আদানিকে আরও ২ হাজার কোটি টাকা দিল বাংলাদেশ – ইউ এস বাংলা নিউজ




আদানিকে আরও ২ হাজার কোটি টাকা দিল বাংলাদেশ

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৯ নভেম্বর, ২০২৪ | ৬:৫৭ 38 ভিউ
ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের আদানি গড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার আদানি গ্রুপকে আরও ২ হাজার কোটি টাকার (প্রায় ১৭৩ মিলিয়ন ডলার) অর্থায়ন করেছে। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের একটি প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আদানি পাওয়ার এ অর্থায়নের বিষয়ে একটি নতুন লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) পেয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) থেকে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে বিদ্যুতের জন্য আদানি গ্রুপের কাছে পূর্বের বকেয়া রয়েছে ৮৪৩ মিলিয়ন ডলার, যা সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের ফলে পরিশোধের বিষয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। এর ফলে রোববার টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘৭ নভেম্বরের

মধ্যে ৮৫০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া পরিশোধ না করা হলে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করবে আদানি পাওয়ার।’ এমন পরিস্থিতিতে, বিদ্যুৎ সরবরাহের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বিপিডিবি নতুন এ এলসিটি ইস্যু করে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নতুন এলসি বাংলাদেশের কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ভারতের আইসিআইসিআই ব্যাংকে প্রদান করা হয়েছে, যা আদানি গ্রুপকে দেওয়া তৃতীয় এলসি। এ ছাড়া আগের এলসিগুলো বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির সঙ্গে সমন্বিত ছিল না বলে দাবি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ঝাড়খন্ডের গোড্ডায় আদানি পাওয়ারের দুটি বিদ্যুৎ উৎপাদন ইউনিট রয়েছে, যেগুলোর ক্ষমতা ৮০০ মেগাওয়াট করে এবং সম্পূর্ণ উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে রপ্তানি করা হয়। এটি বাংলাদেশে বিদ্যুতের চাহিদার প্রায় ১০ শতাংশ পূরণ করে। এদিকে, আদানি পাওয়ার বাংলাদেশ

থেকে অতিরিক্ত ১৫-২০ মিলিয়ন ডলার দাবি করেছে এবং এ দাবি পূরণ না হলে বন্ধ থাকা ৮০০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট পুনরায় চালু করবে না বলে জানিয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের কারণে আমদানিকৃত বিদ্যুৎ ও তেলের জন্য অর্থ প্রদান চ্যালেঞ্জে পড়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ২৫ বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ এই বিদ্যুৎ সরবরাহ চুক্তির আওতায় প্রতি মাসে বাংলাদেশকে ৯৫ থেকে ৯৭ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হয়। তবে সম্প্রতি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটের ফলে এ অর্থ প্রদানে অসুবিধা হচ্ছে। আইএমএফের সঙ্গে পূর্বের ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ ছাড়াও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার অতিরিক্ত ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ চেয়েছে,

যা এই সংকট মোকাবিলায় সহায়ক হয়ে উঠতে পারে। এর আগে বিদ্যুৎ বাবদ পাওনা পরিশোধের জন্য বাংলাদেশকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় আদানি গ্রুপ। তবে এ ব্যাপারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হলে সুর নরম করে আদানি গ্রুপ। পাশাপাশি বিদ্যুৎ বাবদ পাওনা পরিশোধের জন্য সময় বেঁধে দেওয়ার আলটিমেটামের বিষয়টিও অস্বীকার করে তারা। আদানি বলেছে যে ৮৫ কোটি ডলারের বকেয়ার পুরোটা তারা ৭ নভেম্বরের মধ্যে চায়নি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
তেলের ডিপোতে আগুন, পুড়ল ৪শ ব্যারেল মানুষ সংস্কার বোঝে না, তারা বোঝে ভোট: মির্জা ফখরুল বোর্নামাউথে বিধ্বস্ত আমোরিমের ম্যানইউ জবিতে ভর্তি পরীক্ষা হবে নিজস্ব পদ্ধতিতে ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে এতো ব্যস্ত কেন’, প্রশ্ন সালাউদ্দিনের ব্যাংকের সম্পদ মূল্যায়নে বিদেশি পরামর্শক নিয়োগে নীতিমালা ২১ দিনে দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স যুদ্ধবিরতির দ্বারপ্রান্তে হামাস-ইসরায়েল যে কারণে শাশুড়ির প্রশংসায় পঞ্চমুখ ক্যাটরিনা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ ট্রেইনি চিকিৎসকদের সাদপন্থি নেতা মুয়াজ বিন নূর ৩ দিনের রিমান্ডে গাজা যুদ্ধবিরতির আলোচনা ৯০ শতাংশ সম্পন্ন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ‘কারকুমা’ ফাংশনাল ফুড দীর্ঘ ১২ বছর পর দামেস্কে কাজ শুরু করল তুরস্কের দূতাবাস মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে ইরানের ‘স্বপ্নভঙ্গ’, বিকল্প কী সিরিয়ার ক্ষমতা দখলকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করল যুক্তরাষ্ট্র সেই তাহেরীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা হামাসের সাথে শান্তি চুক্তি চায় ৭২ শতাংশ ইসরাইলি ‘অখণ্ড বাংলাদেশ’ গঠনের ডাক, তীব্র প্রতিক্রিয়া দিল্লির রাজপথে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি