ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
এতদিন বাংলাদেশ জনগণের ছিল না
জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে স্থবির ছিল শোবিজ অঙ্গন। নাটক-সিনেমার সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ ছিল বেশ লম্বা সময় ধরে। আন্দোলনপরবর্তী সীমিত পরিসরে নাটকের শুটিং শুরু হলেও শিল্পীদের কোন্দলের কারণে সেখানেও আসে বাধা। ৫ আগস্টের পর শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ ও পলায়নে অনেক আওয়ামী নেতারাও পলাতক এবং কেউ কেউ আছেন আত্মগোপনে। জানা যায়, সেই নেতাদের মধ্যে অনেকেই নাটকে প্রযোজনা করতেন। নিজেরাই আড়ালে থাকায় প্রযোজনায় ফিরতে পারছিলেন না। সেসব কারণেও অনেক নির্মাতা নাটক বানাতে পারছিলেন না।
* দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে কেমন মনে হচ্ছে?
** দেশ যদি ভালো থাকে, তাহলে অবশ্যই আমরাও ভালো থাকব। আগে দেশটাকে ভালো করতে হবে। দেশটা এখনো পুরোটা স্বাভাবিক হয়নি। এখনো
অনেক কাজ বাকি। আমাদের যা হারিয়ে গেছে, যেসব প্রতিষ্ঠান নষ্ট হয়েছে, সেগুলো পুনর্নির্মাণ ও পুনর্গঠন হলে দেশের মানুষ ভালো থাকবে। আমরা গণপ্রজাতন্ত্রী দেশে থাকলেও দেশে এতদিন গণতন্ত্র ছিল না। জনগণের দেশ ছিল না এতদিন, তারা দাবি করতে পারত না যে এটা আমার দেশ। এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। জনগণ দাবি করতে পারছে এটা আমার দেশ। এখন সরকার যদি দেশটা সুন্দরভাবে গঠন করে, দেশের মালিকানা জনগণের হাতে তুলে দিতে পারে, তবেই এ দেশ ভালো থাকবে। দেশের মানুষ ভালো থাকবে। * ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর বাংলাদেশে কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করছেন? ** অবশ্যই, অনেক পরিবর্তন হচ্ছে। যে পরিবর্তন আরও আগেই মানুষ চেয়েছিল। কিন্তু সাহস করে কেউ
বলতে পারত না। দেশে অনেক কিছুই সংস্কার করার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু দেশের মানুষ যেন জেলের মধ্যে আটকে ছিল। যেখান থেকে কিছু বলাও যায় না, আবার সেখান থেকে বের হয়ে আসাও যায় না। ছাত্রদের আন্দোলনের পর এখন তো সবাই কথা বলতে পারছে। সবাই পরিবর্তনের ডাক দিচ্ছে। এটা কিন্তু ভালো লক্ষণ। কারণ কথা বলার মতো অধিকার না থাকলে, সমস্যা কোথায় সেটা বুঝা যাবে না। তাই জনগণকে কথা বলার অধিকার আগে দিতে হবে। * বর্তমান সময়টা কীভাবে কাটছে, কী করছেন? ** ভালো-খারাপ মিলিয়েই মানুষের জীবন। তবে সুস্থ আছি। এখন কাজ তেমন করছি না। অনেকটা অবসরের মতোই বলা যেতে পারে। দু-একটা সিনেমায় অভিনয় করছি, এই আর
কী। * আন্দোলন-বন্যায় সিনেমা অঙ্গন বেশ কিছুদিন স্থবির ছিল। ফের কী কোনো কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে যাচ্ছে? ** দেশ যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে এতগুলো দিন পার করেছে, সেসময় সিনেমা করা বা মুক্তি দেওয়া, দেখা কোনোটাই সম্ভব ছিল না। এটাই স্বাভাবিক। আর সিনেমা কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ছে কী না এর উত্তর সবারই জানা। এমনিতেই সিনেমার অবস্থা খুব একটা ভালো নেই, তারমধ্যে কাজ বন্ধ, রিলিজ বন্ধ তাতে কিছুটা হলেও আমাদের বেগ পেতে হবে। তবু আমরা আশাবাদী সব কিছু আবার ঠিক হয়ে যাবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই সবাই আবার শুটিংয়ে ফিরবেন। অনেকেই প্রস্তুতিও নিচ্ছেন শুনেছি। সব মিলিয়ে দুরাবস্থা থাকবে না। * অনেকেই সার্টিফিকেশন বোর্ড ও কমিটি নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া
দেখাচ্ছে? এটা নিয়ে কী বলবেন? ** আমি এসব বিতর্কে যেতে চাই না। সবার নিজস্ব মতামত দেওয়ার অধিকার আছে। সবার কথা বলার অধিকার আছে। সবার মতামতকেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত, সম্মান করা উচিত। * রাজনীতিতে শিল্পীরা জড়িত, অনেকেই বিতর্কিত হয়েছেন। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন? ** শিল্পীরা রাজনীতিতে জড়িত থাকার বিষয়টি আমি খারাপভাবে দেখছি না। অনেক দেশেই শিল্পীরা রাজনীতি করছেন। আমার দেশ কেন পিছিয়ে থাকবে? তবে শিল্পীরা হচ্ছেন সমাজের বিবেক। তারা সবসময় সত্য বলবেন, ন্যায়ের পথে চলবেন। তারা যদি সত্য বলতে না পারেন, কোনো দলের হয়ে অন্যায়কে প্রশ্রয় দেন তাহলে এমন রাজনীতি আমি প্রত্যাশা করি না। বিগত দিনে যারা বিতর্কিত হয়েছেন তাদের নিয়ে আমার কিছু বলার নাই।
তাদের যা ভালো মনে হয়েছে, তাই করেছেন।
অনেক কাজ বাকি। আমাদের যা হারিয়ে গেছে, যেসব প্রতিষ্ঠান নষ্ট হয়েছে, সেগুলো পুনর্নির্মাণ ও পুনর্গঠন হলে দেশের মানুষ ভালো থাকবে। আমরা গণপ্রজাতন্ত্রী দেশে থাকলেও দেশে এতদিন গণতন্ত্র ছিল না। জনগণের দেশ ছিল না এতদিন, তারা দাবি করতে পারত না যে এটা আমার দেশ। এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। জনগণ দাবি করতে পারছে এটা আমার দেশ। এখন সরকার যদি দেশটা সুন্দরভাবে গঠন করে, দেশের মালিকানা জনগণের হাতে তুলে দিতে পারে, তবেই এ দেশ ভালো থাকবে। দেশের মানুষ ভালো থাকবে। * ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর বাংলাদেশে কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করছেন? ** অবশ্যই, অনেক পরিবর্তন হচ্ছে। যে পরিবর্তন আরও আগেই মানুষ চেয়েছিল। কিন্তু সাহস করে কেউ
বলতে পারত না। দেশে অনেক কিছুই সংস্কার করার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু দেশের মানুষ যেন জেলের মধ্যে আটকে ছিল। যেখান থেকে কিছু বলাও যায় না, আবার সেখান থেকে বের হয়ে আসাও যায় না। ছাত্রদের আন্দোলনের পর এখন তো সবাই কথা বলতে পারছে। সবাই পরিবর্তনের ডাক দিচ্ছে। এটা কিন্তু ভালো লক্ষণ। কারণ কথা বলার মতো অধিকার না থাকলে, সমস্যা কোথায় সেটা বুঝা যাবে না। তাই জনগণকে কথা বলার অধিকার আগে দিতে হবে। * বর্তমান সময়টা কীভাবে কাটছে, কী করছেন? ** ভালো-খারাপ মিলিয়েই মানুষের জীবন। তবে সুস্থ আছি। এখন কাজ তেমন করছি না। অনেকটা অবসরের মতোই বলা যেতে পারে। দু-একটা সিনেমায় অভিনয় করছি, এই আর
কী। * আন্দোলন-বন্যায় সিনেমা অঙ্গন বেশ কিছুদিন স্থবির ছিল। ফের কী কোনো কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে যাচ্ছে? ** দেশ যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে এতগুলো দিন পার করেছে, সেসময় সিনেমা করা বা মুক্তি দেওয়া, দেখা কোনোটাই সম্ভব ছিল না। এটাই স্বাভাবিক। আর সিনেমা কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ছে কী না এর উত্তর সবারই জানা। এমনিতেই সিনেমার অবস্থা খুব একটা ভালো নেই, তারমধ্যে কাজ বন্ধ, রিলিজ বন্ধ তাতে কিছুটা হলেও আমাদের বেগ পেতে হবে। তবু আমরা আশাবাদী সব কিছু আবার ঠিক হয়ে যাবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই সবাই আবার শুটিংয়ে ফিরবেন। অনেকেই প্রস্তুতিও নিচ্ছেন শুনেছি। সব মিলিয়ে দুরাবস্থা থাকবে না। * অনেকেই সার্টিফিকেশন বোর্ড ও কমিটি নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া
দেখাচ্ছে? এটা নিয়ে কী বলবেন? ** আমি এসব বিতর্কে যেতে চাই না। সবার নিজস্ব মতামত দেওয়ার অধিকার আছে। সবার কথা বলার অধিকার আছে। সবার মতামতকেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত, সম্মান করা উচিত। * রাজনীতিতে শিল্পীরা জড়িত, অনেকেই বিতর্কিত হয়েছেন। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন? ** শিল্পীরা রাজনীতিতে জড়িত থাকার বিষয়টি আমি খারাপভাবে দেখছি না। অনেক দেশেই শিল্পীরা রাজনীতি করছেন। আমার দেশ কেন পিছিয়ে থাকবে? তবে শিল্পীরা হচ্ছেন সমাজের বিবেক। তারা সবসময় সত্য বলবেন, ন্যায়ের পথে চলবেন। তারা যদি সত্য বলতে না পারেন, কোনো দলের হয়ে অন্যায়কে প্রশ্রয় দেন তাহলে এমন রাজনীতি আমি প্রত্যাশা করি না। বিগত দিনে যারা বিতর্কিত হয়েছেন তাদের নিয়ে আমার কিছু বলার নাই।
তাদের যা ভালো মনে হয়েছে, তাই করেছেন।