা, মাতা, ভাই, বোন, স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়ি, শ্যালক-শ্যালিকা) আর্থিক লেনদেন ও সম্পদ বিবরণী জাতীয় তদন্তের আওতায় আনা হোক। বিশেষ করে, তিনি হাতিয়ার আলোচিত সমন্বয়ক হান্নান মাসুদ ও তার পরিবারের সম্পত্তির তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। এই ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে মাহফুজের বিরুদ্ধে উঠা এই অভিযোগকে নোয়াখালীর গৌরবময় ইতিহাসের প্রতি অবমাননা হিসেবে দেখছেন। এক্স প্ল্যাটফর্মে একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “জনগণের আস্থার প্রতীক হিসেবে আবির্ভূত মাহফুজের

এমন কাণ্ড দেশের উন্নয়নপ্রয়াসকে বাধাগ্রস্ত করবে।” অন্তর্বর্তী সরকারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। তবে, তদন্ত চলমান থাকায় বিস্তারিত তথ্য এখনই প্রকাশ করা সম্ভব নয়। মাহফুজ আলম এখনও এই অভিযোগের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেননি। এই ঘটনা দেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতার প্রশ্ন তুলেছে। বনি আলমের দাবি অনুযায়ী, “সময় এসেছে সততা ও আদর্শিক নেতৃত্বকে রক্ষা করার এবং দুর্নীতির বিষবৃক্ষকে মূল থেকে উপড়ে ফেলার।” এই অভিযোগের তদন্তের অগ্রগতি এবং এর ফলাফল এখন দেশের জনগণের নিকট নিবিড় পর্যবেক্ষণের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
উপদেষ্টা মাহফুজের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ: অস্ট্রেলিয়ায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার লেনদেন তদন্তাধীন! জুলাইয়ের ২৬ দিনে এক টাকাও রেমিট্যান্স আসেনি যে ৯ ব্যাংকে শর্তহীন যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া লালমনিরহাটে দুই ট্রেনের সংঘর্ষ ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে ১২০ দেশকে পাশে পেয়েছিল ইরান খামেনিকে হত্যার হুমকি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ব্যাংককে পাঁচজনকে গুলি করে হামলাকারীর আত্মহত্যা ওয়েবসাইটে জাল নথি তুলে ৬৭ কোটির কর ফাঁকি ভয়ের দেয়ালে আটকে গেছে শৈশব চলতি সপ্তাহে ‘নির্বাচনের তারিখ’ রাজনীতিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া এনসিপিতে কোনো পদ নেই, তবুও পদত্যাগের ঘোষণা নিলা ইসরাফিলের নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও চীনে হুয়াওয়ের উত্থান সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন নির্ধারণে ২২ সদস্যের কমিশন গঠন দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিতে রাজধানীর গুলশানে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে একটি সংঘবদ্ধ দলের বিরুদ্ধে। গুলশানে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনায় মামলায় পাঁচজনকে আদালতে পাঠিয়ে পুলিশ প্রতিবেদনে এ কথা বলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক (বহিষ্কৃত) ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক সদস্য (বহিষ্কৃত) আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান (রিয়াদ) ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাড্ডা থানা শাখার সদস্য (বহিষ্কৃত) ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরকে আদালতে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে প্রথম চারজনের ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় অপরজনকে আটক রাখার আবেদন করা হয় পৃথক আবেদনে। দুটি আবেদনেই তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, উল্লেখিত আসামিসহ তাঁদের একটি সংঘবদ্ধ দল দীর্ঘদিন ধরে গুলশান এলাকায় বিভিন্ন বাসায় গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্ত কর্মকর্তা আবেদনে আরও উল্লেখ করেন, এই সংঘবদ্ধ দলের সদস্যরা দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিতে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে। তারা আরও কিছু মানুষের কাছ থেকে চাঁদা নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগ তদন্ত করতে এবং এই সংঘবদ্ধ দলের সঙ্গে আর কারা জড়িত তা জানার জন্য চারজনকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। তিনি আবেদনে লেখেন, মামলার এজাহারে দেখা যায়, গ্রেপ্তারকৃতরা ইতিমধ্যে মামলার বাদীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন। ওই টাকা উদ্ধারের জন্যও রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান চারজনকে ৭ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন। ‘গুলশানে সমন্বয়ক পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করছে একটি গ্রুপ’ চিত্রনায়ক জসীমের ছেলে কণ্ঠশিল্পী রাতুল আর নেই সারাদেশে ইসির ৭১ কর্মকর্তা বদলি ভারতের সবচেয়ে বড় আইটি কোম্পানির কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা হামাসকে নির্মূল করে পূর্ণ বিজয় অর্জনে ইসরায়েল দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: নেতানিয়াহু চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে যা বললেন আসামিরা