ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
অবৈধ দখলদার সরকারের শাসনে জনরোষ, ঘরে ঘরে অসন্তোষ
জামাতি ষড়যন্ত্রে নির্বাচন অনিশ্চিত, দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষমতায় থাকছেন ডঃ ইউনুস!
ইউক্রেন হওয়ার পথে বাংলাদেশ, আতঙ্কিত জনগণ
ড. ইউনুসের কূটনীতি সেভেন সিস্টার্সের জন্য চ্যালেঞ্জ বাড়াচ্ছে
১৭ ডিসেম্বর ১৯৭১—অস্ত্রহীন এক ভারতীয় সেনা আর বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে সাহসী উদ্ধার
ধর্মান্ধতার নৃশংস উন্মাদনা—ভালুকায় হিন্দু শ্রমিককে হত্যা করে মরদেহে আগুন
বিজয় দিবসে ফুল দেওয়াই অপরাধ—এই রাষ্ট্র এখন কার দখলে?
আইন-শৃঙ্খলা সংকটে বাংলাদেশ,হাদীর মৃত্যুর পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে, নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ সরকার
শরিফ ওসমান হাদীর মৃত্যুর পর সারাদেশে যে সহিংসতা ও বিক্ষোভের বিস্তার ঘটেছে, তা স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে বাংলাদেশ আজ একটি গভীর আইন-শৃঙ্খলা সংকটের মধ্যে প্রবেশ করেছে। শোক ও ক্ষোভের আবেগকে কেন্দ্র করে ছাত্র-জনতার নামে রাজনৈতিক কর্মীদের অংশগ্রহণে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তা অল্প সময়ের মধ্যেই সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সড়ক অবরোধ, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও প্রাণঘাতী সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, যা রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার সক্ষমতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।
ময়মনসিংহ অঞ্চলে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গভীর রাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ এবং ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে একজন ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা পরিস্থিতির ভয়াবহতা প্রকাশ করে। খুলনায় দুর্বৃত্তদের
গুলিতে ব্যবসায়ী ইমদাদুল হক মিলনের মৃত্যু এবং লক্ষ্যভ্রষ্ট গুলিতে একজন পশু চিকিৎসকের আহত হওয়া দেখায়—এই সহিংসতা আর কেবল রাজনৈতিক প্রতিবাদে সীমাবদ্ধ নেই এটি সরাসরি সাধারণ মানুষের জীবননিরাপত্তাকে বিপন্ন করছে। চট্টগ্রাম অঞ্চলে সহিংসতা আরও বিস্তৃত ও সংগঠিত রূপ নেয়। সীতাকুণ্ডে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে জনজীবন অচল করে দেওয়া হয়। সাবেক প্রতিমন্ত্রী নওফেল ও সাবেক এমপি বীর বাহাদুরের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, পাশাপাশি ভারতীয় হাইকমিশনে হামলার চেষ্টা পরিস্থিতিকে আন্তর্জাতিক মাত্রায় নিয়ে যায়। এসব ঘটনায় স্পষ্ট হয়ে ওঠে—সরকার শুধু অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাই নয়, কূটনৈতিক স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও ব্যর্থ হয়েছে। রাজধানী ঢাকায় পরিস্থিতি সবচেয়ে উদ্বেগজনক রূপ ধারণ করে। শাহবাগ ও জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি প্রথম আলো
ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার ওপর সরাসরি আঘাত। ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ভবন ও ছায়ানট ভবনে ভাঙচুর, প্রভাবশালী সাংবাদিক নুরুল কবিরকে হেনস্তা এবং উত্তরা এলাকায় একজন সংসদ সদস্যের বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা প্রমাণ করে রাজধানীতেও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সরকারের হাতের বাইরে চলে গেছে। সামগ্রিকভাবে হাদীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট এই সহিংসতা আন্দোলন, রাজনৈতিক ক্ষোভ ও উসকানিমূলক গুজবের সমন্বয়ে দ্রুত দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি এখন আর বিচ্ছিন্ন বা তাৎক্ষণিক নয় এটি রাষ্ট্রের শাসনক্ষমতা, নাগরিক নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তির ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলছে। অবিলম্বে কার্যকর উদ্যোগ, দৃশ্যমান আইন প্রয়োগ এবং দায়িত্বশীল নেতৃত্বের মাধ্যমে পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারলে এই আইন-শৃঙ্খলা সংকট আরও গভীর ও বিপজ্জনক রূপ নিতে পারে—যার দায় সরকার এড়াতে পারবে না।
গুলিতে ব্যবসায়ী ইমদাদুল হক মিলনের মৃত্যু এবং লক্ষ্যভ্রষ্ট গুলিতে একজন পশু চিকিৎসকের আহত হওয়া দেখায়—এই সহিংসতা আর কেবল রাজনৈতিক প্রতিবাদে সীমাবদ্ধ নেই এটি সরাসরি সাধারণ মানুষের জীবননিরাপত্তাকে বিপন্ন করছে। চট্টগ্রাম অঞ্চলে সহিংসতা আরও বিস্তৃত ও সংগঠিত রূপ নেয়। সীতাকুণ্ডে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে জনজীবন অচল করে দেওয়া হয়। সাবেক প্রতিমন্ত্রী নওফেল ও সাবেক এমপি বীর বাহাদুরের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, পাশাপাশি ভারতীয় হাইকমিশনে হামলার চেষ্টা পরিস্থিতিকে আন্তর্জাতিক মাত্রায় নিয়ে যায়। এসব ঘটনায় স্পষ্ট হয়ে ওঠে—সরকার শুধু অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাই নয়, কূটনৈতিক স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও ব্যর্থ হয়েছে। রাজধানী ঢাকায় পরিস্থিতি সবচেয়ে উদ্বেগজনক রূপ ধারণ করে। শাহবাগ ও জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি প্রথম আলো
ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার ওপর সরাসরি আঘাত। ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ভবন ও ছায়ানট ভবনে ভাঙচুর, প্রভাবশালী সাংবাদিক নুরুল কবিরকে হেনস্তা এবং উত্তরা এলাকায় একজন সংসদ সদস্যের বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা প্রমাণ করে রাজধানীতেও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সরকারের হাতের বাইরে চলে গেছে। সামগ্রিকভাবে হাদীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট এই সহিংসতা আন্দোলন, রাজনৈতিক ক্ষোভ ও উসকানিমূলক গুজবের সমন্বয়ে দ্রুত দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি এখন আর বিচ্ছিন্ন বা তাৎক্ষণিক নয় এটি রাষ্ট্রের শাসনক্ষমতা, নাগরিক নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তির ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলছে। অবিলম্বে কার্যকর উদ্যোগ, দৃশ্যমান আইন প্রয়োগ এবং দায়িত্বশীল নেতৃত্বের মাধ্যমে পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারলে এই আইন-শৃঙ্খলা সংকট আরও গভীর ও বিপজ্জনক রূপ নিতে পারে—যার দায় সরকার এড়াতে পারবে না।



