ইসলামে অর্থনৈতিক ন্যায় ও সুদমুক্ত সমাজ গঠনের পথ – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইসলামে অর্থনৈতিক ন্যায় ও সুদমুক্ত সমাজ গঠনের পথ

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৬ আগস্ট, ২০২৫ | ১১:৫৪ 68 ভিউ
পৃথিবীর ইতিহাসজুড়ে অর্থনৈতিক বৈষম্য, শোষণ ও অবিচারের অন্যতম প্রধান উৎস হিসেবে সুদের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য। আধুনিক পুঁজিবাদ নির্ভর অর্থনীতিতে ব্যাংক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো সুদের মাধ্যমে এমন এক কাঠামো গড়ে তুলেছে, যেখানে ধনী আরও ধনী হয়ে ওঠে আর দরিদ্ররা ঋণের বোঝা বইতে বইতে আরও নিঃস্ব হয়ে পড়ে। ইসলাম এই ব্যবস্থার পরিবর্তে একটি ন্যায়ের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা, সুদমুক্ত ও সহমর্মিতার উপর নির্ভরশীল অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রস্তাব করে। পবিত্র কুরআনে সুদের বিষয়টি অত্যন্ত কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতের দিন এমনভাবে উঠবে, যেন শয়তান দ্বারা আচ্ছন্ন হয়ে তারা ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। কারণ তারা বলে, বেচাকেনাও তো সুদের মতোই। অথচ আল্লাহ বেচাকেনাকে হালাল করেছেন এবং

সুদকে হারাম করেছেন। (সূরা বাকারা, আয়াত ২৭৫) সুদের মাধ্যমে মূলত সম্পদ সীমিত এক গোষ্ঠীর মধ্যে কেন্দ্রীভূত হয় এবং দরিদ্র শ্রেণি ঋণের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হতে থাকে। ইসলাম এই শোষণের বিপরীতে একটি বিকল্প ব্যবস্থা উপস্থাপন করে, যেখানে সম্পদ আদান-প্রদান হয় ব্যবসা, বিনিয়োগ, যাকাত, সদকা ও মানবিক সহানুভূতির মাধ্যমে। যাকাত ইসলামী অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। ধনীদের সম্পদের নির্দিষ্ট অংশ দরিদ্র, এতিম, অসহায় ও যাত্রীদের মাঝে বিতরণ করাকে ইসলামে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যাতে সমাজে অর্থনৈতিক ভারসাম্য বজায় থাকে। এই ব্যবস্থার বাস্তবায়ন সঠিকভাবে হলে সমাজে দারিদ্র্য অনেকাংশেই দূর হয়ে যেতে পারে। ইসলামে সম্পদের মালিকানা শুধুমাত্র ব্যক্তিগত স্বার্থে নয়, বরং সামষ্টিক কল্যাণে ব্যবহারের নির্দেশনা রয়েছে। কুরআনে বলা হয়েছে, ধন-সম্পদ যেন

শুধু ধনীদের হাতেই সীমাবদ্ধ না থাকে। (সূরা হাশর, আয়াত ৭) এই নির্দেশনা একচেটিয়া ধনাগম বন্ধ করে জনকল্যাণে সম্পদের প্রবাহ নিশ্চিত করতে চায়। আধুনিক সময়েও এই শিক্ষার প্রভাব বিস্তার করছে। ইসলামি ব্যাংকিং ও শরিয়াহভিত্তিক বিনিয়োগ পদ্ধতি বিশ্বজুড়ে দ্রুত বিস্তৃতি লাভ করছে। মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, কাতার, এমনকি যুক্তরাজ্যেও ইসলামি অর্থনীতি অনুযায়ী পরিচালিত নানা আর্থিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এসব প্রতিষ্ঠানে মুদারাবা, মুশারাকা, ইজারা, বাই মুয়াজ্জাল ইত্যাদি পদ্ধতিতে সুদবিহীন ভিত্তিতে লেনদেন করা হয়, যেখানে লাভ-লোকসানের ঝুঁকি যৌথভাবে ভাগ করা হয়। ইসলামের এই দৃষ্টিভঙ্গি সম্পদের উপর শ্রেণিগত দখলের পরিবর্তে পারস্পরিক সহযোগিতা, সহানুভূতি ও মানবিকতার মাধ্যমে অর্থনৈতিক ন্যায়ের পথ দেখায়। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “উপরের হাত নিচের হাতের চেয়ে উত্তম।” (সহিহ বুখারি)

— এই নৈতিকতা নির্ভর আর্থিক আদর্শই একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে সহায়ক হতে পারে, যেখানে কেউ নিঃস্ব নয়, সবাই সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
নৃশংস বর্বরতা আর নরকীয়তার ঘৃণ্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হল – নূরুল মজিদ হুমায়ূনের নিথর দেহে হাতকড়া লাগিয়ে। ন্যায়বিচারের পথে এক ধাপ এগোল বাংলাদেশ ট্রাম্প নয় শান্তিতে নোবেল পেলেন ভেনেজুয়েলার মারিয়া ট্রাম্পকে হারিয়ে নোবেল জেতা কে এই মাচাদো? শিশুদের ‘নোবেল’ শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত সাতক্ষীরার তরুণ সুদীপ্ত শাহজালাল বিমানবন্দরে ৬৫ ভরি স্বর্ণসহ গ্রেপ্তার ২ টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ ১৯ বছর ধরে ইসরায়েলে বন্দি কে এই ‘দ্বিতীয় ইয়াহিয়া সিনওয়ার’? হংকংয়ের কাছে হেরেও যে সমীকরণে এশিয়ান কাপে খেলবে বাংলাদেশ মিরপুরে কুড়িয়ে পাওয়া ককটেল বিস্ফোরণ, শিশু আহত শাহবাগ এলাকা থেকে ৩ লাশ উদ্ধার বিশ্ববাজারে তেলের দাম নিয়ে সুখবর গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি পাবেন জিম্মিরা নারায়ণগঞ্জে বাস উল্টে খাদে, নারী-শিশুসহ আহত ১০ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফল প্রকাশে রেকর্ড বাতিল হচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সব মামলা, দায়মুক্তি পাচ্ছেন আসামিরা ইউপিডিএফ নেতা মাইকেল চাকমার ৮ বছরের জেল চসিকের ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ অবশেষে উচ্ছেদ হলো আগারগাঁওয়ের ‘কেকপট্টি’ গাজা শান্তি চুক্তিতে সফলতার জন্য ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানালেন মোদি