
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

রাকসু নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আপিল বিভাগে শুনানি বুধবার

শিগগিরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অচলাবস্থার সমাধান হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা

চবির সব পরীক্ষা ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থগিত

ঢাবি ভিসির বাসভবন ঘেরাও করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত

চবি ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি
ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শঙ্কায় ডাকসুর প্রার্থীরা

শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে দীর্ঘ ২৮ বছরের অচলায়তন ভেঙে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০১৯ সালের মার্চে। তবে সেই নির্বাচন নিয়ে আছে নানা প্রশ্ন ও কারচুপির অভিযোগ। যেসব অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন আবাসিক হলগুলোর তৎকালীন প্রভোস্টরা। ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়তি সুবিধা দেওয়া ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। বিতর্কিত ওই নির্বাচনের সাত বছর পর হতে যাওয়া এবারের আসন্ন ডাকসু নির্বাচন নিয়েও একই ধরনের অনিয়মের শঙ্কার কথা জানিয়েছেন অনেক প্রার্থী, যা নিয়ে এরই মধ্যে অভিযোগ জমা পড়েছে ডাকসু নির্বাচন কমিশনেও।
প্রার্থীদের দাবি, দেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গত বছরের ৫ আগস্টের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর প্রভোস্ট পদে যেসব নিয়োগ দেওয়া
হয়েছে, তার অধিকাংশই ছিল দলীয় বিবেচনায়। এমনকি অনেকে সরাসরি জাতীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত। ফলে এসব ‘দলীয়’ প্রভোস্ট নির্বাচনী দায়িত্বে থাকলে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করতে পারেন এবং ‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং’-এর আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই তাদের নিজ নিজ হলের নির্বাচন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বে না রাখার দাবি জানিয়েছেন প্রার্থীরা। তবে ডাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা বলছেন, এবার কারচুপির কোনো সুযোগ নেই। আর প্রভোস্টদেরও আগের সেই ক্ষমতা থাকছে না। জানা গেছে, নির্বাচন সামনে রেখে সম্প্রতি পাঁচ সদস্যের হল সংসদ নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সভাপতি করা হয়েছে হল প্রভোস্টকে। তবে বিষয়টিকে নেতিবাচক হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, হল সংসদের মনোনীত সভাপতি হচ্ছেন প্রভোস্ট নিজেই। আবার
তাকেই করা হয়েছে কমিটির সভাপতি। এটি স্পষ্টত ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’ বা স্বার্থের সংঘাত। এ ছাড়া প্রভোস্টের পছন্দের আবাসিক শিক্ষকদেরই রিটার্নিং কর্মকর্তা করার অভিযোগ রয়েছে। এক আবাসিক শিক্ষক বলেন, ‘প্রভোস্ট যেহেতু নিজেই হল সংসদের সভাপতি সেক্ষেত্রে তাকেই নির্বাচন বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান করা বাস্তবসম্মত নয়। এটি কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট। এ ছাড়া বেশিরভাগ প্রভোস্ট আবার দলীয় বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত। আমি মনে করি, এসব দায়িত্বে নির্দলীয় সিনিয়র শিক্ষকদের রাখা উচিত।’ হল সংসদ নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটি নিয়ে চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেছেন ডাকসুর স্বতন্ত্র এজিএস প্রার্থী মো. আশিকুর রহমান জীম। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সিনেটে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ জমা দেন তিনি। এতে
তিনি কমিটিগুলোর গঠন পুনর্বিবেচনা, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ ব্যক্তিদের দিয়ে কমিটি গঠন এবং আসন্ন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ ও পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানান। এ প্রসঙ্গে আশিকুর রহমান জীম বলেন, ‘প্রতিটি হলের প্রভোস্টকে প্রধান করে হল সংসদ নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। আর প্রভোস্টরা তাদের পছন্দের নিজেদের লোক অন্তর্ভুক্ত করে কমিটি তৈরি করেছেন। অধিকাংশ হলে রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনীত ব্যক্তিদের প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা জানি, প্রভোস্ট স্বাভাবিকভাবেই হল সংসদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। যেহেতু তিনি হল সংসদে সভাপতিত্ব করবেন, সেহেতু তিনি হল সংসদ নির্বাচন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে কীভাবে থাকেন? ফলে
আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে, এ ধরনের কমিটি নির্বাচনের নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা বিঘ্নিত করবে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপ ঘটাবে। এ ধরনের ব্যবস্থা কার্যত ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সুযোগ সৃষ্টি করছে।’ একই ধরনের অভিমত একটি হল সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থীর। তিনি বলেন, ‘আমাদের হলের প্রভোস্ট সম্পূর্ণ রাজনৈতিক মানুষ। আমরা আশঙ্কা করছি উনি নির্বাচনে দলীয় প্রভাব বজায় রাখতে পারেন। তার নিজের আদর্শের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করতে পারেন। এরই মধ্যে আমরা সেই ধরনের ইঙ্গিতও পাচ্ছি। নিজ হলের নির্বাচন সংশ্লিষ্টতা থেকে প্রভোস্টকে বাইরে রাখার দাবি জানাচ্ছি।’ ডাকসু ফর চেঞ্জ প্যানেলের এজিএস প্রার্থী রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘২০১৯ সালে ডাকসু নির্বাচনে প্রভোস্টরা সরাসরি কারচুপির সঙ্গে জড়িত ছিল। এমন অনেক
কারচুপি প্রমাণিত হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। এবারও ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন হলে যেসব নতুন প্রভোস্ট নিয়োগ দেওয়া হয় তারাও কোনো না কোনো দলের সঙ্গে যুক্ত। আমরা দাবি জানাচ্ছি, যে হলের প্রভোস্ট ওই হলের ভোটকেন্দ্রের কোনো দায়িত্বে থাকতে পারবেন না। যদি তিনি যুক্ত থাকেন তাহলে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (কারচুপি) সম্ভাবনা থাকবে। ডাকসুর ২০১৯ সালের নির্বাচনে কারচুপির চিত্র তুলে ধরে জিএস প্রার্থী রাশেদ খান বলেন, ‘সে নির্বাচনে জাতীয় নির্বাচনের চেয়েও জঘন্য কারচুপি ছিল। এতে সরাসরি জড়িত ছিলেন উপাচার্য ও তার সহযোগী শিক্ষকরা। বিশেষ করে আবাসিক হলের প্রভোস্টরা ছিলেন নির্লজ্জ ভূমিকার অংশীদার। তৎকালীন সংক্ষুব্ধ প্রার্থী হিসেবে আমি কারচুপির বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির
কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম; কিন্তু কোনো প্রতিকার মেলেনি। কারণ ওই তদন্ত কমিটিই গঠিত হয়েছিল ভোট কারচুপিতে সহযোগী ফ্যাসিবাদের দোসর শিক্ষকদের নিয়ে।’ প্রার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে ডাকসু নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী বলেন, ‘হল সংসদ নির্বাচন বাস্তবায়ন কমিটি হয়েছে মূলত হলের নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়গুলো দেখার জন্য। ভোটকেন্দ্রে প্রভোস্টদের সে ধরনের কোনো প্রভাব থাকবে না। কেন্দ্রীয়ভাবে এবার সব নিয়ন্ত্রণ করা হবে। প্রত্যেক কেন্দ্রে নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা মূল দায়িত্বে থাকবেন। কোনো কোনো প্রার্থী এ বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছেন, তবে আশঙ্কার কোনো কারণ নেই। এবার নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের কারচুপির সুযোগ নেই।’ আলোর মুখ দেখেনি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন: জিএস প্রার্থীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ১১ মার্চ ভোট গ্রহণ হওয়া ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ‘কারচুপি’ অনুসন্ধানে গত ৫ ফেব্রুয়ারি নতুন করে তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এই কমিটির সদস্যরা হলেন—বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, ফার্মেসি অনুষদের ডিন, আইন অনুষদের ডিন, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট, স্যার পি জে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হলের প্রভোস্ট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (তদন্ত)। তবে প্রায় ৭ মাস হতে চললেও এখনো আলোর মুখ দেখেনি তদন্ত প্রতিবেদন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা বিষয়টি এখনো তদন্ত করছি। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করব।’ তবে তদন্ত কমিটির ধীরগতির কার্যক্রমে হতাশ অভিযোগ দায়ের করা রাশেদ খান। তিনি বলেন, ‘জুলাইয়ের পর আমাদের প্রত্যাশা ছিল ন্যায়বিচার পাব। কিন্তু এই প্রশাসনও কারচুপির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিল না। একটা তদন্ত কমিটি করলেও তার কোনো ফল আমরা পাইনি।’
হয়েছে, তার অধিকাংশই ছিল দলীয় বিবেচনায়। এমনকি অনেকে সরাসরি জাতীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত। ফলে এসব ‘দলীয়’ প্রভোস্ট নির্বাচনী দায়িত্বে থাকলে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করতে পারেন এবং ‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং’-এর আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই তাদের নিজ নিজ হলের নির্বাচন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বে না রাখার দাবি জানিয়েছেন প্রার্থীরা। তবে ডাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা বলছেন, এবার কারচুপির কোনো সুযোগ নেই। আর প্রভোস্টদেরও আগের সেই ক্ষমতা থাকছে না। জানা গেছে, নির্বাচন সামনে রেখে সম্প্রতি পাঁচ সদস্যের হল সংসদ নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সভাপতি করা হয়েছে হল প্রভোস্টকে। তবে বিষয়টিকে নেতিবাচক হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, হল সংসদের মনোনীত সভাপতি হচ্ছেন প্রভোস্ট নিজেই। আবার
তাকেই করা হয়েছে কমিটির সভাপতি। এটি স্পষ্টত ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’ বা স্বার্থের সংঘাত। এ ছাড়া প্রভোস্টের পছন্দের আবাসিক শিক্ষকদেরই রিটার্নিং কর্মকর্তা করার অভিযোগ রয়েছে। এক আবাসিক শিক্ষক বলেন, ‘প্রভোস্ট যেহেতু নিজেই হল সংসদের সভাপতি সেক্ষেত্রে তাকেই নির্বাচন বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান করা বাস্তবসম্মত নয়। এটি কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট। এ ছাড়া বেশিরভাগ প্রভোস্ট আবার দলীয় বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত। আমি মনে করি, এসব দায়িত্বে নির্দলীয় সিনিয়র শিক্ষকদের রাখা উচিত।’ হল সংসদ নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটি নিয়ে চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেছেন ডাকসুর স্বতন্ত্র এজিএস প্রার্থী মো. আশিকুর রহমান জীম। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সিনেটে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ জমা দেন তিনি। এতে
তিনি কমিটিগুলোর গঠন পুনর্বিবেচনা, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ ব্যক্তিদের দিয়ে কমিটি গঠন এবং আসন্ন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ ও পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানান। এ প্রসঙ্গে আশিকুর রহমান জীম বলেন, ‘প্রতিটি হলের প্রভোস্টকে প্রধান করে হল সংসদ নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। আর প্রভোস্টরা তাদের পছন্দের নিজেদের লোক অন্তর্ভুক্ত করে কমিটি তৈরি করেছেন। অধিকাংশ হলে রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনীত ব্যক্তিদের প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা জানি, প্রভোস্ট স্বাভাবিকভাবেই হল সংসদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। যেহেতু তিনি হল সংসদে সভাপতিত্ব করবেন, সেহেতু তিনি হল সংসদ নির্বাচন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে কীভাবে থাকেন? ফলে
আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে, এ ধরনের কমিটি নির্বাচনের নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা বিঘ্নিত করবে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপ ঘটাবে। এ ধরনের ব্যবস্থা কার্যত ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সুযোগ সৃষ্টি করছে।’ একই ধরনের অভিমত একটি হল সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থীর। তিনি বলেন, ‘আমাদের হলের প্রভোস্ট সম্পূর্ণ রাজনৈতিক মানুষ। আমরা আশঙ্কা করছি উনি নির্বাচনে দলীয় প্রভাব বজায় রাখতে পারেন। তার নিজের আদর্শের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করতে পারেন। এরই মধ্যে আমরা সেই ধরনের ইঙ্গিতও পাচ্ছি। নিজ হলের নির্বাচন সংশ্লিষ্টতা থেকে প্রভোস্টকে বাইরে রাখার দাবি জানাচ্ছি।’ ডাকসু ফর চেঞ্জ প্যানেলের এজিএস প্রার্থী রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘২০১৯ সালে ডাকসু নির্বাচনে প্রভোস্টরা সরাসরি কারচুপির সঙ্গে জড়িত ছিল। এমন অনেক
কারচুপি প্রমাণিত হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। এবারও ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন হলে যেসব নতুন প্রভোস্ট নিয়োগ দেওয়া হয় তারাও কোনো না কোনো দলের সঙ্গে যুক্ত। আমরা দাবি জানাচ্ছি, যে হলের প্রভোস্ট ওই হলের ভোটকেন্দ্রের কোনো দায়িত্বে থাকতে পারবেন না। যদি তিনি যুক্ত থাকেন তাহলে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (কারচুপি) সম্ভাবনা থাকবে। ডাকসুর ২০১৯ সালের নির্বাচনে কারচুপির চিত্র তুলে ধরে জিএস প্রার্থী রাশেদ খান বলেন, ‘সে নির্বাচনে জাতীয় নির্বাচনের চেয়েও জঘন্য কারচুপি ছিল। এতে সরাসরি জড়িত ছিলেন উপাচার্য ও তার সহযোগী শিক্ষকরা। বিশেষ করে আবাসিক হলের প্রভোস্টরা ছিলেন নির্লজ্জ ভূমিকার অংশীদার। তৎকালীন সংক্ষুব্ধ প্রার্থী হিসেবে আমি কারচুপির বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির
কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম; কিন্তু কোনো প্রতিকার মেলেনি। কারণ ওই তদন্ত কমিটিই গঠিত হয়েছিল ভোট কারচুপিতে সহযোগী ফ্যাসিবাদের দোসর শিক্ষকদের নিয়ে।’ প্রার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে ডাকসু নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী বলেন, ‘হল সংসদ নির্বাচন বাস্তবায়ন কমিটি হয়েছে মূলত হলের নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়গুলো দেখার জন্য। ভোটকেন্দ্রে প্রভোস্টদের সে ধরনের কোনো প্রভাব থাকবে না। কেন্দ্রীয়ভাবে এবার সব নিয়ন্ত্রণ করা হবে। প্রত্যেক কেন্দ্রে নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা মূল দায়িত্বে থাকবেন। কোনো কোনো প্রার্থী এ বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছেন, তবে আশঙ্কার কোনো কারণ নেই। এবার নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের কারচুপির সুযোগ নেই।’ আলোর মুখ দেখেনি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন: জিএস প্রার্থীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ১১ মার্চ ভোট গ্রহণ হওয়া ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ‘কারচুপি’ অনুসন্ধানে গত ৫ ফেব্রুয়ারি নতুন করে তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এই কমিটির সদস্যরা হলেন—বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, ফার্মেসি অনুষদের ডিন, আইন অনুষদের ডিন, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট, স্যার পি জে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হলের প্রভোস্ট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (তদন্ত)। তবে প্রায় ৭ মাস হতে চললেও এখনো আলোর মুখ দেখেনি তদন্ত প্রতিবেদন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা বিষয়টি এখনো তদন্ত করছি। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করব।’ তবে তদন্ত কমিটির ধীরগতির কার্যক্রমে হতাশ অভিযোগ দায়ের করা রাশেদ খান। তিনি বলেন, ‘জুলাইয়ের পর আমাদের প্রত্যাশা ছিল ন্যায়বিচার পাব। কিন্তু এই প্রশাসনও কারচুপির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিল না। একটা তদন্ত কমিটি করলেও তার কোনো ফল আমরা পাইনি।’