ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
শিক্ষার্থীর মুখে বিভীষিকাময় সেই মুহূর্তের বর্ণনা
ছাত্র-জনতার বিপ্লবের (৫ আগস্ট) বিজয় মিছিলে অংশ নিয়ে রাজধানীর উত্তরায় গুলিবিদ্ধ হন অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী আসাদুর রহমান আকাশ।মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন উত্তরা টাউন কলেজের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এই ছাত্র।তিনি রাজধানীর দক্ষিণখানের কাওলা এলাকায় বাবা-মায়ের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকেন।
জানা যায়, ৫ আগস্ট রাতে বিজয় মিছিলে অংশ নেওয়া শেষে শাহজালাল বিমানবন্দর এলাকা থেকে বাসায় ফেরার পথে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের গেটের সামনে গুলিবিদ্ধ হন আকাশ। সে সময় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের গেটের ভেতর থেকে বিজয় উল্লাসকারীদের লক্ষ করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে একদল পুলিশ। এতে আকাশের চোখের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই ছয়জন মারা যান। নিজেও গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়েন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ওপর। বিভীষিকাময়
সেই মুহূর্তের বর্ণনা কাছে তুলে ধরেন মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা শিক্ষার্থী আকাশ। শরীরের স্পর্শকাতর অংশে গুলির ক্ষতমাখা ব্যান্ডেজ লাগানো আসাদুর রহমান আকাশ বলেন, ‘সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এয়ারপোর্ট থেকে উত্তরার কাওলার উদ্দেশ্যে বাসায় ফেরার পথে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের সামনে আসতেই আর্মড পুলিশ গেটের ভেতর থেকে গুলি ছোড়া হয়। তখন রাস্তার সব লাইট বন্ধ ছিল। অন্ধকারে ডানে-বামে তাকিয়ে দেখলাম আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের গেটের ভেতর থেকে শুধু ফায়ারিংয়ের আগুন বের হচ্ছে। দেখলাম আমার সামনে ছয়জন মাটিতে পড়ে আছে। আমার সামনে যে লোকটা ছিল দেখলাম তার মাথায় গুলি লেগে রাস্তার ওপর মগজ পড়ে আছে। হঠাৎ কোমরের নিচে ব্যাথা অনুভব করে নিচে তাকাতেই দেখি
আমার পেটের ভুড়ি বের হয়ে গেছে। আমিও রাস্তার ওপর পড়ে যাই। সবাই তখন যে যার মতো দৌড়ে পালাচ্ছিল।’ বিভীষিকাময় সেই মুহূর্তের বর্ণনা দিতে গিয়ে আকাশ বলেন, ‘এর আগে আমরা প্রায় বিশ-ত্রিশ হাজার মানুষ এয়ারপোর্টে অবস্থান করছিলাম। আমাদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও ছিল। কিছুক্ষণ পর পরই উত্তরা দিক থেকে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। একপর্যায়ে সাড়ে সাতটার দিকে গুলির শব্দ বন্ধ হওয়ায় এবং রাত নেমে আসায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা আমাদের সবাইকে যার যার বাসায় ফিরে যেতে বললেন। সেনাবাহিনীর কথায় হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে আমিও এয়ারপোর্ট থেকে উত্তরার উদ্দেশ্যে রওনা দেই। কিন্তু আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান গেটের সামনে আসতেই হাজার হাজার মানুষের দিকে গুলি ছুড়ে পুলিশ। সেখানেই
আমিসহ মোট সাতজন গুলিবিদ্ধ হই। আমি ছাড়া বাকি সবাই ঘটনাস্থলেই মারা যায়।’ আকাশ বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দশ-পনের মিনিটের মতো রাস্তার ওপর পড়েছিলাম। চোখ তখন ঘোলা হয়ে আসছিল।শুধু দেখছিলাম একটা অ্যাম্বুলেন্স আসছে। দুই হাত নাড়িয়ে ইশারা দিলেও অ্যাম্বুলেন্সটি থামেনি। পরে কয়েকজন এসে আমাকে উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরের মহিলা মেডিকেলে নিয়ে যায়।’ গুলিবিদ্ধ আসাদুর রহমানের আকাশের মা আফরোজা বেগম বলেন, আকাশের কোমরের ছয় ইঞ্চি নিচ দিয়ে গুলি ঢুকে পেটের বাম অংশের ভুড়ি ছিদ্র করে বেরিয়ে গেছে। গুলি লাগায় সেখানে অনেক বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। সেদিন একটা মোবাইল থেকে ফোন পেয়ে আমরা ঢাকা মেডিকেলে গিয়ে আমার ছেলেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দেখতে পাই। রাত সাড়ে ১২টার দিকে
ওর অপারেশন (অস্ত্রোপচার) হয়। এরপর সেখান থেকে ওকে প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করাই। তিনি বলেন, ছেলের চিকিৎসা খরচ মেটাতে গিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় তিন লাখ টাকা চলে গেছে। তারপরও আমরা চাই ওর ভবিষ্যতটা সুন্দর হোক। ইনফেকশন যাতে না হয় সেজন্য পেটের ভেতর পাইপের লাইন করে দিয়েছে ডাক্তাররা। আমার ছেলের উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। এদিকে বিজয়োল্লাসের শেষ মুহূর্তে এসে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা আসাদুর রহমান আকাশ নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, ‘প্রয়োজনে আবার গুলি খাব, তবুও বাংলাদেশটাকে ফ্যাসিস্ট-দুর্নীতিমুক্ত দেখতে চাই। আমাদের যেসব ভাইয়েরা শহিদ হয়েছেন তাদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না।’
সেই মুহূর্তের বর্ণনা কাছে তুলে ধরেন মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা শিক্ষার্থী আকাশ। শরীরের স্পর্শকাতর অংশে গুলির ক্ষতমাখা ব্যান্ডেজ লাগানো আসাদুর রহমান আকাশ বলেন, ‘সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এয়ারপোর্ট থেকে উত্তরার কাওলার উদ্দেশ্যে বাসায় ফেরার পথে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের সামনে আসতেই আর্মড পুলিশ গেটের ভেতর থেকে গুলি ছোড়া হয়। তখন রাস্তার সব লাইট বন্ধ ছিল। অন্ধকারে ডানে-বামে তাকিয়ে দেখলাম আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের গেটের ভেতর থেকে শুধু ফায়ারিংয়ের আগুন বের হচ্ছে। দেখলাম আমার সামনে ছয়জন মাটিতে পড়ে আছে। আমার সামনে যে লোকটা ছিল দেখলাম তার মাথায় গুলি লেগে রাস্তার ওপর মগজ পড়ে আছে। হঠাৎ কোমরের নিচে ব্যাথা অনুভব করে নিচে তাকাতেই দেখি
আমার পেটের ভুড়ি বের হয়ে গেছে। আমিও রাস্তার ওপর পড়ে যাই। সবাই তখন যে যার মতো দৌড়ে পালাচ্ছিল।’ বিভীষিকাময় সেই মুহূর্তের বর্ণনা দিতে গিয়ে আকাশ বলেন, ‘এর আগে আমরা প্রায় বিশ-ত্রিশ হাজার মানুষ এয়ারপোর্টে অবস্থান করছিলাম। আমাদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও ছিল। কিছুক্ষণ পর পরই উত্তরা দিক থেকে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। একপর্যায়ে সাড়ে সাতটার দিকে গুলির শব্দ বন্ধ হওয়ায় এবং রাত নেমে আসায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা আমাদের সবাইকে যার যার বাসায় ফিরে যেতে বললেন। সেনাবাহিনীর কথায় হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে আমিও এয়ারপোর্ট থেকে উত্তরার উদ্দেশ্যে রওনা দেই। কিন্তু আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান গেটের সামনে আসতেই হাজার হাজার মানুষের দিকে গুলি ছুড়ে পুলিশ। সেখানেই
আমিসহ মোট সাতজন গুলিবিদ্ধ হই। আমি ছাড়া বাকি সবাই ঘটনাস্থলেই মারা যায়।’ আকাশ বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দশ-পনের মিনিটের মতো রাস্তার ওপর পড়েছিলাম। চোখ তখন ঘোলা হয়ে আসছিল।শুধু দেখছিলাম একটা অ্যাম্বুলেন্স আসছে। দুই হাত নাড়িয়ে ইশারা দিলেও অ্যাম্বুলেন্সটি থামেনি। পরে কয়েকজন এসে আমাকে উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরের মহিলা মেডিকেলে নিয়ে যায়।’ গুলিবিদ্ধ আসাদুর রহমানের আকাশের মা আফরোজা বেগম বলেন, আকাশের কোমরের ছয় ইঞ্চি নিচ দিয়ে গুলি ঢুকে পেটের বাম অংশের ভুড়ি ছিদ্র করে বেরিয়ে গেছে। গুলি লাগায় সেখানে অনেক বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। সেদিন একটা মোবাইল থেকে ফোন পেয়ে আমরা ঢাকা মেডিকেলে গিয়ে আমার ছেলেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দেখতে পাই। রাত সাড়ে ১২টার দিকে
ওর অপারেশন (অস্ত্রোপচার) হয়। এরপর সেখান থেকে ওকে প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করাই। তিনি বলেন, ছেলের চিকিৎসা খরচ মেটাতে গিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় তিন লাখ টাকা চলে গেছে। তারপরও আমরা চাই ওর ভবিষ্যতটা সুন্দর হোক। ইনফেকশন যাতে না হয় সেজন্য পেটের ভেতর পাইপের লাইন করে দিয়েছে ডাক্তাররা। আমার ছেলের উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। এদিকে বিজয়োল্লাসের শেষ মুহূর্তে এসে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা আসাদুর রহমান আকাশ নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, ‘প্রয়োজনে আবার গুলি খাব, তবুও বাংলাদেশটাকে ফ্যাসিস্ট-দুর্নীতিমুক্ত দেখতে চাই। আমাদের যেসব ভাইয়েরা শহিদ হয়েছেন তাদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না।’