
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

মাদুরোকে ধরিয়ে দিলে ৫ কোটি ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র

বিমান থেকে ফেলা ত্রাণ বাক্স মাথায় পড়ে শিশুর মৃত্যু

চীনের গাংশু প্রদেশে পাহাড়ি বন্যায় নিহত ১০, নিখোঁজ ৩৩

গাজা দখলের পরিকল্পনায় ইসরাইলকে ‘বড় মাশুল’ দিতে হবে: হামাস

গাজায় অনাহারে মৃত্যু ২০০ ছুঁইছুঁই

কেন রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করছেন না মোদি

ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক হলেও ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের সম্ভাবনা কম
আরবদের গোলামিতেই রক্তাক্ত গাজা

রক্তে ভাসছে গাজা। বুলেট, বোমা আর ক্ষুধায় থেমে গেছে শিশুর কান্না। মায়ের চোখে শূন্যতা। চারপাশে ধ্বংস, আগুন আর হাহাকার।
এ নৃশংসতার মাঝেও কিছু চিত্র আরও গভীরভাবে বিদ্ধ করে-আরব বিশ্বের নীরবতা, নেতৃত্বের নির্লজ্জ আত্মসমর্পণ। যে অঞ্চলের রাজপথগুলোর ‘আরব ঐক্য’, ‘ফিলিস্তিন মুক্তি’ আর ‘মুসলিম ভ্রাতৃত্ব’র স্লোগানে কাঁপার কথা, আজ সেখানকার প্রাসাদগুলো একেবারে নীরব।
করপোরেট চুক্তি আর মার্কিন মদদের নরম আলোয় ঝলমল। ইসরাইল যখন ফিলিস্তিনি ঘরে বোমা ফেলে, তখন আরব শাসকরা ওয়াশিংটনে তেল বেচার চুক্তিতে সই করতে ব্যস্ত। কারও কারও মুখে ফিলিস্তিনের জন্য দু-এক ফোঁটা নকল কান্না থাকলেও, তাকিয়ে থাকে মার্কিন ইশারার দিকেই। যার কারণেই গাজা আজ রক্তাক্ত।
এই গোলামি নতুন কিছু নয়।
এটি সেই পুরোনো ‘আরব ফ্যাসাদ’-এর উত্তরাধিকার। যা ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শক্তির তৈরি। আর এখন মার্কিন আধিপত্যের ছায়ায়। মিডল ইস্ট আই। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ওসমানি শাসন-পরবর্তী যে আরব রাষ্ট্রগুলো গড়ে তোলা হয়েছিল, তা এ অঞ্চলের নিজস্ব অধিবাসীদের জন্য নয়, বরং গড়ে তোলা হয়েছিল পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীদের স্বার্থরক্ষায়। সম্প্রতি মিডল ইস্ট আইয়ে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসবিদ এবং ‘চ্যান্সেলরস চেয়ার’ পদে অধিষ্ঠিত উসামা মাকদিসির লেখা এক নিবন্ধে এমন মতামত তুলে ধরা হয়েছে। নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯১৮ সালে, ওসমানি শাসন-পরবর্তী মধ্যপ্রাচ্যে ব্রিটিশ আধিপত্য স্পষ্ট হয়ে উঠতে থাকে। ১৯১৯ সালের তথাকথিত প্যারিস শান্তি সম্মেলনের সময় ব্রিটিশরা বুঝে যায়, ব্যাহত প্রতীয়মান ‘স্বনির্ধারণীর’ এ যুগে নিজেদের আধিপত্য আর সরাসরি চাপিয়ে
দিতে পারবে না তারা। তাই তাদের আধিপত্য আড়াল করতে দরকার ‘স্থানীয় কর্তৃত্ব’ নামের এক মুখোশ। কিছু ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী, যেমন টি ই লরেন্স ভাবতেন, তারা আরবদের সহায়তা করার মধ্য দিয়ে নিজেদের অহংকার চরিতার্থ করছেন। কিন্তু তারা মূলত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যেরই সেবক ছিলেন। ১৯১৬ সালে হাশেমি নেতা শরিফ হোসাইন ইবনে আলিকে সমর্থন ও অর্থসহায়তা দিয়ে আরব বিদ্রোহে উসকানি দেয় তারা। হাশেমিরা আগে ওসমানিদের সেবা করলেও প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশদের পক্ষে চলে যায়। এটি ছিল ব্রিটিশদের ‘পরোক্ষ শাসন’ নামে এক পুরোনো কৌশলেরই নতুন সংস্করণ। উদ্দেশ্য ছিল, যে কোনো প্রকৃত স্বাধীনতার উদ্যোগ রুখে স্থানীয় শাসনের নামে নিজেরাই শাসন চালিয়ে যাওয়া। কিন্তু ১৯৬৭ সালের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র
ব্রিটিশদের স্থান নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে প্রধান প্রভাবশালী শক্তিতে পরিণত হয়। আর তারাই আবার গড়ে তোলে নতুন রূপের ‘আরব মুখোশ’। এরপর থেকে চলছে এখনো। আজকের ‘আরব মুখোশ ২.০’ প্রকৃতপক্ষে সেই পুরোনো ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক ছকেরই পুনরাবৃত্তি। তবে এবার তা যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য টিকিয়ে রাখার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। আজকের আরব শাসকরা নিজেদের কিছুটা কৌশলী ভূমিকা রাখতে পারেন। তবে তা যুক্তরাষ্ট্রের নীতির প্রতি অনুগত থেকেই। বিশেষত ফিলিস্তিন প্রশ্নে জনমতের বিপরীতে গিয়েও। এ শাসকরা কখনো নীরব দর্শক, কখনো সহচর। একবাক্যে বলা যায়, তারা এমন এক বহিঃশক্তির ছত্রছায়ায় টিকে আছেন, যে শক্তি মুসলিম ও আরবদের তাচ্ছিল্য করে।
এটি সেই পুরোনো ‘আরব ফ্যাসাদ’-এর উত্তরাধিকার। যা ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শক্তির তৈরি। আর এখন মার্কিন আধিপত্যের ছায়ায়। মিডল ইস্ট আই। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ওসমানি শাসন-পরবর্তী যে আরব রাষ্ট্রগুলো গড়ে তোলা হয়েছিল, তা এ অঞ্চলের নিজস্ব অধিবাসীদের জন্য নয়, বরং গড়ে তোলা হয়েছিল পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীদের স্বার্থরক্ষায়। সম্প্রতি মিডল ইস্ট আইয়ে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসবিদ এবং ‘চ্যান্সেলরস চেয়ার’ পদে অধিষ্ঠিত উসামা মাকদিসির লেখা এক নিবন্ধে এমন মতামত তুলে ধরা হয়েছে। নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯১৮ সালে, ওসমানি শাসন-পরবর্তী মধ্যপ্রাচ্যে ব্রিটিশ আধিপত্য স্পষ্ট হয়ে উঠতে থাকে। ১৯১৯ সালের তথাকথিত প্যারিস শান্তি সম্মেলনের সময় ব্রিটিশরা বুঝে যায়, ব্যাহত প্রতীয়মান ‘স্বনির্ধারণীর’ এ যুগে নিজেদের আধিপত্য আর সরাসরি চাপিয়ে
দিতে পারবে না তারা। তাই তাদের আধিপত্য আড়াল করতে দরকার ‘স্থানীয় কর্তৃত্ব’ নামের এক মুখোশ। কিছু ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী, যেমন টি ই লরেন্স ভাবতেন, তারা আরবদের সহায়তা করার মধ্য দিয়ে নিজেদের অহংকার চরিতার্থ করছেন। কিন্তু তারা মূলত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যেরই সেবক ছিলেন। ১৯১৬ সালে হাশেমি নেতা শরিফ হোসাইন ইবনে আলিকে সমর্থন ও অর্থসহায়তা দিয়ে আরব বিদ্রোহে উসকানি দেয় তারা। হাশেমিরা আগে ওসমানিদের সেবা করলেও প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশদের পক্ষে চলে যায়। এটি ছিল ব্রিটিশদের ‘পরোক্ষ শাসন’ নামে এক পুরোনো কৌশলেরই নতুন সংস্করণ। উদ্দেশ্য ছিল, যে কোনো প্রকৃত স্বাধীনতার উদ্যোগ রুখে স্থানীয় শাসনের নামে নিজেরাই শাসন চালিয়ে যাওয়া। কিন্তু ১৯৬৭ সালের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র
ব্রিটিশদের স্থান নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে প্রধান প্রভাবশালী শক্তিতে পরিণত হয়। আর তারাই আবার গড়ে তোলে নতুন রূপের ‘আরব মুখোশ’। এরপর থেকে চলছে এখনো। আজকের ‘আরব মুখোশ ২.০’ প্রকৃতপক্ষে সেই পুরোনো ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক ছকেরই পুনরাবৃত্তি। তবে এবার তা যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য টিকিয়ে রাখার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। আজকের আরব শাসকরা নিজেদের কিছুটা কৌশলী ভূমিকা রাখতে পারেন। তবে তা যুক্তরাষ্ট্রের নীতির প্রতি অনুগত থেকেই। বিশেষত ফিলিস্তিন প্রশ্নে জনমতের বিপরীতে গিয়েও। এ শাসকরা কখনো নীরব দর্শক, কখনো সহচর। একবাক্যে বলা যায়, তারা এমন এক বহিঃশক্তির ছত্রছায়ায় টিকে আছেন, যে শক্তি মুসলিম ও আরবদের তাচ্ছিল্য করে।