আমরা ভিক্ষা চাই না, পানির ন্যায্য হিস্যা চাই: মির্জা আব্বাস – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ৪ মে, ২০২৫
     ১১:০৭ অপরাহ্ণ

আরও খবর

নির্বাচনে এককভাবে অংশ নেবে জাপা, মনোনয়ন বিক্রি শুরু

বিজয় দিবসের দিন জামায়াত আমিরের অভিনব প্রতারণা

পাহাড়ে শিবিরের গোপন প্রশিক্ষণ নির্বাচন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ

ত্রিশ লক্ষ শহীদের পবিত্র রক্ত বিধৌত বাংলার সবুজ জমিন ফুঁড়ে উদিত হওয়া স্বাধীনতার রক্তলাল সূর্য খচিত আমাদের জাতিয় পতাকা।

ক্ষমতার লোভে ইতিহাস স্বীকারের ভান: জামায়াতের ‘ক্ষমা’ নয়, এটি সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রতারণা

দেশ আবার সারের জন্য ফেটে পড়ছে—এই হলো বিদেশিদের পোষ্য জামাতি ইউনুস সরকারের আসল চেহারা!

‘আওয়ামী লীগ দুর্নীতি করলেও কাজ করেছে, এরা শুধুই পকেট ভরেছে’—সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঝাড়লেন রিকশাচালক

আমরা ভিক্ষা চাই না, পানির ন্যায্য হিস্যা চাই: মির্জা আব্বাস

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৪ মে, ২০২৫ | ১১:০৭ 99 ভিউ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আমরা ভারতের কাছে পানি ছাড়া অন্য কিছু চাই না। আমরা বকসিস চাই না, ভিক্ষা চাই না। আমরা হিসাবের পাওনা চাই। আমাদের হিসাবের পাওনা দিতে হবে। আজকে না হলে কালকে দিতে হবে। আমরা আদায় করে নেব। রোববার বিকালে তিস্তা চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে গণপদযাত্রার পূর্বে রংপুর নগরীর শাপলা চত্বরে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা আব্বাস বলেন, পানি কখনো মারণাস্ত্র হতে পারে না। পানি কখনও যুদ্ধের অস্ত্র হতে পারে না। একমাত্র ভারত বিশ্বে দেখিয়ে দিলো, পানি তারা যুদ্ধের ও মারণাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। এটি অমানবিক আচরণ। এই আচরণ সব

সভ্য রীতি-নীতিকে হার মানায়। তিনি আরও বলেন, আমরা অনেক আগেই পানির ন্যায্য হিস্যা পেতাম। যদি হাসিনার মতো একটা সন্ত্রাসী সরকার না আসত। এই পানি নিয়ে তারা ভারতের কাছে কিছু বলতে পারে নাই। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিল কিন্তু তাদের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারণে তারা দেশের জন্য কোনো মঙ্গল বয়ে আনেনি। এ সময় মির্জা আব্বাস তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনের নেতা আসাদুল হাবীব দুলুকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, দুলু উত্তরবঙ্গের একজন প্রতিবাদী মুখ। মাটি ও মানুষের নেতা। একজন কৃতী সন্তান। তাই দুলু তুমি সাবধানে থাকবে। কেননা ভারত কখনও এই ধরনের প্রতিবাদী মুখ বুজে সহ্য করতে পারে না। ইতোপূর্বে শুধুমাত্র সুরমা নদীর বাঁধের জন্য আমাদের

ইলিয়াছ আলীকে গুম করা হয়েছে। তাই তোমাকে সাবধানে পথ চলতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে ভারতের অনেক কিছু আছে। আমাদের কাছে ভারতের অনেক পোর্ট আছে। মংলা পোর্ট আছে, চট্টগ্রামে আছে। আমরা এগুলোর হিসেব করব। হিসেব করার সময় এসেছে। আমাদের তিস্তার পানি দিতে হবে। ফারাক্কার পানি চাই। দিতে হবে। যেখানে যেখানে পানি দরকার সেখানে সেখানে পানি দিতে হবে। শুধুমাত্র সরকারের অপেক্ষায় আছি। দেশের মানুষ যদি রায় দেয় আর আমরা সরকার গঠন করলে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করেই আমাদের ন্যায্য হিস্যা বুঝে নেব। কিছুদিন আগে যে সরকার ছিল, তারা সরকারে থেকেও ভারতের সঙ্গে এসব হিসেব করে নাই। তারা ছিল আপস করে

ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য। গণপদযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু, বিএনপি নেতা এমদাদুল হক ভরসাসহ অন্য নেতারা। মির্জা আব্বাস এ সময় তিস্তা নদী নিয়ে আন্দোলনের আয়োজনের প্রশংসা করেন এবং তিস্তা আন্দোলন বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তিনি এ আন্দোলনের সঙ্গে থাকার অঙ্গীকার করেন। এদিকে এ গণপদযাত্রাকে কেন্দ্র করে দুপুর ১টার পর থেকেই তিস্তা নদীবেষ্টিত বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে লোকজন আসতে শুরু করে। সময় যত বাড়ে

লোকজনের উপস্থিতিও বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে রংপুর নগরীর শাপলা চত্বর এলাকা। সব শ্রেণি-পেশার মানুষের যেন জনস্রোত এসে এসে মিশে এক মোহনায়। এ সময় বন্ধ হয়ে যায় সকল সড়কে যানবাহন চলাচল। নগরীর প্রধান সড়কে তিস্তা বাঁচাই আন্দোলন গণপদযাত্রায় অংশ নেওয়া মানুষের ঢল নামে। তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন আয়োজিত এ গণপদযাত্রা রংপুর নগরীর শাপলা চত্বর থেকে শুরু হয়ে রংপুর জিলা স্কুল মাঠ পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায়। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কৃষক সংগঠন, শ্রমজীবী মানুষ, পরিবেশবাদী সংগঠন এবং সাধারণ নাগরিকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ পদযাত্রাটিকে এক গণআন্দোলনে রূপ দেয়। এ গণপদযাত্রায় তিস্তা বাঁচাও আন্দোলনের বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে

অংশ নেন নদীপারের মানুষসহ প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। এর আগে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় এবং অবিলম্বে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে তিস্তাপারের মানুষজন ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি দুই দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে আয়োজিত কর্মসূচিতে পাঁচ জেলার ১১ পয়েন্টে তাঁবু খাটিয়ে একই সময়ে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে সংহতি প্রকাশ করে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সমাপনী অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে সব পয়েন্টে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ব্যতিক্রমধর্মী এ কর্মসূচিতে পাঁচ জেলার কয়েক লক্ষাধিক মানুষ অংশ নেন। এরপরও বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন

সরকার এখন পর্যন্ত বিষয়টি আমলে নেয়নি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
রোদে সময় কাটানোর উপকারিতা খুনের ৭ মামলায় ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রীর জামিন স্থগিত ২০২৬ সালেও স্বর্ণের দাম বৃদ্ধির পূর্বাভাস একুশে বইমেলা পিছিয়ে ভোটের পর, শুরু ২০ ফেব্রুয়ারি যুগ্ম সচিবকে জিম্মি করে ৬ লাখ টাকা চাঁদা দাবি চালকের নির্বাচনে এককভাবে অংশ নেবে জাপা, মনোনয়ন বিক্রি শুরু বিতর্কিত অঙ্গভঙ্গি, মুকুট হারালেন মিস ফিনল্যান্ড গুপ্তচর ধাঁচের সিনেমা কেন ভারত-পাকিস্তানে রাজনৈতিক ঝড় তুলেছে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আরো ৭ দেশ, মাঠে বিশ্বকাপ দেখা অনিশ্চিত পুরান ঢাকায় প্লাস্টিক কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে মেসিকে ফেরানোর প্রতিশ্রুতি বার্সার নতুন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর সিডনিতে হামলাকারীর বিরুদ্ধে ৫৯ অভিযোগ, ১৫টি হত্যার ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বিজয় দিবসের দিন জামায়াত আমিরের অভিনব প্রতারণা পাহাড়ে শিবিরের গোপন প্রশিক্ষণ নির্বাচন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ নিরাপত্তা শঙ্কায় ঢাকায় ইন্ডিয়া ভিসা সেন্টার সাময়িক বন্ধ নিয়োগ থেকে টেন্ডার: দুদকের অভিযানের পরও বহাল সিন্ডিকেট, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পরিচালক ডা. আবু হানিফ–নেটওয়ার্কের অদম্য দাপট ক্ষমতার পালাবদলের পর রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ইতিহাস হত্যা, অঘোষিত বাতিল বিজয় দিবস কূটনৈতিক টানাপোড়েনের ইঙ্গিত: নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার তলব। ত্রিশ লক্ষ শহীদের পবিত্র রক্ত বিধৌত বাংলার সবুজ জমিন ফুঁড়ে উদিত হওয়া স্বাধীনতার রক্তলাল সূর্য খচিত আমাদের জাতিয় পতাকা।