ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
পিরোজপুরে প্রাইভেটকার খালে পড়ে শিশুসহ নিহত ৮
সুনামগঞ্জের সাবেক এমপি মহিবুর রহমান গ্রেপ্তার
‘জমিটুকুনের পাচ্ছি না দখল, ঘরের ওপর গাছ দিচ্ছে মৃত্যুর টহল’
যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মাছের আড়ত দখলের অভিযোগ
বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
নেত্রকোণায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, শেরপুরে নিহত ৯
এনসিসি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবু মহসীন আর নেই
কক্সবাজারে বিনা চিকিৎসায় কাতরাচ্ছে ৬ হাজার ডেঙ্গু রোগী, মৃত্যু ৫
কক্সবাজারে ডেঙ্গুর প্রকোপ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ইতোমধ্যে জেলায় ৬ হাজারের বেশি ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত ও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কক্সবাজারে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। ডেঙ্গু আক্রান্তদের বেশিরভাগই রোহিঙ্গা ও টেকনাফ-উখিয়ার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
এদিকে ভয়াবহ ব্যাপার হলো- চিকিৎসক, নার্সদের আন্দোলনের কারণে গত দুদিন ধরে সরকারি ও বেসরকারি কোনো হাসপাতালেই ডেঙ্গু ও অন্যান্য রোগীরা পর্যাপ্ত চিকিৎসা পাচ্ছেন না। এক ধরনের মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে জেলাজুড়ে।
জানা গেছে, রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে এক চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে ৪ দফা দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলছে দুদিন ধরে। বৃহস্পতিবার কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানিয়ে প্রাইভেট চেম্বারেও
রোগী দেখা বন্ধ করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। কর্মসূচির পক্ষে মাঠে নেমেছেন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরাও। এর ফলে এখন বিনা চিকিৎসায় কাতরাচ্ছেন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হাজার হাজার রোগী। এতে মানবিক বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. আসিফ আহমদ হাওলাদার জানান, ডেঙ্গু আক্রান্তের হার বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হলো অসচেতনতা। ঝোপঝাড় পরিষ্কার রাখা, বাড়ির আঙিনা পরিষ্কার রাখা, ড্রেন পরিষ্কার রাখা, বাড়ির আশেপাশে জমে থাকা ময়লা এবং পানি নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ও ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কক্সবাজার সদর হাসপাতালে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা বন্ধ রয়েছে। তবে জরুরি বিভাগে রোগী দেখলেও ১০ মিনিটের মধ্যেই
তাদের বিদায় করা হচ্ছে। অন্যদিকে কক্সবাজার শহরের কোনো বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে সিট খালি না থাকায় রোগী ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। তাই যেসব রোগীর সামর্থ্য রয়েছে, তারা ছুটে যাচ্ছেন চট্টগ্রাম ও ঢাকায়। এমনকি বৃহস্পতিবার কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরেও কোনো ডাক্তারের দেখা মেলেনি। সম্পূর্ণ চিকিৎসা সেবা বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন কয়েকটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন চিকিৎসকের দাবি, কিছুটা অনিরাপদ মনে করলেও তারা রোগীদের সেবা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আন্দোলনরত চিকিৎসকদের হুমকির কারণে তারা কাজে যোগদান করেননি। বৃহস্পতিবার থেকে বেসরকারি হাসপাতালেও রোগী দেখতে না যেতে চিকিৎসকদের নিষেধ করা হয়েছে। এতে করে তারা ভয়ে বেসরকারি হাসপাতালেও রোগী দেখতে যাননি। এদিকে হামলার ঘটনায় মামলা
ও ৪ জনকে গ্রেফতার করা হলেও নিরাপত্তার অজুহাতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মং টিং ঞো আন্দোলনরতদের উস্কানি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চিকিৎসকদের দাবি মেনে নিয়ে দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কক্সবাজারে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৭০ জনে। এরমধ্যে রোহিঙ্গা রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৫৮৫ জন এবং স্থানীয় রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৭৮৫ জন। এ পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, মৃত সবাই রোহিঙ্গা নাগরিক। কক্সবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় গত জুন মাসে ৩৩৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়। এরমধ্যে স্থানীয় ৫৫ জন এবং রোহিঙ্গা ২৭৯ জন। জুলাই
মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৯৬৫ জন, এরমধ্যে স্থানীয় ৪৮৫ জন এবং রোহিঙ্গা ৪৮০ জন। আগস্ট মাসে ডেঙ্গু আক্রান্তের হার আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আগস্ট মাসে ৪২৪৭ জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত করা হয়েছে, এরমধ্যে ১৪৪৮ জন স্থানীয় এবং ২৭৯৯ জন রোহিঙ্গা। গত মাসে ডেঙ্গুতে মৃত্যু বরণ করেছে ৫ জন রোহিঙ্গা রোগী। সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্তের হার ১.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. আসিফ আহমদ হাওলাদার কক্সবাজারে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা প্রতিরোধে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। একই সঙ্গে আন্দোলনের কারণে ডেঙ্গু রোগীসহ অন্যান্য রোগীও পর্যাপ্ত চিকিৎসা না পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, দ্রুত
সমস্যা সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মানবিক বিপর্যয়ের আগে এটি সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। আন্দোলন কবে নাগাদ প্রত্যাহার হবে, জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মং টিং ঞো বলেন, চিকিৎসক-নার্স এবং হাসপাতালের সংশ্লিষ্টদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করবেন না। বিনা চিকিৎসায় হাজারো রোগী কাতরাচ্ছে, এমন পরিস্থিতিতে মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা নিয়ে জানতে চাইলে উত্তেজিত হয়ে তত্ত্বাবধায়ক ডা. মং টিং ঞো বলেন, ‘আপনারা সাংবাদিকরা লেখেন, আমাদের কাজ আমরা করব’। আন্দোলনে তার উস্কানির অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও উত্তেজিত হয়ে ফোনের লাইন কেটে দেন। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে
তিনি বৈঠক করেছেন। তারা আন্দোলনের বিষয়ে কিছু না বললেও চিকিৎসক ও নার্সদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি করেছেন। ইতোমধ্যে পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্যদের একটি টিমও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। হামলার ঘটনায় মামলাও করা হয়েছে এবং ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার পরেও আন্দোলন কেন চলছে, এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, তারা আমাকে আন্দোলনের বিষয়টি জানায়নি, তবে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সেবা বন্ধ ও মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কার বিষয়ে ডিসি মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, আমি যেহেতু নতুন যোগদান করেছি, হাসপাতালে সরজমিনে যাব। প্রসঙ্গত, কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আশেকুর রহমান জানান, মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি আবদুল আজিজ নামের এক রোগীর মৃত্যু হয়। তিনি শহরের নুনিয়ারছড়া এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনার জেরে কর্তব্যরত চিকিৎসক সজীব কাজীকে মারধর করা হয়। এরপর আইসিইউ, সিসিইউসহ হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হয়। ঘটনার প্রতিবাদে চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে কর্মবিরতিতে যান হাসপাতালের সকল চিকিৎসক ও কর্মীরা। এরপর থেকে জরুরি বিভাগ খোলা থাকলেও আবাসিক চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে। ফলে ভর্তি রোগীরা অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। নানা দাবি নিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ চলছে।
রোগী দেখা বন্ধ করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। কর্মসূচির পক্ষে মাঠে নেমেছেন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরাও। এর ফলে এখন বিনা চিকিৎসায় কাতরাচ্ছেন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হাজার হাজার রোগী। এতে মানবিক বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. আসিফ আহমদ হাওলাদার জানান, ডেঙ্গু আক্রান্তের হার বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হলো অসচেতনতা। ঝোপঝাড় পরিষ্কার রাখা, বাড়ির আঙিনা পরিষ্কার রাখা, ড্রেন পরিষ্কার রাখা, বাড়ির আশেপাশে জমে থাকা ময়লা এবং পানি নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ও ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কক্সবাজার সদর হাসপাতালে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা বন্ধ রয়েছে। তবে জরুরি বিভাগে রোগী দেখলেও ১০ মিনিটের মধ্যেই
তাদের বিদায় করা হচ্ছে। অন্যদিকে কক্সবাজার শহরের কোনো বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে সিট খালি না থাকায় রোগী ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। তাই যেসব রোগীর সামর্থ্য রয়েছে, তারা ছুটে যাচ্ছেন চট্টগ্রাম ও ঢাকায়। এমনকি বৃহস্পতিবার কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরেও কোনো ডাক্তারের দেখা মেলেনি। সম্পূর্ণ চিকিৎসা সেবা বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন কয়েকটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন চিকিৎসকের দাবি, কিছুটা অনিরাপদ মনে করলেও তারা রোগীদের সেবা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আন্দোলনরত চিকিৎসকদের হুমকির কারণে তারা কাজে যোগদান করেননি। বৃহস্পতিবার থেকে বেসরকারি হাসপাতালেও রোগী দেখতে না যেতে চিকিৎসকদের নিষেধ করা হয়েছে। এতে করে তারা ভয়ে বেসরকারি হাসপাতালেও রোগী দেখতে যাননি। এদিকে হামলার ঘটনায় মামলা
ও ৪ জনকে গ্রেফতার করা হলেও নিরাপত্তার অজুহাতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মং টিং ঞো আন্দোলনরতদের উস্কানি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চিকিৎসকদের দাবি মেনে নিয়ে দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কক্সবাজারে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৭০ জনে। এরমধ্যে রোহিঙ্গা রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৫৮৫ জন এবং স্থানীয় রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৭৮৫ জন। এ পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, মৃত সবাই রোহিঙ্গা নাগরিক। কক্সবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় গত জুন মাসে ৩৩৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়। এরমধ্যে স্থানীয় ৫৫ জন এবং রোহিঙ্গা ২৭৯ জন। জুলাই
মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৯৬৫ জন, এরমধ্যে স্থানীয় ৪৮৫ জন এবং রোহিঙ্গা ৪৮০ জন। আগস্ট মাসে ডেঙ্গু আক্রান্তের হার আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আগস্ট মাসে ৪২৪৭ জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত করা হয়েছে, এরমধ্যে ১৪৪৮ জন স্থানীয় এবং ২৭৯৯ জন রোহিঙ্গা। গত মাসে ডেঙ্গুতে মৃত্যু বরণ করেছে ৫ জন রোহিঙ্গা রোগী। সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্তের হার ১.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. আসিফ আহমদ হাওলাদার কক্সবাজারে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা প্রতিরোধে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। একই সঙ্গে আন্দোলনের কারণে ডেঙ্গু রোগীসহ অন্যান্য রোগীও পর্যাপ্ত চিকিৎসা না পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, দ্রুত
সমস্যা সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মানবিক বিপর্যয়ের আগে এটি সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। আন্দোলন কবে নাগাদ প্রত্যাহার হবে, জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মং টিং ঞো বলেন, চিকিৎসক-নার্স এবং হাসপাতালের সংশ্লিষ্টদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করবেন না। বিনা চিকিৎসায় হাজারো রোগী কাতরাচ্ছে, এমন পরিস্থিতিতে মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা নিয়ে জানতে চাইলে উত্তেজিত হয়ে তত্ত্বাবধায়ক ডা. মং টিং ঞো বলেন, ‘আপনারা সাংবাদিকরা লেখেন, আমাদের কাজ আমরা করব’। আন্দোলনে তার উস্কানির অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও উত্তেজিত হয়ে ফোনের লাইন কেটে দেন। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে
তিনি বৈঠক করেছেন। তারা আন্দোলনের বিষয়ে কিছু না বললেও চিকিৎসক ও নার্সদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি করেছেন। ইতোমধ্যে পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্যদের একটি টিমও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। হামলার ঘটনায় মামলাও করা হয়েছে এবং ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার পরেও আন্দোলন কেন চলছে, এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, তারা আমাকে আন্দোলনের বিষয়টি জানায়নি, তবে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সেবা বন্ধ ও মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কার বিষয়ে ডিসি মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, আমি যেহেতু নতুন যোগদান করেছি, হাসপাতালে সরজমিনে যাব। প্রসঙ্গত, কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আশেকুর রহমান জানান, মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি আবদুল আজিজ নামের এক রোগীর মৃত্যু হয়। তিনি শহরের নুনিয়ারছড়া এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনার জেরে কর্তব্যরত চিকিৎসক সজীব কাজীকে মারধর করা হয়। এরপর আইসিইউ, সিসিইউসহ হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হয়। ঘটনার প্রতিবাদে চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে কর্মবিরতিতে যান হাসপাতালের সকল চিকিৎসক ও কর্মীরা। এরপর থেকে জরুরি বিভাগ খোলা থাকলেও আবাসিক চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে। ফলে ভর্তি রোগীরা অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। নানা দাবি নিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ চলছে।