ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
‘ইমার্জেন্সি’ ছবি নিয়ে ব্রিটিশ মন্ত্রী সরব, চুপ ভারতের নেতা ও নারীবাদীরা: কঙ্গনা
বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের ছবি ‘ইমার্জেন্সি’ মুক্তি পেয়েছে। ছবিটি মুক্তির আগে থেকেই নানা সমস্যার মুখে পড়ে। শেষে বহু কাঠখড় পুড়িয়ে বাধাবিঘ্ন দূর করে মুক্তি পায় ‘ইমার্জেন্সি’। ছবিটি মুক্তি পাওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন অভিনেত্রী।
ইমার্জেন্সি ছবিটি পরিচালনা, চিত্রনাট্য ও প্রযোজনা ছাড়াও ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রেও অভিনয় করেছেন কঙ্গনা রানাউত। এ ছাড়া মুক্তির পরও বিতর্ক অব্যাহত আছে। যদিও ছবিটি মুক্তির আগেই বাংলাদেশেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। ইংল্যান্ডেও ‘ইমার্জেন্সি’র প্রদর্শন বন্ধ করা হয়। কিন্তু এ সিয়ে কথা বলেছেন ব্রিটিশ রাজনীতিক বব ব্ল্যাকম্যান।
এর আগে প্রথমে পাঞ্জাবে এ ছবির প্রদর্শন নিয়ে আপত্তি উঠেছিল। গত ১৮ জানুয়ারি লন্ডনের একটি প্রেক্ষাগৃহেও খলিস্তানি সমাজকর্মীদের হস্তক্ষেপে
ছবির প্রদর্শন বন্ধ করা হয়। তার পর থেকেই ইংল্যান্ডেও এ ছবির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে। কিন্তু এমতাবস্থায় কেন চুপ ভারতের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও নারীবাদীরা? প্রশ্ন তুলেছেন খোদ অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। লন্ডনে ‘ইমার্জেন্সি’র প্রদর্শন বন্ধ করায় ব্রিটিশ মন্ত্রী বব ব্ল্যাকম্যান খলিস্তানিদের সমালোচনা করেছেন। বাকস্বাধীনতা খণ্ডন করতে চাইলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ জরুরি বলে মনে করেন তিনি। প্রেক্ষাগৃহে খলিস্তানিদের বিক্ষোভের সমালোচনায় সামাজিক মাধ্যমে কথা বলেন মন্ত্রী। ব্রিটিশ রাজনীতিকের পোস্ট দেখেই কঙ্গনার প্রশ্ন— ভারতের রাজনীতিকরা কী করছেন? আমার মৌলিক অধিকারের জন্য ব্রিটিশ মন্ত্রী সরব হয়েছেন। কিন্তু ভারতের রাজনীতিক ও নারীবাদীদের মধ্যে পিনপতনের নীরবতা। ‘ইমার্জেন্সি’ মুক্তির আগের দিনই শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটি (এসজিপিসি) বিরোধিতা শুরু করেছিল। ছবি মুক্তি
পেলে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ছড়াবে বলে দাবি ছিল এ সংগঠনের। পাঞ্জাবে এই ছবির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার জন্য পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকেও চিঠি পাঠিয়েছিলেন সংগঠনের সভাপতি। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি ছবিটির ওপর। উল্লেখ্য, এর আগে ইমার্জেন্সি ছবিটি ২০২৪ সালে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সেন্সর বোর্ডের কারণে ছবির মুক্তি স্থগিত হয়ে যায়। এ ছাড়া প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগে কিছু সম্প্রদায়ের অনুভূতিতে আঘাত করা নিয়ে ছবিটিকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। তবে এত বাধা পেরিয়ে অবশেষে ১৭ জানুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি মুক্তি পায়। এ ছাড়া ‘ইমার্জেন্সি’ ছবি মুক্তির পূর্ব মুহূর্তে একটি বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করেন অভিনেত্রী কঙ্গনা
রানাউত। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ির জন্য নাগপুরে ছবিটি প্রদর্শন করা হয়। ছবিটি দেখার পর সামাজিক মাধ্যমে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি লিখেছিলেন— ভারতের ইতিহাসের কালো অধ্যায়কে সততার সঙ্গে উৎকৃষ্টভাবে উপস্থাপন করার জন্য মন থেকে পরিচালক এবং ছবির সব অভিনেতাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ভারতের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় তুলে ধরা হয়েছে এ ছবিতে। সবাইকে এ ছবি দেখার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের ‘ইমার্জেন্সি’ ছবি থেকে বেশ কিছু দৃশ্য বাদও দিতে হয়েছে অভিনেত্রীকে। সব মিলিয়ে প্রথম পরিচালনা করতে গিয়ে ভালোই বেগ পেতে হয়েছে কঙ্গনাকে। তাই আগামী দিনে আর রাজনৈতিক ছবি তৈরির কথা ভাবছেন না তিনি।
ছবির প্রদর্শন বন্ধ করা হয়। তার পর থেকেই ইংল্যান্ডেও এ ছবির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে। কিন্তু এমতাবস্থায় কেন চুপ ভারতের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও নারীবাদীরা? প্রশ্ন তুলেছেন খোদ অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। লন্ডনে ‘ইমার্জেন্সি’র প্রদর্শন বন্ধ করায় ব্রিটিশ মন্ত্রী বব ব্ল্যাকম্যান খলিস্তানিদের সমালোচনা করেছেন। বাকস্বাধীনতা খণ্ডন করতে চাইলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ জরুরি বলে মনে করেন তিনি। প্রেক্ষাগৃহে খলিস্তানিদের বিক্ষোভের সমালোচনায় সামাজিক মাধ্যমে কথা বলেন মন্ত্রী। ব্রিটিশ রাজনীতিকের পোস্ট দেখেই কঙ্গনার প্রশ্ন— ভারতের রাজনীতিকরা কী করছেন? আমার মৌলিক অধিকারের জন্য ব্রিটিশ মন্ত্রী সরব হয়েছেন। কিন্তু ভারতের রাজনীতিক ও নারীবাদীদের মধ্যে পিনপতনের নীরবতা। ‘ইমার্জেন্সি’ মুক্তির আগের দিনই শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটি (এসজিপিসি) বিরোধিতা শুরু করেছিল। ছবি মুক্তি
পেলে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ছড়াবে বলে দাবি ছিল এ সংগঠনের। পাঞ্জাবে এই ছবির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার জন্য পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকেও চিঠি পাঠিয়েছিলেন সংগঠনের সভাপতি। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি ছবিটির ওপর। উল্লেখ্য, এর আগে ইমার্জেন্সি ছবিটি ২০২৪ সালে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সেন্সর বোর্ডের কারণে ছবির মুক্তি স্থগিত হয়ে যায়। এ ছাড়া প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগে কিছু সম্প্রদায়ের অনুভূতিতে আঘাত করা নিয়ে ছবিটিকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। তবে এত বাধা পেরিয়ে অবশেষে ১৭ জানুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি মুক্তি পায়। এ ছাড়া ‘ইমার্জেন্সি’ ছবি মুক্তির পূর্ব মুহূর্তে একটি বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করেন অভিনেত্রী কঙ্গনা
রানাউত। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ির জন্য নাগপুরে ছবিটি প্রদর্শন করা হয়। ছবিটি দেখার পর সামাজিক মাধ্যমে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি লিখেছিলেন— ভারতের ইতিহাসের কালো অধ্যায়কে সততার সঙ্গে উৎকৃষ্টভাবে উপস্থাপন করার জন্য মন থেকে পরিচালক এবং ছবির সব অভিনেতাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ভারতের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় তুলে ধরা হয়েছে এ ছবিতে। সবাইকে এ ছবি দেখার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের ‘ইমার্জেন্সি’ ছবি থেকে বেশ কিছু দৃশ্য বাদও দিতে হয়েছে অভিনেত্রীকে। সব মিলিয়ে প্রথম পরিচালনা করতে গিয়ে ভালোই বেগ পেতে হয়েছে কঙ্গনাকে। তাই আগামী দিনে আর রাজনৈতিক ছবি তৈরির কথা ভাবছেন না তিনি।