ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
সংস্কার কমিশন নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে আরেক দফা বৈঠক
রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত ‘৬টি সংস্কার কমিশন’ আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরুর আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরেকবার বসবে। তাদের মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হবে। এছাড়াও ১৮ মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সেনাবাহিনী প্রধানের যে বক্তব্যের কথা বলা হয়েছে, সেখানে তিনি সংস্কার কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর ১৮ মাসের কথা বলেছেন। এটি তার মতামত।
সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম এসব কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টার জাতিসংঘ সফর নিয়ে এ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। এ সময়
প্রেস সচিব বলেন, এবারের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন বাংলাদেশের জন্য ঐতিহাসিক। কারণ, এবার প্রধান উপদেষ্টা ৪ দিনে ৫০টির মতো বৈঠক করেছেন। এর মধ্যে ১২ জন বিশ্বনেতা রয়েছেন। গত ৪০ বছরেও কোনো সরকারপ্রধান জাতিসংঘ অধিবেশনের সাইট লাইনে এত উচ্চপর্যায়ে এতগুলো বৈঠক করেননি। প্রসঙ্গত, ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্র সংস্কারে সুনির্দিষ্ট ৬টি কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে কমিশন প্রধানদের নাম চূড়ান্ত করা হয়। ওই সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন, এসব কমিশনে অন্য সদস্যদের নাম কমিশন প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে। পূর্ণাঙ্গভাবে গঠিত হওয়ার পর কমিশন ১ অক্টোবর থেকে কাজ শুরু করবে। তবে আজ থেকে কাজ শুরু করতে
পারছে না। শফিকুল আলমের কাছে প্রশ্ন ছিল, ১ অক্টোবর থেকে সংস্কার কমিশনের আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করার কথা। সেটি এখন কোন পর্যায়ে রয়েছে। জবাবে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা যেদিন কমিশন প্রধানদের নাম ঘোষণা করেছেন, সেদিন থেকেই তারা কাজ করছেন। তবে কমিশনের অন্য সদস্যদের নাম ঘোষণাসহ ১ অক্টোবর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরুর যে কথা, সেটি একটু পিছিয়েছে। কারণ, এর আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরেক দফা বসবে উপদেষ্টা পরিষদ। সেখানে তাদের মতামত নেওয়া হবে। কারণ, সংস্কার কাজের তারাই মূল অংশীজন (স্টেকহোল্ডার)। কবে এ বৈঠক কবে এবং কবে থেকে কাজ শুরু করবে, এর সুনির্দিষ্ট কোনো উত্তর দেননি তিনি। এ ব্যাপারে শফিকুল আলম বলেন, শিগ্গিরই
তারা বসবেন। এরপর দ্রুতই কাজ এগিয়ে যাবে। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেনাপ্রধান রয়টার্সের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছেন। অনেকেই লিখেছে তিনি ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলেছেন। কিন্তু আপনারা রয়টার্সের ইংরেজি রিপোর্টটি যদি দেখেন, সেখানে তিনি সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার পর ১৮ মাসের কথা বলেছেন। এছাড়া সেনাপ্রধান তার মতামত (ওপিনিয়ন) দিয়েছেন। চূড়ান্তভাবে নির্বাচনের কথা বলেননি। শফিকুল আলম বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারে হাত দিয়েছে। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ কাজ চলছে। ফলে এ কাজ শেষ হতে ১৬ না ১৮ মাস লাগবে, সেটি এখনই সুনির্দিষ্টভাবে বলা যায় না। প্রেস সচিব আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ৭৯তম জাতিসংঘ সাধারণ
পরিষদে অংশগ্রহণ অত্যন্ত সফল, ঐতিহাসিক এবং একটি ইতিবাচক মাইলফলক। এটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত সফল এবং ঐতিহাসিক সফর। কারণ, নিউইয়র্কে চারদিনের সংক্ষিপ্ত সফরে প্রায় ৫০টি বৈঠক হয়েছে। যার মধ্যে ১২টির বেশি বৈঠক ছিল শীর্ষ বিশ্বনেতাদের সঙ্গে। এর মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস, কানাডার প্রধানমন্ত্রীর জাস্টিন ট্রুডো, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান, বিশ্বব্যাংকের প্রধান এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের প্রধান অন্যতম। এসব বৈঠকে তারা নতুন বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে পাশে থাকতে চেয়েছেন। বিশ্বনেতারা নির্বাচন নিয়ে সময়সীমা জানতে চাননি উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য এবং জনগণসহ সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা ও মতামত নিয়েই নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা
হবে। বিশ্বনেতারা বলেছেন, বাংলাদেশের সংস্কারের উদ্যোগে তারা যে কোনো সহায়তা করতে প্রস্তুত। তারা বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন। নিউইয়র্কে প্রফেসর ইউনুসকে ‘রকস্টার’-এর মতো সম্মান করেছেন। জাতিসংঘ সদর দপ্তরে তিনি এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাচ্ছিলেন এবং শীর্ষস্থানীয় নেতারা তাকে আলিঙ্গন করেছেন। এ সময় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ড. ইউনূস নতুন বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই বাংলাদেশের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। এ আহ্বান আসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৯তম অধিবেশনে ইউনূসের ভাষণ থেকেও। উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়। এরপর সরকারপ্রধান হিসাবে জাতিসংঘে এটি ড. ইউনূসের প্রথম ভাষণ।
সেখানে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী বলেন, বাংলাদেশের যুবসমাজ দেখিয়ে দিয়েছে মানুষের মর্যাদা, স্বাধীনতা এবং অধিকারের বিষয়টি আর কেবল কাক্সিক্ষত নয়। এটি এমন একটি বিষয়, যা প্রত্যেকেই প্রাপ্য। প্রফেসর ড. ইউনূস বাংলাদেশকে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, সমতা এবং সমৃদ্ধির লক্ষ্যে নিয়ে যেতে বিশ্বের সব দেশকে আরও গভীরভাবে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান। এটি ছিল একটি যুগান্তকারী ভাষণ। প্রেস সচিব বলেন, ভাষণটি বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক বিষয়গুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করেছে। এটি শুধু বাংলাদেশের বিষয় নয়। জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে সংস্কার কমিশনের প্রধানদের যে নাম ঘোষণা করেছিলেন, এর মধ্যে রয়েছেন নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ কমিশনে সফর রাজ হোসেন, বিচার বিভাগে বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুদকে ড. ইফতেখারুজ্জামান, জনপ্রশাসনে আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. আলী রীয়াজ। ওইসময় প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন, এসব কমিশনে অন্য সদস্যদের নাম কমিশন প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে। পূর্ণাঙ্গভাবে গঠিত হওয়ার পর কমিশন ১ অক্টোবর থেকে কাজ শুরু করবে। পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট দেবে। ড. ইউনূস ওইদিন তার ভাষণে আরও বলেছিলেন, সংস্কার কমিশন রিপোর্ট দেওয়ার পর ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করবে সরকার। চূড়ান্ত পর্যায়ে শিক্ষার্থী, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, সরকারের প্রতিনিধি নিয়ে তিন থেকে সাতদিনব্যাপী একটি পরামর্শসভার ভিত্তিতে সংস্কার ভাবনার রূপরেখা চূড়ান্ত করা হবে। এতে এ রূপরেখা কীভাবে বাস্তবায়ন হবে, এর একটি ধারণাও দেওয়া থাকবে। প্রধান উপদেষ্টার ভাষায় এ আয়োজন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বার্তা বাস্তবায়ন এবং রাষ্ট্র পুনর্নির্মাণে গোটা জাতিকে আশাবাদী করে তুলবে।
প্রেস সচিব বলেন, এবারের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন বাংলাদেশের জন্য ঐতিহাসিক। কারণ, এবার প্রধান উপদেষ্টা ৪ দিনে ৫০টির মতো বৈঠক করেছেন। এর মধ্যে ১২ জন বিশ্বনেতা রয়েছেন। গত ৪০ বছরেও কোনো সরকারপ্রধান জাতিসংঘ অধিবেশনের সাইট লাইনে এত উচ্চপর্যায়ে এতগুলো বৈঠক করেননি। প্রসঙ্গত, ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্র সংস্কারে সুনির্দিষ্ট ৬টি কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে কমিশন প্রধানদের নাম চূড়ান্ত করা হয়। ওই সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন, এসব কমিশনে অন্য সদস্যদের নাম কমিশন প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে। পূর্ণাঙ্গভাবে গঠিত হওয়ার পর কমিশন ১ অক্টোবর থেকে কাজ শুরু করবে। তবে আজ থেকে কাজ শুরু করতে
পারছে না। শফিকুল আলমের কাছে প্রশ্ন ছিল, ১ অক্টোবর থেকে সংস্কার কমিশনের আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করার কথা। সেটি এখন কোন পর্যায়ে রয়েছে। জবাবে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা যেদিন কমিশন প্রধানদের নাম ঘোষণা করেছেন, সেদিন থেকেই তারা কাজ করছেন। তবে কমিশনের অন্য সদস্যদের নাম ঘোষণাসহ ১ অক্টোবর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরুর যে কথা, সেটি একটু পিছিয়েছে। কারণ, এর আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরেক দফা বসবে উপদেষ্টা পরিষদ। সেখানে তাদের মতামত নেওয়া হবে। কারণ, সংস্কার কাজের তারাই মূল অংশীজন (স্টেকহোল্ডার)। কবে এ বৈঠক কবে এবং কবে থেকে কাজ শুরু করবে, এর সুনির্দিষ্ট কোনো উত্তর দেননি তিনি। এ ব্যাপারে শফিকুল আলম বলেন, শিগ্গিরই
তারা বসবেন। এরপর দ্রুতই কাজ এগিয়ে যাবে। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেনাপ্রধান রয়টার্সের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছেন। অনেকেই লিখেছে তিনি ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলেছেন। কিন্তু আপনারা রয়টার্সের ইংরেজি রিপোর্টটি যদি দেখেন, সেখানে তিনি সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার পর ১৮ মাসের কথা বলেছেন। এছাড়া সেনাপ্রধান তার মতামত (ওপিনিয়ন) দিয়েছেন। চূড়ান্তভাবে নির্বাচনের কথা বলেননি। শফিকুল আলম বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারে হাত দিয়েছে। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ কাজ চলছে। ফলে এ কাজ শেষ হতে ১৬ না ১৮ মাস লাগবে, সেটি এখনই সুনির্দিষ্টভাবে বলা যায় না। প্রেস সচিব আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ৭৯তম জাতিসংঘ সাধারণ
পরিষদে অংশগ্রহণ অত্যন্ত সফল, ঐতিহাসিক এবং একটি ইতিবাচক মাইলফলক। এটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত সফল এবং ঐতিহাসিক সফর। কারণ, নিউইয়র্কে চারদিনের সংক্ষিপ্ত সফরে প্রায় ৫০টি বৈঠক হয়েছে। যার মধ্যে ১২টির বেশি বৈঠক ছিল শীর্ষ বিশ্বনেতাদের সঙ্গে। এর মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস, কানাডার প্রধানমন্ত্রীর জাস্টিন ট্রুডো, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান, বিশ্বব্যাংকের প্রধান এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের প্রধান অন্যতম। এসব বৈঠকে তারা নতুন বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে পাশে থাকতে চেয়েছেন। বিশ্বনেতারা নির্বাচন নিয়ে সময়সীমা জানতে চাননি উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য এবং জনগণসহ সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা ও মতামত নিয়েই নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা
হবে। বিশ্বনেতারা বলেছেন, বাংলাদেশের সংস্কারের উদ্যোগে তারা যে কোনো সহায়তা করতে প্রস্তুত। তারা বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন। নিউইয়র্কে প্রফেসর ইউনুসকে ‘রকস্টার’-এর মতো সম্মান করেছেন। জাতিসংঘ সদর দপ্তরে তিনি এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাচ্ছিলেন এবং শীর্ষস্থানীয় নেতারা তাকে আলিঙ্গন করেছেন। এ সময় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ড. ইউনূস নতুন বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই বাংলাদেশের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। এ আহ্বান আসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৯তম অধিবেশনে ইউনূসের ভাষণ থেকেও। উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়। এরপর সরকারপ্রধান হিসাবে জাতিসংঘে এটি ড. ইউনূসের প্রথম ভাষণ।
সেখানে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী বলেন, বাংলাদেশের যুবসমাজ দেখিয়ে দিয়েছে মানুষের মর্যাদা, স্বাধীনতা এবং অধিকারের বিষয়টি আর কেবল কাক্সিক্ষত নয়। এটি এমন একটি বিষয়, যা প্রত্যেকেই প্রাপ্য। প্রফেসর ড. ইউনূস বাংলাদেশকে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, সমতা এবং সমৃদ্ধির লক্ষ্যে নিয়ে যেতে বিশ্বের সব দেশকে আরও গভীরভাবে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান। এটি ছিল একটি যুগান্তকারী ভাষণ। প্রেস সচিব বলেন, ভাষণটি বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক বিষয়গুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করেছে। এটি শুধু বাংলাদেশের বিষয় নয়। জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে সংস্কার কমিশনের প্রধানদের যে নাম ঘোষণা করেছিলেন, এর মধ্যে রয়েছেন নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ কমিশনে সফর রাজ হোসেন, বিচার বিভাগে বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুদকে ড. ইফতেখারুজ্জামান, জনপ্রশাসনে আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. আলী রীয়াজ। ওইসময় প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন, এসব কমিশনে অন্য সদস্যদের নাম কমিশন প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে। পূর্ণাঙ্গভাবে গঠিত হওয়ার পর কমিশন ১ অক্টোবর থেকে কাজ শুরু করবে। পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট দেবে। ড. ইউনূস ওইদিন তার ভাষণে আরও বলেছিলেন, সংস্কার কমিশন রিপোর্ট দেওয়ার পর ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করবে সরকার। চূড়ান্ত পর্যায়ে শিক্ষার্থী, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, সরকারের প্রতিনিধি নিয়ে তিন থেকে সাতদিনব্যাপী একটি পরামর্শসভার ভিত্তিতে সংস্কার ভাবনার রূপরেখা চূড়ান্ত করা হবে। এতে এ রূপরেখা কীভাবে বাস্তবায়ন হবে, এর একটি ধারণাও দেওয়া থাকবে। প্রধান উপদেষ্টার ভাষায় এ আয়োজন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বার্তা বাস্তবায়ন এবং রাষ্ট্র পুনর্নির্মাণে গোটা জাতিকে আশাবাদী করে তুলবে।