সম্রাট জাহাঙ্গীর : রূপান্তরের বাদশাহী-৩ – ইউ এস বাংলা নিউজ




সম্রাট জাহাঙ্গীর : রূপান্তরের বাদশাহী-৩

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০:২১ 94 ভিউ
সম্রাট জাহাঙ্গীরের ছিলো প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। বহুশাস্ত্রে জ্ঞান ও আগ্রহ ছিলো তার। প্রজ্ঞাবান, দয়ালু ও বুদ্ধিমান শাসক হিসেবে তাকে চিহ্নিত করেছে ইতিহাস। ক্ষমতা লাভ করেই জনকল্যাণী পদক্ষেপ গ্রহণ করে তিনি প্রজাতুষ্টি নিশ্চিত করেন। কৌশলে তিনি ছিলেন প্রাজ্ঞ। যাঁরা তাকে সিংহাসন লাভে সহায়তা করেছিলেন তিনি তাঁদের পদোন্নতি প্রদান করেন। যারা তাঁর বিরোধিতা করেছিলেন তাদেরও তিনি উদারতা ও ক্ষমা প্রদর্শন করেন। জাহাঙ্গীর পদে পদে পিতাকে অনুসরণ করেননি। আকবরের যে আইনগুলো প্রজাদের জন্য কল্যাণী সাব্যস্ত হয়নি, তিনি তা বাতিল করেন। দয়া ও উদারতার উপর নির্ভরশীল ‘দস্তর-উল-আমল’ নামে ১২টি আইন প্রণয়ন করেন। একজন সাধারণ প্রজাও সরাসরি সম্রাটের বিচারপ্রার্থী হতে পারতেন। একজন কৃষক বিচার চাইতে পারতেন

রাষ্ট্রের যে কোনো কর্তার বিরুদ্ধে। ধনী ও গরিব সকলেই যেন সরাসরি সম্রাটের কাছে বিচারপ্রার্থী হতে পারে সেজন্য ঘণ্টাযুক্ত সোনার শিকল ছড়িয়ে দেওয়া হয় রাজপ্রসাদ থেকে যমুনা নদী অবধি। এমন ঘণ্টার সংখ্যা ছিলো ষাটটি। অনেকগুলো শিকল থাকতো ঘণ্টায়। কোনো বিচারপ্রার্থী কোনো শিকলে টান দিলে এক সাথে ষাটটি ঘণ্টায় সাইরেন বেজে উঠতো। আওয়াজে কেঁপে উঠতো চারপাশ, রাজপ্রসাদ। সম্রাট যেখানেই থাকুন না কেন, বার্তা পৌঁছে যেতো তার কাছে। সম্রাট যখন রাজধানীর বাইরে থাকতেন, তখনও দ্রæত বিচারের জন্য বিশেষ বিচারক নিয়োজিত ছিলেন। প্রত্যেক বিচার প্রার্থীর অভিযোগ শোনা হতো এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে জোর দেওয়া হতো। প্রজাদের প্রতি এমনি দয়া ও মহানুভবতা সত্তে¡ও সম্রাটের চরিত্রে কিছু

বৈপরীত্যের সংমিশ্রণ পরিলক্ষিত হয়। তাঁর চরিত্রে দয়া-দাক্ষিণ্য ও কোমলতার পাশাপাশি শত্রæ দমনে ও অপরাধীর শাস্তি বিধানে কঠোরতার তীব্রতাও লক্ষ্যণীয়।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ইজারার টাকা তোলা নিয়ে জামায়াত-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ২ গত জুলাইয়ে জনতার পাশে দাঁড়ানো সেনার এই জুলাইয়ে গোপালগঞ্জে জনতার ওপর বর্বরতা, নির্বিচার গুলি-হত্যা এনসিপি’র ‘মুজিববাদ মূর্দাবাদ’ স্লোগানে গোপালগঞ্জে জনবিস্ফোরণ, বিক্ষোভে সেনার গুলি-নিহত ৪ আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে ধরে নিয়ে বুট দিয়ে পিষে মারলো সেনাবাহিনী জামায়াত-শিবির এনসিপি প্রতিরোধে গোপালগঞ্জে গৃহবধূ-বৃদ্ধা-কিশোরীরাও রাজপথে এপিসিতে চড়ে গোপালগঞ্জে জনরোষ থেকে পালিয়ে বাঁচলেন এনসিপি নেতারা ইরানের এক হামলায় ইসরাইলের ৩০ বৈমানিক নিহত গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র, ১৪৪ ধারা জারি পলাতক ৮ আসামিকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পদত্যাগ করলেন জাতিসংঘের ফিলিস্তিন তদন্ত কমিশনের তিন সদস্য গাজায় ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে পদদলিত হয়ে নিহত ২১ ফিলিপাইনে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়াচ্ছে এআই ও ভুয়া তথ্য যেভাবে কোলেস্টেরল কমাবেন ঐকমত্য না হওয়ায় সংসদের উচ্চকক্ষই বাদের চিন্তা সকল দায় ঢাকার ওপর চাপাতে চায় জাতিসংঘ ‘কোথায় থাকব, কে আশ্রয় দেবে জানি না’ সিরিজ জয়ে চোখ বাংলাদেশের চাকরি জীবনে একবার গুরুদণ্ড পেলে ওসি হতে পারবেন না পাহাড়ে ফলের নতুন ভান্ডার