আজ জুমাতুল বিদা

আজ ২৭ রমজান। জুমাতুল বিদা বা রমজানের শেষ জুমা। জানি না আগামী বছর জুমাতুল বিদায় আমরা উপনীত হতে পারব কিনা। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন রমজানের ওসিলায় আমাদের হায়াতে বারাকাহ দান করুন। আগামীর দিনগুলোতে ইমান ও নিষ্ঠার সঙ্গে দ্বীনের পথে অবিচল রাখুন। পবিত্র রমজানের শেষ শুক্রবার জুমাতুল বিদা হিসাবেই মুসলিম দুনিয়ায় পরিচিত। দিনটি রমজান মাসের শেষ দিন ও জুমাবার হওয়ায় মুসলমানদের কাছে এর একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। জুমার তো একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য আছেই এর মধ্যে রমজানের শেষ জুমা, তাই সর্বস্তরের মুসলমান এ দিনটিকে বিশেষভাবে মূল্যায়ন করে থাকেন।
আরেক বছরে, আরেক রমজানের কোনো জুমা ভাগ্যে নাও জুটতে পারে সে বিশ্বাস থেকেই মুসলমানরা জুমাতুল বিদা
বা রমজানের শেষ জুমাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। ইতিহাস থেকে জানা যায়, রমজান মাসের শেষ শুক্রবার হজরত সুলায়মান (আ.) জেরুজালেম নগরী প্রতিষ্ঠা করেন এবং মুসলমানদের প্রথম কিবলা ‘আল-আকসা মসজিদ’ প্রতিষ্ঠা করেন। এ জন্য মাহে রমজানের শেষ শুক্রবারটিকে ‘আল কুদস’ দিবস হিসাবেও পালন করা হয়। ইহুদি জায়নবাদি শক্তির দখল থেকে মুসলমানদের প্রথম কিবলা পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস মসজিদ মুক্ত করার শপথ ব্যক্ত করা হয় এ দিনে। দেশে দেশে মুসলমানরা এদিন জুমার পর প্রতিবাদ র্যালি বের করে থাকেন। ইফতারের আগে বিশেষ আলোচনা ও মোনাজাতও করা হয়। ইরানের আধ্যাত্মিক নেতা মরহুম আয়াতুল্লাহ খোমেনি ‘আল কুদস’ দিবস পালনের প্রথম আহ্বান রেখেছিলেন। পরে প্রতিবাদ ও প্রত্যয়ের এ
কর্মসূচিটি ব্যাপকতা লাভ করে প্রায় সব মুসলিম দেশে। মজলুম ফিলিস্তিনি জাতির ওপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসা ইহুদি শাসন, শোষণ, নিপীড়ন ও তাদের নৃশংস হত্যাযজ্ঞের অবসান ঘটানো এবং বায়তুল মোকাদ্দাসকে রাজধানী করে ফিলিস্তিনি জাতির নিজস্ব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাসহ মুসলমানদের বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর মোকাবিলার জন্য মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া এখন সময়ের অনিবার্য দাবি। ‘আল কুদস’ দিবস মুসলিম জাতির জন্য এক মহাজাগরণের দিন। এ জাগরণের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নতুন করে ইমানি শক্তি সঞ্চয় করে গর্জে উঠুক মুসলিম উম্মাহ। সবশেষে ফিলিস্তিনি মুসলমানরা তাদের হারানো সোনালি অতীত আবারও ফিরে পাক, ইহুদিবাদীদের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাক আল কুদস তথা বায়তুল মুকাদ্দাস-রমজানের শেষ সময়ে বিশ্ব মুসলিমের এ প্রত্যাশা।
বা রমজানের শেষ জুমাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। ইতিহাস থেকে জানা যায়, রমজান মাসের শেষ শুক্রবার হজরত সুলায়মান (আ.) জেরুজালেম নগরী প্রতিষ্ঠা করেন এবং মুসলমানদের প্রথম কিবলা ‘আল-আকসা মসজিদ’ প্রতিষ্ঠা করেন। এ জন্য মাহে রমজানের শেষ শুক্রবারটিকে ‘আল কুদস’ দিবস হিসাবেও পালন করা হয়। ইহুদি জায়নবাদি শক্তির দখল থেকে মুসলমানদের প্রথম কিবলা পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস মসজিদ মুক্ত করার শপথ ব্যক্ত করা হয় এ দিনে। দেশে দেশে মুসলমানরা এদিন জুমার পর প্রতিবাদ র্যালি বের করে থাকেন। ইফতারের আগে বিশেষ আলোচনা ও মোনাজাতও করা হয়। ইরানের আধ্যাত্মিক নেতা মরহুম আয়াতুল্লাহ খোমেনি ‘আল কুদস’ দিবস পালনের প্রথম আহ্বান রেখেছিলেন। পরে প্রতিবাদ ও প্রত্যয়ের এ
কর্মসূচিটি ব্যাপকতা লাভ করে প্রায় সব মুসলিম দেশে। মজলুম ফিলিস্তিনি জাতির ওপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসা ইহুদি শাসন, শোষণ, নিপীড়ন ও তাদের নৃশংস হত্যাযজ্ঞের অবসান ঘটানো এবং বায়তুল মোকাদ্দাসকে রাজধানী করে ফিলিস্তিনি জাতির নিজস্ব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাসহ মুসলমানদের বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর মোকাবিলার জন্য মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া এখন সময়ের অনিবার্য দাবি। ‘আল কুদস’ দিবস মুসলিম জাতির জন্য এক মহাজাগরণের দিন। এ জাগরণের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নতুন করে ইমানি শক্তি সঞ্চয় করে গর্জে উঠুক মুসলিম উম্মাহ। সবশেষে ফিলিস্তিনি মুসলমানরা তাদের হারানো সোনালি অতীত আবারও ফিরে পাক, ইহুদিবাদীদের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাক আল কুদস তথা বায়তুল মুকাদ্দাস-রমজানের শেষ সময়ে বিশ্ব মুসলিমের এ প্রত্যাশা।