ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
ভূমিকম্পের সময় কী করা উচিত, জানাল ফায়ার সার্ভিস
বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান কত
ঢাকায় শীতের আমেজ, তাপমাত্রা নামল ১৯ ডিগ্রিতে
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রবাসীরা
শান্তিপূর্ণভাবে, গৌরবে, অবিচল থেকে দেশকে রক্ষা করি
আগামী তিনমাসের মধ্যে খাদ্যসংকটে দেড় কোটিরও বেশি মানুষ
পপি সিড খাবার নাকি মাদক?
বিএনপিকেই বেছে নিতে হবে পথ: গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা, নাকি দলের ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মুখে ফেলা
বাংলাদেশে ১০ থেকে ১৩ই নভেম্বর পর্যন্ত আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে। এই ধরনের কর্মসূচি একটি গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রকাশ, যেখানে নাগরিক ও রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মতামত জানাতে, নীতির পক্ষে কথা বলতে এবং ক্ষমতাসীনদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে পারে। কিন্তু আশঙ্কা দেখা দিয়েছে যে, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবহার করে এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দমন করতে পারে। এমন হলে তা গণতন্ত্রের মূল ভিত্তিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
ইতিমধ্যেই আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নানা বাধা দেওয়া হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক মহলেরও সমালোচনা কুড়িয়েছে। একটি বৈধ রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি সীমিত করা শুধু তাদের অধিকার লঙ্ঘন নয়—এটি দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি অবমাননাও বটে। বিরোধী কণ্ঠ
দমন করার এই প্রবণতা সরকার আসলে কতটা মুক্ত ও সুষ্ঠু রাজনীতিতে বিশ্বাস করে, সে প্রশ্ন তুলেছে। ইউনূস ও তার প্রধান মিত্র জামায়াতে ইসলামী জনসমর্থনের দিক থেকে দুর্বল। জামায়াতের সংগঠিত বলপ্রয়োগের ক্ষমতা থাকতে পারে, কিন্তু অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে তাদের আসনসংখ্যা এক বা দুইয়ের বেশি হবে না—এটি বাংলাদেশি ভোটাররা বহুবার দেখিয়েছেন। জনগণ বারবার জামায়াতের মতাদর্শকে প্রত্যাখ্যান করেছে। রাজনৈতিক বৈধতা জবরদস্তি বা ভয় দেখিয়ে নয়, বরং জনগণের সমর্থনের মাধ্যমে অর্জিত হয়—এই সত্যটি উপেক্ষা করা বিপজ্জনক। এই প্রেক্ষাপটে বিএনপির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল ও কেন্দ্র-ডান রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে বিএনপির দায়িত্ব হওয়া উচিত গণতন্ত্রকে স্থিতিশীল রাখা। কিন্তু দুঃখজনকভাবে দেখা যাচ্ছে, বিএনপির কিছু সমর্থক
আওয়ামী লীগের কর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে এবং শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বিঘ্নিত করছে। এ ধরনের আচরণ শুধু অন্য রাজনৈতিক দলের অধিকার লঙ্ঘনই নয়, বিএনপির নিজেদের ভাবমূর্তিকেও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। জামায়াতে ইসলামী ও সহিংস রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততা বিএনপির ভবিষ্যৎকে আরও অনিশ্চিত করে তুলছে, কারণ গণতন্ত্রে টিকে থাকার একমাত্র পথ হলো জনগণের সমর্থন, ভয়ভীতি নয়। গণতন্ত্রে কেন্দ্র-ডান ও কেন্দ্র-বাম দলগুলোর সহাবস্থান অপরিহার্য। মতবিনিময়, নীতি প্রস্তাব ও নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিযোগিতা হওয়াই রাজনীতির সৌন্দর্য। কোনো দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়া হয়তো স্বল্পমেয়াদে কারও সুবিধা এনে দিতে পারে, কিন্তু ইতিহাস বলে—এটি শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক বৈধতা ও জনগণের আস্থা উভয়কেই ধ্বংস করে। বিএনপির উচিত বুঝে নেওয়া, টিকে থাকার একমাত্র
উপায় হলো দায়িত্বশীল আচরণের মাধ্যমে ভোটারদের আস্থা অর্জন করা, চরমপন্থী গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মেলানো নয়। বাংলাদেশ যখন এই কর্মসূচিগুলোর দিকে অগ্রসর হচ্ছে, তখন দেশ-বিদেশের দৃষ্টি এই ঘটনাপ্রবাহের ওপর নিবদ্ধ। সব রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ডের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের নিশ্চয়তা এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা—এসবই এখন গণতান্ত্রিক পরিপক্বতার পরীক্ষা। রাজনৈতিক দল, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নাগরিক সমাজ—সবারই দায়িত্ব এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সেই গণতান্ত্রিক পরিসরকে রক্ষা করা, যা প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘদিন লড়াই করেছে।
দমন করার এই প্রবণতা সরকার আসলে কতটা মুক্ত ও সুষ্ঠু রাজনীতিতে বিশ্বাস করে, সে প্রশ্ন তুলেছে। ইউনূস ও তার প্রধান মিত্র জামায়াতে ইসলামী জনসমর্থনের দিক থেকে দুর্বল। জামায়াতের সংগঠিত বলপ্রয়োগের ক্ষমতা থাকতে পারে, কিন্তু অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে তাদের আসনসংখ্যা এক বা দুইয়ের বেশি হবে না—এটি বাংলাদেশি ভোটাররা বহুবার দেখিয়েছেন। জনগণ বারবার জামায়াতের মতাদর্শকে প্রত্যাখ্যান করেছে। রাজনৈতিক বৈধতা জবরদস্তি বা ভয় দেখিয়ে নয়, বরং জনগণের সমর্থনের মাধ্যমে অর্জিত হয়—এই সত্যটি উপেক্ষা করা বিপজ্জনক। এই প্রেক্ষাপটে বিএনপির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল ও কেন্দ্র-ডান রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে বিএনপির দায়িত্ব হওয়া উচিত গণতন্ত্রকে স্থিতিশীল রাখা। কিন্তু দুঃখজনকভাবে দেখা যাচ্ছে, বিএনপির কিছু সমর্থক
আওয়ামী লীগের কর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে এবং শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বিঘ্নিত করছে। এ ধরনের আচরণ শুধু অন্য রাজনৈতিক দলের অধিকার লঙ্ঘনই নয়, বিএনপির নিজেদের ভাবমূর্তিকেও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। জামায়াতে ইসলামী ও সহিংস রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততা বিএনপির ভবিষ্যৎকে আরও অনিশ্চিত করে তুলছে, কারণ গণতন্ত্রে টিকে থাকার একমাত্র পথ হলো জনগণের সমর্থন, ভয়ভীতি নয়। গণতন্ত্রে কেন্দ্র-ডান ও কেন্দ্র-বাম দলগুলোর সহাবস্থান অপরিহার্য। মতবিনিময়, নীতি প্রস্তাব ও নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিযোগিতা হওয়াই রাজনীতির সৌন্দর্য। কোনো দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়া হয়তো স্বল্পমেয়াদে কারও সুবিধা এনে দিতে পারে, কিন্তু ইতিহাস বলে—এটি শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক বৈধতা ও জনগণের আস্থা উভয়কেই ধ্বংস করে। বিএনপির উচিত বুঝে নেওয়া, টিকে থাকার একমাত্র
উপায় হলো দায়িত্বশীল আচরণের মাধ্যমে ভোটারদের আস্থা অর্জন করা, চরমপন্থী গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মেলানো নয়। বাংলাদেশ যখন এই কর্মসূচিগুলোর দিকে অগ্রসর হচ্ছে, তখন দেশ-বিদেশের দৃষ্টি এই ঘটনাপ্রবাহের ওপর নিবদ্ধ। সব রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ডের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের নিশ্চয়তা এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা—এসবই এখন গণতান্ত্রিক পরিপক্বতার পরীক্ষা। রাজনৈতিক দল, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নাগরিক সমাজ—সবারই দায়িত্ব এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সেই গণতান্ত্রিক পরিসরকে রক্ষা করা, যা প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘদিন লড়াই করেছে।



