 
                                                        
                                ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স                            
                        আরও খবর
 
                                গণভোট নিয়ে হ্যাঁ-না পোস্টের প্রতিযোগিতা ফেসবুক-ইনস্টায়
 
                                আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনা: তিনিই জাতির কাণ্ডারি
 
                                জেএমবিএফ-এর প্রতিবেদন: অন্তবর্তী সরকারের অধীনে বাংলাদেশে আইনজীবীদের ওপর দমন-পীড়নের চিত্র
 
                                জামায়াত কি আদৌ মওদুদীর ‘বিকৃত আকিদা’ ঝেড়ে ফেলতে পেরেছে? নাকি আগের পথেই আছে?
 
                                শেখ হাসিনা: যারা আগুন দিয়েছে, লুটপাট করেছে, তাদের চিহ্নিত করে রাখুন, পাই পাই হিসাব নেওয়া হবে
 
                                শীত আসার আগেই রাজধানীতে তীব্র গ্যাস সংকট: অব্যবস্থাপনায় ক্ষুব্ধ নাগরিকরা
 
                                পুলিশ-র্যাবের পক্ষে শেখ হাসিনার শক্ত অবস্থান: ‘আন্দোলনকারীরাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যায়’
বৈদেশিক অর্থায়ন ব্যর্থ, তহবিলের টাকায় ইস্টার্ন রিফাইনারি-২ নির্মাণের সিদ্ধান্ত
 
                             
                                               
                    
                         বৈদেশিক অর্থায়নের চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত নিজস্ব তহবিলেই ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের দ্বিতীয় ইউনিট (ইআরএল-২) বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
প্রায় ৪৩ হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশে জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার হওয়ার পাশাপাশি পরিশোধিত তেল আমদানির ওপর নির্ভরতা কমবে এবং বছরে শত শত কোটি ডলার বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ইতোমধ্যে ‘ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ (ইআরএল-২)’ প্রকল্পের সংশোধিত প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য কমিশনে পাঠিয়েছে।
ব্যয় বেড়ে দাঁড়াল প্রায় ৪৩ হাজার কোটি টাকা
নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪২ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৩০ 
হাজার ৪৯৯ কোটি টাকা আসবে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে এবং বাকি ১২ হাজার ৪৭৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা প্রদান করবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। ২০৩০ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি সম্পন্ন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩৬ হাজার ৪১০ কোটি টাকা, যেখানে ২৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বিদেশি ঋণ থেকে পাওয়ার আশা করা হয়েছিল। তবে বৈদেশিক অর্থায়নের উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ায় মাত্র ৮ মাসের ব্যবধানে ব্যয় বেড়েছে প্রায় ৬,৬০০ কোটি টাকা। পরিকল্পনা কমিশনের এক কর্মকর্তা জানান, “বৈদেশিক ও বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণে ধারাবাহিক ব্যর্থতা এবং নির্মাণ ব্যয়ের ঊর্ধ্বগতির কারণে সরকার নিজস্ব অর্থায়নে এগোনোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” তিনি
আরও বলেন, “অনেক আগেই যদি এই প্রকল্প শুরু করা যেত, ব্যয় অনেক কম হতো। এখন দেরিতে হলেও নিজস্ব অর্থায়নে দ্রুত কাজ শুরু করাটা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।” অন্তর্বর্তী সরকার সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি উন্নয়ন অংশীদারের কাছে ঋণ চেয়েছিল, কিন্তু কোনো প্রতিশ্রুতি মেলেনি। এর আগে বেসরকারি বিনিয়োগের মাধ্যমেও প্রকল্প বাস্তবায়নের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল। বর্তমানে প্রকল্পটিকে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ চলছে, যাতে সরকারি ও বিপিসির নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন শুরু করা যায়। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফওজুল কবির খান বলেন, “এই প্রকল্পে সরাসরি কোনো বিদেশি অর্থায়ন নেই। জীবাশ্ম জ্বালানি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বলে উন্নয়ন অংশীদাররা এখন
আর এই খাতে তহবিল দিতে আগ্রহী নয়।” তবে তিনি জানান, সরকার এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) থেকে বাজেট সহায়তা হিসেবে ঋণ নিয়ে পরোক্ষভাবে এই প্রকল্পে অর্থায়ন করতে পারে। ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে ১.৫ বিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা চেয়ে ১৩ আগস্ট এআইআইবির কাছে আবেদন পাঠানো হয়েছে এবং প্রাথমিকভাবে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা সরকারের নিজস্ব অর্থায়নের সিদ্ধান্তকে ‘বাস্তবসম্মত ও প্রয়োজনীয়’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. বদরুল ইমাম বলেন, “দেশে একটি আধুনিক রিফাইনারি স্থাপন এখন সময়ের দাবি। বিদেশি ঋণ বিনামূল্যে আসে না—তা সুদসহ ফেরত দিতে হয়। তাই সরকারের সামর্থ্য থাকলে নিজস্ব অর্থায়নই সবচেয়ে ভালো বিকল্প।” চট্টগ্রামে অবস্থিত দেশের একমাত্র তেল শোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারি ১৯৬৮
সালে ফরাসি প্রতিষ্ঠান টেকনিপ-এর সহায়তায় স্থাপিত হয়। বর্তমানে এটি বছরে মাত্র ১৫ লাখ টন অপরিশোধিত তেল পরিশোধন করতে পারে, যেখানে জাতীয় চাহিদা প্রায় ৭৫ লাখ টন। ফলে বিপুল পরিমাণ পরিশোধিত তেল আমদানি করতে হয়, যা বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ের বড় উৎস। ২০১০ সালে ইআরএল-২ নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হলেও নানা জটিলতায় প্রকল্পটি দীর্ঘদিন ঝুলে ছিল। ২০২৪ সালে এস আলম গ্রুপ ২৫ হাজার কোটি টাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের প্রস্তাব দিলে জ্বালানি বিভাগ তা অনুমোদন করে, কিন্তু সে বছরের আগস্টে সরকার পরিবর্তনের পর প্রকল্পটি স্থগিত হয়ে যায়। পরবর্তীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রকল্পটি নতুন করে সক্রিয় করে নিজস্ব অর্থায়নের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেয়। কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সরকারের
এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা এম শামসুল আলম বলেন, “বিদেশি বা বেসরকারি অর্থায়নের পথে গেলে ব্যয় ও দুর্নীতির ঝুঁকি বাড়ে। সরকার নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়ে সঠিক দিকেই অগ্রসর হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “দরপত্র ও ঠিকাদার নিয়োগে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। যদি এই প্রকল্পটি স্বচ্ছভাবে বাস্তবায়িত হয়, তবে এটি সরকারের জ্বালানি খাতে একটি দৃষ্টান্তমূলক সাফল্য হয়ে উঠবে।” ইস্টার্ন রিফাইনারির দ্বিতীয় ইউনিট সম্পন্ন হলে বার্ষিক পরিশোধন সক্ষমতা ১৫ লাখ টন থেকে বেড়ে ৪৫ লাখ টনে উন্নীত হবে। এতে জ্বালানি আমদানিনির্ভরতা কমে যাবে, পরিবহন খরচ কমবে এবং দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী হবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ইউরো-৫ মানের জ্বালানি উৎপাদন সম্ভব হবে, যা
কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করে পরিবেশবান্ধব ও দক্ষ জ্বালানি ব্যবস্থার পথে বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নেবে।
                    
                                                          
                    
                    
                                    হাজার ৪৯৯ কোটি টাকা আসবে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে এবং বাকি ১২ হাজার ৪৭৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা প্রদান করবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। ২০৩০ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি সম্পন্ন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩৬ হাজার ৪১০ কোটি টাকা, যেখানে ২৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বিদেশি ঋণ থেকে পাওয়ার আশা করা হয়েছিল। তবে বৈদেশিক অর্থায়নের উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ায় মাত্র ৮ মাসের ব্যবধানে ব্যয় বেড়েছে প্রায় ৬,৬০০ কোটি টাকা। পরিকল্পনা কমিশনের এক কর্মকর্তা জানান, “বৈদেশিক ও বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণে ধারাবাহিক ব্যর্থতা এবং নির্মাণ ব্যয়ের ঊর্ধ্বগতির কারণে সরকার নিজস্ব অর্থায়নে এগোনোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” তিনি
আরও বলেন, “অনেক আগেই যদি এই প্রকল্প শুরু করা যেত, ব্যয় অনেক কম হতো। এখন দেরিতে হলেও নিজস্ব অর্থায়নে দ্রুত কাজ শুরু করাটা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।” অন্তর্বর্তী সরকার সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি উন্নয়ন অংশীদারের কাছে ঋণ চেয়েছিল, কিন্তু কোনো প্রতিশ্রুতি মেলেনি। এর আগে বেসরকারি বিনিয়োগের মাধ্যমেও প্রকল্প বাস্তবায়নের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল। বর্তমানে প্রকল্পটিকে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ চলছে, যাতে সরকারি ও বিপিসির নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন শুরু করা যায়। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফওজুল কবির খান বলেন, “এই প্রকল্পে সরাসরি কোনো বিদেশি অর্থায়ন নেই। জীবাশ্ম জ্বালানি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বলে উন্নয়ন অংশীদাররা এখন
আর এই খাতে তহবিল দিতে আগ্রহী নয়।” তবে তিনি জানান, সরকার এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) থেকে বাজেট সহায়তা হিসেবে ঋণ নিয়ে পরোক্ষভাবে এই প্রকল্পে অর্থায়ন করতে পারে। ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে ১.৫ বিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা চেয়ে ১৩ আগস্ট এআইআইবির কাছে আবেদন পাঠানো হয়েছে এবং প্রাথমিকভাবে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা সরকারের নিজস্ব অর্থায়নের সিদ্ধান্তকে ‘বাস্তবসম্মত ও প্রয়োজনীয়’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. বদরুল ইমাম বলেন, “দেশে একটি আধুনিক রিফাইনারি স্থাপন এখন সময়ের দাবি। বিদেশি ঋণ বিনামূল্যে আসে না—তা সুদসহ ফেরত দিতে হয়। তাই সরকারের সামর্থ্য থাকলে নিজস্ব অর্থায়নই সবচেয়ে ভালো বিকল্প।” চট্টগ্রামে অবস্থিত দেশের একমাত্র তেল শোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারি ১৯৬৮
সালে ফরাসি প্রতিষ্ঠান টেকনিপ-এর সহায়তায় স্থাপিত হয়। বর্তমানে এটি বছরে মাত্র ১৫ লাখ টন অপরিশোধিত তেল পরিশোধন করতে পারে, যেখানে জাতীয় চাহিদা প্রায় ৭৫ লাখ টন। ফলে বিপুল পরিমাণ পরিশোধিত তেল আমদানি করতে হয়, যা বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ের বড় উৎস। ২০১০ সালে ইআরএল-২ নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হলেও নানা জটিলতায় প্রকল্পটি দীর্ঘদিন ঝুলে ছিল। ২০২৪ সালে এস আলম গ্রুপ ২৫ হাজার কোটি টাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের প্রস্তাব দিলে জ্বালানি বিভাগ তা অনুমোদন করে, কিন্তু সে বছরের আগস্টে সরকার পরিবর্তনের পর প্রকল্পটি স্থগিত হয়ে যায়। পরবর্তীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রকল্পটি নতুন করে সক্রিয় করে নিজস্ব অর্থায়নের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেয়। কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সরকারের
এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা এম শামসুল আলম বলেন, “বিদেশি বা বেসরকারি অর্থায়নের পথে গেলে ব্যয় ও দুর্নীতির ঝুঁকি বাড়ে। সরকার নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়ে সঠিক দিকেই অগ্রসর হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “দরপত্র ও ঠিকাদার নিয়োগে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। যদি এই প্রকল্পটি স্বচ্ছভাবে বাস্তবায়িত হয়, তবে এটি সরকারের জ্বালানি খাতে একটি দৃষ্টান্তমূলক সাফল্য হয়ে উঠবে।” ইস্টার্ন রিফাইনারির দ্বিতীয় ইউনিট সম্পন্ন হলে বার্ষিক পরিশোধন সক্ষমতা ১৫ লাখ টন থেকে বেড়ে ৪৫ লাখ টনে উন্নীত হবে। এতে জ্বালানি আমদানিনির্ভরতা কমে যাবে, পরিবহন খরচ কমবে এবং দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী হবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ইউরো-৫ মানের জ্বালানি উৎপাদন সম্ভব হবে, যা
কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করে পরিবেশবান্ধব ও দক্ষ জ্বালানি ব্যবস্থার পথে বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নেবে।



