ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
অকার্যকর হওয়া পাঁচ ব্যাংকের গ্রাহকদের যে আশ্বাস দিলেন গভর্নর
দুর্বল ৫ ব্যাংককে অকার্যকর ঘোষণা, বসছে প্রশাসক
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ল
পাঁচ শরিয়াহ ব্যাংককে অকার্যকর ঘোষণা করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক
ওপেন এআই-অ্যামাজনের ৩৮ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি
রপ্তানি পতন অব্যাহত: অক্টোবরে ৭.৪৩% কমে ৩.৬৩ বিলিয়ন ডলার, আমদানিও নেমে আসছে ধীরে ধীরে
নানা সংকটে রিক্রুটিং এজেন্সি, হুমকির মুখে শ্রম রপ্তানি
লাফিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম, ৭ দিনে দ্বিগুণ
দেশের বাজারে আবারও অস্থিরতা তৈরি করেছে পেঁয়াজের দাম। কয়েক দিনের ব্যবধানে এই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। হঠাৎ এই ঊর্ধ্বগতিতে বিভ্রান্ত ও ক্ষুব্ধ সাধারণ ক্রেতারা নানা প্রশ্ন তুলছেন।
বুধবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। পাইকারি বাজারে যার দাম ৯৫ থেকে ১০৫ টাকার মধ্যে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, মৌসুম শেষে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে। এর সঙ্গে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় বাজারে চাপ বেড়েছে।
ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীর বাজারে খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহজুড়ে প্রায় প্রতিদিনই পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা করে বেড়েছে।
রাজধানীর গুদারাঘাট কাঁচাবাজারের
বিক্রেতা রিপন মিয়া বলেন, ‘গতকাল ১০০ টাকায় বিক্রি করেছি, আজ মানভেদে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় দিতে হচ্ছে। পাইকারি বাজারেই তো প্রতিদিন দাম বাড়ছে।’ চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ও রাজশাহীর পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (আইপি) বন্ধ থাকায় দেশি পেঁয়াজের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়েছে। তারা আশঙ্কা করছেন, দ্রুত জোগান না বাড়লে দাম আরও বাড়তে পারে। তবে বাংলাদেশ কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন (ক্যাব) বলছে, পেঁয়াজের দাম বাড়ার পেছনে বাস্তব কোনো কারণ নেই। তাদের দাবি, কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কিছু ব্যবসায়ী আমদানির অনুমতি আদায়ের চেষ্টা করছে। অন্যদিকে, ক্রেতারা বলছেন, এই হঠাৎ দাম বৃদ্ধি তাদের দৈনন্দিন জীবনে চাপ বাড়িয়েছে। উত্তর বাড্ডার বাসিন্দা রুবেল হোসেন বলেন, ‘গত সপ্তাহে
৬০ টাকায় পেঁয়াজ কিনেছি, আজ ১২০ টাকা। এক সপ্তাহে এমন দাম কীভাবে দ্বিগুণ হয়?’ বাংলাদেশে খাদ্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা নতুন কিছু নয়। বিশেষ করে আমদানিনির্ভর পণ্যগুলোতে বছরের কোনো না কোনো সময় এমন অস্থিরতা দেখা দেয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন ক্ষমতা বিবেচনায় বর্তমান দামের এই ঊর্ধ্বগতি অস্বাভাবিক। সরকারি হিসেবে দেশে বছরে ২৫ থেকে ২৭ লাখ টন পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে, যেখানে উৎপাদন প্রায় ২১ লাখ টন— অর্থাৎ ঘাটতি পূরণে প্রতি বছর ছয় লাখ টন আমদানি করতে হয়। তবে ক্যাবের সহসভাপতি এসএম নাজের হোসেন এ তথ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘দেশে যে
পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপাদন হয়, তাতে আমদানির প্রয়োজন নেই। বাজার তদারকির দুর্বলতাই এখন মূল সমস্যা।’ তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান মজুতে নতুন পেঁয়াজ না আসা পর্যন্ত চাহিদা মেটানোর মতো সরবরাহ রয়েছে। কিন্তু নজরদারি না থাকায় কৃত্রিম সংকট তৈরি হচ্ছে।’ বাজার বিশ্লেষকদের মতে, নতুন মৌসুমের পেঁয়াজ বাজারে না আসা পর্যন্ত কিছুটা বাড়তি দামের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। রাজবাড়ীর কৃষক ছোরাপ আলী বলেন, ‘অন্য বছর অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়েই নতুন পেঁয়াজ ঘরে তুলতে পারতাম, এবার দেরিতে লাগানোয় সময় লাগছে।’ আমদানিকারক আহসান উল্লাহ জাহেদী বলেন, ‘সরকার যদি এখনই আমদানির অনুমতি দেয়, তাহলে একদিনের মধ্যেই এর প্রভাব বাজারে পড়বে।’ ক্যাবের সহসভাপতি নাজের হোসেনের মতে, সরকারের উচিত আমদানি নীতি নমনীয় রাখা— স্থানীয়
পণ্য থাকলে আমদানি নিরুৎসাহিত করা, আর সংকটকালীন সময়ে দ্রুত অনুমতি দেওয়া। বর্তমানে বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষকরা বলছেন, কার্যকর তদারকি ও সময়োচিত সিদ্ধান্ত না নিলে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে— আর সেই চাপ সরাসরি পড়বে সাধারণ ভোক্তার ঘাড়ে।
বিক্রেতা রিপন মিয়া বলেন, ‘গতকাল ১০০ টাকায় বিক্রি করেছি, আজ মানভেদে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় দিতে হচ্ছে। পাইকারি বাজারেই তো প্রতিদিন দাম বাড়ছে।’ চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ও রাজশাহীর পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (আইপি) বন্ধ থাকায় দেশি পেঁয়াজের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়েছে। তারা আশঙ্কা করছেন, দ্রুত জোগান না বাড়লে দাম আরও বাড়তে পারে। তবে বাংলাদেশ কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন (ক্যাব) বলছে, পেঁয়াজের দাম বাড়ার পেছনে বাস্তব কোনো কারণ নেই। তাদের দাবি, কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কিছু ব্যবসায়ী আমদানির অনুমতি আদায়ের চেষ্টা করছে। অন্যদিকে, ক্রেতারা বলছেন, এই হঠাৎ দাম বৃদ্ধি তাদের দৈনন্দিন জীবনে চাপ বাড়িয়েছে। উত্তর বাড্ডার বাসিন্দা রুবেল হোসেন বলেন, ‘গত সপ্তাহে
৬০ টাকায় পেঁয়াজ কিনেছি, আজ ১২০ টাকা। এক সপ্তাহে এমন দাম কীভাবে দ্বিগুণ হয়?’ বাংলাদেশে খাদ্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা নতুন কিছু নয়। বিশেষ করে আমদানিনির্ভর পণ্যগুলোতে বছরের কোনো না কোনো সময় এমন অস্থিরতা দেখা দেয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন ক্ষমতা বিবেচনায় বর্তমান দামের এই ঊর্ধ্বগতি অস্বাভাবিক। সরকারি হিসেবে দেশে বছরে ২৫ থেকে ২৭ লাখ টন পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে, যেখানে উৎপাদন প্রায় ২১ লাখ টন— অর্থাৎ ঘাটতি পূরণে প্রতি বছর ছয় লাখ টন আমদানি করতে হয়। তবে ক্যাবের সহসভাপতি এসএম নাজের হোসেন এ তথ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘দেশে যে
পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপাদন হয়, তাতে আমদানির প্রয়োজন নেই। বাজার তদারকির দুর্বলতাই এখন মূল সমস্যা।’ তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান মজুতে নতুন পেঁয়াজ না আসা পর্যন্ত চাহিদা মেটানোর মতো সরবরাহ রয়েছে। কিন্তু নজরদারি না থাকায় কৃত্রিম সংকট তৈরি হচ্ছে।’ বাজার বিশ্লেষকদের মতে, নতুন মৌসুমের পেঁয়াজ বাজারে না আসা পর্যন্ত কিছুটা বাড়তি দামের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। রাজবাড়ীর কৃষক ছোরাপ আলী বলেন, ‘অন্য বছর অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়েই নতুন পেঁয়াজ ঘরে তুলতে পারতাম, এবার দেরিতে লাগানোয় সময় লাগছে।’ আমদানিকারক আহসান উল্লাহ জাহেদী বলেন, ‘সরকার যদি এখনই আমদানির অনুমতি দেয়, তাহলে একদিনের মধ্যেই এর প্রভাব বাজারে পড়বে।’ ক্যাবের সহসভাপতি নাজের হোসেনের মতে, সরকারের উচিত আমদানি নীতি নমনীয় রাখা— স্থানীয়
পণ্য থাকলে আমদানি নিরুৎসাহিত করা, আর সংকটকালীন সময়ে দ্রুত অনুমতি দেওয়া। বর্তমানে বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষকরা বলছেন, কার্যকর তদারকি ও সময়োচিত সিদ্ধান্ত না নিলে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে— আর সেই চাপ সরাসরি পড়বে সাধারণ ভোক্তার ঘাড়ে।



