 
                                                        
                                ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স                            
                        আরও খবর
 
                                গণভোট নিয়ে হ্যাঁ-না পোস্টের প্রতিযোগিতা ফেসবুক-ইনস্টায়
 
                                আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনা: তিনিই জাতির কাণ্ডারি
 
                                জামায়াত কি আদৌ মওদুদীর ‘বিকৃত আকিদা’ ঝেড়ে ফেলতে পেরেছে? নাকি আগের পথেই আছে?
 
                                শেখ হাসিনা: যারা আগুন দিয়েছে, লুটপাট করেছে, তাদের চিহ্নিত করে রাখুন, পাই পাই হিসাব নেওয়া হবে
 
                                শীত আসার আগেই রাজধানীতে তীব্র গ্যাস সংকট: অব্যবস্থাপনায় ক্ষুব্ধ নাগরিকরা
 
                                বৈদেশিক অর্থায়ন ব্যর্থ, তহবিলের টাকায় ইস্টার্ন রিফাইনারি-২ নির্মাণের সিদ্ধান্ত
 
                                পুলিশ-র্যাবের পক্ষে শেখ হাসিনার শক্ত অবস্থান: ‘আন্দোলনকারীরাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যায়’
জেএমবিএফ-এর প্রতিবেদন: অন্তবর্তী সরকারের অধীনে বাংলাদেশে আইনজীবীদের ওপর দমন-পীড়নের চিত্র
 
                             
                                               
                    
                         কাউন্সিল অব বার্স অ্যান্ড ল’ সোসাইটিজ অব ইউরোপ (সিসিবিই)এর কারিগরি সহযোগিতায় প্যারিসভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ ইন ফ্রান্স (জেএমবিএফ) আজ তাদের যুগান্তকারী প্রতিবেদন “বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে আইনজীবীদের স্বাধীনতার ওপর দমন-পীড়ন প্রতিবেদন ২০২৫” প্রকাশ করেছে ।
২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়কালে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে বাংলাদেশের আইনজীবীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সহিংসতা, ভয়ভীতি ও পদ্ধতিগত নিপীড়নের চিত্র এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
জেএমবিএফ-এর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য জান্নাতুল ফেরদৌসের গবেষণা এবং প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহানুর ইসলামের সম্পাদনায় প্রণীত এ প্রতিবেদনটি বাংলাদেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর, জেএমবিএফ-এর নিজস্ব নেটওয়ার্ক ও অংশীদার সংস্থার তথ্য যাচাই করে প্রস্তুত করা হয়েছে। এটি ইউনূস সরকারের আমলে বাংলাদেশের আইনজীবীদের 
ওপর সংগঠিত দমন-পীড়নের একটি বস্তুনিষ্ঠ, প্রামাণ্য ও তথ্যভিত্তিক দলিল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ফ্রান্সের প্যারিস ও বেলজিয়ামের ব্রাসেলস থেকে একযোগে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জেএমবিএফ জানিয়েছে, উক্ত সময়ে ২৬৮টি নথিভুক্ত ঘটনায় মোট ৮৪৯ জন আইনজীবী নানা ধরনের দমন-পীড়নের শিকার হয়েছেন। অনেক প্রবীণ ও প্রভাবশালী বিজ্ঞ আইনজীবীকে হুমকি, হয়রানি ও মিথ্যা মামলার মুখে পড়ে দেশত্যাগে বাধ্য হতে হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দমন-পীড়ন বিরোধী মতাদর্শের আইনজীবীদের নিশ্চিহ্ন করা এবং বিচারব্যবস্থাকে রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার লক্ষে একটি রাষ্ট্র পরিকল্পিত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নিপীড়ন। জেএমবিএফ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও মানবাধিকার আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহানুর ইসলাম বলেন, “ইউনূস সরকারের অধীনে আইনজীবীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত পদ্ধতিগত অভিযান ন্যায়বিচার ও আইনের শাসনের ওপর একটি সংগঠিত আঘাত।
মিথ্যা মামলা, নির্বিচার গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও পেশাগত বঞ্চনার মাধ্যমে সরকার বিচার ব্যবস্থার মৌলিক ভিত্তি ধ্বংস করছে।” ফরাসি মানবাধিকার কর্মী ও জেএমবিএফ এর প্রধান উপদেষ্টা রবার্ট সিমন বলেন, “দেশীয় সংস্কার ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণের অভাবে বাংলাদেশের আইন পেশার স্বাধীনতা আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।” সিসিবিই এর মানবাধিকার কমিটির সভাপতি আইনজীবী বারবারা পোর্তা বলেন, “স্বাধীন আইন পেশা ছাড়া গণতন্ত্র টিকে থাকতে পারে না। যখন আইনজীবীদের কণ্ঠরোধ করা হয়, তখন সমাজেরও কণ্ঠ স্তব্ধ হয়ে যায়।” প্রতিবেদন অনুযায়ী, দমন-পীড়নের ৮৮ শতাংশ ঘটনায় আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা ভুক্তভোগী এবং সারা দেশে আইনজীবীদের বিরুদ্ধে প্রায় ২০০টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায়
হত্যা, রাষ্ট্রদ্রোহ, নাশকতা ও ভাঙচুরের মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে, এবং নির্বিচারে গ্রেপ্তারকে বৈধতা দিতে সিআরপিসির ৫৪ ধারা, বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ ও সন্ত্রাস দমন আইন ব্যবহার করা হয়েছে। এ সময় অন্তত ২০৩ জন আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে, যাদের অনেককে পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তত চারজন আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছে, ২৬টি শারীরিক হামলা ও ৭টি চেম্বার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। নারী আইনজীবীরা, বিশেষ করে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ও অ্যাডভোকেট উমায়রা ইসলাম, লিঙ্গভিত্তিক নির্যাতন ও অপমানের শিকার হয়েছেন। এছাড়া ১৬টি বার অ্যাসোসিয়েশন বিএনপি–জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা দখল করেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ৪৪টি জেলা বারে আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ বাধাগ্রস্ত করা
হয়েছে। এমনকি বিচার বিভাগেও হস্তক্ষেপের প্রমাণ পাওয়া গেছে; ৪৬ জন বিচারপতি ও বিচারককে গ্রেপ্তার, বরখাস্ত, পদত্যাগে বাধ্য বা বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। জেএমবিএফ প্রতিষ্ঠানগুলোর রাজনৈতিক দখল, দমনমূলক আইনের অপব্যবহার, অপরাধীদের দায়মুক্তি, পেশাগত মেরুকরণ, গণমাধ্যমের সেন্সরশিপ ও স্বাধীন তদারকি ব্যবস্থার অভাব এই পরিস্থিতির মূল কারণ হিসেবে মনে করে। সংস্থাটি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দমন অবিলম্বে বন্ধ, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, আটক আইনজীবীদের মুক্তি এবং পেশাগত স্বাধীনতা পুনর্বহাল করার পাশাপাশি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন এবং দমনমূলক আইন সংস্কার বা বাতিলের দাবি জানিয়েছে। বার কাউন্সিল ও আইনজীবী সমিতিগুলোর প্রতি জেএমবিএফ নিরপেক্ষ নির্বাচন, ঝুঁকিতে থাকা আইনজীবীদের সুরক্ষা, এবং দলীয় বিভাজন অতিক্রম করে পেশাগত ঐক্য পুনর্গঠনের আহ্বান জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক
সম্প্রদায়ের প্রতি তারা বাংলাদেশে আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ, দায়ীদের বিরুদ্ধে লক্ষ্যভিত্তিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ, এবং ঝুঁকিতে থাকা আইনজীবীদের আন্তর্জাতিক সহায়তা সম্প্রসারণ করার জন্য অনুরোধ করেছে। জেএমবিএফ প্রতিবেদনের শেষাংশে দীর্ঘমেয়াদি কাঠামোগত সংস্কারের সুপারিশ করেছে। যেখানে স্বাধীন বিচার তদারকি সংস্থা গঠন, মানবাধিকারভিত্তিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, এবং আইনজীবীদের নিরাপত্তা ও ডিজিটাল সুরক্ষা জোরদার করার আহবান জানিয়েছে।
                    
                                                          
                    
                    
                                    ওপর সংগঠিত দমন-পীড়নের একটি বস্তুনিষ্ঠ, প্রামাণ্য ও তথ্যভিত্তিক দলিল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ফ্রান্সের প্যারিস ও বেলজিয়ামের ব্রাসেলস থেকে একযোগে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জেএমবিএফ জানিয়েছে, উক্ত সময়ে ২৬৮টি নথিভুক্ত ঘটনায় মোট ৮৪৯ জন আইনজীবী নানা ধরনের দমন-পীড়নের শিকার হয়েছেন। অনেক প্রবীণ ও প্রভাবশালী বিজ্ঞ আইনজীবীকে হুমকি, হয়রানি ও মিথ্যা মামলার মুখে পড়ে দেশত্যাগে বাধ্য হতে হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দমন-পীড়ন বিরোধী মতাদর্শের আইনজীবীদের নিশ্চিহ্ন করা এবং বিচারব্যবস্থাকে রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার লক্ষে একটি রাষ্ট্র পরিকল্পিত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নিপীড়ন। জেএমবিএফ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও মানবাধিকার আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহানুর ইসলাম বলেন, “ইউনূস সরকারের অধীনে আইনজীবীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত পদ্ধতিগত অভিযান ন্যায়বিচার ও আইনের শাসনের ওপর একটি সংগঠিত আঘাত।
মিথ্যা মামলা, নির্বিচার গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও পেশাগত বঞ্চনার মাধ্যমে সরকার বিচার ব্যবস্থার মৌলিক ভিত্তি ধ্বংস করছে।” ফরাসি মানবাধিকার কর্মী ও জেএমবিএফ এর প্রধান উপদেষ্টা রবার্ট সিমন বলেন, “দেশীয় সংস্কার ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণের অভাবে বাংলাদেশের আইন পেশার স্বাধীনতা আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।” সিসিবিই এর মানবাধিকার কমিটির সভাপতি আইনজীবী বারবারা পোর্তা বলেন, “স্বাধীন আইন পেশা ছাড়া গণতন্ত্র টিকে থাকতে পারে না। যখন আইনজীবীদের কণ্ঠরোধ করা হয়, তখন সমাজেরও কণ্ঠ স্তব্ধ হয়ে যায়।” প্রতিবেদন অনুযায়ী, দমন-পীড়নের ৮৮ শতাংশ ঘটনায় আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা ভুক্তভোগী এবং সারা দেশে আইনজীবীদের বিরুদ্ধে প্রায় ২০০টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায়
হত্যা, রাষ্ট্রদ্রোহ, নাশকতা ও ভাঙচুরের মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে, এবং নির্বিচারে গ্রেপ্তারকে বৈধতা দিতে সিআরপিসির ৫৪ ধারা, বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ ও সন্ত্রাস দমন আইন ব্যবহার করা হয়েছে। এ সময় অন্তত ২০৩ জন আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে, যাদের অনেককে পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তত চারজন আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছে, ২৬টি শারীরিক হামলা ও ৭টি চেম্বার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। নারী আইনজীবীরা, বিশেষ করে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ও অ্যাডভোকেট উমায়রা ইসলাম, লিঙ্গভিত্তিক নির্যাতন ও অপমানের শিকার হয়েছেন। এছাড়া ১৬টি বার অ্যাসোসিয়েশন বিএনপি–জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা দখল করেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ৪৪টি জেলা বারে আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ বাধাগ্রস্ত করা
হয়েছে। এমনকি বিচার বিভাগেও হস্তক্ষেপের প্রমাণ পাওয়া গেছে; ৪৬ জন বিচারপতি ও বিচারককে গ্রেপ্তার, বরখাস্ত, পদত্যাগে বাধ্য বা বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। জেএমবিএফ প্রতিষ্ঠানগুলোর রাজনৈতিক দখল, দমনমূলক আইনের অপব্যবহার, অপরাধীদের দায়মুক্তি, পেশাগত মেরুকরণ, গণমাধ্যমের সেন্সরশিপ ও স্বাধীন তদারকি ব্যবস্থার অভাব এই পরিস্থিতির মূল কারণ হিসেবে মনে করে। সংস্থাটি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দমন অবিলম্বে বন্ধ, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, আটক আইনজীবীদের মুক্তি এবং পেশাগত স্বাধীনতা পুনর্বহাল করার পাশাপাশি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন এবং দমনমূলক আইন সংস্কার বা বাতিলের দাবি জানিয়েছে। বার কাউন্সিল ও আইনজীবী সমিতিগুলোর প্রতি জেএমবিএফ নিরপেক্ষ নির্বাচন, ঝুঁকিতে থাকা আইনজীবীদের সুরক্ষা, এবং দলীয় বিভাজন অতিক্রম করে পেশাগত ঐক্য পুনর্গঠনের আহ্বান জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক
সম্প্রদায়ের প্রতি তারা বাংলাদেশে আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ, দায়ীদের বিরুদ্ধে লক্ষ্যভিত্তিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ, এবং ঝুঁকিতে থাকা আইনজীবীদের আন্তর্জাতিক সহায়তা সম্প্রসারণ করার জন্য অনুরোধ করেছে। জেএমবিএফ প্রতিবেদনের শেষাংশে দীর্ঘমেয়াদি কাঠামোগত সংস্কারের সুপারিশ করেছে। যেখানে স্বাধীন বিচার তদারকি সংস্থা গঠন, মানবাধিকারভিত্তিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, এবং আইনজীবীদের নিরাপত্তা ও ডিজিটাল সুরক্ষা জোরদার করার আহবান জানিয়েছে।



