আমরা ভিক্ষা চাই না, পানির ন্যায্য হিস্যা চাই: মির্জা আব্বাস – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ৪ মে, ২০২৫
     ১১:০৭ অপরাহ্ণ

আমরা ভিক্ষা চাই না, পানির ন্যায্য হিস্যা চাই: মির্জা আব্বাস

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৪ মে, ২০২৫ | ১১:০৭ 68 ভিউ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আমরা ভারতের কাছে পানি ছাড়া অন্য কিছু চাই না। আমরা বকসিস চাই না, ভিক্ষা চাই না। আমরা হিসাবের পাওনা চাই। আমাদের হিসাবের পাওনা দিতে হবে। আজকে না হলে কালকে দিতে হবে। আমরা আদায় করে নেব। রোববার বিকালে তিস্তা চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে গণপদযাত্রার পূর্বে রংপুর নগরীর শাপলা চত্বরে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা আব্বাস বলেন, পানি কখনো মারণাস্ত্র হতে পারে না। পানি কখনও যুদ্ধের অস্ত্র হতে পারে না। একমাত্র ভারত বিশ্বে দেখিয়ে দিলো, পানি তারা যুদ্ধের ও মারণাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। এটি অমানবিক আচরণ। এই আচরণ সব

সভ্য রীতি-নীতিকে হার মানায়। তিনি আরও বলেন, আমরা অনেক আগেই পানির ন্যায্য হিস্যা পেতাম। যদি হাসিনার মতো একটা সন্ত্রাসী সরকার না আসত। এই পানি নিয়ে তারা ভারতের কাছে কিছু বলতে পারে নাই। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিল কিন্তু তাদের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারণে তারা দেশের জন্য কোনো মঙ্গল বয়ে আনেনি। এ সময় মির্জা আব্বাস তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনের নেতা আসাদুল হাবীব দুলুকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, দুলু উত্তরবঙ্গের একজন প্রতিবাদী মুখ। মাটি ও মানুষের নেতা। একজন কৃতী সন্তান। তাই দুলু তুমি সাবধানে থাকবে। কেননা ভারত কখনও এই ধরনের প্রতিবাদী মুখ বুজে সহ্য করতে পারে না। ইতোপূর্বে শুধুমাত্র সুরমা নদীর বাঁধের জন্য আমাদের

ইলিয়াছ আলীকে গুম করা হয়েছে। তাই তোমাকে সাবধানে পথ চলতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে ভারতের অনেক কিছু আছে। আমাদের কাছে ভারতের অনেক পোর্ট আছে। মংলা পোর্ট আছে, চট্টগ্রামে আছে। আমরা এগুলোর হিসেব করব। হিসেব করার সময় এসেছে। আমাদের তিস্তার পানি দিতে হবে। ফারাক্কার পানি চাই। দিতে হবে। যেখানে যেখানে পানি দরকার সেখানে সেখানে পানি দিতে হবে। শুধুমাত্র সরকারের অপেক্ষায় আছি। দেশের মানুষ যদি রায় দেয় আর আমরা সরকার গঠন করলে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করেই আমাদের ন্যায্য হিস্যা বুঝে নেব। কিছুদিন আগে যে সরকার ছিল, তারা সরকারে থেকেও ভারতের সঙ্গে এসব হিসেব করে নাই। তারা ছিল আপস করে

ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য। গণপদযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু, বিএনপি নেতা এমদাদুল হক ভরসাসহ অন্য নেতারা। মির্জা আব্বাস এ সময় তিস্তা নদী নিয়ে আন্দোলনের আয়োজনের প্রশংসা করেন এবং তিস্তা আন্দোলন বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তিনি এ আন্দোলনের সঙ্গে থাকার অঙ্গীকার করেন। এদিকে এ গণপদযাত্রাকে কেন্দ্র করে দুপুর ১টার পর থেকেই তিস্তা নদীবেষ্টিত বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে লোকজন আসতে শুরু করে। সময় যত বাড়ে

লোকজনের উপস্থিতিও বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে রংপুর নগরীর শাপলা চত্বর এলাকা। সব শ্রেণি-পেশার মানুষের যেন জনস্রোত এসে এসে মিশে এক মোহনায়। এ সময় বন্ধ হয়ে যায় সকল সড়কে যানবাহন চলাচল। নগরীর প্রধান সড়কে তিস্তা বাঁচাই আন্দোলন গণপদযাত্রায় অংশ নেওয়া মানুষের ঢল নামে। তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন আয়োজিত এ গণপদযাত্রা রংপুর নগরীর শাপলা চত্বর থেকে শুরু হয়ে রংপুর জিলা স্কুল মাঠ পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায়। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কৃষক সংগঠন, শ্রমজীবী মানুষ, পরিবেশবাদী সংগঠন এবং সাধারণ নাগরিকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ পদযাত্রাটিকে এক গণআন্দোলনে রূপ দেয়। এ গণপদযাত্রায় তিস্তা বাঁচাও আন্দোলনের বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে

অংশ নেন নদীপারের মানুষসহ প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। এর আগে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় এবং অবিলম্বে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে তিস্তাপারের মানুষজন ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি দুই দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে আয়োজিত কর্মসূচিতে পাঁচ জেলার ১১ পয়েন্টে তাঁবু খাটিয়ে একই সময়ে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে সংহতি প্রকাশ করে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সমাপনী অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে সব পয়েন্টে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ব্যতিক্রমধর্মী এ কর্মসূচিতে পাঁচ জেলার কয়েক লক্ষাধিক মানুষ অংশ নেন। এরপরও বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন

সরকার এখন পর্যন্ত বিষয়টি আমলে নেয়নি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ফের হেনস্তার শিকার উরফি কাতারে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানাল বাংলাদেশ নেপালে কারফিউ, আতঙ্কিত জনগণ নেপালজুড়ে কারফিউ জারি এবার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় নেমেছে নেপালের জেনজি আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবককে কুপিয়ে হত্যা ভালোবাসার টানে রাজবাড়ীতে এসে বিয়ে করলেন চীনা যুবক ইসরাইল বয়কটের ঘোষণা ১২০০ শিল্পীর নেপালে কারফিউ, আতঙ্কিত জনগণ সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের যোগদান নিয়ে কড়া নির্দেশনা দিল এনটিআরসিএ শেখ হাসিনার ১৬ বছরের তিলে তিলে গড়ে উঠা শেয়ার বাজারের ২৫% এক বছরে ধ্বংস করেছে ইউনূস ঢাবি ভিসি’র নেতৃত্বের প্রশাসন ‘আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতি’ বলে ঘোষণা ছাত্রদলের শিবিরবান্ধব শেহরীন মনামীকে ‘রাজাকার’ ট্যাগ: ফেসবুকে পিতার মুক্তিযুদ্ধ সার্টিফিকেট দিয়ে জানালেন, “আমিও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, কিন্তু…” বাংলাদেশ ‘মবতন্ত্র’, সহিংসতা শুধু মব নয় – রাজনৈতিক ও ধর্মীয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কাতারে হামাস নেতৃত্বের উপর ইসরায়েলের ‘সুনির্দিষ্ট হামলা’: মধ্যপ্রাচ্যে আবার উত্তেজনা বৃদ্ধি এটর্নি জানারেলের আত্মতুষ্টি আর একটি লাশের জনপদের গল্প জুলাই অনেকের জন্য রঙিন হলেও, নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য নিকষ কালো অন্ধকারে যাত্রা মন্ত্রীদের জন্য ৬০ পাজেরো কিনছে সরকার: বিশ্লেষক ও বিশেষজ্ঞদের চোখে ‘লুটপাটের উৎসব’ শেভরনের বকেয়া ও জরিমানার দাবি পূরণে ইউনুস সরকারের নতজানু নীতি: ৩৬৬ কোটি টাকা পরিশোধ সরকারের প্রশ্রয়ে উগ্রপন্থীরা মাজার ও খানকা টার্গেট করেছে: অভিযোগ সুফি নেতাদের