ইতিকাফ আল্লাহর সান্নিধ্যের শ্রেষ্ঠ ইবাদত – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইতিকাফ আল্লাহর সান্নিধ্যের শ্রেষ্ঠ ইবাদত

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২০ মার্চ, ২০২৫ | ৪:৫৩ 39 ভিউ
দয়াময় মাবুদের শোকরিয়া আদায় করছি যিনি আমাদেরকে রমজানের ১৯তম দিনে পৌঁছে দিলেন। রহমতের পর মাগফিরাতের দ্বিতীয় দশকও শেষ হয়ে যাবে আগামী কাল। শুরু হবে নাজাতের দশক। নাজাতের দশকের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো-এতে রয়েছে মহিমান্বিত শবেকদর। শবেকদরের তালাশের জন্যই মূলত ইতিকাফের প্রতি এত গুরুত্বারোপ করা হয়েছে ইসলামে। শবেকদর বা লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। হাদিস শরিফের বিভিন্ন ভাষা দ্বারা বোঝা যায়, উল্লিখিত আয়াতে মহিমান্বিত যে রাতের কথা বলা হয়েছে, তা এ শেষ দশকেই লুকিয়ে আছে। রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদরের অনুসন্ধান কর।’ (বুখারি, হাদিস : ২০১৭) মূলত ইতিকাফের মাধ্যমে রোজাদার ব্যক্তি লাইলাতুল কদরের অনুসন্ধানের পাশাপাশি রমজানের

শিক্ষা ও দীক্ষায় পূর্ণতা লাভ করে এবং রমজানের কল্যাণ ও বরকতে অবগাহন করে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে ইতিকাফ করা মুস্তাহাব এবং সামাজিক পর্যায়ে সুন্নাতে মুয়াক্কাদায়ে কেফায়া। কোনো সমাজের কেউ ইতিকাফ না করলে এলাকার সবাই সুন্নত পালন না করার জন্য গুনাহগার হবে। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবি (সা.) রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন। তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত এ নিয়মই ছিল। এরপর তাঁর সহধর্মিণীরাও (সে দিনগুলোতে) ইতিকাফ করতেন।’ (সহিহ বুখারি-২০২৬)। ইতিকাফ হলো আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমা ও কল্যাণ লাভ করার মোক্ষম সুযোগ। আর তা সম্ভব হবে, যদি ব্যক্তি পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণের পর ইতিকাফ শুরু করে এবং সময়ের যথাযথ ব্যবহারে সক্ষম হয়। ইতিকাফকারীকে প্রথমেই ইতিকাফের জন্য মানসিক

প্রস্তুতি নিতে হবে। কেননা মসজিদে অবস্থানের কারণে তার স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় যে সামান্য পরিবর্তন আসবে তা মেনে নিতে হবে। বিশেষত ইতিকাফের সময়টুকু ইবাদতে পরিণত করার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হতে হবে। পুরুষের জন্য যে কোনো জামে মসজিদে ইতিকাফ করা বৈধ। যেন ব্যক্তির পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও জুমার জামাত ছুটে যাওয়ার ভয় না থাকে। তবে মসজিদ নির্বাচনের সময় মসজিদের অবস্থানের সুবিধা-অসুবিধা, নিরাপত্তাব্যবস্থা, খাবার সরবারহ ও সংগ্রহের সুযোগ, ওজু-গোসলের ব্যবস্থাগুলো বিবেচনা করা যেতে পারে। যেন আনুষঙ্গিক কারণগুলো ইবাদতে মগ্ন থাকার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি না করে। আর নারী নিজ গৃহের নিরাপদ স্থানে ইতিকাফ করবেন। ইতিকাফের ফজিলত সম্পর্কে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টির নিয়তে যে ব্যক্তি

মাত্র একদিন ইতিকাফ করবে, আল্লাহতায়ালা তার ও জাহান্নামের মধ্যে তিনটি পরিখার সমান দূরত্ব সৃষ্টি করে দেবেন। প্রতিটি পরিখার দূরত্ব হবে আসমান-জমিনের মধবর্তী দূরত্বের সমান।’ (আল-মু‘জামুল আওসাত লিত-তবারানি)। আল্লাহতায়ালা আমাদের সহিহভাবে ইতিকাফ করার তাওফিক দিন। আমিন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
শুল্ক-কর বাড়ানো পণ্যের তালিকা দীর্ঘ হবে বিনিয়োগে উচ্চাভিলাষী ব্যয়ে লাগাম মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর দেখে যেতে চান মা শিক্ষার্থীদের হাতে ৩৩ শতাংশ নিম্নমানের বই ইন্টারকে গুঁড়িয়ে অবশেষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আক্ষেপ ঘোচাল পিএসজি অর্থনীতিতে গতি বাড়াচ্ছে ঈদুল আজহা সকাল ৯টার মধ্যে যেসব অঞ্চলে ঝড়ের আভাস হাজারো অবৈধ ভারতীয়কে বের করে দিল যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে সাধারণ ভারতীয়রা হয়ে উঠল পাকিস্তানের গুপ্তচর ৩ দেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এনসিপি নেতাদের বৈঠক স্বামীর যে শর্ত মানতেই হয়, ফাঁস করলেন দুবাই ধনীর স্ত্রী বন্ধ বাঙলা কলেজের ওয়েবসাইট, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা কমল জ্বালানি তেলের দাম যুদ্ধবিমান ভূপাতিত নিয়ে তোপের মুখে নরেন্দ্র মোদি পিএসজি না ইন্টার—কাকে মুকুট পরাবে ইউরোপ? ভারত-সমর্থিত সন্ত্রাসী হামলায় নিহত পাকিস্তানের জেলা প্রশাসক ট্রাম্পের উপদেষ্টা থাকাকালে নিয়মিত মাদক নিতেন ইলন মাস্ক বরিশালে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা টানা বৃষ্টিতে প্লাবিত সিলেটের নিম্নাঞ্চল, প্রস্তুত আশ্রয় কেন্দ্র বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুধার্ত এলাকা এখন ‘গাজা’