ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
লজ্জায় মাথা নিচু করে শিল্পকলা ছাড়েন জ্যোতিকা জ্যোতি : ভিডিও ভাইরাল
সহকর্মীদের তোপের মুখে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ছাড়লেন প্রতিষ্ঠানটির গবেষণা বিভাগের পরিচালক অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। আজ মঙ্গলবার সকালে অভিনেত্রী অফিস করতে গেলে সহকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বাধ্য হয়েই লজ্জায় মাথা নিচু করে শিল্পকলা ত্যাগ করেন জ্যোতি।
এ ঘটনার একটি ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওতে দেখা যায়, বাইরে উত্তেজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেক শব্দ। আর একটি কক্ষে নিজের সঙ্গে থাকা ব্যাগে নিজস্ব জিনিস নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি।
এর কিছুক্ষণ পরই ফেসবুক লাইভে এসে জ্যোতি বলেন, ‘দেশের চলমান পরিস্থিতিতে অনেক জায়গায় দেখেছি পরিবর্তন এসেছে। তবে আমি অফিসে যাইনি। আমাদের সচিব স্যারের পরামর্শ ছিল না যাওয়ার। আমার নিয়োগ ঠিক ছিল, এখনো আছে।
তো ভাবলাম অনেকদিন তো হয় যাই না। আমিতো এখানে কর্মরত, যাওয়া উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘সেই ভাবনা থেকে আমি আজ অফিসে গিয়েছিলাম। যাওয়ার পর প্রথমে বিষয়টি বুঝতে পারিনি। বাইরে কিছু মানুষকে উত্তেজিত দেখেছি। আমাদের আরেকজন পরিচালক আছেন, তিনি আমাকে বিষয়টি বলেন। আমাদের মহাপরিচালক মিটিংয়ে ছিলেন। তার সঙ্গে দেখা করে সিদ্ধান্ত নিতাম। তিনি আসার পর আমি দেখা করতে গেলে তিনি পরিস্থিতি দেখিয়ে বলেন, এই অবস্থায় কেন আসছেন আপনারা? এগুলো আমাকে সামলাতে দেন। তারপর যে সিদ্ধান্ত হয় হবে। আপনারা চলে যান।’ নওশাবার আনন্দের দিন ... নিজের ব্যক্তিগত জিনিসগুলো নিয়ে শিল্পকলা ত্যাগ করার প্রসঙ্গে জ্যোতি বলেন, ‘মহাপরিচালক যেহেতু আমাদের বলেছেন, আমরা তো অবশ্যই চলে যাব। এরপর
আমার রুমে গিয়ে নিজের ব্যক্তিগত জিনিস ব্যাগে ভরি। তখন লবিতে গিয়ে বাইরের লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে চাই। কিন্তু তারা কথা বলতে চান না। ওই মুখগুলো আগে পরিচিত থাকলেও সেই মুখগুলো আজ খুব অপরিচিত লাগছিল। যাই হোক, পরে আমি সেখান থেকে চলে আসছি।’ উল্লেখ্য, জ্যোতিকা জ্যোতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া শিল্পীদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ‘আলো আসবেই’র সদস্য ছিলেন। এছাড়া শিল্পকলা একাডেমির পরিচালকের পাশাপাশি সিরাজগঞ্জ মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির পদে ছিলেন তিনি। আর গেল বছর মার্চে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালকের দায়িত্ব পান জ্যোতিকা জ্যোতি।
তো ভাবলাম অনেকদিন তো হয় যাই না। আমিতো এখানে কর্মরত, যাওয়া উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘সেই ভাবনা থেকে আমি আজ অফিসে গিয়েছিলাম। যাওয়ার পর প্রথমে বিষয়টি বুঝতে পারিনি। বাইরে কিছু মানুষকে উত্তেজিত দেখেছি। আমাদের আরেকজন পরিচালক আছেন, তিনি আমাকে বিষয়টি বলেন। আমাদের মহাপরিচালক মিটিংয়ে ছিলেন। তার সঙ্গে দেখা করে সিদ্ধান্ত নিতাম। তিনি আসার পর আমি দেখা করতে গেলে তিনি পরিস্থিতি দেখিয়ে বলেন, এই অবস্থায় কেন আসছেন আপনারা? এগুলো আমাকে সামলাতে দেন। তারপর যে সিদ্ধান্ত হয় হবে। আপনারা চলে যান।’ নওশাবার আনন্দের দিন ... নিজের ব্যক্তিগত জিনিসগুলো নিয়ে শিল্পকলা ত্যাগ করার প্রসঙ্গে জ্যোতি বলেন, ‘মহাপরিচালক যেহেতু আমাদের বলেছেন, আমরা তো অবশ্যই চলে যাব। এরপর
আমার রুমে গিয়ে নিজের ব্যক্তিগত জিনিস ব্যাগে ভরি। তখন লবিতে গিয়ে বাইরের লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে চাই। কিন্তু তারা কথা বলতে চান না। ওই মুখগুলো আগে পরিচিত থাকলেও সেই মুখগুলো আজ খুব অপরিচিত লাগছিল। যাই হোক, পরে আমি সেখান থেকে চলে আসছি।’ উল্লেখ্য, জ্যোতিকা জ্যোতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া শিল্পীদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ‘আলো আসবেই’র সদস্য ছিলেন। এছাড়া শিল্পকলা একাডেমির পরিচালকের পাশাপাশি সিরাজগঞ্জ মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির পদে ছিলেন তিনি। আর গেল বছর মার্চে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালকের দায়িত্ব পান জ্যোতিকা জ্যোতি।