‘কিছু শিল্পীর জন্য আমাদের কটুকথা হজম করতে হচ্ছে’ – ইউ এস বাংলা নিউজ




‘কিছু শিল্পীর জন্য আমাদের কটুকথা হজম করতে হচ্ছে’

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ৫:০৩ 60 ভিউ
অভিনয়শিল্পীদের সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘ। টিভি মাধ্যমের অভিনয়শিল্পীদের এ সংগঠনের অ্যাক্টরস ইকুইটি নামেও পরিচিতি। সাম্প্রতিক বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া গণঅভ্যুত্থানের সূত্র ধরে দারুণভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আছে সংগঠনটির বেশ কয়েকজন শিল্পী ও নেতৃস্থানীয়রা। এরপর সংগঠনটির সংস্কার চেয়ে নেতাদের সঙ্গে বসতে চেয়েছিলেন সংস্কারকামী শিল্পীরা। কিন্তু নেতারা সেটা করেন করেনি। এরপর ১০ সেপ্টেম্বর অভিনয়শিল্পী সংঘের কমিটি বিলুপ্ত করার কথা বলেন শিল্পীরা। সেটাও হয়নি। তবে থেমে নেই সংস্কারকামী শিল্পীদের প্রতিবাদের ভাষা। ‘দৃশ্যমাধ্যমের শিল্পী সমাজ’-এর ব্যানারে আজ বিকেল তিনটায় ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে উপস্থিত হয়েছিলেন শিল্পীদের একাংশ। ‘কথা বলতে চাই, কথা শুনতে চাই’ শিরোনামে ওই জমায়েতে অভিনয়শিল্পীরা সভায় শিল্পীরা সংস্কার নিয়ে নানা মতামত তুলে ধরেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন আজমেরী হক

বাঁধন, শ্যামল মাওলা, খায়রুল বাসার, মনোজ প্রামাণিক, সাবেরী আলম, সোহেল মন্ডল, নাজিয়া হক অর্ষা, মোস্তাাফিজুর নূর ইমরান, ইমতিয়াজ বর্ষণ, সমাপ্তি মাসুক, এলিনা শাম্মি, নির্মাতা ইমেল হকসহ অনেকেই উপস্থিত হয়েছিলাম। খায়রুল বাসার বলেন, ‘বৈষাম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর যে হামলা হয়েছে তা নজিরবিহীন। জুলাই-আগস্ট মাসে ৬ শতাধিক প্রাণ ঝরেছে। এই আন্দোলনে স্বৈরাচারী সরকারের পক্ষ নিয়ে আমাদের শিল্পীদের সংগঠন ‘অভিনয়শিল্পী সংঘ’র কিছু নেতা ও সদস্য আলো আসবেই গ্রুপ খুলেছিলেন। এখন আমরা রাস্তা দিয়ে চলতে গেল বন্ধুরা আলো আসবেই বলে আমাদের অপমান করে। সরকার পতনের পর পুরো দেশে যখন সংস্কার চলছে তখন আমরা আমাদের শিল্পীদের সংগঠন ‘অভিনয়শিল্পী সংঘ’র সংস্কার চেয়েছি। আমরা তাদের সঙ্গে বসতে

চেয়েছি। কিন্তু শিল্পী-অশিল্পী দোহাই দিয়ে তারা আমাদের সঙ্গে যে আচরণ করেছেন তা শিল্পীসুলভ বলে আমরা মনে করিনা। তাই তাদের সু সন্মানে বিদায় নেওয়া উচিৎ।’ শ্যামল মাওলা বলেন, ‘কয়েকদিন হল শিল্পীদের একটি রাজনীতি পক্ষ প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু এটা তো আমরা চাই না। আমরা একই পরিবার এক ছাতার নিচে সবাই থাকতে চাই। আমাদের কোন পক্ষ থাকতে পারে না। কারণ শিল্পীদের কোনো পক্ষ নেই। শিল্পীদের সব বিষয় নিয়ে আমরা শিল্পী সংঘের নেতাদের সঙ্গে আলাপে বসতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের সঙ্গে বসছেন না। আমরা কি তাহলে শিল্পী না? এটা আসলে কীসের কারণ। নাজিয়া হক অর্ষা বলেন, ‘৫ আগস্টের পর নতুনভাবে আমাদের দেশের পথচলা শুরু হয়েছে। আমাদের

সিনিয়র শিল্পীদের গত দুই মাসে যেসমস্ত কুকর্ম করেছেন তার কটুকথা আমাদেরও হজম করতে হয়েছে। এখন দেশের সবখানে সংস্কার চলছে। আমরা মনে করি, আমাদের শিল্পীদের জন্য সেটা আগে জরুরী। শিল্পী হিসেবে আমি তো কোনো দলভিত্তিক কাজে ছিলাম না। আমি তো ন্যায়কে ন্যায় বলবো অন্যায়কে বলবো অন্যায়। যদি সেটা না করতে পারি তাহলে আমি কিসের শিল্পী। কিন্তু আমাদের সংগঠনের কিছু শিল্পী-নেতাদের কারণে আজ আমরা জনগণের প্রশ্নে মুখে পড়েছি। সেজন্য আমরা শিল্পী সংঘের কিছু বিষয় নিয়ে নেতাদের সঙ্গে বসতে চেয়েছি। কিন্তু তারা আমাদের সঙ্গে বসতে নারাজ। শেষে আমি বলতে চাই, আপনার যদি আমাদের সঙ্গে না বসেন তবে এতোদিন আপনারা যা করেছেন সেগুলোর উত্তর

আপনাদের দিতেই হবে।’

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
মাদক সরবরাহে জড়িয়ে বিপাকে সাবেক অজি স্পিনার ইউটিউব দেখে সোনাপাচারের কৌশল শেখেন রানিয়া সংস্কার নিয়ে মতামত দিল ৭ দল, সময় চাইলো ১৬ দল আছিয়ার মরদেহের সঙ্গে মাগুরায় গেলেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার শাহরুখের কারণে পিছিয়ে যায় শতাধিক বিয়ে! নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন রোনালদো যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইউক্রেন, যা বললেন এরদোগান ইউরোপিয় মদের ওপর ২০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের ইসরাইলি পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করলেন পাকিস্তানি স্থপতি ইয়াসমিন ইউক্রেনের ৭৭টি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি রাশিয়ার হোলি উৎসব, তাই যোগীরাজ্যে মুসলিম ধরপাকড়, ত্রিপলে ঢাকা হলো মসজিদ কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রীর শপথ শুক্রবার অক্সফোর্ডে ভাষণ দেবেন মমতা ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে শর্ত দিয়েছে রাশিয়া মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু মারা গেছে মেসির জনপ্রিয়তা হু হু করে কমে যাচ্ছে স্ত্রীসহ সাবেক বিজিবিপ্রধান সাফিনুল ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আজান দিয়েছে ভেবে সময়ের আগেই ইফতার করলে রোজা হবে? পিআরপি ইনজেকশন নিয়েছেন মোস্তাফিজ সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী আর নেই