হাসিনা পরিবারের ৬০ কাঠা প্লট – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
     ৬:৫২ পূর্বাহ্ণ

আরও খবর

অবৈধ আইসিটি ট্রাইব্যুনালের প্রহসনমূলক বিচারের রায় প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ১৮ নভেম্বর : সারা দেশে সর্বাত্মক শাটডাউন

The political Lens By RP Station

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ক্যাঙ্গারু কোর্টের রায় প্রত্যাখ্যান ও দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারের পদত্যাগ অবধি দুর্বার আন্দোলনের ঘোষণা স্বেচ্ছাসেবক লীগের।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও প্রহসনমূলক মামলার সাজানো রায় প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০১ প্রগতিশীল শিক্ষকবৃন্দ

আইসিটির দেওয়া রায় প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিবৃতি

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘প্রহসনমূলক’ বিচার : বিদেশে অবস্থানরত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের চিকিৎসকদের তীব্র নিন্দা

১০২ জন সাংবাদিকের যৌথ বিবৃতি

হাসিনা পরিবারের ৬০ কাঠা প্লট

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ৬:৫২ 193 ভিউ
রাজউকের (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) আলোচিত পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে স্বয়ং নিজের নামে প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুধু তিনি একা নন, প্লট নিয়েছেন তার ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ (জয়) ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। এছাড়া প্লট বরাদ্দ প্রাপ্তদের তালিকায় আছেন হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা ও তার দুই ছেলেমেয়ে। সূত্র জানায়, রাজনৈতিক বিবেচনায় সরকারের ১৩/এ ধারার ক্ষমতাবলে তাদের প্লট দেওয়া হয়। ২০২২ সালে তারা প্লট বুঝে পান। পরে বিষয়টি রাষ্ট্রীয় অতি গোপনীয় বিষয় হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। ফলে হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া খোদ রাজউকেরই অনেকে এ বিষয়ে তেমন কিছুই জানেন না। হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা

প্রত্যেকে সর্বোচ্চ ১০ কাঠা আয়তনের প্লট নিয়েছেন। এদিকে হাসিনার পতনের পর এ সংক্রান্ত প্লট বরাদ্দের ফাইল রাজউকের রেকর্ড শাখা থেকে সরিয়ে অন্যত্র লুকিয়ে ফেলা হয়। পরে চেয়ারম্যানের ড্রয়ারে ফাইল রয়েছে এমন খবরে রাজউকে ক্ষোভ-অসন্তোষ দেখা দেয়। সম্প্রতি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবির মুখে এ সংক্রান্ত ৬টি ফাইল পুনরায় রেকর্ডরুমে ফেরত পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে চুরি বা নথি হারানোর শঙ্কায় সবকটি ফাইল বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে। শেখ হাসিনার প্লট : নিজেকে অসহায় এবং নিঃস্ব বলে সভা-সমাবেশে রাজনৈতিক বক্তব্য দিলেও শেখ হাসিনা স্বয়ং নিজের নামে ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেন। পূর্বাচলে প্রস্তাবিত কূটনৈতিক জোন ২৭ নম্বর সেক্টরে ২০৩ নম্বর রোডে তার প্লট নম্বর ০০৯। ২০২২ সালের

৩ আগস্ট তার নামে বরাদ্দপত্র ইস্যু করে রাজউক। শেখ হাসিনার বাসভবন ধানমন্ডির ৫৪ সুধা সদনের ঠিকানায় বরাদ্দপত্র পাঠানো হয়। সম্প্রতি রাজউকে গিয়ে দেখা যায়, রেকর্ডরুমে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের ফাইলগুলো বিশেষ চিহ্ন দিয়ে রাখা হয়েছে। হাসিনার প্লট বরাদ্দের ফাইলের ওপর বড় ইংরেজি হরফে লেখা রয়েছে ভি-৩, পাতা ১৪১। ফাইলে শেখ হাসিনার স্বাক্ষরযুক্ত আবেদনপত্রের কপি, বরাদ্দপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্রের কপিসহ অন্যান্য কাগজপত্র রয়েছে। রাজউকের উপপরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-৩) নায়েব আলী শরীফ স্বাক্ষরিত চূড়ান্ত বরাদ্দপত্রে লেখা হয় ‘কাঠা প্রতি ৩ লাখ টাকা হিসাবে ১০ কাঠার প্লটের মোট মূল্য ৩০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হলো।’ হাসিনা ছাড়াও ১০ কাঠা করে প্লট

নেন তার ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ (জয়) ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল)। তাদের প্লট নম্বর যথাক্রমে ০১৫ এবং ০১৭। এর মধ্যে জয়ের নামে প্লটের বরাদ্দপত্র জারি করা হয় ২০২২ সালের ২৪ অক্টোবর। পরে ১০ নভেম্বর প্লটের মালিকানাসংক্রান্ত রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়। এর আগে ২ নভেম্বর পুতুলের নামেও ১০ কাঠা প্লটের বরাদ্দপত্র ইস্যু করা হয়। এতে এস্টেট ও ভূমি-৩ শাখার তৎকালীন উপপরিচালক হাবিবুর রহমানের স্বাক্ষর রয়েছে। তবে শুধু হাসিনা ও তার ছেলেমেয়ে নন; পূর্বাচল প্লকল্পে ১০ কাঠা করে প্লট নেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা ও তার ছেলেমেয়ে। তাদের নামেও যথারীতি প্লট বরাদ্দ করা হয় ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রোডের একই

জায়গায়। সেখানে শেখ রেহানার প্লট নম্বর ০১৩, তার ছেলে রাদোয়ান মুজিব সিদ্দিকের প্লট নম্বর ০১১ ও মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকের প্লট নম্বর ০১৯। প্লটে সরেজমিন : বুধবার সরেজমিন পূর্বাচল এলাকায় গিয়ে দেখা যায় প্রস্তাবিত কূটনৈতিক জোনের মাঝ বরাবর মনোরম লোকেশনে বিশাল জায়গা উঁচু সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। ভেতরে নারিকেল, সুপারি, আম ও জামসহ বিভিন্ন গাছ রোপণ করা হয়েছে। একদিকে বিভিন্ন ধরনের শাক ও সবজি চাষ করা হচ্ছে। প্লটের তিন দিকেই রাস্তা। পেছন দিকে প্রবহমান গঙ্গুর নদী। বুধবার দুপুরে সেখানে বেশ কয়েকজন যুবককে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। তাদের একজন বলেন, এখানে হাসিনা ও তার বোন রেহানাসহ পরিবারের সদস্যদের প্লট রয়েছে। ১০ কাঠা

করে ৬ জনের ৬০ কাঠা জায়গা একত্রিত করে সীমানা প্রাচীর দেওয়া হয়। প্রাচীর নির্মাণ হয় রাজউকের প্রকৌশলীদের তত্ত্বাবধানে। পরে দুপাশে দুটি লোহার গেট লাগিয়ে দেওয়া হয়। এখানে আগে একাধিক নিরাপত্তারক্ষী সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করতেন। তবে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর বিক্ষুব্ধরা ৫ আগস্ট রাতে এখানে হামলা চালায়। এ সময় তারা লোহার গেট পর্যন্ত খুলে নিয়ে যায়। সূত্র জানায়, হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দের সময় রাজউক চেয়ারম্যান ছিলেন আনিসুর রহমান। সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তা হিসাবে তিনি চাকরি শেষে একদফা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে চেয়ারম্যান পদে বহাল ছিলেন। এছাড়া রাজউকের তৎকালীন স্টেট ও ভূমি শাখার পরিচালক (পরে সদস্য) নুরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে

প্লট বরাদ্দসংক্রান্ত যাবতীয় কাজ সম্পন্ন হয় সর্বোচ্চ গোপনীয়তায়। এ কারণে বাইরের কেউ এ বিষয়ে তেমন কিছুই জানতে পারেননি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খোদ সরকারপ্রধানের নামে প্লট বরাদ্দের ঘটনা জানাজানি হলে রাজনৈতিক ইস্যু তৈরির শঙ্কা ছিল। এ কারণে বিষয়টি রাষ্ট্রীয় অতি গোপনীয় বিষয় হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। রাজউকের সংশ্লিষ্ট কতিপয় কর্মকর্তা ছাড়া এ বিষয়ে অন্য কেউ তেমন কিছুই টের পাননি। এমনকি সরকার পতনের পরও এ সংক্রান্ত নথি তড়িঘড়ি লুকিয়ে ফেলা হয়। এ নিয়ে রাজউকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এক কর্মকর্তা বলেন, হাসিনা-রেহানার ফাইল চেয়ারম্যানের দপ্তরে লুকিয়ে রাখা হয়েছে এমন খবর পেয়ে অনেকে বিক্ষোভ করেন। দ্রুততম সময়ে সব নথি যথাস্থানে ফেরত দেওয়ার দাবি তোলেন তারা। একপর্যায়ে গত সপ্তাহে চেয়ারম্যানের দপ্তর থেকে নথিসহ সংশ্লিষ্ট ৬টি ফাইল পুনরায় রেকর্ডরুমে পাঠানো হয়। এরপর থেকে ফাইলগুলো বিশেষ নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের সরকারি প্লট নেওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এটি পরিষ্কারভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার। যারা এমন বৈষম্যমূলকভাবে প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন মূল দায়টা তাদের। তবে রাজউকের সংশ্লিষ্ট যারা এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তারাও দায় এড়াতে পারেন না। কারণ অবৈধ নির্দেশ এলেই তারা কেন তা প্রতিপালন করবেন। ফলে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বিশেষকে সুবিধা দেওয়ার জন্য রাজউকসহ অন্য যেসব জায়গায় বৈষম্যমূলক ধারা তৈরি করা হয়েছে নতুন বাংলাদেশে সেগুলো বাতিল করতে হবে। অন্যথায় সমাজের সর্বত্র ন্যয় প্রতিষ্ঠায় তরুণ সমাজের যে চেতনা তা কোনোভাবেই বাস্তবায়িত হবে না।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
অবৈধ আইসিটি ট্রাইব্যুনালের প্রহসনমূলক বিচারের রায় প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ১৮ নভেম্বর : সারা দেশে সর্বাত্মক শাটডাউন The political Lens By RP Station মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ক্যাঙ্গারু কোর্টের রায় প্রত্যাখ্যান ও দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারের পদত্যাগ অবধি দুর্বার আন্দোলনের ঘোষণা স্বেচ্ছাসেবক লীগের। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও প্রহসনমূলক মামলার সাজানো রায় প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০১ প্রগতিশীল শিক্ষকবৃন্দ আইসিটির দেওয়া রায় প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিবৃতি অবৈধ ট্রাইব্যুনালকে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ঘৃণাভরে তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করছে। ওয়ার্কার্স পার্টির কার্যালয় দখলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিবৃতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দের বিবৃতি তথাকথিত বেআইনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) কর্তৃক প্রদত্ত রায় প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিবৃতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘প্রহসনমূলক’ বিচার : বিদেশে অবস্থানরত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের চিকিৎসকদের তীব্র নিন্দা ১০২ জন সাংবাদিকের যৌথ বিবৃতি প্রেস বিজ্ঞপ্তি বাংলাদেশের বৈধ প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চলমান প্রহসনমূলক বিচার এর প্রেক্ষিতে দেশে বিদেশে অবস্থানরত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ১০০ জন চিকিৎসকের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ ইউনুসের পুলিশের হাতে খুন হলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা নতুন বাংলাদেশের অসহায় বাস্তবতা রাতেও ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বিক্ষোভ ধানমন্ডি ২৭-এ পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণ শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়: মিষ্টি বিতরণ নিয়ে বরিশালে ছাত্রদলের দুপক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১ শেখ হাসিনার প্রহসনমূলক বিচারের প্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ১০১ প্রকৌশলীর প্রতিবাদ রায় প্রত্যাখ্যান করল আওয়ামী লীগ, সারা দেশে শাটডাউনের ডাক শেখ হাসিনার প্রহসনমূলক বিচারের প্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ১০০ জন চিকিৎসকের প্রতিবাদ